West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Sunday, March 4, 2018

- সময়ের তালে তালে - প্রসঙ্গান্তরে

বেড়াতে যারা ভালোবাসেন তাদের ভালোবাসা টাকে আমি ভালোবাসি। কেন ভালোবাসি সেটা পরে বলছি।
বেশির ভাগ ভ্রমণ পিপাসু কে দেখেছি ধার্মীক স্থান-ই আগে বেছে নেন। কেন বেছে নেন? দূর্বলতা নাকি পাপ স্খালন আবার হতে তো পারে স্বাভাবিক ভাবেই মন টানে। এ যেন মেরেছো কলসির কানা তাবলে কি প্রেম দেবো না।
বেড়ু বেড়ুর র‍্যাশনে কামাখ্যা, পুরি, মায়াপুর, তারাপিঠ সবই এদের একদম বাঁধা ধরা।
তা যেটা বলতে চাইছি, এবারে দোলে এলাকায় একদম থাকতে চাইনি। অফবিট ট্যুর টাই বেশি পছন্দ করি। তবু হয় কোথায়? এইতো, এবারেই জনঅরন্যের বাইরে যেতে গিয়ে, শুধু মাত্র তাবুর আকাল আর দু একজনের দোনোমনায় শেষতক পিছিয়ে এলাম। যে দোনোমনা, সে যাবার একদিন আগে আমতা আমতা করে বললো, 'জানো ইস্কনের মন্দিরে না, জানো, খুউব ঘটা করে দোল উৎসব হয়। (আমিও শুনে মনে মননে, আহা, রাধে) আমি না কথা দিয়েছি আর মন টাও কেন জানি বড্ড টানছে।'
(বুঝতে পারছিলাম, এর আবেগ এখন চৈতন্যময়, বাঁধ ভাঙা আনন্দে উত্তাল হবার প্রাক মুহুর্ত প্রায় যাই যাই অবস্থা, ) 'বললো জুলাই আগস্ট নাগাদ চলো না।' কি বলবো বলতে গিয়ে বলে বসলাম, আমার বার্ধ্যক্যে তুমি ই কিন্তু থাকছো, আমায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাবে কেমন। আর খুউব মিলেংগে তিন ওর চুটিয়ে ধার্মিক স্থান বেড়ায়েংগে ক্যামন! আরেক জনের ত বেরোবার দিন রাতে ব্যাবসার মাল ঢুকবে, ছেড়ে যেতে পারছে না। একজনের পকেট খয়ের খাঁ। শেষে আরেক জন বললো 'দুত্তেরিকা।' আর শেষে জানলাম তাঁবুও ভ্যানিশ। তাই এভাবেই আমাদের অফবিট ঘরে বসেই ফটোফিনিশ হয়ে গেল।

তা যাক গে যাক।
ঐতিহাসিক স্থান, সমুদ্র, পাহাড়, জংগল, বরফ, মরুভুমি আর ধার্মিক স্থানের মধ্যেও অনেক রকম ফের আছে। সত্যই অনেক। রস, রঙ, মাধুর্য, প্রেম সে এক বেড়ানোর ১০০ রকম মহাভারত কথা। কেউ হাঁটতে ভালোবাসে তো কেউ নানা রকম খাবারের খোঁজ ন্যায়। কাউকে আবার স্রেফ পাহাড়ের এক কোনে আরাম কেদারায় বসিয়ে এক পেয়ালা চা, কফি, বা উইস্কি দিয়ে দাও। কেউ কেউ তো সারাটা   দিন জংলার ভেতরে চুপ্টি করে মশার কামড় খাচ্ছে। জীব জন্তুর ছবি তোলার অপেক্ষায়। লিস্টি আর বাড়ালাম না। যাই  হোক। আর নির্জন, নিরালা, দিকবিদিক জনমানবশূন্য প্রান্তর যা অতি মনোরম স্বাস্থ্যকর। 'আরন্যকের' মতন কিছু টা হয়তো। তবু হপ্তাখানেকই যেখানে থাকলে আগামী বেশ কয়েক মাস জনঅরন্যই ভালো লাগবে।  ত্যামন টাই বা মন্দ কি? তবু যে জংগল পাহাড় বা এই স্বাভাবিক প্রকৃতির আয়তন যে কমে আসছে তা চিন্তার বিষয়। মনে পড়ে কোথায় যেন  পড়ে ছিলাম, আজ মংগলবার, পাড়ার জংগল সাফ করার দিন। ত্যমনটাই তো। জঙ্গল পাহাড় কেটে সমাজ গড়ে উঠবে যা অবশ্যম্ভাবী। কিস্যু করার নেই। লোকসংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরো বেশী আয়  করার প্রতিযোগিতা।
ও হ্যাঁ যা বলার, তা হল বাংলায় ভ্রমনের উপকারিতা বলে একটা লেখা আছে না! ওটাই কিন্তু ভ্রমনের আসল। বাকি পরে জানাবো। ভালো লাগবে কথা দিলাম। ওই যে গান আছে, আমি কথা দিলাম, তুমিই আমি. . . . .
আর
ছবি টা অনেক আগের, আর কিছু হাতের কাছে পেলাম না তায় ডাউনলোডেও মন সায় দিলোনা ভাই।

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ২)

লোকে বলে সাদা মনে কাদা নেই। কিন্তু জমিতে তো কাদা থাকতেই পারে। এই ধরো না ঘোষেদের জমি। ওই যে তরফদার পাড়ার শেষে দুই কারখানার মাঝে হাই ড্রেন। তারপাশেই সরু রাস্তা, এঁকে বেঁকে সুন্দিয়া চলে গেছে। ড্রেন দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোত, তাই নাম পচাগলি।

গলির আগেই ডানপাশে বিশাল পুকুর, তবে গলা জল। মাছ চাষ ভালোই হয়। তার ও পাশে ঘোষেদের জমি। মাঠ  বলাই ভালো। ওখানের কাদা মাঠে তিন বেলাই খেলা হয়। সামনেই সাথির মাঠ। তল্লাটে কেউ চেনেনা এমন নেই। ক্রিকেট, ফুটবল দুটোই জমে ক্ষীর। জমি টা একটু নিচু আর ভিজে ভিজে। তা ওতে খেলা আটকায় না। মফস্বল সাইটে ওত দেখলে আনন্দ টাই মাটি।
 সন্ধের গাঢ়ো হলে পর মাঠে আবছা কিছু জটলা হয়।
নরেন খুড়ো বলছিল, ওরা নাকি দূর জেলার হাইওয়েতে ডাকাতি ফাকাতি করে এসে, পরামর্শ, ভাগ বাটোয়ারা এসব নাকি করে। তা ব্যাপার যাই  হোক না কেন, ভদ্রলোকেরা রাত্রি হলে পর ও পথ মাড়ায় না। গোপাল মালোর শালা কে সেবার দুর্গাপূজায় দশমীর রাতে কুপিয়ে দিল। মাঠের ঘাস রক্তে কাদায় মাখামাখি। নরেন খুড়ো তখন যুবক। তার  মা এসেছিল নারকেল কুড়োতে।

জমির পাশেই তাদের ছোট্ট একচালা ঘর। সংগে গোটা চারেক নারকেল, সুপারি, বেল আর কিছু ফুল গাছ আছে। এখানে প্রায় ঘরে ঘরেই মানুষের গাছ লাগানোর অভ্যাস আজো অমলীন। ছাদে উঠে  যখন হাইরাইস বিল্ডিংের বদলে সবুজ দেখি, মনটা আপনা হতে শান্ত হয়ে আসে। মনে হয় কই কিছুই তো বদলায় নি। এলাকার মানুষ যে প্রকৃতির নিয়মেই অজান্তে প্রকৃতি রক্ষা করে চলেছে।

ধপ করে কিছু পড়ার শব্দ। সঙ্গে গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে নরেন খুড়োর মা, বেরিয়ে এসে দেখে, ছায়া মত গোটা কয়েক লোক পচাগলি পেরিয়ে যাচ্ছে। ঘরে এসে নরেন কে ডেকে বলতে ওই বন্ধুবান্ধব দের খবর দেয়।
এভাবেই দিন যায়, বছর যায়, সামনেই কুন্ডু বাড়ির দুর্গা এখন আর তেমন ধুম ধাম করে হয় না। অবস্থা কিছুটা অন্যরকম। বাহান্নো পরিবারে যা  হয় আর কি। আর বর্তমানে বড় পরিবার চালানো মানে, রাবণের চিতায় কাঠ  জুগিয়ে যাওয়া। চলবে।. . . .
#Athpur ##আতপুর #পচাগলি #সাথিরমাঠ

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই