সময় সবার কাছে সমান নয়। কারো কাছে ভগবান, কারো কাছে অপেক্ষা। সময় কে কিন্তু চলতেই হয়।
আমিই শুধু বোকার মত। তাই তো? 
ভেবে দেখা টা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু এটাই যদি সত্যি হয়! ভেবে দেখা টা দরকার?
সময় যখন স্থায়ী নয়, কি করে ফিরছি আর কি বা করে যাচ্ছি, কেন করছি, এ সেই মা বাপ সমাজ টাকে কে মিথ্যে ভূলিয়ে। দরকার মানে দরকারি কি বা করে কেন কি রকম হয়ে উঠছি, ভেবে দেখা একান্ত দরকার। না হলে যে মনুষ্য জন্মই। থাক বাবা। 

NSA বোঝেন তো! ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। ওই যে শ্রীলংকা কে সতর্কতা দিয়েছিল। ওরা শোনে নি, তারপর মারাত্মক প্রাণহানী। মনে আছে? কারা করেছিল, কেন করেছিল, পেছনে কারা ছিল সে সব নিয়ে ভাববার  দরকার নেই।

মানে ক্ষনস্থায়ী এ সব ঘটমান এত বিদ্য, যে প্রয়োজন নেই। 

আর মনে না থাকারই কথা। ইচ্ছে নেই, তাই ভূলে গিয়ে বিশ্বভারতী, শাহিনবাগ নিয়ে গা টাকে রগড়ে নিতে হয়। রবীন্দ্রনাথের জন গন মন না বলতে পারায় যে দেশে মৃত্যু ঘটে, সে দেশেই বুকে পিঠ লেখা নিয়ে, জাস্ট ভাবা যায় না। যাই হোক। 

এদ্দিন বাদে কিন্তু 2g নেট কাশ্মীরে চালু হয়েছে বলে, সরকারি দাবী। বা মিডিয়া কে হাস্যস্পদ করে পুন্যপ্রসুন বাজপেয়ী বলছেন, মিস্টার এন্ড মিসেস মিডিয়া। ভাবা যায়। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত নাম করা প্রতিষ্ঠানের নাম বলছেন, যারা দেনার দায়ে জর্জরিত। মানে হাজার হাজার কোটি কোটির খেলা। আর যাদের নিয়ে অনেক অনেক পরে আলোচনা হবে। কেন হবে? এ নিয়েই তার ক্ষেদ। যাই হোক। 
চলতে থাকবে আরো অনেক অনেক কোওপারেটর দ্বারা ব্যাংকের ব্যানারে গল্প।

স্বীকারোক্তিঃ

ওরে বে ফালতু বা এ জন্য সে জন্য ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ আমেরিকায় তৈরি হয় নি। হতে পারে না।। যাতে মানুষে মানুষে যোগাযোগ, ভালোবাসা, সুবিধা অসুবিধা ইচ্ছে অনিচ্ছে বা শেয়ার করে আরেক টু ভালো থাকা যায়, সেটারই ত প্রয়াস।

বা বিশ্বাস। আর, 
,এটা কি, ধর্ম প্রচারের কারখানা? কি মনে হয়, সবি
কম বেশি বোঝা যায়, 

যদিও

এটা কে কেউ মারকাটারি মারকেটিং, তাতে প্রতিষ্টাতারাও বাদ নয়, তাও। 

থাক এসব উল্টো পটকানো কথা।

 টপ। আবার টপ। গিরিধারি পাশ ফিরেছিল। আবার টপ, টপ। এবার গিরিধারি চোখ খুললো। সে রাত টা গিরিধারি জেগেই ছিল।

 গিরিধারির মনে হচ্ছিল যেন, টিনের চালে হাজার লক্ষ ফুল ফুটছিল।

ফুল ফুটতে দেখেছিল জেলখানায়। কারখানায়। এরপর পতীতালয়ে। 

এতগুলো বছর ডিঙিয়ে, গিরিধারির এবার সত্যি আনন্দ হচ্ছিল। 

সেই বিকেলে প্রথম ফুল ফোটার কথা সে আজো ভোলে না। বাপ তাকে কাঁধে নিয়ে ছুটছিল। সপসপে গামছায় ঢাকা মুখ, ফুল গুলো বাপ টার মুখে ফুটে যাচ্ছিল। আহঃ কি অসহ্য যন্ত্রনাই না দিয়েছিল। 

জেলখানার সেই সব রাতের দিন গুলো, যাও, পেইলে ক্যান্টিন খুলাকে দারু লেয়াও। চলতে চলতে কবে যে ফুল ফুটে গেল, বা সেই কারখানায়, এই গাঁড়োল টা, হপ্তা ৩৫০, কি বুঝলি, তারপরো ত ফুল ফুটে গেল।  বা সেই পতীতালয়ে, এই বাঞ্চোদ,  আমি যে ভিচ্ছি। ব্যাস আবার ফুল ফোটা।

অতীত গুলো গিরিধারির সংসার কে নিংড়ে নিতে পেরেছিল। আর সেও সময় নিংড়ে মাটি তে সোনা, ঘরেতে নতুন প্রদীপ জ্বেলেছিল। 

হয়তো, 

ফুল ফোটার ভয় টাকে সময় হিসেবে চিনেছিল।

তাই আজ রাতেও টিনের চালে ফুলফোটা শুনেছিল।