West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Friday, September 14, 2018


when I forget all, even my mother, father even brother and sister, and concentret my own family, that is parenting. Believe it or not, its true.
Parenting can not be shown in public place or family gathering, it is rather something that is personally owned creative room. where you devoted (what is devotion?) your time to create something you love the most.

Parenting, is an art to feel proud of, it is the time you visualize the system of your past. It is something, that you can have the POWER to change through your unique way.
So, I don't ask you to act accordingly, better suggesting you to be concerned & plan a better thought to apply successfully.

I know that there is still a great gap of misunderstanding between you & me. I accept the truth of great family bonding & people yet survive to prove forcefully the nature of now and days gossip  including our family, but to instill the depth of international thought & nature, where there is no bondage of  examples how could we go through the same.
By the way it is not the end of precessing or last result but a single day cloud to fly.


  

Friday, August 10, 2018


নিশ্চিন্তে বিন্দাস থাকো AND বাঁচো
ঠিক করতে গিয়ে ভূল হলে হোক, ভূল মানুষেরা পাশে দাঁড়াবেই। ওঠা পড়ার জগতে পড়ার সংখ্যা বেড়ে গেলে যাক, পড়ে যাওয়ার অভ্যেস টা অনেক শেখাবে। আর আনন্দ, শেখার মাঝে যে ফারাক,  তার ফাঁকে কিন্তু শেখাটাই প্রকৃত আলো ছড়াবে। 
আসলে বিশ্বাস জিনিশ টা বড়ই গোলমেলে বস্তু।

নতুন প্রজন্ম মানে টিন গোষ্ঠি ও ৩০ অনু্র্ধ্ব  যারা, বিশেষত: যাদের কুন্ডলিনী জাগে নি, মানে জগত, সংসার, ইহলোক, পরলোক, পার্টি, দেশ, রাজ্য, সীমান্ত, ক্ষরা, দুঃক্ষ, জাতি, বর্ন, ধর্ম, খাদ্য, বস্ত্র, ভাষা ইত্যাদি নানা প্রকারের জটিলতায় যে এ প্রজন্মের আগ্রহ কম, তারে কি ভাবে বোঝাবো যে আমারো একদিন এসবে আগ্রহ ছিল না। এখন হয়েছে। 
যাই হোক, শুধু মাত্র এ দেশের নাগরিক হয়ে বেচে থাকাটা আমি অপরাধ বলে মনে করি।
তাই সব দলের সব সংগঠনের কর্মি কে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি ভালো দিক নিয়ে ভাবছি তাই যারা নীরবে দেশের হয়ে কাজ করে চলেছেন, সেই বিশ্বাসের কাজের মূল্যের আলাদা মর্যাদা আছে এবং থাকবে। দেখেছি তাদের ওঠা পড়া। ভাল মন্দ সময়ে দলের পাশে থেকে দল সামলে যাওয়া। যে বা যারা দল, সংগঠন ভালোবাসে, তারা ইডিওলজির কারনে নয়তো দেশের উন্নতি এরাই করতে পারে, সেই বিশ্বাসের কারনেই মূলত যোগ দেয়। কারো বা বিশ্বাসে ঘুন ধরে। যাই হোক কিন্তু অধিকাংশ নিজের আখের গোছানোর জন্যই পাশে দাঁড়ায়।  তারা সমাজের কাছে আমার কাছে ঘৃনার পাত্র। এরা চিন্হিত, কিন্তু দেশ আমি আপনি দল সর্ব্বপরি সরকার, এদের অন্যায়ের সাজা কেন দিতে পারে না। এদের কারনেই দেশ কলুষিত, দেশ কবে সেটা বুঝবে?

এমনি ভালো লাগলো তাই দিলাম এই ছবি। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আমার দেশ যখন মুক্তি খুঁজছে। ইনি খুঁজছে অন্য কিছু তে মুক্তি,  লিখে গ্যাছেন নাংগা পর্বত অভিযানের রোমহর্ষক কাহিনী। তাই উপরের আমার লেখাটা বড্ড ক্লিশে লাগে, মনে হয় অনেক কিছু। কি করছি, কেন করছি, এমন পাগল কেন হয়ে উঠতে পারছি না।

Friday, July 20, 2018

Monday, June 4, 2018

wo ayi thi, youhi, par
dikhaye v youhi
k, bas, par chal diye
aise hi, din aur ratein kat te hai, jatein hai,
mulakatein yun reh jate hai.
ruk na fir itrana
fir chal dena
aise hi chal te rehte hai bas,
khowab sulag te rehte hai...
kabhi barish, wo bowchare
wo dhimi khushbu, wo karare
bas reh jate hai,
sulag te hue wo dhimi aanch
sa pani, dhuan jaise
khabi na khatam na hone wali
jhijhak ta pyar, jaise
khushbu mal mal sa
ruke hue srot jaise
k, wo chehra, wo badan
wo hoth aur wo khushbu
panchi v kabhi dikha
to usey sochte rehte hai...
aise hi bas
aise hi bas
chal te reh te hai....

Sunday, June 3, 2018

অকালপক্কতা কাজের জিনিশ নহে। তবে দ্রব্য গুনে মূল্য অপরিসীম। সম্রাট আকবর সিংহাসনে বসিয়া কি পরিমান পাকিয়া ছিলেন, তাহা ঐতিহাসিক রাই নির্ধারণ করিবেন। আর আপনি আমি কতটা পাকিয়া ঝুলিতেছি, তাহা, ভবিষ্যৎ বলিবে।
বাংলায় এ গৃষ্মে, অাম জাম কাঁঠাল ইত্যাদি আজো পাকিতেছে। তত্সদৃশ বালক বালিকা রা।  ঋতুর অপেক্ষায় ইহারা বসিয়া থাকে না। ছেলে পাকিলে ডেঁপো হয় বটে। মেয়ে পাকিলে অনিষ্চয়তা। এই  পাকিষ্ঠ ছেলেমেয়ে দিগের স্পর্শে  কিছু আবার কাঁচামিঠে হইয়া ওঠে। ইহা ইন্দ্রিয়কারক, সন্দেহ নাই, আবার মন্দও লাগে না।
ইহাতে পাড়া পড়শি পূর্বাহ্নের সময় টাও ভাল কাটে।সেই কড়ামিঠে আম্র শলাকা লবন লংকা যোগে, ঠোট পেরিয়ে জিহ্বায় যেই উঠলো, আঃ উঃ টাক শব্দ।

"একে দিও স্বস্তিক চিন্হ আকাশের বুকে,
শরীরে দাবানল, স্নায়ু যুদ্ধের শোকে।"

তবে, এক্ষণ, কম বেশী সকলেই মোটামুটি ভালো আছেন। গতকাল বাবা লোকনাথের ছিল জন্মদিন। খুব জাঁক হইয়াছে। লুচি, , ফলাদি, মন্ডা মিঠাই যোগে পূজাদি ভারি সুন্দর সাংগ হইলো। পালা পার্ব্বন পূজা অর্চন বাঁচিয়া থাক। বাবার আশীর্বাদে বাতাসে খুশী খুশী গন্ধ। রবিবার বলিয়া কথা।আমার বেশ লাগিয়াছে। উৎসব টা সারা বছর জুড়াইয়া চলিলে ক্ষতি নাই কিছু। কিন্তু, একটা কথা, বাজারে আগুন কেন? সব ঠিকঠাক চলিলে, মাসের মাঝেই তৈলের দাম কিছু কমিলেও কমিতে পারে। রমাদান শেষ হইবে। শুনিলাম, কল্যাণী তে আম্র উৎসবে ৫০০ গ্রাম আম পাচশত টাকায় বিকাইছে। সে আম কোহিতুর। ইহা নাকি রাজা বাদশাই খাইতো, আঁটিখানি ফুটা করিয়া ফেলিয়া দিত। তাহাতে এ আম, আম নাগরিকের হস্তের বাহিরে থাকিবে। এখন আপনিও খাইবেন। আহা র‍্যাশনে যদি বিশ টাকায় এ আম বিতরন হইতো? আমি কিনিয়া খাইতাম। ভারী মজা হইতো।

ছবিটি
http://www.presentedbyp.com থেকে
The Life and Times of Poorna Banerjee:

Wednesday, May 30, 2018

রাজৌষধ ও বিষমনীতি


এবার মিডিয়া, রাজনীতি
এক মঞ্চে। ট্র‍্যাক প্রশ্ন হল কিভাবে আপনি তাদের এক মঞ্চে দেখবেন? মঞ্চ চাই, যেখানে এখুনের সব কির্তীমান আপনি গুলে খাবেন।  চ্যানেল খুলে, দেখালে? আপাতত এটা রাস্তা, তবে ফাইনাল নয়। মঞ্চ আপনার আমার জন্যও চাই। এই দ্যাখো, দেশের স্তম্ভ গুলার ধ্যাষটামো। আর এই হল সন্দীপ, জামাল, প্রেমজিত। আর ওই যে দেখুন স্টারআনন্দ সংগে ভিজে যাওয়া কাগজ গুলা + জি টিভি, লোকাল চ্যানেল, এন্ডিটিভি, ঈন্ডিয়া টিভি আরো অনেক ইত্যাদি সংগে আবার তোমার মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য গুলা? ও  আরেক টা কথা, সরকার স্বীকৃতি দেবে তো?  স্বাধীনতার ঘন্টায় দেশের ১২ টা যেদিন বেজেছিল! জানিনা নেহেরূ জীর মাথায় কি স্ট্রাইক  করেছিল? ভেবেছিল? দেশ এখন এই ভাবেও চলতে পারে? আগামীকাল হয়ত শত আসিফা অকালেই ঝরে যাবে, হারিয়ে যাবে ভ্রূন? কালে গহ্বরে কেউ পাবে না ঠাই, আসি আর যাই, ব্রম্ভা জানেন? গোপন কম্ম নিয়ে কে ভেবে ছিল? উত্তর হয়তো জয়ন্ত শাস্ত্রী দিতে পারে। আমরা তো প্রোডাক্ট, আর জনসাধারন মানেই ভেরি ইন্টারেস্টিং সাব্জেক্ট।
প্রিয় বন্ধু ও পাঠকবন্ধু, আমি ভুল হতে পারি। কিন্তু দিদিই বলেছেন চপ ভাজতে, জ্যোতি বসু বলেছিলেন এমন টা তো বলতেই পারে, এরা বর্বর। কোথায় আমরা কোথায় ওরা? মাঝে মোদি গোদি থেকে চিৎকার শোনা যায় , ভাই পাকোড়া, পাকোড়া, তায় কি বা সন্দেহ লাগতে পারে? বাঙালী চপ নিয়ে ভাবতে পারে, তালে মোদি.. . . ঢপ নিয়ে গল্প বললেই দোষ? তেল ঝাল, নুন মষলার দাম যেখানে আগুন দাম, সেখানে টকে নোনতা জনতা এক পশলা বৃষ্টি চায়। অথচ দেখো, নেতা মন্ত্রী মিডিয়া গুলা, ঠান্ডা মেসিনে বসে, কামাতে চায়, সমাজের সম্মুখে ঝামা ঘষে শুধু কামাতে চায়।
হয়তো দেখে ফেলেছি, আজো হাজার হাজার ঘরে ঘরে পায়খানা, বিদ্যুৎ, জলের ব্যাবস্থা নেই, যেটা সরকারী নেতা রা বড় মুখে অর্ধেক মিথ্যে বলে থাকে, আজো, স্বাধীনতার ৮০ বছর পরে। আ.....শি, ভাবা যায় না মাইরি। আশি তে আসিও না, দেখেচেন? কিন্তু নেতা রা এত ভাঁট বকে কেন? আমরাই অশিক্ষিত চ্যালা গুলা এদের ফুটতে দি। জর্জরিত সমাজে কুচো কুচো নেতার জন্ম হয় শত শত, সুরভিত,বিকশিত এন্টিসেপ্টিক লিভ ফিফটিটুর মত। কেন ভূলভাল বলে যায়, বুঝে পাই না।, দেশের মানুষ কি এতোই অবুঝ আর বোকা? তাই 'লজ্জ্বা পাও দেশ,' কুর্নিষ জানাই যে লিখেছিল।
রাজনীতি কে ঢাল করে, সাধারন মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। রাজনীতি কে ঢাল করে, যে যখন আসে, প্রশাসন কে নিজ উদ্দ্যেশ্যে কাজে লাগায়। রাজনীতি কে ঢাল করে যে যাকে যখন পারে নৃশংসতায় রাঙিয়ে দেয়। এসব আমি ভয় পাচ্ছি। ভয় পাচ্ছি গন অভুত্থানের কথা ভেবে। কারণ যা সব ইতিহাস রচিত হয়ে চলেছে, একদিন দেখবো, কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। এখুনো কি পরিমাণ ধর্মে হানাহানী, ভাষা


নিয়ে হানাহানি, সংবাদ সঞ্চালকের মুখেও প্রাদেশিকতার গন্ধ। চাকরীর বাজারে চাকরী অপ্রতুল, চারিদিকে, টিউশানি, গান, এটা ওটা করে যুবসমাজ দিশেহারা। এদের জন্য ২০ ৩০ বছর আগে প্ল্যানিং কমিশন ভাবে নি কেন? ভেবে থাকলে, তার রিপোর্ট কই? এটাও কী প্লানিং কমিশনের দায়িত্বে পড়ে না। খরচ বেড়েই চলেছে। বেসরকারি স্কুলে প্রতি বছর সিলেবাস পাল্টে যাচ্ছে। কত কত লক্ষ্য কোটি টাকার বই প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে। কে হিসেব রাখে? কার টাকা। ইতিহাসের সাইকেল বনবন করে ঘুরছে, একবার আগে তো একবার পেছনে।

উন্নয়ন কী? অর্থ টা ব্যাপক। তবু অর্থ কে উপযুক্ত জায়গায় কাজে লাগানো টাও কম কথা নয়। কিন্তু দেশের মানুষের লাভের গুড় যখন পিপড়ে খেতে শুরু করে, আমরা হা করে দেখি। মিডিয়া রাজনীতির অপেক্ষায় প্রশাষন, তারাও হা করে দেখে। আমি বিষ্বাস করি, দুর্নীতি দমনে রাজনীতি যদি সম্পুর্ন কড়া, শৃংখলাপরায়ন হয়, দেশ সত্যই জগতে সামনে খুশী মনে হাসবার ক্ষমতা রাখে।
ছবি গুলা INTERNET সংগৃহীত । লেখার সাযুজ্যে ব্যবহার মাত্র আর কিছু না।

Sunday, May 13, 2018

      🎆🎆🎆
তুমিই হাঁসাও, তুমিই কাঁদাও,
তুমিই দেখাও, তুমিই বলাও,
তুমিই মারো, তুমিই বাঁচাও।
🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆🎆
মানব জনম সফল তোমার
রয়ে যাবে অবদান,
দেশের আগে দশের কাছে,
নীরব  আহ্বান।
ধর্মের আগে ভাষার চেয়েও,
মানবিকতা মুল্যবান।।
কাছে এসে তুমি, বল হেসে
একবার, ভালোবাসি ভালোবাসি
বার বার তুমি,  ফিরে পাবে শশী
আর অগাধ সম্মান।।
🎆🎆🎆

Saturday, May 12, 2018

এইযে মুরগি ছানারা,
থপ থপানির পোনা,
ছটপটে আর কুটুরমুটুর
যায় না কেন গোনা?

একসাথে বেশ মজায় আছিস,
মলমলিয়ে ডাক ছাড়চিস,
খুঁটে খাচ্ছিস, আর ছড়াচ্থিস
ছানা বলেই না ঝলমলাচ্ছিস।

বেশ চলছিল, জানেন! সত্যি বলছি।
But দেশ এদের, আজো বাঁচিয়ে রেখেছে
তারা আসোলে কারা ?
যারা মরার আগেই মড়া
যারা বলে, বোকার হদ্দো,
করবো জব্দ, কেত হবে না, ভাই?
উঠতি মুলোই যে পত্তনে চাই
সংগে পেঁয়াজ আদা

রসুন বেটে নুন হলুদে
রঙীন করে দেবো,
কড়ায় ফেলে ভেজে দিয়ে
স্বর্গ দেখিয়ে দেব।।
বলোতো সন্দে লাগে কিনা,
দেশ কী ভাবেই রাজা উজির
আর কিচির মিচির
নাকি মুরগী আগে না ডিম?
সুজির সাথে লুচি হলে চলে
নাকি ধর্মের সাথে ভীম!
মুরগী যদি ডিম
পেড়ে দেয়,
কি করবে হাকীম!
ঠিক কিনা?


Friday, May 11, 2018

গরমে হাপিত্তেশ, এসির বাইরে কি তুমি?
তালে দেখো একটিবার
ছবি চে সুন্দর এ পৃথিবীর কাশে
মেঘও ক্লান্ত সুনামী।
কেমন শান্ত ভেসে উত্তরে,
গুরুর দৈব মন্তরে
অপেক্ষার ভোর চুমি
প্রশ্নের রাত যেন ফুরোতে এখুনো বাকি।
কেন যে দক্ষিনা হাওয়ায় ভাঁটা।
ভূগোলের রং কটা, জান্তে
ভাগ্য লাগে নাকি?

তাচ্চে বরং শিয়ালের হুক্কা হুয়াই সই, এখন ওয়ে়বার্লীর পাঁচীল ডিঙিয়ে (মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রাচীন সময়কাল) আসলে কোনো একটা ইন্দ্রিয়ের খিদে তোমায় মেটাতেই হবে। তবু এ ভেসে আসা আকুতির ডাক করুন লাগে!  অস্ত্বিত্তের ডাক,  নাকি বরুণ দেবের অনুপস্থিতি, অপারগ আমি।  উত্তরে যে চিলড্রেন পার্ক। ১২০ ফুট ওপরে তার, বাল্বের আলো, উফঃ কি শান্ত  , ভবিষ্যতে কি নাম হবে, নাম করবে কিনা, জানা নেই। বাট এখুনো চোখ বন্দ্ধ করলেই শিশুরা দাপাচ্ছে অক্লান্ত।
 পুূব দিকে ওই ওই ২৬ নম্বরের দিকে, ওয়াগনের ধাক্কা লেগে শব্দ যখন হাঁপাচ্ছে, পশ্চিমে গঙ্গা পেরিয়ে স্থির গম্ভীর আল্লাহঃ আকবর সা. . . .

আমাকে পাখি করে দাও প্রভু, কথা দিচ্ছি একটুও complain করবো না। সকাল থেকে সন্দ্ধে কিচির মিচির করে, একদিন তো টুপ করে মরেই যাবো। যা যা বেহায়া পাখি যানা. .
কিন্তু
তুমি তো ঈশ্বর, তুমি বোঝো কত,
জানে না এ নশ্বর প্রাণ।
খবর তোমার কাছে ছোটে সবার আগে।
তুমি উদ্বেলিত, কম্পন টের পাও,
শত মাত্রা অনুভব করে,
মেপে নিয়ে, পুনরায় খবর তৈরি কর।
সুতরাং
এখন তুমি ভগবান।
আমাদের মুক্তি দিও





।।

Tuesday, May 8, 2018

শত ঋণস্বীকার, বাকি এ বাংলায়।।
তবু
ঠাকুর বাড়ীর সারদীয় অঙ্গীকার
ভাগ্যবান গঙ্গায়,
বৈশাখের তুমিই ধ্রবতারা,
পূবের সিন্দ্ধু
তুমি, সে যে নবান্নের অর্ঘ।
পেয়েছো কি স্বর্গ,
সে শিশির বিন্দু,
লেখায়, অাঁকায়?
তবে কি তোমার মন অাজো ঘোরা ফেরা করে,
বাংলার মাটি তে
ঘ্রাণ নাও, বাতাসে,
দেখ এদিক পানে, মানুষের বিশ্বাসে।
এরা অাজো রবী কে প্রণাম করে।।

Saturday, April 21, 2018

Good Morning India. মুন্নাভাই MBBS ছবি তে রেডিও জকি, মনে পড়ছে? তবে ভোরে কাকুলির কলতান, আর
মিষ্টি বাতাসমিষ্টি বাতাস কে উপেক্ষা করে, মনটা হঠাৎ ই বিবাগি হয়ে পড়ছে। সত্যি। আকাশ টাকে উলটানো চাটুর মত লাগছে। মাত্র কয়েক টি ঘন্টা, তারপরেই প্রকৃতি আমাদের রুটির মত ভাজবে। সংে আজকেই উদযাপিত হবে ধরিত্রীদিবস। #Earthday

এসব কি ভাবচি বলোত, নিজেই অবাক হচ্চি।
তবে একটা কথা বেশ সত্যি। বাঙালী আবেগ প্রিয়। মনের স্থানটাই সর্বাগ্রে। তা বলে যে বাঙালীরর কামিনী কাঞ্চনের প্রতি অনীহা। এটা ভূল। বাসনার আগ্রহ মনেই বিরাজ করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল বাস্তবে এর ভোগ করাটা নিতান্তই সাদামাটা। টাকা হলেও সে  বাঙালিই থেকে যায়। মনে কাম পেলেও একে যে বিশেষ স্পেশাল ট্রিট দিতে হবে, মোটেই না। আর দশটা গোপন বাতকর্ম তথা শারীরবৃত্তিয় কাজের মতই সে আচরন করে। প্রথম প্রথম সুন্দর অতি ভাল, তারপরেই হলে হল, না হলে, অন্য কোন দিন। মন চলো নিজ নিকেতনে। মনে পীড়া অনুভূত হলেও অস্ফুটে যদি বলে, আসছে বছর দ্যাখা যাবে, তাতেও আশ্চর্য হই না। এ থেকে এটাই বোধ হয় যে, বাঙালী প্রথম ভাগের চ্যাপ্টার ভালোই রপ্ত করেছে।
আবার এটাও ঠিক যে, বাঙালীর খাদ্য প্রীতি ও নিখাদ আড্ডার কাছে কামিনীকাঞ্চন আজো বিস্ময়বোধক চিন্হ ।

Wednesday, March 21, 2018

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ৫)


গংগা নদীর এপাশ টায় খালি ধু ধু করছে মাঠ।  ইতস্তত জংগল ঝোপঝাড়। কেউ কোত্থাও নেই, কারোজন্য অপেক্ষা নেই, সবি আগামীদিনের সূর্যদয়ের অপেক্ষারত। তবু রাত্রি শেষে কুয়াশাছন্ন আবহে পরিবেশ কিছুটা নিষ্প্রভ।  শীতল হাওয়ার চাদরে লেপ্টে থাকা এ পরিবেশ, আজ যেন বড় কাতর ঘুমাছন্ন। নদী তে স্রোত নেই, আকাশ নিশ্চুপ, গাছের পাতা রাও যেন speak to not.

তবু যেন মানব সভ্যতার চাকা নিঃশব্দে ঘুরতেই থাকে। আহাতপুরের আদিবাসি মহল্লায় কয়েক জন এসময় বেরিয়ে পড়ে। শোনা কথা যে এরা নাকি এলিওট সাহেবের খপ্পর থেকে বাঁচতে এখানে আস্তানা গেড়েছে। দুর্নাম অনেক। বন্ধু সেজে নাকি রাতের অন্ধকারে রুমাল পেঁচিয়ে গলা পিশে মাটিতে পুতে দ্যায়। কই এখানে তাতো দেখছি না। তবে হ্যা গেল বার, শ্যাম নগরের কাছেই দুটো খালি নৌকা সংে ছাব্বিশ টা লাশ ভেসে উঠতে দেখা গেছে। আর লোকে তো কত কথাই বলে, তা বলে কি বেচে থাকাটা কি আটকে থাকে। খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। বুনো শুয়োর যদি শিকেয় ছেড়ে তো ক্ষতি কি? সেই সুদুর পশ্চিম থেকে কত পথ হেটে, এই পাড়ে এসে ঠেকেছে।

যাই বলো, খাসা জাগা বটে, পুরো নিশ্ছদ্র দ্বিপের মত। ওপারে ফরাসী দের ফউজ ঘাটি গেড়েছে। মাঝে মাঝেই তাদের বিশাল বহরের নৌকা এদিক পানে ছিটকে আসে। ওরা লুকিয়ে পড়ে। আর এতো সেই গংা নয়, তখন কার গংা, অপার দেখতে হলে মাঝ বরাবর গেলে তবে না। হুগলী নদী কেন যে নাম হল কে জানে? তবে অনেক সোভাগ্য করলে নদীর কাছে বাসস্থান পাওয়া যায়।  আমরা কি সৌভাগ্যবান? নৈহাটি, ভাটপাড়া, আতপুর, শ্যামনগর, ইচ্ছাপুর পেরিয়ে এ জল বংোপ্সাগরে মিশেছে। হতে পারে আমরা সৌভাগ্যবান। নদী মোটেও নয়। এই যে নদী যায়  সাগরে.. .  কিশোরের গলায় মনে পড়ে.. . .

কাছেই পিদিমের আলোয় ছোট্ট খোকা বসে। সামনে ছোট্ট মতন জলচৌকি। অপর পারে, ভবানী চরণ। আলোটা থেকে থেকেই দুলে উঠছে। ছোট্ট খোকার বিশালকায় ছায়া ঘরের দেওয়ালে। ভবানী চরণ সন্ধ্যা হলে পর বড়জোর সাড়ে সাত টা, তারপরেই নিজ ঘরে বিশ্রাম নিতে চলে যান। আজ মন টা একটু মরমিয়া। ভোর হলে পর যাদব একেও নিয়ে চলে যাবে।
 আমি কাকে নিয়ে থাকবো, একটু ভেবে দেখতে পারতো না!
 ভালো পড়াশোনা, দেখাশুন না ছাই।
এই কাঁঠালপাড়ায় তুইও তো মানুষ হলি, বলি এতে কি তোর খুউব ক্ষতি হয়ে গেল? যাক গে যাক, তুই বাপ, তোর কথাই থাক। ভবানীচরন এসবই আন্তাব্ড়ি ভাবতে ভাবতে ঘুমে ঢলে  পড়লেন। পাঠশালার রামনাথ পন্ডিতের সংগে ভবানীর খুবই সখ্যতা, সেই বললেন, যেতে  দাও হে, যেতে দাও। তবে দেখো যেন ত্রুটি না হয়, ভবানী! তোমার এই তিন নাতিই কিন্তু কেউ কারো চে কম যায় না বুঝলে! নিয়নের আলো গুলো সিড়ি লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই অদুরে গংার মলয় বাতাস, আলো ছাপিয়ে, জানালার খড়খড়ি বেয়ে শরীরে শিহরন জাগাচ্ছে।
আজকাল নদী তে দু চাট্টে বজরা ব্রিটিশ পতাকা গায়ে প্রায়শই টহল দিচ্ছে। ইলিয়ট সাহেব নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বটে, কিন্তু কা কব কান্তা।

খুব বেশি দূরে না, এই ২০০ বছর আগের ঘটনা।
আসলে যখন রাস্তায় ল্যাম্পের আলো গুলো টুপটাপ জ্বলে ওঠে। আগে বালব ছিলো তারো আগে ছিল নিয়নের বাতি। শীতের সন্ধ্যায় সে আলো কিছুটা গিয়ে ফুরিয়ে যেত। এখন রাস্তায় এলিডির আলো। আগের থেকে বেশ ভালো। শুনেচি এতে বিদ্যুৎ এর সাশ্রয়। তাই হয়তো কল্পনার আশ্রয়, এতেও যে খরচ কম, আনন্দ বেশী।

. . 


#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #জয়দেবঘোষেরবাগান #রাজবাড়ীরমাঠ #shyamnagar
#কালীবাড়ী

#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #নৈহাটি #ভাটপাড়া #shyamnagar
#কালীবাড়ী

Monday, March 12, 2018

country india দেশ প্রেম এ আমি কেমন আমি, সংস্কারের উর্ধে  উঠি,
ভাবি যা তাইতো সত্যি,
প্রনাম তোমায় সত্য কোটি

পড়লে জানবেন, আর না জানলে কি বা এসে গেল। তবে এটাই চুড়ান্ত।

সকল ধর্মাবলম্বী ব্যাক্তি কে প্রনাম, প্রনাম এ দেশের মাটি কে, আমি গর্বিত
তাদের জন্য, যারা  ইতিহাস হয়ে দেশ কে সন্মান এনে দিয়েছেন।
এ দেশে , যে বা যারা দেশের ওতিঝ্য কে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কল্পনা করেন, যেখানে ভারতবর্ষ নিজ রূপে, গ্যানে, আদর্শবান হবে। তাদের আমরা হ্রিদি চিত্তে সন্মান করি। গর্বিত অনুভব করি।
আর লজ্জিত যে ভারতবাসী, অঙ্গানতার অন্ধকারে যে নিমজ্জিত, সেও ভারতমাতার স্নেহ হতে বঞ্চিত হতে পারে না। তাই সকল কে সমান অধিকার দিতে আমরা ভারতবাসী বদ্ধপরিকর।
 এসো সকলে, এবার এক হও। শত্রুর কুটিল নীতি কে বিনাষের জন্য, এক হওয়াটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
মানুষ জন্মালে পর, তার শক্তি, মেধা, গ্যান, তিতিক্ষার চুড়ান্ত পরীক্ষা এখনো বাকি। আমরা ভারতবাসী সেই পরীক্ষায় সফল হতে আগ্রহী। পারবে কি, তুমি? লালসা, ব্যাক্তি প্রেম, কামনা বাসনার উর্ধে, আত্ম প্রলাপ, ধংসাত্মক উল্লাস থেকে ভারতবর্ষ তথা এ জাতি কে উদ্ধার করতে।

মুষিকের উত্থান পর্ব
আসলে ভোর হলেই এখানে শুনি, আকবর আল্লাহর কোরান বানী, যা নির্দিষ্ট, আবার ততসংে শুরু হয় হিন্দি গান, এই রাম নিয়ে তো এই হনুমান কিম্বা হঠাৎ মিরাপ্রেম রসাত্মক গান। পৃথিবীর কোন জাতি নেই যে, ভারত দেশের ইতিহাস নিয়ে টক্কর দেবে। তবু ধর্মে কোনো সাযুজ্য নেই কেন এটা মনে বড্ড বিঁধছিল। তালে তো হিন্দুদের ও একটা পরশিলীত নিয়মানুগ আচরন থাকা উচিত, তাই ভাবলাম, যদি একটা সুসংহত গান, নিয়ম পালনের কায়দা আনা যায়। কিন্তু হা হতস্মি, কোথাকার জল কোথায় দাঁড়ালো। না বিজেপি হোলো না তৃনমূল, না হোল কংগ্রেস। কাউকেই খুশী করতে পারলাম না। আর SUCI বা CPIM, বা মহান ফ্রন্ট  এদের কথা যে মাথায় নেই তা নয়, তবে দেশ যে বড্ড পুরনো, ইতিহাস, আছে যেযে জন্ম জটিলতা এটাকে বাদ দিলে যে, দেশ টাও যে অন্য যে কোন দেশের সমান। যেটা আমার মোটেই পছন্দ নয়। ভারত মানে, যে ধারে ভারে, অনন্য, ভারত মানে, ভার নিতে সক্ষম, ভারত মানে ভাত কাপড়ের সংস্থান, ভারত মানে স্বদেশে পুজ্যতে রাজা, বিদ্বান সর্বত্র পুজ্যতে।

Tuesday, March 6, 2018

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ৪)

ভোরবেলায় চন্দরনগর - এঘাট হতে আতপুরে সুর্য্য-দয় বড়ই মসৃন পেলব দেখায় গো। ভালো লাগার জীবন কথায় অদৃশ্য থাকে। তবু যেন  কোথাও লেপ্টে থাকা এক মধুর মুহুর্তের আলোর ছটায় ধিরে ধিরে আকাশ ছেয়ে এ আলো - গাছ, রাস্তা, নদী, পাখি সকলের মধ্যে মিশে যেতে চায়। এই আলো ফুটছে যখন, কালি বাড়ির ঘন্টায় তখন ঢং ঢং করে শব্দ, দূর হতে বেশ মিষ্টি শোনায়। মনে চলে উথালি পাথালি। আমায় ভাসায় বি রে আহা।

শ্যামনগরের (সামনে গড়) প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্য  পন্ডিত লোক বটে। তবে কিনা রাগী বেজায়। বদ মেজাজি তো ছিলই। লোক তো কত কথাই বলে অত কান পাতলে, দিন যাপন বৃথা। সব লোকে কয় লালন, তবে কিনা, কলেজে একটু দেরী হলে কারো নিস্তার টি নেই গো। তাঁর সেই বাজখাঁই গলায়, সব যেন থরহরিকম্প। এইরে একটু হলেই দিলেন কানটি মুলে কিম্বা সমূলে। আক্কেলগুড়ুম আর কাকে বলে বলতো!
কালি কিংকর মিত্র তায় আবার এক কাঠি বাড়া। সরু লিকলিকে একটা বেত নিয়ে কলেজ ঘরের এক প্রান্ত থেকে শেষ বারান্দায় যখন হেটে ফিরে আসতেন, কারফিউ নেমে যেত। বিশ্ব্যেস হয় না, বেশ, তবে যাই  বল না কেন উপ্রি গাম্ভীর্যপূর্ণ আস্তরনের নিচে কোথাও যেন লুকিয়ে থাকে অকৃত্তিম বন্ধু বত্সল  দরদ  তথা সরলতা। দুপুর গড়ালে পর, তার অতি প্রিয় মিত্র আক্যান্ন্ত বলতে পারো,  বিদ্যাসাগর মহাশয় কে ঝোলা থেকে মুড়ি নারকেল কখনো বা চিড়ে গুড় শালপাতার ঠোঙায় দিতেন আর জুড়ে দিতেন নানা অকাজ কাজের গল্প। তায় আবার বিদ্যাসাগর মহাশয় গাল খুলে যখন দাঁত বের করে হাসতেন, সে এক দেখবার মত বিষয় অবিশ্যি। মুড়ি চিবুতে চিবুতেই বলতেন, আর বোলো না, কি কান্ড বলোতো হ্যাঁ। নিয়োগী পাড়ার পেছনে থাকে ওই যে  হারানের পোলাটা, সাত সকালে বলে কিনা, এ দুটি ইলিশ মাস আপুনারে নিতেই হবে। এই বলে দিলুম হ্যা। নইলে এ ঘাট থেইক্যা আমার নৌয়ার খুটা খানি খুলে ফেল্মুনি,  বলে দিলুম কত্তা। তা কালি পন্ডিত বললেন, আহা ওরা যে আপনারে স্নেহ করে। আর নিতেই বা এতো আপত্তি, কেন শুনি? সেবার আপনার বউঠান রেঁধে দিল, বলেন তো? এই বলে কালি পন্ডিত মিছে রাগ দেখায়। সাগর ও কপট কয়, আহা কালি ব্যাপার টা বুঝলে কিনা, অশুচ যে এখুনো কাটে নি হে। বাদ দাও তো অহন ওকথা। কাজের কথায় ফিরা আইসো।  আসছে বছর আবার হবে। এই বলে এক গাল হেসে দিলে। এবার উঠি কালি, কেমন! আতপুরে আবার একটা বিদ্যালয়ের উদ্বোধন আছে। পন্ডিত কে বলা আসে। দেহ ইটার লিগ্গা আবার সিল্লা মিল্লি না করে। চলি।

বিষ্টু পন্ডিত ইশ্ব্রর চন্দ্র মহাশয় কে বড়ই শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। বয়স কম তো কি, কারো ধারে ভারে থাকে না। এমন দশ বিশটা এ বাংলা পেলে. . . আহা।  অনেক ধরে বেধে তবে না। আর শুনেই যে রাজী হয়ে গেলেন। এটাও তো বটে। আর সংস্কৃত টা উঠেই যাচ্ছে বলতে গেলে। ওদিকের মহান প্রিন্স ইংরিজি, ফারসি কি সব আউড়াচ্ছেন। পাক্কা ব্যাবসায়ী বললেও কম বলা হয়। এই হাঁ ঘরের পোলাপান গুলা কোথায় যাবে কেউ ভেবে দেখেচে? এসব ভেবে বিষ্টু  পন্ডিতের মন ভিজে   ওঠে। তবু সামর্থ্য অনুযায়ী চলতে হবে যে। এত দিনে দুটো মাত্তর ঠাকুরের দেখা পেলেন। এক দর্পনারায়ণের যোগ্য সন্তান গোপি মোহন ঠাকুর। আরেক টা এই ঈশ্বর পন্ডিত। আজ পুর্নিমা। এইতো  কদিন পরেই  বোশাখ শেষে মা ব্রম্ভময়ী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস।
চলবে.. . 


#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #জয়দেবঘোষেরবাগান #রাজবাড়ীরমাঠ #shyamnagar
এটুকুই বলবার যে, ছবি গুলো মানান সই হয়েছে কিনা তা পাঠকের হাতে, তবে তুলেছেন এই পোস্টদাতা

Sunday, March 4, 2018

- সময়ের তালে তালে - প্রসঙ্গান্তরে

বেড়াতে যারা ভালোবাসেন তাদের ভালোবাসা টাকে আমি ভালোবাসি। কেন ভালোবাসি সেটা পরে বলছি।
বেশির ভাগ ভ্রমণ পিপাসু কে দেখেছি ধার্মীক স্থান-ই আগে বেছে নেন। কেন বেছে নেন? দূর্বলতা নাকি পাপ স্খালন আবার হতে তো পারে স্বাভাবিক ভাবেই মন টানে। এ যেন মেরেছো কলসির কানা তাবলে কি প্রেম দেবো না।
বেড়ু বেড়ুর র‍্যাশনে কামাখ্যা, পুরি, মায়াপুর, তারাপিঠ সবই এদের একদম বাঁধা ধরা।
তা যেটা বলতে চাইছি, এবারে দোলে এলাকায় একদম থাকতে চাইনি। অফবিট ট্যুর টাই বেশি পছন্দ করি। তবু হয় কোথায়? এইতো, এবারেই জনঅরন্যের বাইরে যেতে গিয়ে, শুধু মাত্র তাবুর আকাল আর দু একজনের দোনোমনায় শেষতক পিছিয়ে এলাম। যে দোনোমনা, সে যাবার একদিন আগে আমতা আমতা করে বললো, 'জানো ইস্কনের মন্দিরে না, জানো, খুউব ঘটা করে দোল উৎসব হয়। (আমিও শুনে মনে মননে, আহা, রাধে) আমি না কথা দিয়েছি আর মন টাও কেন জানি বড্ড টানছে।'
(বুঝতে পারছিলাম, এর আবেগ এখন চৈতন্যময়, বাঁধ ভাঙা আনন্দে উত্তাল হবার প্রাক মুহুর্ত প্রায় যাই যাই অবস্থা, ) 'বললো জুলাই আগস্ট নাগাদ চলো না।' কি বলবো বলতে গিয়ে বলে বসলাম, আমার বার্ধ্যক্যে তুমি ই কিন্তু থাকছো, আমায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাবে কেমন। আর খুউব মিলেংগে তিন ওর চুটিয়ে ধার্মিক স্থান বেড়ায়েংগে ক্যামন! আরেক জনের ত বেরোবার দিন রাতে ব্যাবসার মাল ঢুকবে, ছেড়ে যেতে পারছে না। একজনের পকেট খয়ের খাঁ। শেষে আরেক জন বললো 'দুত্তেরিকা।' আর শেষে জানলাম তাঁবুও ভ্যানিশ। তাই এভাবেই আমাদের অফবিট ঘরে বসেই ফটোফিনিশ হয়ে গেল।

তা যাক গে যাক।
ঐতিহাসিক স্থান, সমুদ্র, পাহাড়, জংগল, বরফ, মরুভুমি আর ধার্মিক স্থানের মধ্যেও অনেক রকম ফের আছে। সত্যই অনেক। রস, রঙ, মাধুর্য, প্রেম সে এক বেড়ানোর ১০০ রকম মহাভারত কথা। কেউ হাঁটতে ভালোবাসে তো কেউ নানা রকম খাবারের খোঁজ ন্যায়। কাউকে আবার স্রেফ পাহাড়ের এক কোনে আরাম কেদারায় বসিয়ে এক পেয়ালা চা, কফি, বা উইস্কি দিয়ে দাও। কেউ কেউ তো সারাটা   দিন জংলার ভেতরে চুপ্টি করে মশার কামড় খাচ্ছে। জীব জন্তুর ছবি তোলার অপেক্ষায়। লিস্টি আর বাড়ালাম না। যাই  হোক। আর নির্জন, নিরালা, দিকবিদিক জনমানবশূন্য প্রান্তর যা অতি মনোরম স্বাস্থ্যকর। 'আরন্যকের' মতন কিছু টা হয়তো। তবু হপ্তাখানেকই যেখানে থাকলে আগামী বেশ কয়েক মাস জনঅরন্যই ভালো লাগবে।  ত্যামন টাই বা মন্দ কি? তবু যে জংগল পাহাড় বা এই স্বাভাবিক প্রকৃতির আয়তন যে কমে আসছে তা চিন্তার বিষয়। মনে পড়ে কোথায় যেন  পড়ে ছিলাম, আজ মংগলবার, পাড়ার জংগল সাফ করার দিন। ত্যমনটাই তো। জঙ্গল পাহাড় কেটে সমাজ গড়ে উঠবে যা অবশ্যম্ভাবী। কিস্যু করার নেই। লোকসংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরো বেশী আয়  করার প্রতিযোগিতা।
ও হ্যাঁ যা বলার, তা হল বাংলায় ভ্রমনের উপকারিতা বলে একটা লেখা আছে না! ওটাই কিন্তু ভ্রমনের আসল। বাকি পরে জানাবো। ভালো লাগবে কথা দিলাম। ওই যে গান আছে, আমি কথা দিলাম, তুমিই আমি. . . . .
আর
ছবি টা অনেক আগের, আর কিছু হাতের কাছে পেলাম না তায় ডাউনলোডেও মন সায় দিলোনা ভাই।

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ২)

লোকে বলে সাদা মনে কাদা নেই। কিন্তু জমিতে তো কাদা থাকতেই পারে। এই ধরো না ঘোষেদের জমি। ওই যে তরফদার পাড়ার শেষে দুই কারখানার মাঝে হাই ড্রেন। তারপাশেই সরু রাস্তা, এঁকে বেঁকে সুন্দিয়া চলে গেছে। ড্রেন দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোত, তাই নাম পচাগলি।

গলির আগেই ডানপাশে বিশাল পুকুর, তবে গলা জল। মাছ চাষ ভালোই হয়। তার ও পাশে ঘোষেদের জমি। মাঠ  বলাই ভালো। ওখানের কাদা মাঠে তিন বেলাই খেলা হয়। সামনেই সাথির মাঠ। তল্লাটে কেউ চেনেনা এমন নেই। ক্রিকেট, ফুটবল দুটোই জমে ক্ষীর। জমি টা একটু নিচু আর ভিজে ভিজে। তা ওতে খেলা আটকায় না। মফস্বল সাইটে ওত দেখলে আনন্দ টাই মাটি।
 সন্ধের গাঢ়ো হলে পর মাঠে আবছা কিছু জটলা হয়।
নরেন খুড়ো বলছিল, ওরা নাকি দূর জেলার হাইওয়েতে ডাকাতি ফাকাতি করে এসে, পরামর্শ, ভাগ বাটোয়ারা এসব নাকি করে। তা ব্যাপার যাই  হোক না কেন, ভদ্রলোকেরা রাত্রি হলে পর ও পথ মাড়ায় না। গোপাল মালোর শালা কে সেবার দুর্গাপূজায় দশমীর রাতে কুপিয়ে দিল। মাঠের ঘাস রক্তে কাদায় মাখামাখি। নরেন খুড়ো তখন যুবক। তার  মা এসেছিল নারকেল কুড়োতে।

জমির পাশেই তাদের ছোট্ট একচালা ঘর। সংগে গোটা চারেক নারকেল, সুপারি, বেল আর কিছু ফুল গাছ আছে। এখানে প্রায় ঘরে ঘরেই মানুষের গাছ লাগানোর অভ্যাস আজো অমলীন। ছাদে উঠে  যখন হাইরাইস বিল্ডিংের বদলে সবুজ দেখি, মনটা আপনা হতে শান্ত হয়ে আসে। মনে হয় কই কিছুই তো বদলায় নি। এলাকার মানুষ যে প্রকৃতির নিয়মেই অজান্তে প্রকৃতি রক্ষা করে চলেছে।

ধপ করে কিছু পড়ার শব্দ। সঙ্গে গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে নরেন খুড়োর মা, বেরিয়ে এসে দেখে, ছায়া মত গোটা কয়েক লোক পচাগলি পেরিয়ে যাচ্ছে। ঘরে এসে নরেন কে ডেকে বলতে ওই বন্ধুবান্ধব দের খবর দেয়।
এভাবেই দিন যায়, বছর যায়, সামনেই কুন্ডু বাড়ির দুর্গা এখন আর তেমন ধুম ধাম করে হয় না। অবস্থা কিছুটা অন্যরকম। বাহান্নো পরিবারে যা  হয় আর কি। আর বর্তমানে বড় পরিবার চালানো মানে, রাবণের চিতায় কাঠ  জুগিয়ে যাওয়া। চলবে।. . . .
#Athpur ##আতপুর #পচাগলি #সাথিরমাঠ

Wednesday, February 28, 2018

সব চরিত্র কাল্পনিক

একটা সাক্ষাতকারে, গব্বর সিং এর ছেলে কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তোমার বাবার প্রিয় ডায়লগ কি? ছেলে বললো, উনি প্রায়শই জানতে চাইতেন হোলি কখন? আর বাবা আসলে খুনের হোলি খুব পছন্দ করতেন।
তাই তো এ মন বড় অনুপম। নিজের মত গুছিয়ে নিতে কে না চায়। ফারাক নেই তোমারও - দেশ, কাল ভেদে। এখন কি হবে কেঁদে, যখন পৃথিবী জুড়ে মিছিল বেরোত। এখন তা ইতিহাস।
সাক্ষী থাকবে বাবরি, রোহিঙ্গা, এ দেশ, সীমান্ত মৃত্যু, উত্তর কোরিয়া, এখন সিরিয়া আরো আরো হবে, হতে থাকবে।
কবে যেন বেশ পড়েছিলাম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। উড়তে দাও, আমাকে আমার মত থাকতে দাওগো। অদ্ভুত একটা সময়, এক্কাট্টা হয়ে মিডিয়ার ঝাঁপিয়ে পড়া নেই। নেই কোন তেমন চোখে পড়ার মত হেলদোল। ধরা যাক, (ধরতেই তো বলছি)ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারে কারো গুরুতর কিছু ঘটলো। তাহলেও আপনি জানেন যে, সিরিয়া, রোহিঙ্গা সবকিছুই দ্বিতীয় সারিতে চলে যাবে।
অথচ আপনি আমি সব্বাই বুঝি এটা ঠিক নয়। তবু হতে দিই। কেন হতে দি? মন থেকে তো মেনে নিনা। তবু যেন চুপটি করে জোড় হাত বিশ্রামে রেখে দি। মনে হয়, এ যেন, হাজার রকম ভাবনার মতই কোন একটা কিছু। অথচ পৃথিবী গ্রহ টা যেমন সবার জন্যই সমান ভাবে ঘোরে, আইনককানুন গুলোও তেমনই হওয়ার কথা। আবার মানুষ মাত্রেই যে ভুল করে, নইলে সে যে শয়তান বা ভগবানে পরিনত হত।

Wednesday, February 7, 2018

#TableMenuCard

Friday, January 12, 2018

হরির দরজা:

#হরিদ্বার


প্রাচীন ক্ষেত্র নিয়ে আমার একটু দুর্বলতা আছে। হরিদ্বার তো সাধু সন্ন্যাসীদের আখড়া। শুনেছি, অনেক গহীন গোপন জ্ঞানের হদিশ এদের থেকে পাওয়া যায়।
এখানেই শীলজিতের পরিচয় পেলাম। মানে শিলাজিৎ। সামান্য একটু জলে মিশিয়ে খাবার অভিজ্ঞতাও হল। গহীন জঙ্গলে পাহাড়ের গায়ে পিচের মত লেগে থাকে। ইংরেজিতে বলে মাউন্টেন টার। জলে মিশলে গলে যায়। টানলে লম্বা হয়ে যায় কালো শক্ত মাখা ময়দার মত। ঠুকলে আবার ভেঙেও যায়। শোনা যায় মুঘল আমলে এর খুব ব্যবহার ছিল। সেক্স বৃদ্ধি ছাড়াও অনেক শারীরিক কাজে এর ব্যাবহার অতি প্রাচীন।
আরেক টা জিনিস দেখলাম, কস্তুরী। হরিণের নাভির অংশ। কাপড়ের বস্তার তলায় রেখে দাও। বহুদিন মিষ্টি গন্ধ থেকে যাবে। হাতের ওপর তালুতে সামান্য ঘষে দিয়ে ছিল। সে গন্ধ দুদিন ছিল।














বাঙালী আছে অনেক অনেক। আর আছে হিন্দুস্তানি, পাঞ্জাবি, তামিল, মাড়োয়ারি নানা জাতি। আলুর পরোটা, লুচি, মিষ্টি, পেড়া, ভুজিয়া খুব চলে। এখানে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বরফ গলা গঙ্গার জল, যার তীব্র স্রোত। চেন ঝোলানোই আছে, ধরে ডুব দাও। সাত জন্মের পাপ মুক্তি।
এখানে নিরামিষ দাদা বৌদির খাবার হোটেলি দশটার ওপরে। নিরামিষ মাসির হোটেলও আছে।  যা হোক, নিরামিষ মানিক মুখার্জির (1939) দাদা বৌদির হোটেলে, 70 টাকা মিল সিস্টেম। দেরাদুন রাইস, ডাল, বেগুনি, পঞ্চারত্ন কারী, সুক্ত, আলুপোস্ট, এচোড়, পাঁপড়, চাটনি, রসগোল্লা সবই পাবেন। তবে মাঝের কিছু আইটেম মালিক নিজে নিয়ে আসবে, আপনার না বলা সত্ত্বেও, পাকোড়া আইসক্রিম, স্পেশাল কারী। বললেই টুপ করে দিয়ে, হিসাবে আলাদা জুড়ে দেবে।
হোটেল আছে প্রচুর। আর ধর্মশালাও ভালো। গ্রূপে থাকলে খরচ কম। এখন শীত ৬-৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরা ফেরা করছে। রাতে ইতি উতি মোটা কাঠের আগুনে দুস্থ আগুন পোহাচ্ছে। গাঁজাও চলছে বটে। এখানে মানুষের খাবার অভাব আজো হয় না। হর-কি-পউড়ির কাছে বিকিকিনি তীব্র। গঙ্গা জলের পাত্র, প্রদীপ ফুল মায় গরিব দুস্থ দের খাওয়ানোর জন্যও মার্কেটিং চলছে। আমাকে দিয়ে পুন্য করানোর জন্য অনেকে ছাতা ধারী ব্রাহ্মন অনুরোধ করেছে। জলে পাঁচ ছয় ডুব দিলাম। নামতে পা বেশ কনকন করে উঠেছিল। পরে একটু সয়ে যায়।
সন্ধে বেলায় গঙ্গা তীরে সন্ধ্যারতি দেখলাম। রীনা বললো, বেনারসের টা এর চেয়ে ভালো। অনুরাধা পাড়োয়ালের গান 'অম জয় গাঙ্গে' আজো বাজছে।

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই