West Bengal Events

সরকারের আত্মা বলে কিছু হয়? বোধ হয়, হয় না। পুরোটাই দায়। তাই না?
দরকার, কিন্তু মানুষের সরকার। এটাও ভাবা দরকার। কিন্তু ভাবতে গেলে, ভেবে যে, অগা বগা জগা খিচুড়ি কেন পেকে যায়? পাকতে গিয়ে হঠাৎ করে সরকার কেন পড়ে যায়? 
মানুষ গুলো অমানুষই ছিল।
পরকিয়া, মরমিয়া,  সহজিয়া বা বোহেমিয়া এসব গুলোও হতে হয়। সহজিয়াই বা  মানুষ কি হতে পারে? হতে হয় দেখাতে হয়  বা সেই হয়ে যাওয়াটার জাত টা কে ক'জন ধরতে পারে মানে ধরে। বা সেই বিশুদ্ধ হাওয়া টাকেই বা কি করে ধরতে পারা যায়? বা ধরা যাচ্ছে না বলেই কি, বলছি আর কি! ধরবো ধরবো করছি, এটাও বা তাও ত বটেই ত।

আসলে ভারতীয় মনঃ

এটা একটা বিরাট কিছু। যখন যেমন চায়, সেটাই হয়ে যায়।

সামগ্রিক টলমল। ভদ্র হলেও জমকালো, তোমার আবেগ আলো কি ভালো। যেমন খুশি খেলে ধুলো, নিজের মত এক্কা দোক্কা মন টন, শরীর, ত সেই পুকুর পানায় ডুব দিল।

ভালো টা লেগে মানে  গ্যালিলিও। ভাবা যায়।

পরকিয়া না এবার,

পর করে দেওয়াও যায়। মানে যারা খেলতে পারে। খেলে টেলে বেরিয়ে ইতিহাস হতে বা গড়তে পারে। হয়েও যায়। 

আজ

কিন্তু, সমাজ ভাবছে

যদি পর্যাপ্ত শিক্ষার ইন্ধন থাকে। তালেও, ত এগিয়েও যাওয়া যায়।

কিন্তু

মন মানে যে এখানে দোকান ঘর।

বছর ভোর, কত কিছু বিক্কিরি।

মিছরি মিছিল ফকিরি, বা ধাই কিঁড়িকিঁড়ি

দরকারি কথাও ত কইতে হয়।

সেটাই নেই। 

মানে, ট্রেনে বাসে বাদুড়ঝোলা নেই। মুরগী তে ভাইরাস নেই। বা পি এফ পেনশনের জন্য হা হুতাষ। বা র‍্যাশনে গম গম করে লাইন। এসব গুলো বলা নেই। নেই ত নেই।

এরপর আসে,  ঠায় বসে থাকা। ফাঁকা থাকলে

বয়ামের দিকে তাকিয়ে, পুরনো কত কথা মনে পড়ে যায়। পড়ে কিনা? পড়বেই। লাশ পড়ে যাচ্ছে, লাস্যময়ী লেখা টা থাকবে না, তা কি করে হয়।

এমন টাই ত হচ্ছে!  আর এমন ভাবেই।

আসলে, ফিরতে সবাই চায়। চায় কিনা? 

নতুন করে কিন্তু শুরু করতেই হয়। বারবার, কতবার, কেউ মায়ের কোলে ফিরতে চায়।

কেউ ছেলেবেলা চায়। কেউ কেউ সেই ভারতবর্ষ।

হয়ত কেউ জীবন টাকে নতুন করে লিখতে চায়। তবু বা

তাই এমনি ফিরে আসি। অাসলে বাস্তব কে ভালবাসি। তাই এ জড়ভড়ৎ ভাবনা কে দূরে সরাতেই হয়।

কখুনো বা বারবার চাবকে মন, পাল্টাতে দিন ভেবে, নিজেকেও আগুয়ান হতে হয়। 

আর খুব ফাস্ট করে বলে দেকেচি, নিচের দুটো লাইন গান হয়ে গ্যাচে।

চুপ করে থাকছি না। চুপ করে থাকবো না।

চুপ করে বাঁচবো না। চুপিচুপি চলবো না। 

মানে, 

পান সিং তোমর ও তো আজীবন দৌঁড়তে চেয়েছিল।

বা সত্যের প্রতি আগ্রহ, সেটাও আছে। ছিল। থাকে।

বা ধরুন, 

কারো বা জীবনে বুকে আনন্দ ছিল। তাই বাংলার রূপে মুগ্ধ হয়েছিল। তাই প্রকৃতি ভগবান হয়ে গিয়েছিল। 

এমন টাই হয়। কখুনো এ ভাবে ওভাবে অভাবে স্বভাবে, সবে তেই কিন্তু মানুষের গল্প, মানুষ ছাড়া সার্বিক পৃথিবীকে, সেইজন বুকে টেনে কয়, আছি। জানি। তাইত সেই আদিমতম লোভ, ক্ষমতার পরেও মানুষ মানুষে বেচে রয়। এটাই অক্ষয়।আর অক্ষয় হৌক আর হতে হবে। মনুষত্ব বেঁচে ছিল এবং বেচে রবে।