West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Sunday, December 29, 2019

শীতের খবরঃ

খুব শীতের সকাল হলে, ঝিম মেরে বসে থাকি। ভালোই লাগে। বায়রে ভোরের শিশির গায়ে মেখে ফুটে যাওয়া ফুলের শরীর হাসে।
জড়তা মনশরীর জুড়ে বসে থাকে। দিন রাতের কুঁড়েমীর মধ্যে সেরা।
পাখি টাখি দের ডাকে জড়তা থাকে না। ওরা এ সময় বড্ড উত্তেজিত।
হেলে দুলে মন্দ না! কারো চাই গরম চা। ঈষদুষ্ণ জল। মধু? বা বাইটোকাফ। 
রাস্তায় যেতে ভয় হয়। যদি কেউ কুঁকড়ে বসে থাকে। এরপর অপেক্ষা।
শরীর আশীর্বাদ ধন্য হলে অপেক্ষা করতে হয় না। গামছা তোয়ালেও যেন, হাজির হুজুর। এসময় গরম জল সাপ্লাই হলে মন্দ হয় না। হরিদাস পাল, রেডিও চালিয়ে দেয়। উনি এবার ইন্ডাকশন কিনেছেন। তেল কয়লার যা দাম।

এরপর পছন্দের একখান কাগজ চাই বইকি। খরচে না কুলোলে পাড়ার মোড়ে। পাতা না ছুঁলে উলটোলে মনে ঠিক যুত আসে না। ডিজিটাল যুগ অবশ্য। তাতে কি!
তা যে টা আসল কথা বলে কথা। সে কথায় আসুন না,  ঝাঁপিয়ে পড়ি।
পেয়ালায় তখন ডালহৌসীর গ্রীন টি। খান কয়েক ক্রিম ক্র‍্যাকার। কাছেই বাগান থেকে ময়ুরের ডাক ভেসে আসে।
না না মজার উচিৎ তা বেশ কথার পর, 
আগে মহান লোকেদের কাছে সলজ্জ্ব প্রশ্ন থাকতো, আপনি কোন কাগজ টা সবার আগে পড়েন? কার সম্পাদকীয় লেখা আপনার সবার আগে পড়তে ইচ্ছে করে? 
মহান মানুষেরা ভারী রসিক।  টেবিলে রাখা গোটা দশেক কাগজের মধ্যের, সবচে অপ্রাকৃত কাগজ খানার কলম দেখিয়ে বলতেন, লিখেছে বটে! সাংবাদিক কেই, তোমার কি মনে হয়?
সবশেষে, মহান মানুষ, একটা পশমের শাল সাংবাদিক কে তুলে দিয়ে বলেন, তোমাদের সম্পাদক সাহেব কে দিও বুঝলে! বলে হাসেন।
তা এসব এখন ইতিহাস।
কে জানে, এখন সাংবাদিক ও মহান নেতাদের মাঝে দুরত্ব বেড়েছে না কমেছে?
সাংবাদিক, মহান মানুষের প্রশংসা করেন, না মহান মানুষ, সাংবাদিকের খুলে প্রশংসা করেন?
বা, 
সম্পাদকের প্রাণ ঢালা লেখা, মহান মানুষ দের কে বা কারা পড়েন, সেটাও আজকাল জরুরী কিনা?
মানে, এটা ডিজিটাল ডিজিজ কিনা সেটাও।

তবে, নতুন বছর মানেই তো নতুন কিছু। তা সে যে রূপেই আসুন না কেন?
মেলা খবরের কাগজের মায়া। কখন ঠোঙা হয়ে যায়। কথা হোক, কিছু নতুন নতুন। কলেজে যেমন নবীনবরণ, যদি কেউ বলে, এসো আমরা নাগরিক, পরষ্পরের গলায় মালা দিয়ে নাগরিক নবীকরণ করে, সময় টাকে আরো উৎসব মুখর করে তুলি। সেটাও ভারী আনন্দের। 
শতশত জন্মদিনের সাথে গান্ধীজয়ন্তীও যখন সাড়ম্বরে পালন হচ্ছে। সঙ্গে পিঠে পুলির জন্মদিন। ফুলের মেলা সাথে নতুন বইয়ের জন্মদিন। তারপর ধরো, পিকনিক, ককটেল, মকটেল, ফ্লোটেল, পার্টি, ডান্স ডিজে ভাঁজে ভাঁজে তার নিচে উপর আরো কত কি! 
এত মেলা, আনন্দের মাঝে, দেশে যদি গোটা শয়েক সাংবাদিক সম্মেলন জয়ন্তী হত। আহা, প্রকৃত সংবাদপ্রেমীরা হয়ত বা বড়ই খুশি হত।

যতকিঞ্চিৎঃ  নতুন বছরে, চেকে কেউ লিখলো, 
01.02.20
কয়েক ঘন্টা পরে, সেটা 01.02.2019 হয়ে গেল। 
হতেই পারে।

ছবি টা গুগল থেকে নেওয়া।

Thursday, December 19, 2019

বল, বল, বল সবে, শত বীণা-বেণু-রবে।
ছোটবেলায় শুনেছি। আজো শুনি। 

আজকেই কেন মনে পড়ে। 
পড়ে দেখুন। ভালো লাগবে।

তিনি বাংলা গানে ঠুংরি ধারার প্রবর্তক। তিনিই প্রথম বাংলায় গজল রচনা করেন। 
যেমনঃ
মিছে তুই ভাবিস মন,
সবারে বাস রে ভালো,
বঁধুয়া, নিঁদ নাহি আঁখিপাতে,

তা আনন্দবাজার পত্রিকায়,
'কেচ্ছা' হেডিং দিয়ে
সুস্নাত চৌধুরী
৬ এপ্রিল, ২০১৪-য় লিখছেন, 

"১৮৮২ সালে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেত যান অতুলপ্রসাদ। কিছু পরেই সপরিবারে বিলেতে আসেন তাঁর বড়মামা কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত। এই সময় কৃষ্ণগোবিন্দের মেয়ে, নিজের মামাতো বোন হেমকুসুমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে অতুলপ্রসাদের।
হেমকুসুমের গানে, বেহালা-পিয়ানো বাজানোর হাতে মুগ্ধ হন অতুলপ্রসাদ। শুরু হয় তাঁদের প্রেম।

 বিলেত থেকে ফিরে আসার পর,  বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। প্রবল অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। হেমন্তশশীও এই বিয়ের বিরোধিতা করেন। এ কথাও শোনা যায়, অতুলপ্রসাদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে কোথাও হয়তো কাজ করেছিল তাঁর মায়ের প্রতি পুরনো অভিমান। তাই প্রতিশোধস্বরূপ বংশের মুখ পুড়িয়ে, ‘নিষিদ্ধ’ সম্পর্ক গড়তে পিছপা হননি তিনি।
কিন্তু বিয়ে হবে কী করে? এ দেশের আইনেই তো তখন ভাই-বোনের এমন বিয়ে স্বীকৃত নয়। আইনের কারবারি অতুলপ্রসাদ তাঁর সিনিয়র সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের পরামর্শে, পাড়ি দিলেন স্কটল্যান্ডের গ্রেটনা গ্রিন গ্রামে।
সেখানকার রীতিতে এই বিয়ের কোনও বাধা ছিল না। ১৯০০ সালে বিয়ে করলেন অতুলপ্রসাদ ও হেমকুসুম। ছিল বেড়াল, হয়ে গেল রুমাল!

 অতুলপ্রসাদের মামা থেকে শ্বশুর হয়ে গেলেন কৃষ্ণগোবিন্দ, হেমন্তশশী বদলে গেলেন হেমকুসুমের পিসি থেকে শাশুড়িতে! এ ঘটনার অভিঘাত ছিল বহু দূর। বিলেতে পসার জমাতে না পেরে, এক সন্তানের মৃত্যুর পর ১৯০২ সালে যখন আর এক পুত্র দিলীপকুমারকে নিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় তাঁরা কলকাতায় ফেরেন, প্রকাশ্যে এক জন আত্মীয়ও পাশে দাঁড়ায়নি।

এর পরই সপরিবারে লখনউ চলে আসেন অতুলপ্রসাদ। সেখানে তাঁর প্র্যাকটিস জমে ওঠে। তাঁর সংগীতের জীবনে এই পর্বটিই সবচেয়ে সমৃদ্ধ। আর পারিবারিক জীবনে সবচেয়ে বেদনাবহুল। এত ঝঞ্ঝাট পুইয়ে যাঁকে বিয়ে করলেন, সেই স্ত্রীর সঙ্গেই শুরু হল তুমুল অশান্তি। দুর্গামোহনের মৃত্যুর পর তখন অতুলপ্রসাদের সঙ্গে তাঁর মায়ের দূরত্ব কমেছে।

হেমন্তশশী লখনউ এসে থাকতে শুরু করলে, দেখা দিল চেনা ছকের সাঁস-বহু সিরিয়াল! নিজের পিসি হওয়া সত্ত্বেও যিনি তাঁর বিয়ের বিরোধিতা করেছেন, তাঁকে আর কোনও দিনই মেনে নিতে পারেননি হেমকুসুম। এর পর থেকে বেশির ভাগ সময়েই অতুলপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী আলাদা থেকেছেন। হয়তো একই শহরে রয়েছেন দুজন, কিন্তু আলাদা আলাদা।
সেই সময়ের চোখে কম দৃষ্টিকটু নয়! আবার যখনই একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছেন, কিছু দিনের মধ্যেই ফের শুরু হয়েছে মনোমালিন্য। ফের সাময়িক বিচ্ছেদ।
আজকের সহজ-ডিভোর্স-ত্বরান্বিত ‘ভদ্র’ সমাজেও এক-একটা বিচ্ছেদ কী পরিমাণ তামাশার জন্ম দেয়, তা থেকেই অনুমেয় একশো বছর আগের ছবিটা কী হতে পারে। শেষ বার, হেমন্তশশীর মৃত্যুর পর ঘরে তাঁর ছবি টাঙানো রয়েছে দেখে ভয়ংকর খেপে ওঠেন হেমকুসুম। অতুলপ্রসাদ সেই ছবি সরাতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর ঘর ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে বেরিয়ে আসেন তিনি।
সেই অলিখিত সেপারেশনই ছিল তাঁদের শেষ বিচ্ছেদ।"

সুস্নাত চৌধুরী লিখলেন তিনি ১৮৮২ তে বিলেত যান। অথচ তাঁর জন্ম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১০ বছর পরেই।
যাই হোক, 
সাংসারিক ধর্মকর্মের পরই হয়তো দেশাত্মবোধক গানের রচনা হয়। 
তার রচিত দেশাত্মবোধক গানগুলির মধ্যে প্রসিদ্ধ
উঠ গো ভারত-লক্ষ্মী,
বলো বলো বলো সবে, 
হও ধরমেতে ধীর।

আরেক টা গান তো বাংলাদেশ প্রসিদ্ধ।  মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! গানটি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অণুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
যাই হোক, রচনাকার যেখানে এটা রচনা করেন, মানে লক্ষ্ণৌ হয়তো এটা ভুলে গ্যাছে। 
তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। 
বিলেত থেকে ব্যারিষ্টারি। তারপর কলকাতা হিল্লি দিল্লি হয়ে, 
১৯০২ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত অতুল প্রসাদ আইন ব্যবসা উপলক্ষে লক্ষ্ণৌতে অতিবাহিত করেন। সে সময় তার বাংলোতে প্রায় প্রতি সন্ধায়ই গানের আসর বসতো। আর সেই আসরে গান শোনাতে আসতেন আহম্মদ খলিফ খাঁ, বরকৎ আলী খাঁ এবং আব্দুল করিমের মতো বিখ্যাত ওস্তাদগণ। ভালো সঙ্গীতের আসর পেলে তিনি আদালত ও মক্কেলদের কথাও ভুলে যেতেন। অতুল প্রসাদ অধিকাংশ গান লক্ষ্ণৌতেই রচনা করেন।

বৃটিশ ভারতের লক্ষ্ণৌতে বসবাসকালে তিনি ১৯৩৪ সালের ২৬ আগস্ট মারা যান। সেখানেই তার শেষকৃত্য হয়। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন কাওরাইদ (কাওরাদি) ব্রহ্ম মন্দিরের পাশে সমাধিস্থলে তার চিতাভস্ম সমাহিত করা হয়। এখানে একটি স্মৃতিফলক আছে। এতে লেখা ছিল ‘‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! / তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!‘‘ -- ১৯৭১ খিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় তখনকার স্মৃতিফলকটি পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে ভেঙ্গে যায়। পরে নতুন করে করা হয়। নতুন স্মৃতিফলকে লেখা আছে:
অতুল প্রসাদ সেন
জন্ম - ১৮৭১ ২০শে অক্টোবর
মৃত্যু - ১৯৩৪ ২৭শে আগষ্ট
শেষে ফিরব যখন সন্ধা বেলা সাঙ্গ করে ভবের খেলা
জননী হয়ে তখন কোল বাড়ায়ে রবে
আমার যে শূন্য ডালা, তুমি ভরিয়ো
আর তুমি যে শিব তাহা বুঝিতে দিয়ো।

In 1922 the first conference of Bengali literary personages outside Bengal (Prabasi Banga-Sahitya Sammelan, presently known as Nikhil Bharat Banga Sahitya Sammelan) was organised at Benaras with patronage from distinguished 'Bengalis living outside Bengal' (Prabasis) like Atul Prasad Sen, Radha Kamal Mukherjee, Kedar Nath Bandyopadhyay and Mahendra Chandra Roy, which was presided over by Rabindranath Tagore. Atul Prasad initiated and edited Uttara, the Bengali magazine of the organisation, to keep alive the Bengali culture among the Bengali Diaspora.[12] Later, he presided over its Kanpur and Gorakhpur conventions. He was also editor of Allahabad Law Journal and Awadh Weekly.

তথ্যসূত্রঃ আনন্দবাজার, উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য।



westbengalevents.blogspot.com

Monday, December 9, 2019

আতপুরঃ সব চরিত্র কাল্পনিক। 

কথা রাখা।

ভোর হতে আর বেশি নেই। মিনারের ঘড়িতে তিনটের ঘন্টা শোনা যায়। শাঁই শাঁই করে গাড়ি গুলো আপন আলো নিয়ে দূরে হারায়।
ফুরোয় না কপোত কপোতীর কথা।

বাতাস শোনে, যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার...
বসুধা, গুনগুন করে।
'তোর জন্যই তো বললাম। আর তুই আমায় মাল্লি।’ ময়েশ্চারাইজার মাখতে মাখতে, বসুধা, আঁড় চোখে জিজ্ঞাসু তাকায়! 
’মেরেছি, বেশ করেছি। আর একটা কথা বলবি তো, দোবো দুই ঘা।’  বলে, সুবীর, হেডফোন গুঁজে প্যাকিং সারতে থাকে। 
ত'বেরে। ঘষামাজা বসুধা, সুবীরের কলার দুটো চেপে আঁকড়ে ধরে, মুচকি হাসে। অতীব আস্তে বুঝি বা বাতাস হয়ত শুনতে পায় না। 
"এই ভোররাতে এরম সোহাগ কি, না দেখালেই নয়। ৯ টা’ য় ব্রেকফাস্ট, খেয়াল আছে? সুহাসিনী?' 

সুবীরঃ 'ঠিক আছে। ছাড়। তুই যে এভাবে বলতে পারিস, আগে বুঝিনি। 
ওসব আলুথালু শাড়ি আর পরিস না। বড্ড আইঠাঁই লাগে রে।'
'ও আচ্ছা। ঠিক আছে?' বলে গুম মেরে বালিশ চেপে শুয়ে পড়ে। বসুধার চোখ জুড়ে আসে।

সাজানো গোছানো পরিপাটি এ আলো আঁধার। 
সে তাপমাত্রায় চলে ডিসিপ্লিনের খেলা।
পার্ক স্ট্রিট টা বড়ই অদ্ভূত।
আসলে অল্প অল্প করে সব স্থানই কত রকমারি গল্প বোনে।
মিস্টার সারাওগির ম্যানশন, তৃতীয় তল।
বসুধাও রাতের ঝিমিয়ে থাকা আলোয়,  ছাদে তাকিয়ে থেকে কোথায় যেন  হারিয়ে যায়। 

হাজি তে মিটিং শেষ। সামনেই ক্রিসমাসের বিশাল একটা ব্যাবসা অপেক্ষারত। যত টা পারা যায় পুশসেল করে দিলে বসুধা কে, আর আটকায় কে? 
এই মাল্টিপারপাস কাজ টা ও বেশ উপভোগ করে। 
মিস্টার সারাওগির মেয়ে, সুহাসিনীর সঙ্গে বসুধার খুব খাতির। 
দু'জনার এক সাথেই পড়াশোনা। ওনার বাবাও বসুধা কে খুব স্নেহ করেন। 
বসুধা, চিতলেবন্ধু মিঠাইওয়ালে তে নিউট্রিশন অ্যাডভাইসার।
সুবীর ও ওই কোম্পানীরই নব নিযুক্ত সি.এ। আগামীকাল ওরা আতপুরে আসছে।  আশীর্বাদ নিতে। তারপর বিকেলের ফ্লাইটে উড়ে যাবে মুম্বাই। 

সুবীরের বাবা, 
প্রবীর রাজবংশী ছাইগাদায় ভাড়া থাকে। আগে বি.আর.এস কলোনী তেই থাকতো। ওখানেই কারা যেন, মা আর ওকে পাঁজা কোলা করে এনে ফেলেছিল। চারিদিকে কত খোলা জলাজমি। পুকুর, কত সবুজ গাছ। এত পেঁপে, আম, নারকোল গাছ আগে সে দেখেনি। প্রবীরের খুব ভালো লেগেছিল।
ওরা চালা দিয়েছিল, ইটখোলায় কাজ ও দিল। অজিত কাকু মাকে খুব স্নেহ করতো। মা প্রায়ই বলতো ওই মানুষ টা না থাকলে, ত'রে আর ফি..বলতে বলতে গলা বুঝিবা ধরে এল।
লোক টা যেন হারিয়েই গেল? কিন্তু মায়ের মুখে শোনা সেই 'রাত' ও কিছু তেই ভুলতে পারে না। 
প্রতিদিন দুটো একটা করে লরি আসতই।

এখনো,  ধোঁয়া ওঠা সেই ভাত। চিলতে দাওয়ায় বসে মা। ভাবলেই চোখ ছলছল করে আসে। এখন মা টাকেও ঠিক ঠাক মনে পড়ে না।

বি আর এস থাকাকালীন, প্রবীর গাঁজা খেত।
এখন চুল্লু খায়। মাঝের ১৫ টা বছর, ডন বৈঠক করে টোরে সেকি শরীর। মা বলতো, এ যে দিন দিন ভাল্লুক হয়ে যাবি লা। ও হাসে। সারাটা শরীর লোমে ভরা। রোদ পড়লেই পেশির ভাঁজ গুলো দিকে তাকানো যায় না।
ভাটপাড়ায় ব্যায়াম সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ খাতিরও পেয়েছিল।
ওখানেই তো সুজন না কেন যেন, বলেছিল, জানিশ তোর বাপ টারে কাইট্টা টুকরা কইরা পদ্মায় ভাসায় দিসে। ও ছিলিম টাতে জোরে টান দ্যায়। পারে না।

চুলে পাক ধরছে তো। এখন আতপুরেই, সন্ধে গড়ালেই, এই গঙ্গার ঘাটে চুপটি করে বসে থাকে। হাঁ করে তাকিয়ে থাকে ওপারে। ভোলা কাঁধে হাত রাখে। ওর সম্বিত ফেরে। 
'দে।'
ভোলা প্লাস্টিকের একটা পানীয় ধরিয়ে দেয়।
প্রবীরঃ জানিশ ভোলা, "আমি কিন্তু মুসলীমের পোলা।"
ভোলাঃ "আর কতবার বলবি বলতো?
প্রবীর চোখ টাকে বড় বড় করে এদিনের সুর্য টাকে শেষ দেখে নিতে চায়। কুয়াশায় ভরা দিগন্তে খানেক জলের শব্দ আর চিমনির ধোঁয়া।
হ্যাঁ রে সিধু বলছিল, কাল নাকি পৌরসভা থেকে একটা মায়না দেবে!
ভোলাঃ মায়না না ছাই। ওসব নাটক কত দেখলাম। এনে, কলি ওঠা ছোলা সেদ্দ। লেবু দিয়ে মেখে এনেছি।"
প্রবীরঃ "হ্যাঁ রে ছোঁড়া টা, আমারে দেখতে আসে না কেন রে?"
ভোলা হাসে। ওর মেয়ে টাও যে, কোথায় যেন হারিয়ে গেল। আজকেই তো আসবে বলে কথা দিয়েছিল।

Tuesday, November 26, 2019


Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই