West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Tuesday, July 30, 2019

শিকারের গল্পে স্মাইলিং বুদ্ধঃ

দেশে যখন শান্তি। রাজারা শিকার উৎসবে যেতেন। যাদের প্রত্যন্ত গ্রামে বাস, এমনিতেই মেরে খেয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই কাটাতে হত। ওদের কাছে এটা উৎসব না, বলাই বাহুল্য।
সুন্দরবনের কাছে, নিকোবর আইল্যান্ডে, কানহা জঙ্গলের আশে পাশে ওদের জীবনশৈলী, অবাক করে।
 অযোধ্যার পাহাড় থেকে মশাল হাতে হে হে রে রে তেড়ে জঙ্গলে ছুটে যাওয়া।
শিকার উৎসব মানেই একটা রগরগে অভিঙ্গতা। সঙ্গী সাথি নিয়ে জঙ্গল পাহাড়ের গায়ে, রাতে লুকিয়ে চাঁদের দর্শন। উবু হয়ে বা গাছের গায়ে ঘরে থাকা রোমাঞ্চকর। 
নিচে বাধা কচি ছাগ, বা গাছ থেকে হড়কে পড়ে যাওয়া, বা অন্ধকারে কয়েক শো মানুষের পাহাড় থেকে শিলাজিৎ সংগ্রহ করা। ব্রিটিশ অফিসার বলছেন, ভোরের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। কাম অন।
ওইতো, কুমায়ুনে, থাবার ঘায়ে কুয়ার সিং এর পেট ফেড়ে গ্যাছে। করবেট সাহেব বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে, ওতে ঘাস ফুস ভরে লোকাল দাতব্য চিকিৎসালয়ে পাঠাবার ব্যাবস্থা করলেন। চাশ্শো গ্রামবাসীর প্রাণ অলরেডি ইন দ্য ভোগ অফ দ্যাট শ্বাপদ।
যাই হোক স্বাধীনতার পরেও দশ বছর অব্দি, লোকে বিশ্বাস করতো। বাঘ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এটা প্রাণ হরণ করে। গৃহপালিত কে নষ্ট করে। যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করে। রোগ বাধায়। বা ঈশ্বরের অভিষাপ এ বাঘ।  সুতরাং এ আপদ কে যত তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে বিদেয় করা যায়, ততই মঙ্গল। যে যত বেশি বাঘ মেরেছে, তার গলায় তত বেশি মেডেল। উপাধির বন্যা বয়েছে।

তবু সময় পালটায়। জীবনচক্র সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়। বাঘের সংখ্যা বাড়াতে আনন্দ হয়, আবার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে দেখে দুঃক্ষ। অদ্ভুত বিড়ম্বনা।  আর মাত্র দুটি বছর। ২০২১। একে  আদমসুমারীর প্রস্তুতি বলা যেতে পারে? অনেক নতুন তথ্য এসে যে চমকে দেবে, আমি নিশ্চিত।
বাদ দিন।
তাচ্চে আসুন এখানেই চমকে উঠি।

মিস্টার স্মিথ বাঘের খোঁজে ঢুকে পড়েছেন গভীর জঙ্গলে। আরো গভীরে। মাঝে চোরা ক্ষীনস্রোতা নদী জঙ্গল কেটে কেটে এগিয়ে ম্যাড্রাস রেজিমেন্টের সঙ্গীরা ক্লান্ত। অনেকের শরীরে বইছে ব্রিটিশ রক্ত। হাল ছাড়বে কি! দুপুর গড়িয়ে বিকেল। তোয়াক্কা করে না, গায়ে চোরকাঁটা বিঁধে রক্ত গড়ায়।
অবাক হাল্কা চিৎকারঃ "কাম অন, লুক অ্যাট দ্যাট।"
প্রথমে মনে হয়েছিল, ছোট গুফা টুফা হবে। একটু এগোতেই দেখতে পায়। ততক্ষণে সঙ্গী সাথীরা মশাল তৈরি করে ন্যায়। মিস্টার স্মিথও এবার চড়া বার্মিস চুড়ুট জ্বালায়।
সামনে নিখুত অর্ধচন্দ্রাকার কাটিং এ গুহার ভেতরে প্রবেশ। ভেতরে গম্বুজ। মশালের আলোয় জ্বলজ্বল করে লাল নিল সবুজ মিলে মিশে অদ্ভুত দৃশ্যপট। অজানা কোন গভীর গল্প যেন লুকিয়ে। আশে পাশে ধ্যান গম্ভীর শান্তি মুখের সারি।
ওরা ফিরে আসে।
আবিষ্কার হল 'অজন্তা।'  সাল টা ছিল। ১৮১৯। মানে আজ থেকে ঠিক দুশো বছর। বিদ্যাসাগরের জন্ম হবে ১৮২০। আরো কি কি সব আশে পাশে ঘটে যাবে।
ম্যাড্রাস রেজিমেন্ট থেকে খবর পৌঁছায় এসিয়াটিক সোসাইটি তে। ব্রিটিশ য্যামন ফুর্তি করতে পারে, লড়তে পারে, তেমনি কোন জিনিশের কি মূল্য, তা নিরুপণ না করে হাল ছাড়তে চায় না।

একটু কাজ এগোয়। আবার হারিয়ে যায় ১০০ বছর।
আসে ১৯১৯। জেনারেল ডায়ারের চলে ধাই ধাই ধাই। কবিগুরু নাইটহুড ত্যাগ করেন
ওদিকে হায়দ্রাবাদের নিজাম এবার লোক পাঠায়। যাও, দ্যাখো যদি, কিছু ঠিক ঠাক যত্ন নেওয়া যায়। ওরাও কিছু টা মূল্যবান ছবি গুলো কে ভালো করার বদলে, নষ্ট করেই আসে।
তারপর তো অনেক ইতিহাস। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যের মধ্যে অজন্তা অন্যতম। তাজমহলের পরেই এর স্থান। ভাবায় যে, হাজার বছরের ও আগে এখানে এত সুন্দর শিল্পীর বাস ছিল। যারা গল্পের মত সে সময়ের ইতিহাস তুলে ধরে রেখেছে। যা আজো রয়ে গ্যাছে। কালের সময়ে নষ্ট হয়ে যায় নি। জাতকের কত গল্প আজো অমলীন। শুনে শুনে মনে গড়ে তৈরি সে গল্প আজ মিথ হয়ে মন কে নাড়া দিয়েই চলে।
কিন্তু ভগবান রূপে বুদ্ধের হাতে প্রস্ফুটিত পদ্ম কিসের ঈশারা করে?

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই