West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Wednesday, July 31, 2019

নতুন দিন। নতুন আলো। নতুন ফুল। ফুটে গ্যালো।
নতুন হাসি। নতুন কথা। নতুন সময়। এগিয়ে এলো।
নতুন চাওয়া। নতুন পাওয়া। নতুন ভাবনা। ঘুম ভাঁঙালো।
নতুন কান্না। নতুন খিদে। নতুন আশা। নতুন আঁখি ফুটে গেল।
নতুন রান্না। নতুন আবিষ্কার। নতুন সংস্কার। নতুন নমস্কার।
নতুন খিদে। নতুন দ্যাখা। নতুন শেখা। পথ দ্যাখালো!

Tuesday, July 30, 2019

শিকারের গল্পে স্মাইলিং বুদ্ধঃ

দেশে যখন শান্তি। রাজারা শিকার উৎসবে যেতেন। যাদের প্রত্যন্ত গ্রামে বাস, এমনিতেই মেরে খেয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই কাটাতে হত। ওদের কাছে এটা উৎসব না, বলাই বাহুল্য।
সুন্দরবনের কাছে, নিকোবর আইল্যান্ডে, কানহা জঙ্গলের আশে পাশে ওদের জীবনশৈলী, অবাক করে।
 অযোধ্যার পাহাড় থেকে মশাল হাতে হে হে রে রে তেড়ে জঙ্গলে ছুটে যাওয়া।
শিকার উৎসব মানেই একটা রগরগে অভিঙ্গতা। সঙ্গী সাথি নিয়ে জঙ্গল পাহাড়ের গায়ে, রাতে লুকিয়ে চাঁদের দর্শন। উবু হয়ে বা গাছের গায়ে ঘরে থাকা রোমাঞ্চকর। 
নিচে বাধা কচি ছাগ, বা গাছ থেকে হড়কে পড়ে যাওয়া, বা অন্ধকারে কয়েক শো মানুষের পাহাড় থেকে শিলাজিৎ সংগ্রহ করা। ব্রিটিশ অফিসার বলছেন, ভোরের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। কাম অন।
ওইতো, কুমায়ুনে, থাবার ঘায়ে কুয়ার সিং এর পেট ফেড়ে গ্যাছে। করবেট সাহেব বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে, ওতে ঘাস ফুস ভরে লোকাল দাতব্য চিকিৎসালয়ে পাঠাবার ব্যাবস্থা করলেন। চাশ্শো গ্রামবাসীর প্রাণ অলরেডি ইন দ্য ভোগ অফ দ্যাট শ্বাপদ।
যাই হোক স্বাধীনতার পরেও দশ বছর অব্দি, লোকে বিশ্বাস করতো। বাঘ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এটা প্রাণ হরণ করে। গৃহপালিত কে নষ্ট করে। যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করে। রোগ বাধায়। বা ঈশ্বরের অভিষাপ এ বাঘ।  সুতরাং এ আপদ কে যত তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে বিদেয় করা যায়, ততই মঙ্গল। যে যত বেশি বাঘ মেরেছে, তার গলায় তত বেশি মেডেল। উপাধির বন্যা বয়েছে।

তবু সময় পালটায়। জীবনচক্র সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়। বাঘের সংখ্যা বাড়াতে আনন্দ হয়, আবার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে দেখে দুঃক্ষ। অদ্ভুত বিড়ম্বনা।  আর মাত্র দুটি বছর। ২০২১। একে  আদমসুমারীর প্রস্তুতি বলা যেতে পারে? অনেক নতুন তথ্য এসে যে চমকে দেবে, আমি নিশ্চিত।
বাদ দিন।
তাচ্চে আসুন এখানেই চমকে উঠি।

মিস্টার স্মিথ বাঘের খোঁজে ঢুকে পড়েছেন গভীর জঙ্গলে। আরো গভীরে। মাঝে চোরা ক্ষীনস্রোতা নদী জঙ্গল কেটে কেটে এগিয়ে ম্যাড্রাস রেজিমেন্টের সঙ্গীরা ক্লান্ত। অনেকের শরীরে বইছে ব্রিটিশ রক্ত। হাল ছাড়বে কি! দুপুর গড়িয়ে বিকেল। তোয়াক্কা করে না, গায়ে চোরকাঁটা বিঁধে রক্ত গড়ায়।
অবাক হাল্কা চিৎকারঃ "কাম অন, লুক অ্যাট দ্যাট।"
প্রথমে মনে হয়েছিল, ছোট গুফা টুফা হবে। একটু এগোতেই দেখতে পায়। ততক্ষণে সঙ্গী সাথীরা মশাল তৈরি করে ন্যায়। মিস্টার স্মিথও এবার চড়া বার্মিস চুড়ুট জ্বালায়।
সামনে নিখুত অর্ধচন্দ্রাকার কাটিং এ গুহার ভেতরে প্রবেশ। ভেতরে গম্বুজ। মশালের আলোয় জ্বলজ্বল করে লাল নিল সবুজ মিলে মিশে অদ্ভুত দৃশ্যপট। অজানা কোন গভীর গল্প যেন লুকিয়ে। আশে পাশে ধ্যান গম্ভীর শান্তি মুখের সারি।
ওরা ফিরে আসে।
আবিষ্কার হল 'অজন্তা।'  সাল টা ছিল। ১৮১৯। মানে আজ থেকে ঠিক দুশো বছর। বিদ্যাসাগরের জন্ম হবে ১৮২০। আরো কি কি সব আশে পাশে ঘটে যাবে।
ম্যাড্রাস রেজিমেন্ট থেকে খবর পৌঁছায় এসিয়াটিক সোসাইটি তে। ব্রিটিশ য্যামন ফুর্তি করতে পারে, লড়তে পারে, তেমনি কোন জিনিশের কি মূল্য, তা নিরুপণ না করে হাল ছাড়তে চায় না।

একটু কাজ এগোয়। আবার হারিয়ে যায় ১০০ বছর।
আসে ১৯১৯। জেনারেল ডায়ারের চলে ধাই ধাই ধাই। কবিগুরু নাইটহুড ত্যাগ করেন
ওদিকে হায়দ্রাবাদের নিজাম এবার লোক পাঠায়। যাও, দ্যাখো যদি, কিছু ঠিক ঠাক যত্ন নেওয়া যায়। ওরাও কিছু টা মূল্যবান ছবি গুলো কে ভালো করার বদলে, নষ্ট করেই আসে।
তারপর তো অনেক ইতিহাস। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যের মধ্যে অজন্তা অন্যতম। তাজমহলের পরেই এর স্থান। ভাবায় যে, হাজার বছরের ও আগে এখানে এত সুন্দর শিল্পীর বাস ছিল। যারা গল্পের মত সে সময়ের ইতিহাস তুলে ধরে রেখেছে। যা আজো রয়ে গ্যাছে। কালের সময়ে নষ্ট হয়ে যায় নি। জাতকের কত গল্প আজো অমলীন। শুনে শুনে মনে গড়ে তৈরি সে গল্প আজ মিথ হয়ে মন কে নাড়া দিয়েই চলে।
কিন্তু ভগবান রূপে বুদ্ধের হাতে প্রস্ফুটিত পদ্ম কিসের ঈশারা করে?

Monday, July 29, 2019

আমি দেশ কে দেখচি।

ওরা প্রধানমন্ত্রী দেখচে,
আমি মানুষ দেখছি,
ওরা দল দেখছে,
আমি খিদে দেখচি,
ওরা হাসছে দেখচি,
আমি, মৃত সৈন্য দেখচি।
ওরা বাঘ দেখচে,
আমি গরু মানুষ দেখচি।
ওরা হিন্দু মুসলিম দেখচে,
আমি ইতিহাস দেখচি।
ওরা জনসংখ্যা দেখচে,
আমি শিক্ষা দেখচি।
ওরা কাজ খুঁজছে,
আমি, কাজ দেখচি।
ওরা নষ্ট করছে,
আমি চেষ্টা করছি।
ওরা জিততে চাইছে
আমি জিতিয়ে দিচ্ছি।
ওরা করতে চাইছে,
করতে দিচ্ছি।
ওরা বলতে চাইছে,
বলতে দিচ্ছি,
ওরা সময় চেয়েছে,
সময় দিয়েছি।
ওরা আরো চাইছে,
আরো দিচ্ছি,
ওরা এবারো চাইছে,
তাও দিচ্ছি,
ওরা তৎসত্ত্বেও চাইছে,
তাও দিচ্ছি।

ভাই গো, দেবার দলিলে সই নিয়ে নাও। তোমাকে সব দিলাম। আমাকে চাইলে তাও।
প্লিস ভাই আর চেয়ো না। এবার তোমার সৃষ্টি করার পালা।

Sunday, July 28, 2019

সেই বেরোচ্ছি বার বার।
চলছি নানা রাস্তায়। ঢুকে যাচ্ছি সেই।
পুড়ছি, বুজে গলছি, আবার হেসে চলছি।

কত খানা খন্দ, অলি গলি।
রাত দিন, পিছু টান সে অলী।

চলি চলি করেও মন পড়ে রয়।
বলি বলি করেও, অশান্ত পরাজয়।

হেরেছি ত বারবার। তবু ত চলছি।
মন টাও বুজিয়ে, পুড়িয়ে দিতে চাইছো।
জন্মাচ্ছি যে শত শত, তাই আজো হাসছি।
আবার,
জাগিয়ে বলে দিচ্ছো, কোন টা জয় পরাজয়।
এমন টাও হয়,
সন্দেহ নেই, এযে পরমানন্দ, মানুষেরই জন্য।
চুমো দাও বলো, ধন্য।
এত যে সুখের বেশি পাবার জন্য।

বুঝিয়েছো বার বার, নিয়েছি কত টা,
দিয়েছি বার বার, গুনতে পারো নি।
আলোটা বৃথাই জ্বেলে ছিলাম।
আলো টা কেন হয় নি, 
হাসতেও যে পারো নি, এড়িয়েছো বার বার
এমন টাই হয়, হয় না?
তবু তোমারই হলাম।

সন্দেহ না থাকলে,
 এ মানুষ জন্ম, বৃথা কেন হয়? চলো দেখি,
একটু অন্য ভাবে, অন্য চোখে বুঝি,

আর
সারা পৃথিবী রামধনু আমার দেশেই দেখতে আসে।
দেখেছি সে রামধনু আমারি আকাশে,
এ মাটিতে জলে তে ওই বাতাসে,
দ্যাখো কত যাত্রী, ভ্রমনার্থী
তে মিলেছে এ ধরিত্রী।
তুমি হাসো, আমি হাসি, ওরা হাসে।
এসো না এ অবাক দেশে।
আরো বেশি রঙ ঢালো না কেন,
তোমার বেশে?
রঙীন হবার পণ নিয়েছি,
রঙীন করেই যাবো যে
নিরুদ্দেশে। 
এতটাও অদ্ভূত ছিলাম না। কি করে যেন, এখন,  অদ্ভূত তর ভূত ভুতুম্বির মত মনে হচ্ছে। বুঝতে পারছি না। হয়ত এমন টাই চেয়েছিলাম। গ্রাফ টা মনের কমছে না ভাবনার, না অন্য কিছু, বোঝা মুশকিল নয়।

দেশের গলায় সোনার মেডেল আর চাঁদের হাসি গায়ে মেখেও, ভূলতে পারি না, এ বিবিধ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ।
দেশের ইতিহাসে এখন সবচে বেশি সৈন্যের মৃত্যু। রোজ ৪৫০০ শিশু মৃত্যু।
দেশের সাধারণ মানুষ নাকাল, তার অর্থের অপচয় দেখে। ওরা কারা, মুঠো মুঠো অনুদান পায়। কেন পায়?
এটা ওটা যা খুশি বলে মানব গুষ্টির ষষ্ঠী পুজো হচ্ছে। যাতা বলে এ ওকে ক্যলাচ্ছে ও তাকে বেঁধে মারছে। বাড়ছে না কমছে? কারা হাসছে তা আন্দাজ করতে পারি। কারণ বিষে বিষে বিষক্ষয়।

এসব এখানে সার্বিক ভাবে আলোচনার জায়গা নয়, এ সব গুলো চাঁদের গর্তের মত। এ সওব আলোচনা গায়ে গতরে ঠ্যালাঠেলি তে সপাটে গর্তে। এতে ভারতবাসীর কোমরেও চোট তৈরি হচ্ছে।

 ছোটবেলা তেও দেখেছি। আজ ও দেখছি। মার শালা বোম মেরে দে। প্যাদানী, ক্যালানো। ভয় দেখানো। সেই চলছেই।
কিছু বলা যাবে না। শুধু দেখো আর মুচকি মুচকি  হাসো। আশায় আশায় বাঁচো।  ভগবান রক্ষা করবেন। সেখানে সব পেশার নাগরিক নিজের রক্ষায় অক্ষম।  তাকে যে ভগবান ও দূর করে তাড়িয়ে দেবে।
গোলি মার ভেজ্জে মে। ভেজা শোর করতা হ্যায়। রাম গোপাল ভার্মার 'কোম্পানি' ইউটিউব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। হয়ত কাল্টে পরিণত।
এখন,
ডিজিটাল ইন্ডিয়ায়, কি ভয়ানক নৃশংসতা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে হিংস্র করে ছড়ানো শুরু হয়েছে। কবে থেকে?
ঘরে চাল ডাল শিক্ষা স্বাস্থ্য না থাক। ভগবান আর বিশ্বাস টাই সব। গরিবের বুকে আঁকড়ে রাখা এ ভগবান আর বিশ্বাসের  নামে
চোখে সামনে এ কি দেখছি? ধর্মের নামে জিনিশ প্রসাদের মত বিক্রি হয়ে কোটি মুনাফা লুটছে সাধুর বেশে কিছু অসাধু ব্যাক্তি।
চোখের সামনে দেখছি ধর্মের নামে কি যাতা হচ্ছে। তার মানে কি আগে হত না। হত, হচ্ছে এবং বাড়ছে। 
আসলে, দেশ বিপদে আছে না বিপদে ছিল সেটাই বোঝা মুশকিল। আমার মনে হচ্ছে যতদিন যাচ্ছে, তত দেশের মানুষের বিপদ বাড়ছে।
নোট বাতিলে হাইয়েস্ট বেকারত্ব। ভয়ানক।  জিনিশপত্রের আগুন মূল্য। গরু অক্সিজেন দিচ্ছে। লোকে চো চো করে পেচ্ছাপ খাচ্ছে। অথচ দেশ মাংস রপ্তানী তে পৃথিবীতে দ্বিতীয়।
এই সেই গঙ্গা। যে নদীর ধারে আজো হেগে ছুচিয়ে দাঁত মেজে কুলুকুচি করে, ডুব দিয়ে পুণ্যি অর্জন করছি। কোন শালা আছে আমায় আমার এ পবিত্র কাজ থেকে বারণ করে?
গাছের শেকড়ের মতো নদীর শাখা প্রশাখা গুলো বুজিয়ে গড়ে উঠছে বড় বড় হোটেল, আলিশান মহল বাড়ি। কোন শালা আছে, প্রকৃতির অভিষাপ থেকে আমায় রক্ষা করে?
কত কত কথা তো থেকেই গেল। বা বাষ্প হয়ে উড়ে গেল। বাদ দিন।
ওদিকে বর্ষার দেবী কে পুজো করবো কি? বোঝা মুশকিল। ঘুরিয়ে আশীর্বাদ দিচ্ছেন নাকি অন্য কিছু। বাদ দিন
আসুন,  ভালো ভালো আলো আলো দিকে মুখ ফেরাই।
একটি প্রস্তাবঃ বই তে যেমন আছে। এবার প্রত্যেক মিডিয়া তে, ভারতদেশের 'প্রস্তাবনা' মানে preamble কে আবশ্যিক করে দেখানো হোক।

Friday, July 26, 2019

প্রার্থনায় চাওয়া পাওয়াঃ

আমরা যারা তীব্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আর এত টা সঙ্গবদ্ধ, যে প্রতিঘাতে এবার সহস্র জন্মাব।
দয়া করে, ওগো অনুগ্রহ কর। আছো যখন
আঘাত হানো, কিন্তু হাসতে হাসতে, শোনো। কাউকে মঁচকে বাঁকিয়ে নাড়িয়ে, দূরে ঠেলে দিও না।
চাই না আমিও।
দলে পিষে অন্ধ করে রক্ত টাকেও শুষে নিচ্ছো, নিও না গো। এ ত যে শূন্যতায় হাসছো, তাও চাই নি গো।

অজ্ঞীকার করিয়েদের বোলো, হতে স্পার্টাকাস বা স্মাইলিং বুদ্ধের মত, ক্ষেত্র প্রস্তুত। অনেকেই ত
যুদ্ধ চায় না বদলে শান্তি চাই আমিও।

পাশাপাশি
তুমি আমারে রক্ষা করো, ঘৃনা পাপ তাপ সব কিছুর উর্ধ্বে আমায় উর্বর করো, প্রকৃতির মত। সমস্ত পাপ তাপ শোষন করো।
কিন্তু সে শক্তি তুমি দিও না, যা প্রাণ হরণ করে।। রুক্ষ করে, চঞ্চল করে, শান্তি আনন্দ বিঘ্নিত করে।।
আমায় দাও তোমায়, যা সইতে পারি। সে শক্তিশালী মন্ত্রে আমায় ভূষীত কর, যা আমায়, তোমায় দেখাতে নির্দেশ করে। দীক্ষিত কর। প্রতি মুহূর্তে সাহায্য কর, সেই মন্ত্রে, যাতে আমার আমি কে খুঁজে  পাই।  তুমি রুষের নয়, মহিষাসুরের নয়, তুমি সেই পৌরুষেয়।

যার গান বাজে, লোকারন্যময়। তুমি অজেয়, অসম, অদ্বিতীয়া। শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে, তোমাতে লূটিছে প্রাণ, তুমি জাগো। তোমার জাগার সময় আসন্ন।
জাগো দূর্গে। আমার দূর্গতী নাশ কর। দূর্গতিনাশিনী,
পুজো তে নয়, আমাকে দূরদৃষ্টি তে দূর্দশায় খুঁজো। আমার ভালো কর। মঙ্গল কাসর, ঘন্টা, শংখ বাজাতে নির্দেশ করো।
বীর বীরাঙ্গনার মন্ত্র দাও  এটাই এগোনোর সেই শ্রেষ্ঠ পথ। বলিয়ান হবার মন্ত্র দাও। আনন্দ দাও প্রভূ। ভক্তি দাও। জ্ঞান দাও।
শান্তি দাও হে প্রভু, সকলে মিলে সুখে শান্তি তে,আমার মুক্তি দাও সে হাজার জানলায় তোমার বাতাসের অপেক্ষায় প্রভু। তুমি এসো। এসো।

Wednesday, July 24, 2019

এইতো বেশতো, শ্রাবণ, আষাঢ় ভাদোর, ষাঁড়ের মতোই, আঁছাড় দিচ্ছে না। ভাবুন ভাই। মেলা তো বচ্ছর ভোর। দে দোল দোল, দুলুনি হচ্ছে, ভালো টা কিস্যু হলুনি, তো কি হয়েছে, আরো আছে।
 এই ত গত বিকেলে চারিধারে, আলো কমে এসেছিল। এমন বহুবার, হয়েছে।
শুধু আমি নয়, আপনিও সাক্ষী।  এখানে সবাই মনে প্রাণে ওকে ডেকেও ছিল,  ঠান্ডা বাতাসে গাছ পাতায় তাকে ডেকে ছিল।
কি ভাবে? সেটা প্রশ্ন চিহ্ন। কিন্তু
এতদিন পর আজ
তিনি সত্যিই কড়া নেড়েছেন। দরজা খুলে দেখি, তিনি জল হয়ে এসেছেন। আকাশে হাসছে। সেই গাছপালা দের নীরব ভেজা মুখে সুখ আর তৃপ্তি, কত কথা মনে পড়েছিল।
মধুর অক্ষয় ব্যাঞ্জনায়, সঙ্গে আমার ওর, ভেজা বা ছিরির কাদা জলে, হলেও, বড্ড মন টানে টানে ভাবের সুরে। থাক।
ওকে দয়া করে, তুমি পোষ্যের মতই ভালো বেসো। ছোটবড় গাছের পাতায় ফুলে ফলে পাপড়ি কুঁড়িতে নিজের নাম লিখ।
ওমা এযে পলক ফেলার আগেই হারিয়ে গেল। কেন গেলে? আশা টা জাগিয়ে, কেন ঘুম টা ভাঙিয়ে দিলে। বেশ তো ছিলাম।
অদ্ভূত সুন্দর মুখ তোমার। গোলাকার চৌকোনা, মিষ্টি ভাবনার। গড়ন যেন সেই, আদি, বঙ্গানুকার।

কেন ঝড়ের মত হলে, যেন, আরো ভীষন আনন্দ। খোলা জানলা বন্ধ করার আনন্দ। তুমিও কি  দক্ষিনা হাওয়ায় গা লেগে গিয়ে, হা হুতাশ। সে দম বন্ধ মুক্তি পাওয়া বা খাঁচা ছাড়া অনুভব, আনন্দ, ঘটা করেই দিন পালন যেন।
ধান ক্ষেতের মাঠে বসে আছেন তিনি। তোমার অপেক্ষায়। অপেক্ষায় আছেন নদীতে ওরা, রুপার ফসলের জন্য। তুমি তো সবি জানো।

Monday, July 22, 2019

সব কিছুই কাল্পনিকঃ আমাদের আতপুরে

এ বড্ড ভূল। জানি তো। সামান্য আদমি। না কেউ উঠবে না নামবে। সমালোচনা চলবেই। সবাই কি আর সব দেখায়, আমিও তাই, মানুষের মত হবার মত।
আসলে নিজের আচরণ দেখলে, নিষ্কাষিত খনিজ তেলের মত মনে হয়। সোনা, রুপা, তামা, দস্তা, তেল দের বাদ দিলে যেটা পড়ে থাকে আরকি। ওরকম।
এতে, বড় মানুষেরা হাসার সময় বিচিত্র ভাবে হাসে। অথচ, আমার অপরিষ্কার তেলেই ইস্পাত চকচকে হয়। গড়গড়িয়ে দৌড়ায় যারা, ওরা মুক্ত বা হিরে, কেটে বা রয়ে সয়ে বা অনেক পিছুটান ফেলে দিয়ে। তবেই না।
রাতের আকাশে অনেক প্লেন। সব পূবে নয় তো পশ্চিমে দৌড়চ্ছে। হু হু করে মেঘ ছূটে যায় রাতের গভীরে, নিশ্চিন্তে অভিসারে। কেউ নেই প্রশ্ন করে। দ্যাখো, উত্তরে দক্ষিনে কেউ নেই। চাঁদ মিটিমিটি হাসে, সাদা মেঘের কাছে দূরে। চন্দ্রযান, ওই ই তো, গোপাল বাবু কল্পনা করেন তবু  উনি অাজে চারা গাছে জল দ্যায়। অবাক হয়েই দেখি। বেসেছিলো ভালো গাছ, আজ চাঁদ ও আপনজন।
এখানে মহান কেউ হা হা করে। হো হো। কেউ কেউ তো  না হেসেই হাসি দিয়ে। এ ব্যাঞ্জনারো অমরত্ব প্রাপ্তি হয়, যখন তাকে দেখি কান্না করতে হবে অসহ সময়েই।
ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্য ময়, যিনি লিখেছেন। তিনি ওই ভাষণ আর মোটা মোটা কথার উল্টো পিঠেই দাঁড়িয়েই লিখেছিলেন। তবে এ গদ্যময়তা যে নিজের অর্থ কে দিন দিন ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলেছে। সেটাই অসহ সত্যি।
শিশু মৃত্যু, ভ্রূন হত্যা, বন্যা, খাদ্যের সংকট, প্রকৃতির সংকট, মিছিলের দাবী এসব আগেও ছিল। হকের চন্দ্রযান,  আরেক টা পালক। আসলেবিচিত্র বিবিধ জটিল আকারে পরিপূর্ণ ঘটনায় দোদুল্যমান এ দেশ। আর। গদ্যময় কথাবার্তা।
 এভাবেই চলতে হয়। নিজের পরের সবার দেখতে গিয়ে, এতো পুরো টা দেখাও যেন ঠিক হচ্ছে না। এমন টাও শুনতে হয়।
যেন, আজো চিল্ড্রেন পার্কের ইটের হরিণের দেওয়ালে বসে, আডবানীর রথযাত্রা দ্যাখা বা জয়ের পরে রাজীব গান্ধীর অ্যামম্বাসাডারে যাত্রা বা জ্যোতি বসু, ছেলে কে বিদেশ পাঠিয়ে, গোলঘরে বলছেন, রবীন্দ্রনাথ বুর্জোয়া। বা চলছে যেন আমরা ওরা। চলতে হয়, এভাবেই। আসলে আমাদের এক হওয়া টা ঠিক কবে হয়ে উঠবে?
বাংলা চাই। হিন্দি ইস্রোর স্যাটেলাইটে? ইংরেজি আন্তর্জাতিক। তাহলে আমার অবস্থান?
ওই খিদে, চিকিৎসা, শিক্ষা সেগুলোই আজো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ভাই। বা অশোক মিত্র না ডিজিটাল চাই না? বরং কবিতা চাইনা মিছিল ই ভালো। বাহুবলীতে আজো না হয় দক্ষিনী পথ দেখালো।

Saturday, July 20, 2019

ক্ষমা, যারা আশায় আছেন। ক্ষমা, যারা অপেক্ষায় আছেন। ক্ষমা, যারা লুকিয়ে আছেন। ক্ষমা, যারা অন্যায় করেছেন।
ক্ষমা,যারা ভূল ভাবছেন। ক্ষমা, যারা দাঁড়িয়ে আছেন। ক্ষমা, যারা বসে আছেন। ক্ষমা, যারা হেসে বাঁচেন। ক্ষমা, ওরা লিখে বাঁচেন। ক্ষমা, যারা গিলে ফেলেচেন। ক্ষমা, ওরা ক্ষমা চেয়েছেন। হাজারে ক্ষমার ভীড়, ক্ষমা কি পথ ভূলছেন? না ক্ষমা কঠিন হয়েছেন? বিশ্বাস করো, ক্ষমার পিতা, এদেশেই বেঁচে আছেন ।


Friday, July 19, 2019



বেকারত্বের  সঙ্গে "গল্প হলেও সত্যি,"র কোথায় সম্পর্ক। 
আসলে বেকারত্ব কি?  দিকশূন্যপুরে দাঁড়িয়ে?
না। বলিষ্ঠ কন্ঠেই বলবো না। বরং ইচ্ছে হয় বলি, শিক্ষা শুধু আজ 'যত মত, তত মতে'র চৌকাঠে পা রেখেছে।
কাউকে, টানাটানি দোষারোপে সময় ব্যয় করাটাও  অবিবেচকের মত। তাই, কাজ নেই।
কিন্তু, 
শুধু অতি সন্মানের হাড়ি কাঠে মাথা গলিয়ে বা গর্তে জোর করে ঢুকতে গিয়ে, এ সুন্দর, মন অার মাথা, ভয়ানক ভাবে ধর্ষন আর নৃশংসতার বলি হচ্ছে নাতো। হলে, কেন হবে? 
বেকারত্বের সঙ্গে শ্রমের সম্পর্ক অতি প্রাচীন। আবার শ্রম, সময়ের মতই ধরে রাখা যায় না। শ্রম না হলে, মানে সময় টার  আউট পুট না হলে...!  কিন্তু সে শ্রম ক্যামন শ্রম? সেটা ক্লিয়ার নয়। হতে পারে ক্লাসিক শ্রম চাই। যা ক্লাসের উপরে উঠে উপঢৌকন সম দ্যাখাবে। কিন্তু লজ্জ্বা, ঘেন্না, ভয় রহিত শ্রমের পাঠ্যসূচি টাই বা ক্যামন?
তাই হয়ত, 
শ্রমের শ্রেণি বিচার করেই শিক্ষার বিশুদ্ধতা, নর্দমায় পতীত হচ্ছে কি? সামগ্রিক ভাবে অবশ্যই না। 
যদি ধরা যায়, প্রচুর প্রচুর কাজ বাকি, চাইলেও ফুরোবে না, তাহলে তো শ্রম টাও বাকি। এর মানে তো আমার সময় টারি অপব্যয় হচ্ছে। কারণ, 
Labour is perishable than any other commodity: এটা এই "গল্প হলেও সত্যি" সিনেমাতেই কোথাও বলেছিল। এটাই সম্পর্ক।

Thursday, July 18, 2019

নিজের ছবি আমার নিজের দেখতে ক্যামন লাগে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। গাল টা চুলকে, কপালের উপরে হাত বুলিয়ে। কপালের উপর দাগ তৈরি হলে বেশ একটা লাগে। ভূলভাল চোখ মুখ করেও ভাবনা আসে। সেরা ভঙ্গিমা ঠিক কোন টা? হাসি পায়। ফেসবুক ফাঁসিয়ে দিচ্ছে না ফেঁসে আছি? বোকার মত লাগছে। হাজারো মুখের ভীড়। শহরের ব্যস্ততম রাস্তা, হু হু করে ছোটা গাড়ির মত মুখ ছূটে বেড়ায়। ক্লান্তি নেই। এই শত আনন্দের হাসি মুখের পাশেই ফেসবুকের কানা গলি। যেখানে ভূতের মত ঘুরে বেড়ায় নানা জরুরী অদরকারি।
ফেসবুক থেকে মনে হল, আগে বাড়িতে গুরুজন দের ছবি ঝুলতো। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, গান্ধীজী, অরবিন্দ আরো কত। সেখান থেকে দেব দেবতা। এখন আমাদের নিজেদেরই ডেকোরেট করা ছবি বারান্দায় বেডরুমে চকচক করে। দেখে ভালোই লাগে।
অথচ ব্যস্ততা, সময়াভাব তাড়া করেই বেড়ায়। মনে হচ্ছে যেন, রিটায়ারমেন্টের পরের জীবনের কথা বলছি। নাহঃ ঠিক তা নয়। ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ফুরিয়ে যাওয়া নয়। নতুন করে যদি ডাল পালা পাতা গজায় সেটারই চেষ্টা আরকি।  আসলে নিজের মত করে, সময় টাকে কেন পাওয়া হয় না?  শব্দ, মুখ, কাজ অকাজের ভীড়ে ইন্দ্রীয় গুলোই খেই হারাতে থাকে।
 জানি তো, গুরুজনরা আদর্শ ধারণের জন্যেই মহৎ মানুষের ছবি রেখেছে, এখন আমরাই আমাদের আদর্শ।
এটাও ঠিক যে, বড় মানুষেরা ভোর বেলায় উঠতো। সে অনেক ভোরে। অনেক টা। বেড়াতে বেরত। যেন, যে প্রকৃতি তাকে এত দিয়েছে, এমন কি তাকেও পাঠিয়েছেন, এবার তার কাছে থেকে কৃতঙ্গতা স্বীকার বা তার কোলেই কিছুক্ষণ কাটালে পরে বাকি টা দিন যেন, জলের মত সহজ হয়ে যায়।
মহালয়া টা ভোরে হয় কেন?

All pictures are collected from google picture image brouser.



















Friday, July 12, 2019

নামেই নমস্য, বাকি টা সমস্যাঃ 🙏
এ খেলায় ছোট্ট মেয়ে তার অনেক চিরকুট থেকে একটা বেছে নিতে বললো। নিলাম। পেলাম 'এক্সপ্লেইন ইয়োর নেম।'  আমার নাম বললাম। সন্দীপ। এর অর্থ আকাশ প্রদীপ। ব্যাখ্যা সে অনেক। তারপর, খেলা শেষ।
মনে মনে ভাবছি, নামের অর্থটা সত্য প্রমাণিত করতেই, কি নাম রাখা! নাকি মিচিমিচি রাম শ্যাম জদু মধু রাখা। তাতো নয়। আজকাল ভারি ভেবে চিনতেই নাম রাখা হয়। সে নামও উল্লুক বেল্লিক নয়। যথেষ্ট শ্রম শ্রদ্ধা আবেগের পর আসে উন্তে্য, দন্তে নয় তয়, হসসি, দীর্ঘি, রেফ জ ফলা। ভালোই কিন্তু মাঝে মধ্যেই চটচটে হয়ে দাঁতে আটকে যায়।

তবে আমার আদরের নৌকা ডাকনাম টা বেশি ভালো লাগে। এমনি হেলে দুলে ডেকেই ভারি শান্তি। এই পুঁচি কোথায় চললি। এ ঢেলো এদিকে শোন। এরম আরকি। তারপর ধরুন বিখ্যাত মানুষের নাম। তাকেও ত আদর করে কত নামেই ডাকি। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবাংলা/ বঙ্গ, বাংলা নাম মনে আসবে না, তা কি করে হয়। এতে আবার ইতিহাস, অর্থনীতি, মালা, আবেগ, ভালোবাসা আছে। যে গুলো আমার বোঝার কথা নয়। তাই বাদ দিন।
যাই হোক।
নামের গুরুত্বটা কোথায়, সেটাই ধরার চেষ্টা করি। গাড়ি তে বসে পেছনের যাত্রী বলছেন এই বার এদিকে, এবার ওদিকে। এতে আমি তার হাত নাড়া দেখেই ধারণা করছি। বা ধরুন বোতলের ছিপি খুলবেন। প্যাচানা, ঠিক খুলবেই। আসলে কোন দিকে ঘোরালে, ডান না বাম!  কলের নব, ডায়ে না বাঁয়ে। বা জিনিশ টা ওই ত ওই খানেই রাখা আছে। এই যে দাদু প্লিস, জায়গা টার নাম বল না। কোথায় রাখা আছে।
তা এই হল নাম। ওই তো লোক টাই লিখেছের বদলে, যদি সন্দীপ লিখেছে বলি, তাহলে নির্দিষ্ট করা গেল। বা বলা যায় বিজ্ঞান সম্মত হল। তবু ডাক নাম টাই সেরা। এটা অনস্বীকার্য। এর মধ্যের ঐকান্তিকতা আর কিছু তে নেই। তা সে যেমনই হোক না কেন?
ছবি টা গুগল থেকে। আশা করছি দেশের ফুটি ফাটা মাটি ভিজে যাবে। রাস্তার দু ধারে গাছ বসানোর হিড়িক কমে গিয়ে, সিড বল সেখানেও ছড়িয়ে পড়বে।

Saturday, July 6, 2019

আমি শিশু। চোখ ফুটেছে। হাসবার তাল খুঁজি। হাসি পেলেই অট্টহাসি। এখন তাল খুঁজছি। হি হি। বিশ্বাস করুন,  হাসি কান্না ক্ষিদে টাই আমার সঙ্গে হাঁটে।
আর যা কিছু আছে, পুতুল তাজমহল থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি এবারের মেলায়। স্লেট ভাষা, মাটির রসগোল্লা থেকে ডায়াপার পরিধান - এসওব আমার খ্যালনা।  কখুনো এদের ভাঙি কখুনো গড়ার অছিলায়, হুমড়ি খেয়ে হেসে মরি। মা কয়, সাবধান। আমিও চোখ বড় গোল গোল, এখন য্যামন টা দেখছেন আরকি।
 কখুনো নিজেই ক্ষতবিক্ষত। থোড়াই কেয়ার। সেলাই পড়ে। আমি তো শিশু। বাছুরের মত গুঁতো মারি। কচি কচি দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরার চেষ্টা যেন। মা অাহঃ হাসতে হাসতে কি হচ্ছে কি, লাগছে তো?  আরো জোরে কামড়ে দি। হি হি। মাও কষ্ট ভূলে দেবীর হাসি তে জড়িয়ে ধরেন।

হামাগুঁড়ি দি। এটা ওটা আদুল হাতে আঁকড়ে, অবাক হয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি। মুখে পুরে দি।

সেকি চিল চিৎকার কান্না। পাড়া ধেয়ে সে গো।কখুনো আবার কেউ আসে না। ভরসা পেলে সচেতনতা বাড়ে। কিন্তু কেউ ছুটে না এলে,সাহস টা আরো বাড়তে থাকে। আমি কিন্তু শিশু।

Wednesday, July 3, 2019

শিল্প শিল্প করে সব হেঁদিয়ে মরছিল, গতকাল অাতপুরে পাম্পের কাছে বোমার বিকট শব্দে বুঝলাম। নাহঃ এ শিল্প সত্যি চারু শিল্পে পরিনত। ধোঁয়া যেন রকেটের মত দিকবিদিক ছুটেছে। ভাগ্গিস কারো হাত পা বা ঘরের চাল উড়ে যায় নি। তাই এসব ব্যাপার ছোটখাটই রয়ে গেল কিনা।
ঠিক জমলো না আরকি।
জগদ্দল কাঁকিনাড়া ভাটপাড়া, তালে আতপুরি বা বাদ যায় কেন? চমকে না দিলে সুখ টা যে বিলোয় না। এরপর ইচ্ছাপুর হতে ব্যারাকপুর। তারপর সুরে সুরে বদলাপুর হতে যেন বাকি নেই, এমন একটা লেবেল নিয়ে...
এ যেন বাংলার বুকে প্রথম, কি অতিকায় আশ্চর্য  বিপদ, পোষা বুদ্ধিমানো আজ তার লেজের মুহুর্মূহ চঞ্চলতায় বিপদ দেখছে। অথচ, 
কেউ কেউ তো এদের নিঃশ্বাস টাকেও ভয় পায়। বিশ্বাস অবিশ্বাস, ধর্ম, আশ্বাস এ গুলো যেন আজকাল মজা পাওয়ার জন্য। ২৬- এ তে কঙ্গনার ভালো ছবি আসছে, ওতেও আশা করি মজা পাবো।  যাই হোক,

ভয় দ্যাখানো নাকি ভূলভাল, মিচিমিচি নাকি আরো আতংক ছড়ানোর অভিপ্রায়। জানি না।  অথচ,
অাজই তো আমেরিকার মুক্তি হয়েছিল। কি ভীষণ যে ওহিও থেকে ৫৯ কোটির চিনা বাজি ফ্রি তে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে দিতে চেয়েছিল। ট্রাম্প ত ভারি চটে গেল। আগের প্রেসিডেন্ট কে দেবার এমনতর সাহস যদি বা হয়নি। তা বলে এসব কি।
তুমি কি জানো না হে অবিবেচক, আমরা কত টা আধুনিক। বোমা টোমা আজকাল বাঁধি না। লিব্রা মানে ভারতের দ্যাখানোর পথে ব্যবসা খুঁজি।
কিন্তু
এটাই বুঝলাম যে, বোমা তৈরি তে দক্ষতায় আজো বাংলার জুড়ি নেই। হয়তো বিপ্লবী আত্মা গুলোও পরম শান্তি পায় মনে। তবু কিন্তু কিন্তু করে। ওদের  বাদ দিন। ওদের কোন রকম ভাতা দেবারো টেনশন একদম নেবেন না। পারলে ওদের আবেগ টাকে দশবার বেচে খাও পাবলিকের কাছে।

এ ধোঁয়ায় ভগবান সাক্ষি আছেন, রাজবাড়ীর মাঠে বোমা বাঁধার গল্প লিখেছিলাম আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে। সে গল্প যে আজ কল্পতরু। বলার অপেক্ষা রাখে না। চুল্লুর ঠেকে দুটো প্লাস্টিক বলে ফুটো,  চুমুক দিয়েই জাস্ট ছুড়ে দাও। এখন ত নয়া লম্বা প্লাস্টিক টিফিন কারি, বোমা তৈরি তে বিপ্লব এনেছে।
সেটা অন্য কথা।
বা নমস্কার, গুড মর্নিং থেকে শুধু মর্নিং বা দাঁত কেলিয়ে জয় শ্রীরাম। এ হেন এডাপটেবল বাঙালীর রঙ্গ দেখলে, এইমনিতেই দিনের ক্লান্তি ফুরিয়ে যায়। ভালো ঘুম হয়।

নিখিল ওঠে ভোরে, স্নান করবে, অথচ, রাতেই চৌবাচ্চা টইটুম্বুর। সকালেতে থৈ থৈ জলে উষ্ণরক্ত বিরক্ত প্রকাশ করে। মা হাসে, এ টুকু যে সঝ্য করতেই হয়, অভ্যাসে।
তারপর বাজার, সব জিনিশেরই দাম আকাশ ছোঁয়া। কোন টা কিনি ভেবে আলু পিয়াজ টাই কিনে ফেরা। ডিম জোড়া ১১ মুরগি কিলো ২০০, ডাল এখন, প্লিস জানতে চেও না। দেশ ভারি বিপদে আছে। আমার সব কিছুই আজ বিপদে।  মন টাও বিপদে। দেবো কি দেবো না। আমি টা না কোন টা পাল্টাচ্ছে আর কি পাল্টাচ্ছে ভাবতে গেলেই, শুধু ভাবছি লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বিপদ সম্মুক্ষে সেই ২০১৪ থেকে। ভারী বিপদ।

নইলে যে মাঠ ঘাট কেই সবার আগে প্রাধান্য দিতাম।

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই