West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Wednesday, March 21, 2018

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ৫)


গংগা নদীর এপাশ টায় খালি ধু ধু করছে মাঠ।  ইতস্তত জংগল ঝোপঝাড়। কেউ কোত্থাও নেই, কারোজন্য অপেক্ষা নেই, সবি আগামীদিনের সূর্যদয়ের অপেক্ষারত। তবু রাত্রি শেষে কুয়াশাছন্ন আবহে পরিবেশ কিছুটা নিষ্প্রভ।  শীতল হাওয়ার চাদরে লেপ্টে থাকা এ পরিবেশ, আজ যেন বড় কাতর ঘুমাছন্ন। নদী তে স্রোত নেই, আকাশ নিশ্চুপ, গাছের পাতা রাও যেন speak to not.

তবু যেন মানব সভ্যতার চাকা নিঃশব্দে ঘুরতেই থাকে। আহাতপুরের আদিবাসি মহল্লায় কয়েক জন এসময় বেরিয়ে পড়ে। শোনা কথা যে এরা নাকি এলিওট সাহেবের খপ্পর থেকে বাঁচতে এখানে আস্তানা গেড়েছে। দুর্নাম অনেক। বন্ধু সেজে নাকি রাতের অন্ধকারে রুমাল পেঁচিয়ে গলা পিশে মাটিতে পুতে দ্যায়। কই এখানে তাতো দেখছি না। তবে হ্যা গেল বার, শ্যাম নগরের কাছেই দুটো খালি নৌকা সংে ছাব্বিশ টা লাশ ভেসে উঠতে দেখা গেছে। আর লোকে তো কত কথাই বলে, তা বলে কি বেচে থাকাটা কি আটকে থাকে। খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। বুনো শুয়োর যদি শিকেয় ছেড়ে তো ক্ষতি কি? সেই সুদুর পশ্চিম থেকে কত পথ হেটে, এই পাড়ে এসে ঠেকেছে।

যাই বলো, খাসা জাগা বটে, পুরো নিশ্ছদ্র দ্বিপের মত। ওপারে ফরাসী দের ফউজ ঘাটি গেড়েছে। মাঝে মাঝেই তাদের বিশাল বহরের নৌকা এদিক পানে ছিটকে আসে। ওরা লুকিয়ে পড়ে। আর এতো সেই গংা নয়, তখন কার গংা, অপার দেখতে হলে মাঝ বরাবর গেলে তবে না। হুগলী নদী কেন যে নাম হল কে জানে? তবে অনেক সোভাগ্য করলে নদীর কাছে বাসস্থান পাওয়া যায়।  আমরা কি সৌভাগ্যবান? নৈহাটি, ভাটপাড়া, আতপুর, শ্যামনগর, ইচ্ছাপুর পেরিয়ে এ জল বংোপ্সাগরে মিশেছে। হতে পারে আমরা সৌভাগ্যবান। নদী মোটেও নয়। এই যে নদী যায়  সাগরে.. .  কিশোরের গলায় মনে পড়ে.. . .

কাছেই পিদিমের আলোয় ছোট্ট খোকা বসে। সামনে ছোট্ট মতন জলচৌকি। অপর পারে, ভবানী চরণ। আলোটা থেকে থেকেই দুলে উঠছে। ছোট্ট খোকার বিশালকায় ছায়া ঘরের দেওয়ালে। ভবানী চরণ সন্ধ্যা হলে পর বড়জোর সাড়ে সাত টা, তারপরেই নিজ ঘরে বিশ্রাম নিতে চলে যান। আজ মন টা একটু মরমিয়া। ভোর হলে পর যাদব একেও নিয়ে চলে যাবে।
 আমি কাকে নিয়ে থাকবো, একটু ভেবে দেখতে পারতো না!
 ভালো পড়াশোনা, দেখাশুন না ছাই।
এই কাঁঠালপাড়ায় তুইও তো মানুষ হলি, বলি এতে কি তোর খুউব ক্ষতি হয়ে গেল? যাক গে যাক, তুই বাপ, তোর কথাই থাক। ভবানীচরন এসবই আন্তাব্ড়ি ভাবতে ভাবতে ঘুমে ঢলে  পড়লেন। পাঠশালার রামনাথ পন্ডিতের সংগে ভবানীর খুবই সখ্যতা, সেই বললেন, যেতে  দাও হে, যেতে দাও। তবে দেখো যেন ত্রুটি না হয়, ভবানী! তোমার এই তিন নাতিই কিন্তু কেউ কারো চে কম যায় না বুঝলে! নিয়নের আলো গুলো সিড়ি লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই অদুরে গংার মলয় বাতাস, আলো ছাপিয়ে, জানালার খড়খড়ি বেয়ে শরীরে শিহরন জাগাচ্ছে।
আজকাল নদী তে দু চাট্টে বজরা ব্রিটিশ পতাকা গায়ে প্রায়শই টহল দিচ্ছে। ইলিয়ট সাহেব নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বটে, কিন্তু কা কব কান্তা।

খুব বেশি দূরে না, এই ২০০ বছর আগের ঘটনা।
আসলে যখন রাস্তায় ল্যাম্পের আলো গুলো টুপটাপ জ্বলে ওঠে। আগে বালব ছিলো তারো আগে ছিল নিয়নের বাতি। শীতের সন্ধ্যায় সে আলো কিছুটা গিয়ে ফুরিয়ে যেত। এখন রাস্তায় এলিডির আলো। আগের থেকে বেশ ভালো। শুনেচি এতে বিদ্যুৎ এর সাশ্রয়। তাই হয়তো কল্পনার আশ্রয়, এতেও যে খরচ কম, আনন্দ বেশী।

. . 


#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #জয়দেবঘোষেরবাগান #রাজবাড়ীরমাঠ #shyamnagar
#কালীবাড়ী

#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #নৈহাটি #ভাটপাড়া #shyamnagar
#কালীবাড়ী

Monday, March 12, 2018

country india দেশ প্রেম এ আমি কেমন আমি, সংস্কারের উর্ধে  উঠি,
ভাবি যা তাইতো সত্যি,
প্রনাম তোমায় সত্য কোটি

পড়লে জানবেন, আর না জানলে কি বা এসে গেল। তবে এটাই চুড়ান্ত।

সকল ধর্মাবলম্বী ব্যাক্তি কে প্রনাম, প্রনাম এ দেশের মাটি কে, আমি গর্বিত
তাদের জন্য, যারা  ইতিহাস হয়ে দেশ কে সন্মান এনে দিয়েছেন।
এ দেশে , যে বা যারা দেশের ওতিঝ্য কে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কল্পনা করেন, যেখানে ভারতবর্ষ নিজ রূপে, গ্যানে, আদর্শবান হবে। তাদের আমরা হ্রিদি চিত্তে সন্মান করি। গর্বিত অনুভব করি।
আর লজ্জিত যে ভারতবাসী, অঙ্গানতার অন্ধকারে যে নিমজ্জিত, সেও ভারতমাতার স্নেহ হতে বঞ্চিত হতে পারে না। তাই সকল কে সমান অধিকার দিতে আমরা ভারতবাসী বদ্ধপরিকর।
 এসো সকলে, এবার এক হও। শত্রুর কুটিল নীতি কে বিনাষের জন্য, এক হওয়াটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
মানুষ জন্মালে পর, তার শক্তি, মেধা, গ্যান, তিতিক্ষার চুড়ান্ত পরীক্ষা এখনো বাকি। আমরা ভারতবাসী সেই পরীক্ষায় সফল হতে আগ্রহী। পারবে কি, তুমি? লালসা, ব্যাক্তি প্রেম, কামনা বাসনার উর্ধে, আত্ম প্রলাপ, ধংসাত্মক উল্লাস থেকে ভারতবর্ষ তথা এ জাতি কে উদ্ধার করতে।

মুষিকের উত্থান পর্ব
আসলে ভোর হলেই এখানে শুনি, আকবর আল্লাহর কোরান বানী, যা নির্দিষ্ট, আবার ততসংে শুরু হয় হিন্দি গান, এই রাম নিয়ে তো এই হনুমান কিম্বা হঠাৎ মিরাপ্রেম রসাত্মক গান। পৃথিবীর কোন জাতি নেই যে, ভারত দেশের ইতিহাস নিয়ে টক্কর দেবে। তবু ধর্মে কোনো সাযুজ্য নেই কেন এটা মনে বড্ড বিঁধছিল। তালে তো হিন্দুদের ও একটা পরশিলীত নিয়মানুগ আচরন থাকা উচিত, তাই ভাবলাম, যদি একটা সুসংহত গান, নিয়ম পালনের কায়দা আনা যায়। কিন্তু হা হতস্মি, কোথাকার জল কোথায় দাঁড়ালো। না বিজেপি হোলো না তৃনমূল, না হোল কংগ্রেস। কাউকেই খুশী করতে পারলাম না। আর SUCI বা CPIM, বা মহান ফ্রন্ট  এদের কথা যে মাথায় নেই তা নয়, তবে দেশ যে বড্ড পুরনো, ইতিহাস, আছে যেযে জন্ম জটিলতা এটাকে বাদ দিলে যে, দেশ টাও যে অন্য যে কোন দেশের সমান। যেটা আমার মোটেই পছন্দ নয়। ভারত মানে, যে ধারে ভারে, অনন্য, ভারত মানে, ভার নিতে সক্ষম, ভারত মানে ভাত কাপড়ের সংস্থান, ভারত মানে স্বদেশে পুজ্যতে রাজা, বিদ্বান সর্বত্র পুজ্যতে।

Tuesday, March 6, 2018

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ৪)

ভোরবেলায় চন্দরনগর - এঘাট হতে আতপুরে সুর্য্য-দয় বড়ই মসৃন পেলব দেখায় গো। ভালো লাগার জীবন কথায় অদৃশ্য থাকে। তবু যেন  কোথাও লেপ্টে থাকা এক মধুর মুহুর্তের আলোর ছটায় ধিরে ধিরে আকাশ ছেয়ে এ আলো - গাছ, রাস্তা, নদী, পাখি সকলের মধ্যে মিশে যেতে চায়। এই আলো ফুটছে যখন, কালি বাড়ির ঘন্টায় তখন ঢং ঢং করে শব্দ, দূর হতে বেশ মিষ্টি শোনায়। মনে চলে উথালি পাথালি। আমায় ভাসায় বি রে আহা।

শ্যামনগরের (সামনে গড়) প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্য  পন্ডিত লোক বটে। তবে কিনা রাগী বেজায়। বদ মেজাজি তো ছিলই। লোক তো কত কথাই বলে অত কান পাতলে, দিন যাপন বৃথা। সব লোকে কয় লালন, তবে কিনা, কলেজে একটু দেরী হলে কারো নিস্তার টি নেই গো। তাঁর সেই বাজখাঁই গলায়, সব যেন থরহরিকম্প। এইরে একটু হলেই দিলেন কানটি মুলে কিম্বা সমূলে। আক্কেলগুড়ুম আর কাকে বলে বলতো!
কালি কিংকর মিত্র তায় আবার এক কাঠি বাড়া। সরু লিকলিকে একটা বেত নিয়ে কলেজ ঘরের এক প্রান্ত থেকে শেষ বারান্দায় যখন হেটে ফিরে আসতেন, কারফিউ নেমে যেত। বিশ্ব্যেস হয় না, বেশ, তবে যাই  বল না কেন উপ্রি গাম্ভীর্যপূর্ণ আস্তরনের নিচে কোথাও যেন লুকিয়ে থাকে অকৃত্তিম বন্ধু বত্সল  দরদ  তথা সরলতা। দুপুর গড়ালে পর, তার অতি প্রিয় মিত্র আক্যান্ন্ত বলতে পারো,  বিদ্যাসাগর মহাশয় কে ঝোলা থেকে মুড়ি নারকেল কখনো বা চিড়ে গুড় শালপাতার ঠোঙায় দিতেন আর জুড়ে দিতেন নানা অকাজ কাজের গল্প। তায় আবার বিদ্যাসাগর মহাশয় গাল খুলে যখন দাঁত বের করে হাসতেন, সে এক দেখবার মত বিষয় অবিশ্যি। মুড়ি চিবুতে চিবুতেই বলতেন, আর বোলো না, কি কান্ড বলোতো হ্যাঁ। নিয়োগী পাড়ার পেছনে থাকে ওই যে  হারানের পোলাটা, সাত সকালে বলে কিনা, এ দুটি ইলিশ মাস আপুনারে নিতেই হবে। এই বলে দিলুম হ্যা। নইলে এ ঘাট থেইক্যা আমার নৌয়ার খুটা খানি খুলে ফেল্মুনি,  বলে দিলুম কত্তা। তা কালি পন্ডিত বললেন, আহা ওরা যে আপনারে স্নেহ করে। আর নিতেই বা এতো আপত্তি, কেন শুনি? সেবার আপনার বউঠান রেঁধে দিল, বলেন তো? এই বলে কালি পন্ডিত মিছে রাগ দেখায়। সাগর ও কপট কয়, আহা কালি ব্যাপার টা বুঝলে কিনা, অশুচ যে এখুনো কাটে নি হে। বাদ দাও তো অহন ওকথা। কাজের কথায় ফিরা আইসো।  আসছে বছর আবার হবে। এই বলে এক গাল হেসে দিলে। এবার উঠি কালি, কেমন! আতপুরে আবার একটা বিদ্যালয়ের উদ্বোধন আছে। পন্ডিত কে বলা আসে। দেহ ইটার লিগ্গা আবার সিল্লা মিল্লি না করে। চলি।

বিষ্টু পন্ডিত ইশ্ব্রর চন্দ্র মহাশয় কে বড়ই শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। বয়স কম তো কি, কারো ধারে ভারে থাকে না। এমন দশ বিশটা এ বাংলা পেলে. . . আহা।  অনেক ধরে বেধে তবে না। আর শুনেই যে রাজী হয়ে গেলেন। এটাও তো বটে। আর সংস্কৃত টা উঠেই যাচ্ছে বলতে গেলে। ওদিকের মহান প্রিন্স ইংরিজি, ফারসি কি সব আউড়াচ্ছেন। পাক্কা ব্যাবসায়ী বললেও কম বলা হয়। এই হাঁ ঘরের পোলাপান গুলা কোথায় যাবে কেউ ভেবে দেখেচে? এসব ভেবে বিষ্টু  পন্ডিতের মন ভিজে   ওঠে। তবু সামর্থ্য অনুযায়ী চলতে হবে যে। এত দিনে দুটো মাত্তর ঠাকুরের দেখা পেলেন। এক দর্পনারায়ণের যোগ্য সন্তান গোপি মোহন ঠাকুর। আরেক টা এই ঈশ্বর পন্ডিত। আজ পুর্নিমা। এইতো  কদিন পরেই  বোশাখ শেষে মা ব্রম্ভময়ী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস।
চলবে.. . 


#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #জয়দেবঘোষেরবাগান #রাজবাড়ীরমাঠ #shyamnagar
এটুকুই বলবার যে, ছবি গুলো মানান সই হয়েছে কিনা তা পাঠকের হাতে, তবে তুলেছেন এই পোস্টদাতা

Sunday, March 4, 2018

- সময়ের তালে তালে - প্রসঙ্গান্তরে

বেড়াতে যারা ভালোবাসেন তাদের ভালোবাসা টাকে আমি ভালোবাসি। কেন ভালোবাসি সেটা পরে বলছি।
বেশির ভাগ ভ্রমণ পিপাসু কে দেখেছি ধার্মীক স্থান-ই আগে বেছে নেন। কেন বেছে নেন? দূর্বলতা নাকি পাপ স্খালন আবার হতে তো পারে স্বাভাবিক ভাবেই মন টানে। এ যেন মেরেছো কলসির কানা তাবলে কি প্রেম দেবো না।
বেড়ু বেড়ুর র‍্যাশনে কামাখ্যা, পুরি, মায়াপুর, তারাপিঠ সবই এদের একদম বাঁধা ধরা।
তা যেটা বলতে চাইছি, এবারে দোলে এলাকায় একদম থাকতে চাইনি। অফবিট ট্যুর টাই বেশি পছন্দ করি। তবু হয় কোথায়? এইতো, এবারেই জনঅরন্যের বাইরে যেতে গিয়ে, শুধু মাত্র তাবুর আকাল আর দু একজনের দোনোমনায় শেষতক পিছিয়ে এলাম। যে দোনোমনা, সে যাবার একদিন আগে আমতা আমতা করে বললো, 'জানো ইস্কনের মন্দিরে না, জানো, খুউব ঘটা করে দোল উৎসব হয়। (আমিও শুনে মনে মননে, আহা, রাধে) আমি না কথা দিয়েছি আর মন টাও কেন জানি বড্ড টানছে।'
(বুঝতে পারছিলাম, এর আবেগ এখন চৈতন্যময়, বাঁধ ভাঙা আনন্দে উত্তাল হবার প্রাক মুহুর্ত প্রায় যাই যাই অবস্থা, ) 'বললো জুলাই আগস্ট নাগাদ চলো না।' কি বলবো বলতে গিয়ে বলে বসলাম, আমার বার্ধ্যক্যে তুমি ই কিন্তু থাকছো, আমায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাবে কেমন। আর খুউব মিলেংগে তিন ওর চুটিয়ে ধার্মিক স্থান বেড়ায়েংগে ক্যামন! আরেক জনের ত বেরোবার দিন রাতে ব্যাবসার মাল ঢুকবে, ছেড়ে যেতে পারছে না। একজনের পকেট খয়ের খাঁ। শেষে আরেক জন বললো 'দুত্তেরিকা।' আর শেষে জানলাম তাঁবুও ভ্যানিশ। তাই এভাবেই আমাদের অফবিট ঘরে বসেই ফটোফিনিশ হয়ে গেল।

তা যাক গে যাক।
ঐতিহাসিক স্থান, সমুদ্র, পাহাড়, জংগল, বরফ, মরুভুমি আর ধার্মিক স্থানের মধ্যেও অনেক রকম ফের আছে। সত্যই অনেক। রস, রঙ, মাধুর্য, প্রেম সে এক বেড়ানোর ১০০ রকম মহাভারত কথা। কেউ হাঁটতে ভালোবাসে তো কেউ নানা রকম খাবারের খোঁজ ন্যায়। কাউকে আবার স্রেফ পাহাড়ের এক কোনে আরাম কেদারায় বসিয়ে এক পেয়ালা চা, কফি, বা উইস্কি দিয়ে দাও। কেউ কেউ তো সারাটা   দিন জংলার ভেতরে চুপ্টি করে মশার কামড় খাচ্ছে। জীব জন্তুর ছবি তোলার অপেক্ষায়। লিস্টি আর বাড়ালাম না। যাই  হোক। আর নির্জন, নিরালা, দিকবিদিক জনমানবশূন্য প্রান্তর যা অতি মনোরম স্বাস্থ্যকর। 'আরন্যকের' মতন কিছু টা হয়তো। তবু হপ্তাখানেকই যেখানে থাকলে আগামী বেশ কয়েক মাস জনঅরন্যই ভালো লাগবে।  ত্যামন টাই বা মন্দ কি? তবু যে জংগল পাহাড় বা এই স্বাভাবিক প্রকৃতির আয়তন যে কমে আসছে তা চিন্তার বিষয়। মনে পড়ে কোথায় যেন  পড়ে ছিলাম, আজ মংগলবার, পাড়ার জংগল সাফ করার দিন। ত্যমনটাই তো। জঙ্গল পাহাড় কেটে সমাজ গড়ে উঠবে যা অবশ্যম্ভাবী। কিস্যু করার নেই। লোকসংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরো বেশী আয়  করার প্রতিযোগিতা।
ও হ্যাঁ যা বলার, তা হল বাংলায় ভ্রমনের উপকারিতা বলে একটা লেখা আছে না! ওটাই কিন্তু ভ্রমনের আসল। বাকি পরে জানাবো। ভালো লাগবে কথা দিলাম। ওই যে গান আছে, আমি কথা দিলাম, তুমিই আমি. . . . .
আর
ছবি টা অনেক আগের, আর কিছু হাতের কাছে পেলাম না তায় ডাউনলোডেও মন সায় দিলোনা ভাই।

- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ২)

লোকে বলে সাদা মনে কাদা নেই। কিন্তু জমিতে তো কাদা থাকতেই পারে। এই ধরো না ঘোষেদের জমি। ওই যে তরফদার পাড়ার শেষে দুই কারখানার মাঝে হাই ড্রেন। তারপাশেই সরু রাস্তা, এঁকে বেঁকে সুন্দিয়া চলে গেছে। ড্রেন দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোত, তাই নাম পচাগলি।

গলির আগেই ডানপাশে বিশাল পুকুর, তবে গলা জল। মাছ চাষ ভালোই হয়। তার ও পাশে ঘোষেদের জমি। মাঠ  বলাই ভালো। ওখানের কাদা মাঠে তিন বেলাই খেলা হয়। সামনেই সাথির মাঠ। তল্লাটে কেউ চেনেনা এমন নেই। ক্রিকেট, ফুটবল দুটোই জমে ক্ষীর। জমি টা একটু নিচু আর ভিজে ভিজে। তা ওতে খেলা আটকায় না। মফস্বল সাইটে ওত দেখলে আনন্দ টাই মাটি।
 সন্ধের গাঢ়ো হলে পর মাঠে আবছা কিছু জটলা হয়।
নরেন খুড়ো বলছিল, ওরা নাকি দূর জেলার হাইওয়েতে ডাকাতি ফাকাতি করে এসে, পরামর্শ, ভাগ বাটোয়ারা এসব নাকি করে। তা ব্যাপার যাই  হোক না কেন, ভদ্রলোকেরা রাত্রি হলে পর ও পথ মাড়ায় না। গোপাল মালোর শালা কে সেবার দুর্গাপূজায় দশমীর রাতে কুপিয়ে দিল। মাঠের ঘাস রক্তে কাদায় মাখামাখি। নরেন খুড়ো তখন যুবক। তার  মা এসেছিল নারকেল কুড়োতে।

জমির পাশেই তাদের ছোট্ট একচালা ঘর। সংগে গোটা চারেক নারকেল, সুপারি, বেল আর কিছু ফুল গাছ আছে। এখানে প্রায় ঘরে ঘরেই মানুষের গাছ লাগানোর অভ্যাস আজো অমলীন। ছাদে উঠে  যখন হাইরাইস বিল্ডিংের বদলে সবুজ দেখি, মনটা আপনা হতে শান্ত হয়ে আসে। মনে হয় কই কিছুই তো বদলায় নি। এলাকার মানুষ যে প্রকৃতির নিয়মেই অজান্তে প্রকৃতি রক্ষা করে চলেছে।

ধপ করে কিছু পড়ার শব্দ। সঙ্গে গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে নরেন খুড়োর মা, বেরিয়ে এসে দেখে, ছায়া মত গোটা কয়েক লোক পচাগলি পেরিয়ে যাচ্ছে। ঘরে এসে নরেন কে ডেকে বলতে ওই বন্ধুবান্ধব দের খবর দেয়।
এভাবেই দিন যায়, বছর যায়, সামনেই কুন্ডু বাড়ির দুর্গা এখন আর তেমন ধুম ধাম করে হয় না। অবস্থা কিছুটা অন্যরকম। বাহান্নো পরিবারে যা  হয় আর কি। আর বর্তমানে বড় পরিবার চালানো মানে, রাবণের চিতায় কাঠ  জুগিয়ে যাওয়া। চলবে।. . . .
#Athpur ##আতপুর #পচাগলি #সাথিরমাঠ

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই