West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Wednesday, April 24, 2019

৩৩ কোটি ভগবানের দেশে আজ ১৩৩ কোটি ভারতীয়। চমকে উঠি আরো যখন দেখি, আমেরিকা তেও জনসংখ্যা আজ ৩৩ কোটি।

Tuesday, April 23, 2019

স্বাধীন দেশ। আমরা স্বাধীন মানুষ। রেঁধে বেড়ে খাবো। ভোট আসলে ভোট দেব। ব্যাস, ফুরিয়ে গেল।
কিন্তু সেটি হতে দিলে তো?
ভোট আসলেই জ্ঞানের নাড়ি টনটনিয়ে ওঠে।
তাই, সবার আগে জমি চাই। মানে কচি কচি মাথা। গাট্টা মারলেই টকটক আওয়াজ হবে। সেই খালি জমি তে কর্ষন হবে।  হয়ে সব হিরে জহরত বেরোবে। তাই সবার আগে,  তিলে তিলে বোধ বুদ্ধি ঘিলু টাকে নিয়ম করে পিটিয়ে পিটিয়ে ছাতু কর। যাতে নতুন কিছু না ঢুকতে পারে। আর যা ঢোকাবো আমি ঢোকাবো। খারাপ গুলো আগে ঢোকাবো। মন গুলো কে সন্তপর্ণে এমন ভাবে বিষিয়ে তুলবো, যে বিরুদ্ধ মত, বা এর বিরুদ্ধ মানুষ দেখলে, শুনলেই যেন, ঘৃনা দলা হয়ে মনে যেন প্রতিহিংসার ভাব জেগে ওঠে।
ব্যাস বারুদ তৈরি।  তারপর ওতে কেরোসিন দিয়ে, জাস্ট একটা মাচিস।
তবে প্রথমে যেটা করতে হয়। চার ফেলতে হবে। পুকুরে যে ধরণের মাছ থাকে। চার ও তাই তফাৎ ভেদে ভিন্ন হবে।
আতাল, বেতাল, খোল করতাল, আগা পাসতলা খড় ভুষি টাইপ আকাট মার্কা কথা দিয়ে ভরিয়ে দাও। টেনে আনো স্বাধীনতার ভূত ভবিষ্যৎ। আর ছেড়ে দাও এই নিওলাইট দুনিয়ায়। তারপর রঙ্গ দেখো।
মানে, কে কত গাল দিল। কে কত টা গিলে, কথা বলছে। কার ট্যাঁকে কত দম। বা কে বেশি চেল্লালো। আর সেগুলোয় যখন কমেন্ট, লাইক, হাসি বিলোতে থাকে, তখন অলক্ষ্যে কারা যেন হাই ফাইভ দ্যায়।
এ বলে বাম্ফ্রন্ট ভালো, ও বলে কংগ্রেস, এ বলে বিজেপি, তো ও বলে তৃণমূল, এ বলে এসিউসিঅাই তো আরেক জন আরএস. পি।
সবাই ভালো। সব দল ভালো। ভীষন ভালো। আর এই এত এত ভালোর মধ্যে আসল আলো কিন্তু আপনি। বাকি টা অন্ধকার।
আরেক টা কথা হল, কোন সরকার কত খারাপ, কত ভালো। সেটা যাচাই করার যোগ্যতা আজো আমার হয় নি। এর জন্যে প্রচুর পড়াশোনা লাগে। কিন্তু সাদা চোখে যা দেখি, যা শুনি, বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। এটুকুই। কিন্তু কিছু পরেই এমন কিছু শুনি দেখি যা ওই ভালো লাগাটায় বিষ মিশিয়ে দ্যায়। মনে খারাপ লাগে।
মাঝখানে কিন্তু এই ভূলে ভরা কথা, কোটি টাকার শ্রাদ্ধ্ব টা মিথ্যে হয়ে যায় না। মিথ্যে হয়ে যায় না, টাকা গুলো ভারত সরকারের ছাপানো। মিথ্যে হয়ে যায় না, এঁচোড়, কচুর লতি, মুরগির দামের ওঠা পড়ায়। মিথ্যে হয়ে যায় না, এই শোয়াশ কোটির দেশে কজন তা কেনে? মিথ্যে হয়ে যায় না, নিম্ন মধ্যবিত্তই তো প্রায় হাফের উপর।
তারপর আজ একজন বলছেন,
স্কুলে ভর্তি হয় ১০ লক্ষ। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের আগেই তা দাঁড়ায় ২ লক্ষ। তারমানে ড্রপ আউট ৮ লক্ষ। এরাই মাটি কাটে, দিন মজুর বা টিপ বানায় বা রাখি তৈরি করে। এরপর এদের কাছে ওরা আসে। স্বপ্ন দেখায়। মানে সোজা কথায় বিন্দাস এক্সপ্লয়টেশন। চলুক।
চলুক না, কন্ট্রাডিকশন, মন্দ তো লাগছে না।
আগ্রম বাগ্রম বোম্বে বো, আসসি নব্বে পুরে স।
আমি শুধু আজকে, গুগলে সার্চ করলাম। দেশের বীর দিয়ে, পেলাম মাত্র সামাণ্য এই ক'টা ছবি। বড় করে দেখলে, কে বলতে পারে, আপনার পছন্দে মিলে যেতেই পারে। তাই ভরসা রাখুন। ভরসা করা জরুরী। বিশ্বাস করাটাও একটা পবিত্র দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

যযৎকিঞ্চিতঃ

যদি রক্তের লাল কে বিশ্বাস কর তাহলে তুমি বামপন্থী। যদি সাম্যের দাবী আদায়ের পথে থাকো, নিরলস, অবিচল, তাহলে তুমি বামপন্থী। যদি  অন্ধবিশ্বাসের বিরুধ্বে রুখে দাঁড়াও তাহলে তুমি বামপন্থী। তুমিই সেই ভারত দেশের মুকুটে লাল পালক।
যদি দেশের ইতিহাসে আস্থা রাখো, তাহলে তুমি কংগ্রেসী। যদি দেশের স্বাধীনতা কে বিশ্বাস কর, তাহলে তুমি কংগ্রেসী। যদি গান্ধী নেতাজী প্যাটেলের পথে চলে থাকো, তাহলে তুমি কংগ্রেসী। জয় জওয়ান জয় কিষান, এই জয়ধ্বজের পতাকা যদি কাঁধে নিয়ে থাকো। তাহলে তুমি কংগ্রেসী।

আর সত্য ধর্মের ন্যায় প্রতিষ্ঠা যদি চেয়ে থাকো। তুমি বিজেপি। যদি সনাতনের আচার মেনে চলে থাকো, তুমি বিজেপি। যদি, ডিসিপ্লিন আর একাত্মবাদে নিষ্ঠা রেখে থাকো, তাহলে তুমি বিজেপি। যদি দেশ কে যারা শুষে নিয়েছে মানে, যে জাতি, তা ইংরেজ, মুঘল,  সুলতান আর বাকি যারা  সব তোমার  শত্রু হয়ে থাকে। তাহলে তুমি বিজেপি।

কিন্তু যদি বিশ্বাস করে ঠকে গিয়ে থাকো, তাহলে বিশ্বাস রেখো যে,  তুমি তৃণমূল। যদি বিশ্বাস ফের ফিরে পেয়ে থাকো। তাহলেও তুমি তৃণমূল। যদি দেশের কাজে নিজের বিসর্জন চেয়েছো। তালেও তৃণমূল। যদি উঠে দাঁড়ানোর ঘাত প্রতিঘাতে জমি ফিরে পেয়েছো, তুমি তৃণমূল। এতো সামান্য সময়ে, স্বমহিমায়,  তবু বৈচিত্রময়, নিজের প্রতিষ্ঠা অর্জন করে থাকো। তার মানে তৃণমূল।
আরো
রয়েছে এমন অনেক দলের উদাহরণ। কিন্তু উপোরের সব লেখাই দল পরষ্পরে ভীড়ে খুব যায়। প্রশ্ন, গল্প অনেক টাই থাকে যেন সেই না কাহা শুনার কথার মত।

তবু আমি বর্ণময় কেই চেয়েছি বেশি করে। হাসি হাসি সেকুলার মানুষের ভীড়ে কিন্তু  আমি তোমাকেই আমি খুঁজেছি।
যদি তুমি তোমার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো। মানুষ। যদি তুমি ভূল করে থাকো। ভূল কে না করেছে, এ জগতে? তবু পিঠ না ঠেকিয়ে যদি সজ্ঞানে কারো অপকার না করে উপরে উঠে থাকো। তুমি মানুষ। যদি অন্যের দুঃক্ষ তোমায় বিচলিত করে থাকে। আজকালকার দিনে যেটা একটু হলেও নাড়া দিয়ে যায়। তাহলেই মানুষ।
মানুষ অর্থ ব্যাপকভাবে।
কিন্তু যদি তুমি দেশ, কাল, সমাজ, পরিবারের হিত নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকো, তাহলে কিন্তু তুমি একজন সফল নাগরিক। আর নাগরিক হয়ে দেশের পৌরহিত্যে বা পুজো করা মুখের কথা নয়।
স্বাধীন দেশ। আমরা স্বাধীন মানুষ। রেঁধে বেড়ে খাবো। ভোট আসলে ভোট দেব। ব্যাস, ফুরিয়ে গেল।
কিন্তু সেটি হতে দিলে তো?
ভোট আসলেই জ্ঞানের নাড়ি টনটনিয়ে ওঠে।
তাই, সবার আগে জমি চাই। মানে কচি কচি মাথা। গাট্টা মারলেই টকটক আওয়াজ হবে। সেই খালি জমি তে কর্ষন হবে।  হয়ে সব হিরে জহরত বেরোবে। তাই সবার আগে,  তিলে তিলে বোধ বুদ্ধি ঘিলু টাকে নিয়ম করে পিটিয়ে পিটিয়ে ছাতু কর। যাতে নতুন কিছু না ঢুকতে পারে। আর যা ঢোকাবো আমি ঢোকাবো। খারাপ গুলো আগে ঢোকাবো। মন গুলো কে সন্তপর্ণে এমন ভাবে বিষিয়ে তুলবো, যে বিরুদ্ধ মত, বা এর বিরুদ্ধ মানুষ দেখলে, শুনলেই যেন, ঘৃনা দলা হয়ে মনে যেন প্রতিহিংসার ভাব জেগে ওঠে।
ব্যাস বারুদ তৈরি।  তারপর ওতে কেরোসিন দিয়ে, জাস্ট একটা মাচিস।
তবে প্রথমে যেটা করতে হয়। চার ফেলতে হবে। পুকুরে যে ধরণের মাছ থাকে। চার ও তাই তফাৎ ভেদে ভিন্ন হবে।
আতাল, বেতাল, খোল করতাল, আগা পাসতলা খড় ভুষি টাইপ আকাট মার্কা কথা দিয়ে ভরিয়ে দাও। টেনে আনো স্বাধীনতার ভূত ভবিষ্যৎ। আর ছেড়ে দাও এই নিওলাইট দুনিয়ায়। তারপর রঙ্গ দেখো।
মানে, কে কত গাল দিল। কে কত টা গিলে, কথা বলছে। কার ট্যাঁকে কত দম। বা কে বেশি চেল্লালো। আর সেগুলোয় যখন কমেন্ট, লাইক, হাসি বিলোতে থাকে, তখন অলক্ষ্যে কারা যেন হাই ফাইভ দ্যায়।
এ বলে বাম্ফ্রন্ট ভালো, ও বলে কংগ্রেস, এ বলে বিজেপি, তো ও বলে তৃণমূল, এ বলে এসিউসিঅাই তো আরেক জন আরএস. পি।
সবাই ভালো। সব দল ভালো। ভীষন ভালো। আর এই এত এত ভালোর মধ্যে আসল আলো কিন্তু আপনি। বাকি টা অন্ধকার।
আরেক টা কথা হল, কোন সরকার কত খারাপ, কত ভালো। সেটা যাচাই করার যোগ্যতা আজো আমার হয় নি। এর জন্যে প্রচুর পড়াশোনা লাগে। কিন্তু সাদা চোখে যা দেখি, যা শুনি, বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। এটুকুই। কিন্তু কিছু পরেই এমন কিছু শুনি দেখি যা ওই ভালো লাগাটায় বিষ মিশিয়ে দ্যায়। মনে খারাপ লাগে।
মাঝখানে কিন্তু এই ভূলে ভরা কথা, কোটি টাকার শ্রাদ্ধ্ব টা মিথ্যে হয়ে যায় না। মিথ্যে হয়ে যায় না, টাকা গুলো ভারত সরকারের ছাপানো। মিথ্যে হয়ে যায় না, এঁচোড়, কচুর লতি, মুরগির দামের ওঠা পড়ায়। মিথ্যে হয়ে যায় না, এই শোয়াশ কোটির দেশে কজন তা কেনে? মিথ্যে হয়ে যায় না, নিম্ন মধ্যবিত্তই তো প্রায় হাফের উপর।
তারপর আজ একজন বলছেন,
স্কুলে ভর্তি হয় ১০ লক্ষ। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের আগেই তা দাঁড়ায় ২ লক্ষ। তারমানে ড্রপ আউট ৮ লক্ষ। এরাই মাটি কাটে, দিন মজুর বা টিপ বানায় বা রাখি তৈরি করে। এরপর এদের কাছে ওরা আসে। স্বপ্ন দেখায়। মানে সোজা কথায় বিন্দাস এক্সপ্লয়টেশন। চলুক।
চলুক না, কন্ট্রাডিকশন, মন্দ তো লাগছে না।
আগ্রম বাগ্রম বোম্বে বো, আসসি নব্বে পুরে স।
আমি শুধু আজকে, গুগলে সার্চ করলাম। দেশের বীর দিয়ে, পেলাম মাত্র সামাণ্য এই ক'টা ছবি। বড় করে দেখলে, কে বলতে পারে, আপনার পছন্দে মিলে যেতেই পারে। তাই ভরসা রাখুন। ভরসা করা জরুরী। বিশ্বাস করাটাও একটা পবিত্র দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

যযৎকিঞ্চিতঃ

যদি রক্তের লাল কে বিশ্বাস কর তাহলে তুমি বামপন্থী। যদি সাম্যের দাবী আদায়ের পথে থাকো, নিরলস, অবিচল, তাহলে তুমি বামপন্থী। যদি  অন্ধবিশ্বাসের বিরুধ্বে রুখে দাঁড়াও তাহলে তুমি বামপন্থী। তুমিই সেই ভারত দেশের মুকুটে লাল পালক।
যদি দেশের ইতিহাসে আস্থা রাখো, তাহলে তুমি কংগ্রেসী। যদি দেশের স্বাধীনতা কে বিশ্বাস কর, তাহলে তুমি কংগ্রেসী। যদি গান্ধী নেতাজী প্যাটেলের পথে চলে থাকো, তাহলে তুমি কংগ্রেসী। জয় জওয়ান জয় কিষান, এই জয়ধ্বজের পতাকা যদি কাঁধে নিয়ে থাকো। তাহলে তুমি কংগ্রেসী।

আর সত্য ধর্মের ন্যায় প্রতিষ্ঠা যদি চেয়ে থাকো। তুমি বিজেপি। যদি সনাতনের আচার মেনে চলে থাকো, তুমি বিজেপি। যদি, ডিসিপ্লিন আর একাত্মবাদে নিষ্ঠা রেখে থাকো, তাহলে তুমি বিজেপি। যদি দেশ কে যারা শুষে নিয়েছে মানে, যে জাতি, তা ইংরেজ, মুঘল,  সুলতান আর বাকি যারা  সব তোমার  শত্রু হয়ে থাকে। তাহলে তুমি বিজেপি।

কিন্তু যদি বিশ্বাস করে ঠকে গিয়ে থাকো, তাহলে বিশ্বাস রেখো যে,  তুমি তৃণমূল। যদি বিশ্বাস ফের ফিরে পেয়ে থাকো। তাহলেও তুমি তৃণমূল। যদি দেশের কাজে নিজের বিসর্জন চেয়েছো। তালেও তৃণমূল। যদি উঠে দাঁড়ানোর ঘাত প্রতিঘাতে জমি ফিরে পেয়েছো, তুমি তৃণমূল। এতো সামান্য সময়ে, স্বমহিমায়,  তবু বৈচিত্রময়, নিজের প্রতিষ্ঠা অর্জন করে থাকো। তার মানে তৃণমূল।
আরো
রয়েছে এমন অনেক দলের উদাহরণ। কিন্তু উপোরের সব লেখাই দল পরষ্পরে ভীড়ে খুব যায়। প্রশ্ন, গল্প অনেক টাই থাকে যেন সেই না কাহা শুনার কথার মত।

তবু আমি বর্ণময় কেই চেয়েছি বেশি করে। হাসি হাসি সেকুলার মানুষের ভীড়ে কিন্তু  আমি তোমাকেই আমি খুঁজেছি।
যদি তুমি তোমার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো। মানুষ। যদি তুমি ভূল করে থাকো। ভূল কে না করেছে, এ জগতে? তবু পিঠ না ঠেকিয়ে যদি সজ্ঞানে কারো অপকার না করে উপরে উঠে থাকো। তুমি মানুষ। যদি অন্যের দুঃক্ষ তোমায় বিচলিত করে থাকে। আজকালকার দিনে যেটা একটু হলেও নাড়া দিয়ে যায়। তাহলেই মানুষ।
মানুষ অর্থ ব্যাপকভাবে।
কিন্তু যদি তুমি দেশ, কাল, সমাজ, পরিবারের হিত নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকো, তাহলে কিন্তু তুমি একজন সফল নাগরিক। আর নাগরিক হয়ে দেশের পৌরহিত্যে বা পুজো করা মুখের কথা নয়।

Tuesday, April 9, 2019

মনের মত পাগল পেলাম না।

"The lamentable condition of India at present is due to England's culpable neglect of, and gross apathy to, the affairs of that Empire. England has hitherto failed,  grievously  failed - in the discharge of her sacred duties to India."
Acharya Prafulla Chandra Ray.

আমাকে দুটো কথা কড়াঘাত করে, একটা 'lamentable condition' আরেক টা 'Sacred duties.'
তাই হয়তো, এসব ভাবা।

পঞ্চম শ্রেনী থেকে দ্বাদশশ্রেণী। অতি সাধারণ ভারতীয় মানে   ৮০% ছাত্রছাত্রীর মনে বিষয়, অধ্যায়, ভূগোল, বিজ্ঞান কতটা রেখাপাত করে, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ, আশংকা আজও রয়েই গেছে।

আচার, ব্যবহার, কথা বলায় বা আচরণেই তার বহিঃপ্রকাশ।
এক্ষেত্রে যে, শিক্ষক শিক্ষিকা শুধুই একটা অনিষ্টকর বস্তুবাদের দিকে ধাবিত, সেটা কারো কাছে ভাবনার বিষয় নাই বা হতে পারে।

কিন্তু, শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকেই তার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই চলে আমৃত্যুকাল। কিন্তু মাঝের সময় টায় পরিস্থিতি, রাজনীতি, কর্মসংস্থান বা জীবন ধারণের অদ্ধ্যায় টায় মনে হয়, যেন কি প্রতিকূল অর্বাচীন বিমূর্ত বিমুখ পরিস্থিতির জাঁতাকলে, যেন প্রাণ যায় যায়।
সেখানে না আছে লেবেলের হাত পা ছোঁড়া না কোন সুনিশ্চিৎ প্রস্তুতির ভাবনা। হাতের কাজ শেখা টাও যেন ছোটলোক ছোটলোক ফিল। ভাবা যায়?
আর অভিভাবকের, এটা করিস না, ওটা করিস না তো আছেই। যেটা তাকে ভেতরে ভেতরে আড়ষ্ট করে তোলে, সেই বা কে কাকে বোঝাবে?

তাই শিক্ষা  বিষয় টাই যেন, ঘোরতর কঠিন তম অদ্ধ্যায়। আলোচনা করি না, ভাবতে চাই না। ভাবাতেও চাই না। উল্টোপাল্টা অহেতুক পালিয়ে বাঁচলেই যেন বাপের নাম টাইপ। ভাবা যায়?
অথচ এমনো সময় গ্যাছে, পড়াশোনা না হলেও, পরিবেশের খাতিরে, ছেলেমেয়ে অবাক বিস্ময় হয়ে গ্যাছে। আর এখন দ্যাখো

এ শিক্ষা র্রীদ্ধ ত হতে তো শেখায় ই  না। এ শিক্ষা আগুন হতেও শেখায় না। এ শিক্ষা প্রশ্ন করতেও শেখায় না।
এ শিক্ষা আজ হাস্যকর এক পরিস্থিতির শিকার, সেটাও কেউ দেখায় না।
এ শিক্ষা নিয়ে কেউ কথা বলতে উঠলে, তার কথা চট জলদি ফুরিয়ে যায়। ইচ্ছে টার মৃত্যুটাই যে অবশ্যম্ভাবী, এমন টাই বাতাসে ভাসে।
বাদ দিন।
কিন্তু জগৎ টা যে ধিরে ধিরে অটোমেশনের যুগে এগোচ্ছে। কিন্তু এটা আজ নয়, ১০০ বছর আগে, প্রফুল্য চন্দ্র যা লিখচেন,
 " more than forty years ago, while a student of Edinburgh I almost dreamt, a dream that, God willing, a time would come when modern India would also be in a position to contribute her quota to the world's stock of scientific knowledge, and it has been my good fortune to see my materialise."

অথচ, প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা কি ভয়ানক পিছিয়ে। কত সামাণ্য বুদ্ধিতে বিদেশ কত যে বিদেশী মুদ্রা ঘরে তোলে। হায়, তবু আমরা ক্লাসে এসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি না।

পরিবেশের ক্লাসে ঘরের আশে পাশের অবস্থা নিয়ে ছাত্র ছাত্রী রা যে প্রোজেক্ট জমা দেবে। সে ক্লাস দেখলে হয়ত পরিবেশবীদ রাও আমাদের মত খলখলিয়ে না হেসে, আরো উন্নতি করার পরামর্শ দেবে।
 তবু আমরা এসব ক্লাসে বলতে ভালোবাসি না। বাস্লেও কাকে বোঝাচ্চি ভেবে চুপ রই। ডাক্তারি, শিক্ষকতা, ইঞ্জিনিয়ারিং জীবিকার কতশত বিভাজন ঘটে গ্যাছে তার কত টুকু খোঁজ রাখি? রাখার দরকার আছে কি? কি হবে রেখে, ভাসা ভাসা কিছু শব্দ আঁকড়ে, কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে শুধু দায়িত্বের ভান করা দাবী রেখে? হাস্যকর লাগে আরো, চোখেও লাগে নিজের, আমি এসব ভাবচি দেখে?
 কিন্তু বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, শিক্ষকতার নামে এই যে একটা দালালী বা কাঙালীপণা আগে ছিল না। সত্যি বলছি। কিছু ছিল, যেটা প্রকাশ্যে আস্তে দেওয়া হত না। এখন, সত্যি এযে কি বিষমরূপ! তা নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।

ভীরুতা, কাপুরুষতা, অতি চালাকি বা গুছিয়ে নেওয়া - এসব শিক্ষাই আজ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীর কপালে জোটে।
নয়তো বা চুড়ান্ত একটা অবক্ষয়। নইলে কেন মনে হবে, যে হঠাৎ কুকুর/বাচ্চা কে কোলে নিয়ে বিস্কুট খাওয়ালেই মনুষ্যত্বের পরিচয় দেওয়া হল? হঠাৎ মনে হল, ১০ টাকা ফুটপাতে গুঁজে দিলাম। কিন্তু এভাবে ত চলতে পারে না। জানি না সেইন্ট জোসেফ, ডন বস্কো বা সেই হেবি স্কুল কি শেখায়? জানি না সেই শিক্ষক শিক্ষিকার সঙ্গে আমজনতার স্কুলের তফাত কোথায়?
ডিসিপ্লিন নাকি ছাত্র ছাত্রীর অবস্থা, নাহঃ।
এসব আমার ধর্তব্যেরই মধ্যে আনতে চাই না।
আম জনতার শিক্ষক শিক্ষিকা কে সেই প্রতিকূলতা তেই ঠিক করে নিতে হবে তার কর্ত্তব্য।
কিন্তু হায়।
সেই দুষ্ট, সুবিধাভোগী, নামদার শিক্ষক শিক্ষিকা। যাদের অভিযোজন কি ভয়ানক সংক্রামক নীতিভ্রষ্ট। ওরা গোনে আজও তাকে ক'টা ক্লাস নিতে হবে!

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই