West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Sunday, February 24, 2019

১৯- শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯



এসো না ভাই,  একটু ওয়াইন খাই? হি হি হি। না না দোষের কিছু নেই। এটা দিশি পতঞ্জলি ওয়াইন। সংগে থাকবে স্টাফড বেকড কিছু একটা। আর হাল্কা করে চলবে চাদারিয়া, রিনি রে ঝিনি। মন মাতাল সাঝ সকাল শুধু....
মাথাটায় যা কিছু জঞ্জালাদি তে পরিপূর্ণ, সব হবে ধুয়ে মুছে সাফ। অনেক টা 'চর্ব্য-চূষ্য-লেহ্য-পেয়'  এমন টাও হয়।
আকাশ বাতাস রঙিন মনে হবে।
দেখবো কোটি কোটি টাকা উড়ছে আকাশে। যুদ্ধ বিমান উড়ছে। কথা উড়ছে। উড়ছে প্রেম আশা। ভালোবাসা। + কর্মসংস্থান উড়ছে। আবেগ উড়ছে। ফসল উড়ে যাচ্ছে। ভায়ে ভায়ে চিতপটাং খেলার সাথে সেই অনেক টা, চিড়িয়া উড়। ছলছলাইয়া মাঝি রে তোর...

কারা যেন নিয়ম করে বড় বড় সব অনুষ্ঠান, মিটিং উদ্বোধনের এর মাধ্যমে, নিজের কাজ নিয়ম করেই করে যাচ্ছেন। যা দেখে আমার শেখা উচিত।

অথচ আমাকে দেখ, বালিশ টাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে, শরীর হেলিয়ে সেই এক ভাবনায় ডুবে। বুঝতে পারছি না এটা কেন হচ্ছে?

এর মানে কী নাগরিক হিসেবে, ওনার থেকে আমার আবেগ বেশী? হবে হয়ত বা। ভালোবাসা প্রেম রোগ লেগেছিল আমারো।
আবার না হবার চান্স টাই বেশী। দিনকাল এটাই বলছে, অন্তত।

 কিন্তু এই আবেগ টা মিসিউস হচ্ছে নাতো? ভয় হচ্ছে, আমার মত কোটি কোটি নাগরিকের আবেগ নিয়ে দাবা খেলা চলছে, নাতো? চলছে হয়তো। 

 ১. শুধু কাশ্মীরেই? সৈন্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, তাইতো?

২. ভোট বৈতরণী পার লাগাদে, তাই নরসংহার হতেই হবে, এ আমার দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য। তাইতো?

৩. বলছেন কী, আরো বাকী? দূর, বলছি কোথায়?

(কেউ তো আর প্রতিশ্রুতি দ্যায় নি যে আর হবে না)

৪. এযে "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য।" কথা টা শুধু দেশের নাগরিক দের জন্য। ভিন্ন সেই রাজনীতিক দের জন্য। (বিদুষকঃ পেছন থেকে, অকর্মন্য অকর্মন্য) কী তাইতো?  তাহলে জোর সে বোলো।

৫. সুরক্ষা বলয়ের রকমারি x,y,z ক্যাটাগরি। দেশের নাগরিক দের কোন ক্যাটাগরি দেওয়া হয়? কী জানেন না?

৬. উম, আমি জানি, আপনি, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং, ৭১ কে কাশ্মীরের সংগে এখন মিলিয়ে দেখছেন। কী? ভারি মজা না?

৭. নাঃ কাউকে খুশী করা নয়। ভয় টাও তামাদি, তাচ্চে ভারতে কিন্তু লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে অধিকারের রাস্তায় গেলে, পৃথিবীর কেউ বাধা দেবার নেই। এত গুলো বছর তো আর কম সময় নয়? কী বন্ধু?

৮. যদিও আজো আমেরিকান সৈন্য অাবগানিস্থানে, মনে হয় ওরাও ওখানের ইস্যু মেটাতে পারেনি। যেমন টা ইস্রায়েলে চলছে।

৯. ক্ষমতা, ধর্ম আর সন্ত্রাস এই এক যায়গায় এসে দাঁড়িয়ে। এখানেও কী একটু অক্সিজেন জরূরী নয়?

১০. কিন্তু মরমিয়া বিশ্বাস টার কী করি বলুন। ভরসা টা তবু যেন ছেড়ে যেতে গিয়েও যাচ্ছে না।

এ লেখার শেষে মনে হল, কই আমাকে ত বাংলাদেশী ব্লগার মনে হচ্ছে না।

ছবি টা ফোরসিজন ওয়াইনের। খুব বেশী দাম ছিল না কিন্তু। হরেক রকমের ড্রিংক্স। ব্রিটিশ কোম্পানি দিয়গোর (স্মর্ণঅফ, জনি ওয়াকার) হাত ধরে এই উৎপাদন ইউবি গ্রুপ ভালোই শুরু করে ছিল।
এখানে লোকাল ব্যবসায়ী রাও আশা করেছিল, হয়ত রাজ্যে এর কারখানাটাও হবে। পুনে তে উৎপাদন টাও শুরু হল। কিন্তু কোথা থেকে কি যে হয়ে গেল।
দিয়েগো কোম্পানি টাই এখন চিনের হাতে। ওখানের এক কোম্পানী মন যা চায়ের হাতে ( মনতাই)। আর ইউবি গ্রুপের এত বড় রাজ্য পাট ও প্রায় অস্তমিত।
জাদুর আদি উৎস অনেক প্রাচীন। আদি নাম ইন্দ্রজাল। শব্দটি এসেছে স্বর্গের দেবতা ইন্দ্র থেকে। তিনি অসুর দমনের জন্য মায়ার জাল বিস্তার করতেন। এই মায়াবিদ্যাকেই সেকালে ইন্দ্রজাল, কুহক, সম্মোহন, মোহিনীবিদ্যা, সংবদন, হস্তলাঘব কলা, কার্মণ্য যতু (জাদু) ইত্যাদি বলা হতো। ইংরেজির ম্যাজিক, হিপনোটিজম এবং মেসমেরিজমও একই ব্যাপার। তবে আজ জাদু বিদ্যা একটি উচ্চাঙ্গের শিল্পকলা ও জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যম।
বাংলাদেশেও জাদুবিদ্যার ইতিহাস অতি প্রাচীন। সেই তখন থেকে আজ পর্যন্ত জাদুর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যে কজন সেরা জাদুকরের নাম করা যাবে, তাদের মধ্যে যিনি সর্বশীর্ষে, তার নাম জাদুসম্রাট প্রতুলচন্দ্র সরকার, যিনি বিশ্বের কোটি কোটি জাদুপ্রিয় মানুষের কাছে পি. সি. সরকার নামেই সমধিক পরিচিত। জাদুর ইতিহাস যিনি এক কিংবদন্তি পুরুষ।
সারাবিশ্বে শুধু জাদুর খেলা দেখিয়েই তিনি গোটা বাঙালি জাতির জন্য কুড়িয়ে এনেছেন অনেক সুনাম আর গৌরব। শুধু বাংলাদেশ বা ভারত উপমহাদেশ নয়, পৃথিবীরও বোধ হয় এমন দেশ নেই, যেখানকার শিক্ষিত মানুষেরা জাদুকর পি. সি. সরকারের নাম জানেন না।
কৃতিপুরুষ পি. সি. সরকারে জš§ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার আশেকপুর গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯১৩ সালে। বাবার নাম ভগবানচন্দ্র সরকার এবং মায়ের নাম কুসুমকাহিনী দেবী।
প্রতুল ছিলেন বাবা মায়ের বড় ছেলে। তারা ছিলেন দুই ভাই। তার আরেক ভাই অতুল সরকারও পরে জাদুবিদ্যায় সুনাম অর্জন করছিলেন।
টাঙ্গইলের শিবনাথ হাইস্কুলে শুরু হয় তার শিক্ষাজীবন। বাল্যকাল থেকেই জাদুখেলার প্রতি নেশা ছিল প্রতুলের। তাদের পরিবারে আগে থেকেই অনেক জাদুখেলা দেখাতেন। সেই বংশগত ঐতিহ্যই তার ওপর বেশী প্রভাব ফেলেছিল।
তিনি যখন সপ্তম/অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র, তখন থেকে মজার মজার জাদুর খেলা দেখিয়ে সবাইকে অবাক করে দিতেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি পাঠ্যপুস্তুকের পাশাপাশি জাদুর বইও পড়তে শুরু করেন। স্কুলের লাইব্রেরিতে জাদু শেখার ওপর যত বই ছিল, সব পড়ে শেষ করেন প্রতুল।
প্রথম শ্রেণীতে ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি এসে ভর্তি হন করটিয়া সাদত কলেজে। তখন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন বিখ্যাত লেখক ও শিক্ষাবিদ ইব্রাহিম খাঁ।
কলেজে এসেও চলল জাদুর ওপর পড়াশোনা আর ম্যাজিকের চর্চা। সারা কলেজে তখন তার প্রচুর নাম ডাক। চায়ের দোকানে, খেলার মাঠে সকলের মুখে মুখে প্রতুলের অদ্ভুত জাদুর খেলার প্রশংসা।
এমন সময় একদিন সাদত কলেজ পরিদর্শন করতে এলেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সপেক্টর ড. হরেন মুখার্জি এবং তার সঙ্গে এলেন কোলকাতার আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মি. হার্লে। তাদের আগমন উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়, প্রতুলের জাদু প্রদর্শনীর। প্রতুল অনুষ্ঠানে এমন সব চমৎকার জাদুখেলা দেখালেন যে, তারা দুজনেই খুবই মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
কলেজে এসেই তিনি নিজের নাম একটু পরিবর্তন করে রেখেছিলেন পি. সি. সোরকার। সোরকার একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ জাদুকর। তিনি নিজের পদবি সরকার বাদ দিয়ে সোরকার করেছিলেন বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ব্যাপক প্রচার লাভের জন্য। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই পি. সি সোরকার নামই ছিল তার। তারার যখন বিশ্বব্যাপী খ্যাতিন হয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন, তখন ফিরে গিয়েছিলেন নিজের পদবিতে পি. সি. সরকার। এখনো তিনি এই নামেই পরিচিত।
তিনি ১৯২৯ সালে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাশ করেন এবং করটিয়া সাদত কলেজে ভর্তি হন।
করটিয়া কলেজে পড়ার সময়ে তিনি হিপ্লোটিজম নামে একটি বইও লিখেছিলেন। তখনকার করটিয়া কলেজ ছিল ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত। তাই ১৯৩১ সালে আইএ পাস করে ডিগ্রী পড়ার জন্য তিনি ভর্তি হন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে এসে। এই কলেজ থেকে তিনি অংকে অনার্স নিয়ে বিএ পরীক্ষা দেন।
আনন্দমোহন কলেজে পড়ার সময় তিনি ম্যাজিক শিক্ষা নামে আরও একটি বই লেখেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি জাশুকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে তার নাম ডাক এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি হলে অথবা কোথাও ম্যাজিক দেখাচ্ছেন শুনলেই দেখতে দেখতে প্রচুর দর্শক জড়ো হয়ে যেত।
১৯৩৭ সালে ২৪ বছর বয়সে তিনি সর্বপ্রথম জাপানে যান। সেখানে তিনি জাদুর খেলা দেখিয়ে প্রচুর সুনাম ও অর্থ উপার্জন করেন।
জাদুকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার পর তিনি চলে যান বড় শহরের বৃহত্তর ক্ষেত্রে। কারণ গ্রামে পড়ে থাকলে তার পসার জমবে না। তাই তিনি কোলকাতায় পাড়ি জমান। প্রথমে ওঠেন তিনি ভাড়া বাড়িতে। পরে নিজেই বাড়ি করেন কোলকাতার বালিগঞ্জে।
অল্পদিনের মধ্যেই কোলকাতা শহরে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি নিয়মিত জাদুর অনুষ্ঠান করতে লাগলেন, আর সেই সঙ্গে পত্রপত্রিকাতেও শুরু করলেন জাদু বিষয়ে লেখালেখি। দুদিকেই তার খ্যাতি বাড়তে লাগল।
তার জাদু নিয়ে মাঝে মধ্যে মজার মজার সব কাণ্ডও ঘটত। একবার খুবই মজার একটা কাণ্ড হয়েছিল অবিভক্ত বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হকের সময়ে। মন্ত্রিসভার এক নৈশ ভোজসভায় আয়োজন করা হয়েছিল পি. সি. সরকারের জাদুখেলার। এই অনুষ্ঠানে পি. সি. সরকার যে জাদুটি দেখিয়েছিলেন, তার শিরোনাম ছিল বাংলার মন্ত্রিমণ্ডীর পদত্যাগ।
খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কোলকাতার ইম্পেরিয়াল রেষ্টুরেন্টে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হকের হাতে এক টুকরো সাদা কাগজ দিয়ে কিছু লিখতে বললেন।
হক সাহেব তার কথা মতো কিছু লিখেলেন। তারপর তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা সেই লেখার নিচে স্বাক্ষর করলেন। এবং স্বাক্ষরিত পত্রটি তিনি পড়তে দিলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশ কমিশনার মি. কলসনের হাতে। তিনি পড়তে লাগলেন: আমরা সর্বসম্মতিক্রমে সকলে এই মুহূর্তে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করিলাম এবং আজ হইতে জাদুকর পি. সি. সরকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রি হইলেন।
সবাই বিস্ময়ে হতবাক। শেরে বাংলা অবাক হয়ে বললেন যে তিনি তো এমন কোন কথাই কাগজে লেখেনি। মন্ত্রিরাও বললেন তারাও যে কাগজে সই করেছেন, তাতে এমন কোন কথা ছিল না। তাহলে এমন হলো কেমন করে। এ রকমই ছিল পি. সি. সরকারের খেলা। এটা ছিল ফোর্স রাইটিং (ঋড়ৎপব ৎিরঃরহম) এর জাদু।
পরের দিনের পত্রপত্রিকায় এই রসিকতাপুর্ণ উচ্চমানের জাদুখেলার খবরটি চাপা হয়েছিল বেশ ফলাও করে।
১৯৩৭ সাল। ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রাম তখন তুঙ্গে। এই সংগ্রামের পুর্ণ সহযোগিতা করেছিলেন পি. সি. সরকার নিজেও। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নায়ক রাজবিহারী বসু তখন জাপানে। সেখানেই তিনি ডেকে পাঠালেন পি. সি. সরকারকে। সেই ডাকে তৎক্ষণাৎ সাড়া দিয়ে পি. সি. সরকারও রওনা হয়ে যান জাপানের পথে। কিন্তু বার্মায় এসেই তার খেলার যাবতীয় সরঞ্জাম চুরি হয়ে গেল। কিন্তু তিনি দমলেন না। খালি হাতেই গিয়ে পৌছালেন রাসবিহারী বসুর ওখানে।
এরপর খালি হাতেই তিনি খেলা দেখাতে শুরু করলেন। বলতে গেলে জাপানের মানুষ যেন পাগল হয়ে গেল তার খেলা দখার জন্য। যেখানেই তিনি যান, সেখানেই হাজার হাজার লোকের ভিড়। ফলে টিকিট বিক্রি থেকে প্রচুর টাকা আসতে লাগল হাতে। এইভাবে অর্জিত সব টাকাই তিনি দান করে ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্বার্থে।
এইভাবে জাদুর খেলা দেখিয়ে তিনি ঘুরে বেড়ালেন সারা ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া এবং জাপান থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় সকল দেশ। বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই, যেখানে তার জাদুর খেলা প্রদর্শিত হয়নি এবং যেখানেই গেছেন তিনি সেখানেই পেয়েছেন প্রাণঢালা সংবর্ধনা। তার নাম শুনলেনই হাজার হাজার লোক এসে ভেঙে পড়েছে হলে।
তিনি লাভ করেছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। স্টেজ ম্যাজিকের জন্য আমেরিকার জাদুবিদ্যার নোবেল প্রাইজ বলে খ্যাত স্ফিংস পুরস্কার পেয়েছেন যেমন তিন। তেমনি পেয়েছেন জাদুকরদের সবচেয়ে বড় জার্মান পুরস্কার সোনার লরেল মাল্য। হল্যাণ্ড থেকে দুবার পেয়েছেন ট্রিকস্ পুরস্কার।
এছাড়া ইংল্যাণ্ডের বিবিসি টেলিভিশন, অস্ট্রেলিয়া টেলিভিশন, শিকাগোর ডব্লিউ জি এ টেলিভিশনে বহুবার তার জাদুখেলা প্রদর্শিত হয়েছে।
তার জাদুখেলার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মায়ানমারের (বার্মা) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকিন নু তাকে অভিহিত করেছিলেন এশিয়ার গৌরব বলে।
১৯৬৪ সালে ভারত সরকার তাকে সম্মানসূচক পদ্মশ্রী উপাধি প্রদান করে। রাশিয়ার জাদুকররা তাকে মেনে নিয়েছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাদুকর বলে।
তিনি ছিলেন ফ্রান্স, ইংল্যাণ্ড, জার্মানী, বেলজিয়াম এবং জাপানে ম্যাজিশিয়ান সমিতির অন্যতম সদস্য। আমেরিকার আর্ন্তজাতিক জাদুকর ভ্রাতৃ সংস্থার কোলকাতা শাখার নামকরণ হয়েছে তারই নামে। এছাড়া তিনি দেশে যে কত সরকারি বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই।
১৯৫৭ সালে পি. সি. সরকার লন্ডনের বিবিসি টেলিভিশনে করাত দিয়ে এক তরুণীকে কেটে দু টুকরো করে দেখিয়ে ছিলেন। এতে বহু টেলিভিশন দর্শক অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরের দিন লণ্ডনের বড় বড় পত্রিকা এই লোমহর্ষক ও বিস্ময়কর খেলার খবরের সচিত্র বিবরণ প্রকাশ করে।
এই বিস্মরকর খেলা দেখানোর পরপরই ১৯৫৭ সালের ২২ মে পি. সি. সরকারকে আমেরিকা টিভি কোম্পানিগুলো বিশেষ বিমানে করে নিয়ে যায় তাদের দেশে।
১৯৬৭ সালে তিনি আবার আমেরিকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ লাভ করেন।
এই সময় তিনি আর্ন্তজাতিক রোটারি ক্লাবের সদস্য এবং বিলেতের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন ফেলো নির্বাচিত হন।
জাদুবিদ্যার ওপর তিনি অনেকগুলো বইও লিখেছেন। ১৯৬৮ সাল নাগাদ ইংরেজি, বাংলা, ও হিন্দি ভাষা মিলিয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা মোট ২০টি।
জাদুসম্রাট পি. সি. সরকারের পারিবারিক জীবন ছিল অত্যন্ত সুশৃংখল ও শান্তিময়। ১৯৩৮ সালে তিনি টাঙ্গাইলের নামি চিকিৎসক প্রমথনাথ গুহ মজুমদারের প্রথম কন্যা বাসন্তী দেবীকে বিয়ে করেন। বাসন্তী দেবী ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। পি. সি. সরকার যখন তার জাদুর খেলা নিয়ে মগ্ন থাকতেন ঘরের বাইরে কিংবা বিদেশে তখন লক্ষ¥ীর মতো সংসার সামাল দিতেন তার স্ত্রী বাসন্তী দেবী।
পি. সি. সরকারের দুই মেয়ে এবং তিন ছেলে। বড় ছেলে প্রফুল্লচন্দ্র সরকার ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। মেজছেলে অ্যাপ্লাইড সাইকোলজিতে মাষ্টারস করে বর্তমানে পিতার পেশায় নিয়োজত। তিনি বর্তমানে জুনিয়র পি. সি. সরকার নামে খ্যাত। ছোট ছেলে কমার্শিয়াল পাইলট।
পি. সি. সরকারের বেশ কয়েকটি বাড়ি আছে। বালিগঞ্জে দুটো। রাসবিহারী অ্যাভেনিউতেও আছে বিশাল একটি বাড়ি। নাম ইন্দ্রজাল। ফার্ন রোর্ডে আছে আরেকটি বড় বাড়ি। নাম জাদুমহল। আর বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের বাড়ির নাম ছিল জাদুভবন।
তার জাদুবিদ্যা নিয়ে রঙিন চলচ্চিত্রও তৈরি হযেছে। হিস মাষ্টারস ভয়েস বের করেছে একটি লংপ্লেয়িং রেকর্ড। তার সম্পর্কে দেশে ও বিদেশে বই বের হয়েছে ২০টির মতো। জাদু সম্রাট তার স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন : আগামী ১৯৭০ সালে ওসাকাতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বমেলা। এশিয়াতে আজ পর্যন্ত বিশ্বমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এই সর্বপ্রথম হবে। আমরা ইতিমধ্যে ইন্দ্রজাল প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছি অর্থাৎ দশমবার জাপাান আসার ব্যবস্থা হয়েই রয়েছে। আবার কত কি নতুন দেখাব। আবার জাপান কি রূপে দেখা দেবে কে জানে।
আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি দলবল নিয়ে জাপানে এলেন। কিন্তু তার আর ফিরে যাওয়া হলো না। এই জাপানেই ১৯৭১ সালের ৬ জানুয়ারি তাবেৎসু (সাপোরো) শহরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগকরেন।
জাদুসম্রাট পি. সি. সরকারের একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি জাদু দেখানোর সময় পরিধান করতেন ভারতীয় রাজা মহারাজাদের পোশাক। দর্শকদের মধ্যে চমক সৃষ্টি করার জন্যই তিনি এমনটা করতেন।
তার এই রাজকীয় পোশাক নিয়ে একবার এক মজার কাণ্ডও ঘটেছিল। জনৈক ব্রিটিশ জাদুকর তাকে ইচ্ছেকৃতভাবে অপমান করার জন্য বলেছিলেন Why you wear Princely costume? You are not of Royal birth.
পি. সি. সরকার মৃদু হেসে বলেছিলেন : Am I not the Prince of Magic?
কিন্তু বিশ্ববাসী স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি শুধু জাদুর রাজপুত্র নন, ছিলেন জাদুর সম্রাট। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সম্রাট। যাদুকর

http://www.samirmagicshop.com/যাদু-সম্রাট-পিসি-সরকারর-জ/
ছবি ও সুত্র নানা সাইট থেকে নেওয়া, কোন কমার্শিয়াল উদ্দেশ্য নয়, এক লপ্তে পাঠক যদি এই শিল্পীর সম্বন্ধে কিছু সামান্য জানতে চান, সেটাই উদ্দেশ্য।







































রাস্তাগলি খানাখন্দ পেরিয়ে, জুই ফুলের সুবাসে মন যখন আনচান করে। উপোরে তাকিয়ে দেখি ,  সজনে ফুলে গাছ ভরে আছে। অতৃপ্তি কিছুতেই কমে না। এদের মুসুরির ডালে বেটে মুচমুচে করে ভেজে দিতে যারা পারে, তারা যে কি নিষ্ঠুর!  যাই হোক এলোপাথাড়ি নানা কাজ অকাজের ভাবনা শেষে, ক্লান্ত হওয়া টা যেন, পরাজয় স্বীকার করে নেবার মত।

তবু ফুরোতেই হয়। 

তারপর সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত ঘনায়। আকাশ বাতাস বুঝি ঘুম ঘুম নিঃঝুম। 
তারপরই হঠাৎ যেন দুরন্ত
 শিশুর মত আকাশ বেজে ওঠে। দপ করে জ্বলে ওঠে প্রদীপ আবার। 
এ যেন, 

গরজে দমকে হেরিছে কাহাকে?
টনক তবু না নড়িছে!
ফাঁদ পাতা এ বিশ্ব ভুবনে, 
পুষ্প কেন ফুটিছে?

তিতিরের ন্যায় ধুম্র বাদল, 
তুলিয়া নিয়া ছিড়িয়া শিকল,
বারি হয়ে কেন ঝরিছে?

বারে বারে সেই প্রত্যাঘাতে,  
পারি যেন লেখা,প্রকৃতির ক্ষাতে 
হাতে নেই কো আর,  ভালো মন্দ,
এটাই আত্মপ্রকাশ নাকী বলাকার ছন্দ?

বলতে পারো? 

শীত শেষে, গরম যখন দাপট দেখাতে শুরু করবে বলে ঠিক করেছে। ঠিক তখনি, কড়কড় কড়াৎ। মোচকায় তবু ভাঙে না। পালটায় তবু পটে না। দিন যায়, তবু থামে না। 
তবু যেন ক্ষনিকের হলেও আশা ভরসা জাগিয়েই দিতে চায়। এ যে কী আশ্চর্যকথা, কি ভয়ংকর। এই বৃষ্টি তেও  আমি রাজনীতির গন্ধ পাই। 

কল্পনা করছি, এ আঁধারে বাংলার অবয়বে, তুলতুলে কোন এক জলের ফোঁটা ধান ক্ষেতে রোপন করা নতুন কচি ডগা পাতায় চু্ঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে। পাশে ব্যাঙে দের গ্যাঙর গ্যাং চিল চিৎকার টা গ্যাছে যেন কোথায় ফুরিয়ে। গতকাল এদের শোনা গেছিল, অতটা তবজ্জু দিই নি। আজ মশাই নিজেই হতবাক।
এগুলো যখন লিখছি বায়রে, আকাশের ঝল্মলানি সহ   তিব্র বৃষ্টি পাতে, 

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই