West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Thursday, August 29, 2019

আমার বাবা ভোলে বাবা, ভালো বাবা নয়।
😁😂😃😄
তারপর,
আমার মা যে, তারা মা গো,
তারায় তারায়, রয়।

বেঁধেনিলুম গান সেই ফকিরের মত।

বোম তারা তারা, বলে ওরা,
ছোটায় যে, মন পাগল পারা।
চিত্ত শোনে না। (আ। আ। আ। আ)
মিছেই এত তোমার আমার,
মিছেই এত। ও। ও। ও।
সঙ্গে যাবে না। (আ। আ। আ। আ)
চিত্ত যে আজ ভৃত্য হয়ে,
ওগো, চিত্ত চিত্ত, নিত্ত দৈত্য,
 মা কে নিয়ে, পাগল নৃত্য।
মা কে ছাড়িস না। (আ। আ। আ। আ)
বখাটে যত পাড়ার ছোঁড়া,
বলি যে, হাড় বেয়াড়া যারা।
গ্যাছে ভূলে, কাঠি করা।
মা কে ভোলে না। (আ। আ। আ। আ।)
ওযে, ছিলিম সেজে, সাঁঝের বেলায়
অট্টহাস্য অমাবস্যায়,
ভুত পেতনি সব উড়ে বেড়ায়।
হ্রিং টিং ড়িং ফট খুলি, ধোঁয়া ওড়ায়।
জেগে গ্যাছে মা, তারায় তারায়
 (আ। আ। আ। আ।)
তায়, চক্ষু মুদে, ঘোরেই আছি,
বলি এযে মা তারাই করায়।
চিত্ত শোনে না। (আ। আ। আ। আ)
ধোঁয়ার টানে ভাসছে, হিয়ে,
মা তারা, কে সঙ্গে নিয়ে।
মা কে ছাড়বো না। (আ। আ। আ। আ)
বোম তারা তারা, বলে কারা,
ছোটায় যে, মন পাগল পারা।

(হঠাৎ নির্ঝঞ্জাট হঠকারিতাপূর্ণ গানের মহড়া, লিখেই ফেললাম। সে ঘষেমেজে নেব  ক্ষন)
গুগলে এ দেশের ছবি গুলো ভারি আগ্রহের উদ্রেক করে।









দুঃসময় টা সাময়িক? সত্যি?
চাকরিতে খরার যুগে, খবর বলছে দশ লাখ চাকরি হবে অটো সেক্টরে। তবে, স্কিল চাই। শুধু দশ বারো পাশ, গ্র‍্যাজুয়েট হলে, চলবে না।
এদিকে, বিক্রির আশায় দেশে, ৩৫ হাজার কোটি টাকার গাড়ি, পড়ে রয়েছে। কেনার লোক নেই। টাটা মোটর, মারুতি, হন্ডা টুপটাপ করে ঝাঁপ ফেলে দিচ্ছে। অশোক লে ল্যান্ডের শ্রমিক রাও বলছে, মায়না বাড়াও। ওদিকে,সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি মানুষের এখন চাকরি নেই। খবর বলছে, নেক্সট তিন মাসে, আরো পাঁচ লাখ চাকরি হারাবে।
তারই মাঝে আশার আলো, এই, ৫৮ টি Mahindra TUV 300 গাড়ি। কত দাম হবে? মানে ৫৮ ইন্টু দশ লাখ প্রতি প্রায়।
 আবার রিলায়েন্স যদি তেল বেচার একছত্র অধিকার পায় বা না পায়। তেলের দাম ও আগামীদিনে কমতে চলেছে। সেটাও ব্যাপার বটে। যেখানে ইউরোপ, আমেরিকায় খনিজ তেলের ব্যবহার কমে আসছে। সেখানে এই তেলের জন্য আমাদের এই বিশাল বাজার প্রায়োরিটি পাবে সন্দেহ নেই। সুতরাং গাড়ি বিক্রিও বাড়বে, বলে আশা করা যায়।
ছবি গুলো, কলকাতা পুলিস পেজের সৌজন্যে। আর খবর সম্বন্ধে 👇

https://trak.in/tags/business/2019/08/20/auto-sector-will-hire-10-lakh-employees-with-these-new-age-skills-by-2020/



ডিজিটাল মারকাটারি,
ভালোই লাগছে, বুঝলেন! এযে, কী ভীষন ভালো লাগা। বলে বোঝান সম্ভব নয়। ভালো তো আমিও নয়। তাতে কী? কিন্তু, ফুল ঘুম টুমের পর, চা টা, তারপর কাগজে চোখ রাখতেই, ওমা 😯
আবার!
বল শ্লা, ভাত মাই কী? বলো বলো দুগ্গা 'মায়ের জয়'  টা কবে, 'মায়ি কি,' হয়ে গেল। সেটা জিজ্ঞেশ করবেন না!  ওটা অভ্যেস। দশের খিদে, হিসি পেলে, আপনারো পেয়ে যেতেই পারে। এতে দোষের কিছু নেই। আমার তো ভালোই লাগে, গায়ে গা লাগিয়ে গা ভাসিয়ে গ্রাম ছাড়া ওই, আহা।

কিন্তু এ ক্যামন ছিরির দেশ, যে, এবার, ভীড়ের মাঝে প্যাদানি খেলে, ভীড় থেকে ঠিক লোক টাকে, যেতে হতে পারে জেলে। ভারী অন্যায় কথা, যেন। কিন্তু এটা, একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। যেটা সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য।
যাই হোক,
সব সময় এটা কী হচ্ছে, বলুন তো?
সর্বক্ষন একটা টেনশন টেনশন ফিল, এই কি হয়, কি হয় ব্যাপার টা আসলে কি? চাকরি, মূল্যবৃদ্ধি, জি.ডি.পি, কারখানা, বন্যা, কাশ্মীর। আর কি কি চাই বলুন। সব আছে।
তারপর?
জিয়ে হো, জুড়ে হো স্লা, বাংলাতে বিন্দাস আলা। এটা দুষ্টু লোকের ভাবের কলা, কিন্তু,
বুদবুদে ফুটন্ত এ অসময় যেন, আসল এই ফিল টা মানে অচেনা, অশান্ত, আনন্দ টাকেই শব্দে ভাবে, যত্নে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। পারে না। তাই,
মনে পড়ছে,
"দিনে রাতে নেই চোখে, নেই চোখে ঘুম,
রাত হল আরব সাগর।" অপূর্ব সুর, কথা, সে যে, শিলাজিৎ। তিনি আবার ওসব হারজিত ফিতে থাকেন না। তার নিজের রঙ আছে। এ থেকে মনে হয়, আমাদের সবার আলাদা আলাদা রঙ, থাকুক না! ক্ষতি কী? কিন্তু,
ব্যায়াম ট্যায়াম সুস্থ টুস্থর দিনে, একি!
দেশের নাকী, নানা প্রদেশে, হাই এলার্ট ঘোষনা হয়েছে। বিপদ আসতে পারে, জল থেকেও। না না বন্যা, অসুখ না! সাবমেরিনে করে দেশের শত্রু ঘুসে গিয়ে, দেশে ফাটিয়ে দিতে পারে বোমা। প্রতিবেশী দেশ, পাকিস্তান নাকি হেব্বি খচে গিয়ে পাগলে গ্যাছে। আমারি মত। আল্ফাল লেখা ফেকা না, ওরা মিসাইল টিসাইল নিয়ে খেলাও শুরু করেছে। চিন, মিটিমিটি হাসছে। ট্রাম্পের মুখ, অ্যাসইউসুয়াল। বাংলাদেশ তো ভাপা ইলিশেই ৭১ এর স্বাদ খুজতে ব্যাস্ত। আর এদেশেই আছে, অনেক বড় বিশাল বড় সব, জাতীয়তাবাদী চ্যানেল, যুদ্ধ চাই, যুদ্ধ চাই, করে, শিরা টিরা ফুলিয়ে, সে এক্কেবারে নাছোড়বান্দা টি.আর. পির যুগে।
নেহাৎ দেখলাম, তাই। এ দুচোখে যত টুকু দেখা যায় আরকি?
মনে পড়ছে,
'মুখে তে বললে তুমি যে কথা।' সে কথাই শেষ কথা নয়, হায়।
আর বলিহারি, ভাই, সেই, গুমনামি বাবা। গুমনাম হ্যায় কোই, বদনাম হ্যায় কোই। আবার নেতাজী কে সিনেমা, তাও, এ ভবের বাংলায়। উস্কে না দিলে, আরেক টু খুঁচিয়ে না দিলে, জমবে কেন?
উঠুক, উঠুক না? মন্দ কী? দু চাট্টাকা, আলাপ আলোচনা হোক না। ৭০ বছরেও যার মিমাংসা হয় নি। একটা ছায়াছবি তার মীমাংসা করে দেবে, ভাবলেও হাসি পায়। তবু হোক না, কেউ কারা যদি, প্রান্তিক সাময়িক ফুটেজ খেয়ে, খুশীই তো থাকতে চায়। এর চে তো বেশী নতুন নয়। তাতে, আমার আপনার কি বা যায় আসে তাতে? 😀😁

ছবিটা আশা করি, বুঝতেই পারছেন 😀😁😂 সেই যে, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে।

Wednesday, August 28, 2019

C/O of বন্ধুর উপত্যকায়,
পাগল খুঁজে ফেরে পরশ পাথরঃ

গেছি, আমিও গেছি তারা মায়ের পিঠে। তিন চার বার গিয়ে, সে শ্মশান ক্ষেত্র পেরিয়ে, তারা তান্ত্রিকের কথা শুনে, পায়েতে তার প্রণাম করে, বামা খ্যাপার কথাও জিগেছি। রাত জেগেছি। শুনেছি মন্ত্র টন্ত্র কিছুই জানিনে মা। বিশ্বাস করেছি। এত লোকে করে। আমি কোন হরিদাস?

 দেখিনি তারা মা কে। তবু অনেকবার, বারবার বিশ্বাসী করতে চায়, এমন একটা মন নিয়ে, কি আর করবো?
তাই, বাকি এ সব দেখে টেখে, মন বলে, চিন্তা করিস নে? এ ভারত মহাপ্রাণ। এখানে এমন টাই হয়। চিন্তা নিষ্প্রাণ। আসলে যে, কাজ টা তুই কচ্চিস, সেটাই কর আপ্রাণ। লেগে থাক। হবেই।
তাই, মনে হচ্ছে,
তাই যেন মন কে বলতে ইচ্ছে কচ্চে,

সব ঠিক পথেই চলছে। হরি হে, যার যেটা নিয়ে ব্যাস্ত থাকার। আছে তো।
নিশ্পৃহ কেউ নয়। শুধু সাধনায় সময় যায়। বৃথাই খুঁজে বেড়ায় মুক্তি, ভালোবাসা। শান্তি। ওটা ভূল।তাও কেউ বা হরেক আশায়।
এ ইচ্ছে মনের কারখানায়, রোজ কত ইচ্ছের জন্ম। নতুন স্বরলিপি। সুনামী বেনামি সভ্যতার গান, বা ইচ্ছের উপাদান। কেউ খোঁজে তার নুরজাহান। কিন্তু কোন টা দামি?  কটাই বা বড় হয়! ক'জন জানায়?
পাগল ছেলের বাদলা কথাঃ
বৃষ্টি পাতা নড়ে। বাতাস আপন করে, সরে সরে যায়। ঘুম ভাঙায়। ঠান্ডা গরম অনুভূতি, ফোটায় যে অজস্র ফুল। সে ফুলে পাখির গান, বলে কথকথা। বলতো আগেও। সেথা কৃষক মাঠে চাষ করে। দেখি, শুনি, যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার...

মন মল্লিকা মনের মাঝে, ইচ্ছের জন্ম যে আপন বেগে। ইচ্ছে কার করে না? এ ইচ্ছে, কেন, কথা বলতে পারে না? মনেই থেকে যায়। তাই যেন মনে হয়, মন বড় বৈচিত্র্যময়।

পাগল ভালো কর মাঃ
আজ তারা মায়ের পুজো। তারাপিঠে তান্ত্রিকের ভীড়। অলি গলি তে কোন ভাবে মায়ের পুজো টা হবেই।
সেই যে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। মা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। সেই যে, বিশ্বাস থাকলে সব হয়।
এসব নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান, ঝাঁপিয়ে পড়বে না,  কি করে হয়।
কিন্তু, একবার শুধু 'মা' বলে, ঝাঁপিয়ে পড়লে, সে যে কী সিদ্ধিলাভ! ওগো বিদেশিনী যদি বুঝতো।
বুঝেছিল, সম্ভব ছিল, সময় ছিল। হল না। এরো মানে নেই।
তারা মা কবে এলো তাও, আমার জানা নেই। সংস্কার অনুযায়ী, দেখেছি, ছোট বেলা থেকেই এর পুজো। চোখে মুখে ভক্তি, চেটে পুটে খাওয়া ভোগ মুখ, তৃপ্তি অপার। বলে, এবার হোলো বটে, একটা পুজো!

Saturday, August 17, 2019

কাজে কথার ভূল বিলাসিতাঃ
আমার অনেক ভূল ধারনা আছে। অনেক।
পদে পদে এতো ভূল, যে আমারই তৈরি মনের ভূলের স্কুলে, দাঁড়ালেই, নিজেই হুমড়ি খাচ্ছি, মনের মধ্যে বেদম চোট আর উপরি হল, আকুল টাকুল ভেবে বলছি, কিছুই হচ্ছে না।
যেন, কিছুই কি হচ্ছে না? না দিশা তেই সুর্যের অনুপস্থিতি?

এমন টা কেন হয়না। অমন টা কেন আসে না। কি করা যাবে। স্বপ্ন দেখা কি বারণ হয়ে গেল? কিম্বা বাস্তব কবে রচিত হবে?
বা এত কিছু বা এসবের মানে কি! ঈশ্বর কোথায়? মৃত্যুর আগের পর্যন্ত টাই কি, বা এটাই কি থাকবে? তালে, থাক না। ক্ষতি লাভ তো সেই সমান সমান।
আসলে, ভূল ধারনায়, ভূল করে বেঁচে আছি না তো?
তালে,
বেসিক টা বলি।
যদি বলি ঈশ্বর আমায় সর্বদা দেখছেন? পাশাপাশি প্রশ্ন আসে, কে?  মহাদেব? না নরনারায়ণ?
শুনে টুনে, মন কে বোঝালাম, তিনিই সেই, যার ইচ্ছে ব্যাতীত গাছের পাতাও নড়ে না।
বা নিজেই যখন হেসে বলি, ঈশ্বর তো আমার মনেই বাস করেন। তখন আবার হেসেই গড়িয়ে পড়ি। আমার মনে, তিনি? এই ছোট্ট ক্ষাট্ট মনে? কি, জানি, হতেও পারে?
তবু তো, সন্ধেবেলার ধুপকাঠি, বাতাসা, নকুলদানা ত মন্দ লাগে না। ঘরে সুরভি ছড়িয়ে পড়ে। বুড়ো দাদু বলেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। বুঝলে? বিশ্বাসে মিলায় বস্তু।
আলো টালো প্রদীপ জ্বালা টাও ভালোই লাগে। নিয়ম করে শঙ্খ টঙ্খ বাজানো টাজানো। শঙ্খ তো যুদ্ধেও। তবু যেন আজো, কিছু ধরে টরে রাখার, ভালো রাখার বিশ্বাস কে বেশ চরৈবতি শোনায়।
বা মনে হয়, কারা যেন বহুদূর বহুযুগের ওপার হতে, জাগার কৌশল রপ্ত করতে বলছেন, সেটাই ঠিক ধরা যাচ্ছে না।
'বিবেক বিহীন বিশ্ব আজিকে হাহাকার নিরানন্দ, তামসিকায়.... তারপর শেষে আছে, তুমি যে বিবেকানন্দ তুমি যে বিবেকানন্দ' গান টা বেশ মনে ধরে। থাকে। সুপুরি গালে কিনা জানি না। গলা টা অপূর্ব। যাই হোক। এতে বিবেকানন্দ বলে সেই  মানুষ টার কথা, শুধু ভাবা অন্যায় হবে। আসলে, বিবেকানন্দ শব্দের মানেতে জোর দিলে কাজে দেবে, মনে করি। যাই হোক। নামে কি আসে যায়, আগেও বলেছি।  যাই হোক,

অনেকের গুরু আছে। শুরুর থেকেই। তাই, এ অসুবিধের চিন্তা থেকে ওরা মুক্ত। প্রশ্ন উত্তর, অনুসন্ধিৎসা এতে নেই। শ্রোতা হয়েই আনন্দ, অনুসরণেই আনন্দ। নইলে যে, গুরু ছুটি দিয়ে দেবে, টিকি কেটে দেবে। পাড়া পড়শিদের টিটকিরি। সে অনেক ঝামেলা। থাক সে কথা।
যাই হোক,

বা ধরি, তিনিই সে, যিনি, মহান একমেদ্বিতীয়ম,  তিনি জগত পরা জগতের উর্ধ্বে। তিনিই সৃষ্টি তিনিই সর্বমঙ্গলময়। তিনি নয় নারি, নয় তিনি পুরুষ। তিনি এসবের উর্ধ্বে। তখন মন টা জুলু জুলু চোখে ভাবে। বাপরে। এত কিছু আছে।
তারো পর আছে?
যেমন, ধরুন, ভগবান মানুষের জন্ম দিল কেন? উদ্দেশ্য টা কি? প্রথমে একটা কি দুটো। তারপর সাড়ে চাট্টে বা পাঁচটা। ছ টা। এখন বাড়তে বাড়তে কোটি কোটি। এত মানুষ, সবার মনে, সেই ভগবান। এবার এত মানুষ মিলে, করবে কি?
দুষ্টু লোকে বলে, এত মানুষ দরকার নেই। কি হবে। এত মানুষে যদি সুখ টাই হারিয়ে ফেলে? তাই চল, নিয়ন্ত্রণ করি। কিন্তু এটা কি, ভগবানের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নয়। বা ভগবান সবার মধ্যে সদবুদ্ধির সঞ্চার করছেন না কেন? কে সেই দুষ্ট দানব? যা আমার প্রাণের ঈশ্বর কে তুষ্টি দানে, বাধা দ্যায়?

 মন বলছে এ লেখা টা চলুক। তাই চলবে। এই ছোট্ট ছোট্ট লেখায় ঠিক 😁😁😁
উত্তম কুমার গানে বলেছিলেন, এবার.... তোমায় খাবো। 😀😁😁

বা ইনিই হয়তো, সেই সহজ সরল কিনারার মানুষ। যার ভালোলাগা, ভালোবাসা হাসি কে উপেক্ষা করা যায় না। যেতে পারে না। বা ইনিই এর মধ্যেই আমার আমি সামান্য একটু আমি কে খুঁজে চলেছি।

Thursday, August 15, 2019

প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা আমার প্রেমিক প্রেমিকাঃ

  আসলে কারো নাম নিয়ে, শব্দ নিয়ে তর্জন গর্জন না করলে, কোনো লেখার সঙ্গে সহজে আমরা রিলেট করতে পারি না। কবিতায় ধাঁধা থাকে। শব্দ জব্দ হয়। অনেক মানে টানে বেরিয়ে যায়। এতে তৃপ্তি থাকে। যেন অনেক কথা এক লপ্তে বলে, পার পেয়ে যাওয়া। কেন এটা হয়, বুঝি না।
হতে পারে আমাদের আবেগ, যা মনে অসাধারণ মাত্রা যোগ করে।

   এখন স্বাধীনতার আলোয় দেশ ভাসছে। কত গান, কত কথায় মন জুড়িয়ে যাচ্ছে।
ইংরেজ রাও এদিকে ২০০ বছরের ও বেশি শাষণে শোষণে ক্লান্ত। আর বিভাজিত এ দেশ হয়ে গেল, 'তেরা ফিতুর জব সে চড় গ্যায়া রে।'
ইংল্যান্ড এর পার্লামেন্ট চাইলে কি, বিভাজন রুখে দিতে পারতো? আমার বিশ্বাস, রুখে দিতে, চাইলে, ইংরেজ কে কেউ আটকাতে পারতো না। অনেকে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ওদেরি নিজেদের জন্য বেশি সময় দেবার প্রয়োজন পড়েছিল।
তালে কি আমাদের দেশের ৪৫ ট্রিলিয়ন সম্পদ, ওদের ত্যামন কাজে লাগলো না?
কিন্তু মুক্তি পাওয়া এ দেশ পেল অনেক গোলমাল। যা একটু একটু করে ধিরে ধিরে অংকের মত সমাধান করতে হবে।
এদেশেই কাশ্মীর থেকে চম্বলের ডাকু। সংস্কার থেকে কুসংস্কার। পরিশ্রান্ত, বিপর্যস্তত, জ্বরা, ক্ষরা বন্যার এ দেশ।
তাই উঠে দাঁড়াতে সময় লাগছে প্রভু। তবু প্রতি বছর তিল তিল করে এ ওঠা টা, যেন নতুন ভোরের মত।
তিনকা তিনকা জারা জারা, হ্যায় রোশনি সে, জ্যায়সে ভরা।
অবশ্য, এ ১৫ ই আগস্ট ছিল, এমন একটা দিন, যেদিন জাপান বশ্যতা স্বীকার করেছিল। সেই যে হিরোশিমা নাগাসাকি। কিন্তু মাউন্টব্যাটেনের এদিনের প্রস্তাবে, আমার দেশের গনৎকার রা ঠিক খুশী নয়। তাই ঠিক হল, চোদ্দ তারিখ রাত ১১.৪৯ থেকে পনেরো তারিখ রাত ১২.৪৫ টার মধ্যে আসবে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

যেসব লোকেরা দেশের স্বাধীনতায় ছিল, কি ভাবে ছিল? ক্যামন ছিল? তা চোখে দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয় নি। স্বাধীনতায় অংশগ্রহণ করার ও সুযোগ হয় নি। তাই এবারে  প্রধানমন্ত্রী যথার্থই স্বাধীনতার স্বাদ কে উপলব্ধি করতে, অনেক ভালো ভালো টিপস দিয়েছেন।
এরই মাঝে,
একজন তো হিন্দি তে দারুন লিখলেন,

हुकूमत आज़ादी नहीं लायी
आज़ाद होने पर हुकूमत आयी
- इंद्रेश मैखुरी

মানে, এ স্বাধীনতাই সরকার কে এনেছে। সরকার স্বাধীনতা কে আনেনি। ৫০' এ প্রজাতন্ত৷ সেটা তেও অনেকে রাগ দেখায়।
রাশিয়া, জাপান, ইরান তামাম সেসব দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যে মধুর সম্পর্ক, তার শুভেচ্ছা বার্তায় প্রকাশ পায়।
গান বাঁধেন দ্বিজেন্দ্র লাল রায়।
"এমন দেশ টি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, ও যে সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।" এ নিয়ে সমরেশ মজুমদার তার 'স্বনামধন্য' বই তে 'রানি' শব্দ টায় বড্ড আপত্তি জানিয়েছিলেন।

মাটির মানুষ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দেশ নিয়ে কি বিচার ছিল, জানার আগ্রহ আছে।

তবে পিতৃভূমি, মাতৃভূমি টা কনফিউসিং। মাতৃভাষা নয়। আবার ধরুন, এক জাতি, এক ভোট, বা জাতির পিতা। টু নেশনস থেকে ওয়ান নেশন'স থিওরি বলে কি কিছু হয়? নিশ্চিত ভাবেই হয়। তাই হয়তো....

জীবন  ছন্দময়, সেটা মন্দ নয়। কিন্তু বারংবার একই সুর বাজলে, তাতে ঘন্টা হয়।
ধারাবাহিক ভাবে সেই এপিসোড চলছে। রোজই ঘটনা। ধুমকেতুর মত চকচকে এ ঘটনা গুলো উড়ে উড়ে যাচ্ছে। কেউ বলেন উড়ন্ত সব জোকার।
 বাজপেয়ীজী কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। মনমোহন সিং স্যার সিপিএমে। জ্যোতি বসু বহুজন সমাজবাদী তে? এসব অতি পাগলেও বিশ্বাস করবে না। সেটা অন্য কথা।
আমি খালি খালি বন্যা টা ক্ষরা টাও স্কিপ করতে পারছি না। সামনে পুজো, কত কাজের ছড়াছড়ি। কত বাজার আগাম অর্ডারে কাজের মধ্যে ডুবে। কিন্তু আমি পারছি না, ভূলতে গান্ধিজী, যার ৩৬৫ দিনের ৩০০ দিনই গরিবের অসুখের অনশনের গ্রাম্য সমাজের মাঝেই কাটতো। দুমদাম করে আজো প্রায় ৪৫০০ শিশু মারা গেল না খেতে পেয়ে। ভাবা যায়? অথচ এ ক্ষমতা, ফেম, অর্থই যে অনর্থের মূল। এটা কিছুতেই বিশ্বাস করা হয়ে ওঠে না।

কত ভেবে চিনতে স্কুলে পাঠ্য বই তে ভালো ভালো গল্প কবিতা থাকে। সেটা আমি সে সময়ে অনুধাবন করিনি। করতে চাইনি। ফিল পাইনি। রিলেট করতে পারিনি। কেন পারিনি? তালে কি এসব আমার তোমার জন্য নয়।
এখন একটু একটু করে মনে হয়। ওই জন্যই তো মাস্টারমশাই দিদিমনি।  যারা ভালো ভালো ব্যাপার গুলো একটু একটু করে গেঁথে দেবেন। মনে প্রশ্ন জাগবে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেনি। ওঠে না। উঠবে না। এ থেকেই যেন, গান তৈরি হয়। 'পাখি টার বুকে যেন তির মেরো না। ওকে গাইতে দাও।'

Wednesday, August 14, 2019

স্বাধীনতা হীনতায় কেই বা বাঁচতে চায়? তবু ফিলিং লাইক আজো জেলেই আছি৷ এটাই।

*******.  Best Wishes ******
চলো ভয় কে মুছে ফেলি। নিজেকে সকল কে শিক্ষিত শক্তিমান করি।

অনেক বছর হয়ে গেল।
রোজই উঠি, ঘুমাই, খাওয়া দাওয়া করি। কিন্তু উপোস টুপোস করছি বলে, মনে পড়ে না। কেন করবো? কার জন্যে করবো, কি লাভ? রাগ করে না খেয়ে মুখ ঘোরানো এক কথা, আর দায়িত্ব নিয়ে সনাতন উপোস আরেক কথা। সব ধর্মেই আছে। আমার ধর্ম, খিদে মানে ক্ষুদা,
রুকায়ট ডালো তো অনর্থ, আখরোট ডালো তো সোয়াস্থ।
তবু লোকে বলে, মাঝে মধ্যে উপয়াস থাকো। ভালো থাকবে। শুনি নি। কেন শুনবো? আমি এমনিই তো ভালো আছি।
এবার হয়তো এসব শুনে টুনে কেউ উপবাস ও রাখতেই পারে, গান্ধীজির মত। তাতে কাজ হলে, দেশের ওই ৪০ কোটি ভিখিরি প্রজা, মানে আহাম্মক ভারতীয় নাগরিক, আরেকটু কম যদি খায়, বা ২০ কোটি ভারতীয় না খেয়ে অপচয়ের অংশে দেশ কে মেদবহুল করে। তাও তো মন্দ নয়।
কিন্তু,
উপবাস করলে কি, আরো ভালো থাকবো? তুমি কি বলতে চাও এতো  যে  ভালো আছি, এবার কি আয়ু বেড়ে যাবে? তালে তো উপবাস করবোই, এমন আস্কারা। সেটাও তো মন্দ নয়। যাই হোক।
   
     আসলে সাজু গুজু চলছে। খাওয়া দাওয়া টাও  কম না। হাসি তামাশা আর শরীরে মেদ ও বাড়ছে, মন্দ না, ঝরে যাচ্ছে না!
আবার চাবুক চাবুক ঋজু শরীর বা মেধা টা, সেটা!  দূরে সরে যাচ্ছে!
কিন্তু, কাজের কাজ বলতে কি কিছু হচ্ছে?
যদি হচ্ছে, প্লিস শো মি?
বা খাদ্য টাদ্য থেকে একটু কাজের কথা যদি বলি, মানে, ধরুন,
আমি এতো দেশ ভক্তি চাইছি না। বা এত হই হুল্লোড়। এই করবো ওই করবো। এবার হবেই।

 এবার না হলে আর কোন দিন হবে না।
এরকম টা ভাবছি না। মাইরি বলছি। বা ধরুন বলছি,
হিন্দু আছি, থাকবো। সেই পুরাকাল থেকে। তাও লেবেলের হিন্দু।
তাতেও কি কাজের হবে? কোনও আহাম্মক বুদ্ধি তে শান দেওয়া হবে, সেটাও ত ভাবার বিষয়।
 আমার এ মুহুর্তে ক্ষিদে পেয়েছে বা রক্তের দরকার বা ডাক্তারের দরকার এ আতপুরে বড্ড এ গন্ড গ্রামে। এতে কোনটা সব চে আগে দরকার?

সুরক্ষা তো ১৯৪৭ সেই পেয়েছি। এতো বছরেও যদি সেই একই সুরক্ষার কথাই ভাবি, তালে তো বড্ড ল্যাটা।
আসলে সত্যি বলি,
আমি নিষ্কর্মা, আমি বড়বড় বাতেলাই দিতে শিখেছি। এড়িয়ে গিয়ে, ভূমন্ডলে ভূলভাল আল্ফাল, গন্ডগোলের কথাই শুধু বলতে পারি। কারণ, বুঝেছি, আমার দৌড়!

তাই তো আসুন এবার বলি,
অন্য ভাবে অন্য চালে অন্য মুখে,

এ মুহূর্তে কাজ পাওয়া টায় আকাল চলছে। কিন্তু কম বেশি হাজার ৬,৭ থেকে ১০, ১২ হাজার মাসে সবার চাই।

মেয়েদের জন্য টিউশানি, শাড়ি বিক্রি, আর সাজানো আর ছেলেদের পাখা সারানো,  কিচেন সামগ্রী বিক্রি, অর্ডার নেওয়া। এটাই স্বীকৃতি। এটাই সন্মানের, তাই এরকমি চলছে। এরম আরো অনেক অনেক বিস্তর আছে। আর এটাই চলছে। লোকাল কারখানা সব মোটামুটি প্রায় বন্ধ। নেতা টেতা দের খুঁজে পেলেও, রক্তদান, উৎসব এ খুজে পাওয়া যায়। হৈ হৈ টাও হয়ে যায়।
আমার অবস্থান যেমন ছিল, ত্যামন ই, তবু হাসছি।
এটা কেন হচ্ছে। বুঝতে চাই না। বোঝাতেও এসো না।

এটাই মোটামুটি ভাবে বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পাবার হাতিয়ার।
কিছু লোকাল কারখানায় জুটমিলে আছে, কিছু রিকভারি লোন পলিসি সেকশনে, কিছু মাছ ব্যাচে। কিছু হয়ত আজো স্বাভাবিক ভাবেই স্বাধীনতার পতাকা বেচেই খুশী।

Tuesday, August 13, 2019

কথায় কথা বাড়ে।

জানা বেহায়া কথা জানা, অন্য কোথা জানা। 😀 বৃষ্টির ও এবার বেহায়া হবার সাধ জেগেছে, ভেরি স্পন্টেনিয়াস কিন্তু স্বপ্রতিভ নয়। এই যে,
কথার পোকা কথায় যা। এবার বৃষ্টি ফুরিয়ে যা।
কিন্তু রাতের একটা পাখি বললো 'কথা হোক, কথা হোক।'

যেটা বলছিলাম।  অনুসন্ধিৎসা বলে একটা কথা আছে? বা নিজেই নিজের মধ্যে বার্তালাপ চালিয়ে একটা কিছুর সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা। কে না করে?
আমি লিখেই কিছু একটার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছি।

আচ্ছা স্বপ্রতিভ বলতে কি বুঝি? ইংরেজি তে বলে স্পন্টেনিয়াস। এর আসল মানে টা, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। কেন না এসব জিনিশ সবার মধ্যে থাকে না। সহজ করে বললে, এটা কে ডেঁপোমি বলতে পারেন। অস্থীর লাগলে, একে গাঁপিয়াঁজি হচ্ছে? বলেও সম্বোধন করতে পারেন। আমি অপ্টিমিস্টিক। ধৈর্য্য না হারিয়ে গাল না পেড়ে, এঁড়ে কেঁড়ে না হয়ে, যুক্তির পথ ই বেছে নিতে চাইবো।
যাই হোক, স্বপ্রতিভ ব্যাপার টা পসিটিভ নেগেটিভ দুই রকমই হতে পারে।

অযৌক্তিক আল ফাল বকে যাওয়া, হাত পা ছোড়া স্পন্টেনিয়াস হতে পারে। কিন্তু তা স্বপ্রতিভ মোটেই নয়। তার মানে স্বপ্রতিভ টা আদলে স্পনটেনিয়াস নয়।
আচ্ছা এতে কি, প্রতিভা জাতীয় কোন বস্তু আছে? যেটা স্বজাত এবং যেটার কার্যকারিতা আছে? জানি না।

দেখচিস, মেয়ে তা ক্যমন ফটর ফটর করে কথা বলে। দ্যাখ ক্যামন! ওব্বা বাবা এ আবার খিলখিলে হাসেও। এটা একটা স্বপ্রতিভ লক্ষন, যা কাজের জিনিশ। কিন্তু সমালোচক দের কাছে নয়। দ্যাখ দ্যাখ ক্যামন গায়ে পড়া ভাব।
জাহঃ শ্লা, আগ বাড়িয়ে কথা বলতে গেলেও বিপত্তি। স্পন্টেনিয়াসের পংগটা টেনে খামচি মারা যেন। যাই হোক।
স্পন্টেনিয়াস হলে, কাজে অকাজে ব্যাপার গুলো ধরা সহজ হয়। অনেকে স্পন্টেনিয়াসের কয়েক কাঠি বাড়া হয়৷ সেটা অন্য কথা।
 আবার,
সিনেমার পর্দায় যারা অভিনয় করে, তারা তাও না হয়, পয়সার বিনিময়ে করে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার ফলে, নিজের চরিত্রের ও খোলতাই হয়। সেখানে ওরা ক্যামন হেসে হেসে মজা করে কথা বলে। সবাই পারে না কেন?
তখন হয়ত হাজার হায়ার মাঝে অনন্য অবিন্যস্ত  সমালোচক বলবে, "তোমার অনেক টাকা থাকলে অমন প্রতিপত্তি থাকলে, তুমিও অমন হেসে ঢলে মজা করতে।" আমি কাচুমাচু মুখে সাহস জুগিয়ে বলতাম,  মিশটি করেই বলতাম, ওই গুন টা, ও আয়ত্ব করেছে বছর বছরের দীর্ঘ অভ্যাসে। অনুশীলনে।  নয়তো স্বাভাবিকই ও সেটা। যেটা কে স্পন্টেনিয়াস বলে। এটাও শেখার জিনিশ।
যা এখন শেখা দরকার, শুধু শেখার জন্যই নয়। বাঁচার জন্যেও। একটু হেসে খুলে সৎ সহজ ভাবে মেশার মধ্যের সার্থকতাই আসলে স্বপ্রতিভ ব্যাপারের তিল তিল করে জন্ম দ্যায়।
আমরা তো সামান্য কিঞ্চিৎকর। তবু দেখেচি, চেষ্টা করতে দোষ নেই। এখানে আমরা যারা পরদায় অভিনয় করি না। তাতে কি আমাদের অভিনয় করা, বাধা হয়ে দাঁড়ায়? মাঝে সাঝে সুবর্ণ সুযোগ আসে। ভালো অভিনয় করার। হয়ে ওঠে না। উঠলে,
ওই একটু আধটু হাটে বাজারে, ঘরকন্নায়।
তবু আসল স্বপ্রতিভ আসল স্পন্টেনিয়াস কে ছিল? সে কি আপনার কাছেই আছে?  যাকে আপনি সবচে বেশি শুনতে দেখতে ভালোবাসেন! কিন্তু যাকে ভালোবাসেন, সে বেশি স্বপ্রতিভ না স্পন্টেনিয়াস। এমন ভাবে তাকে কি বিচার করা সম্ভব?
 ছবি টা নেট থেকে সংগৃহীত।
ভারত স্বাধীনতার প্রথম দিনে দিল্লি রাস্তায়।

Saturday, August 10, 2019

ভাবনার কাটাছেঁড়া।
এটা একটা খাঁটালের ছবি। অন্ধকারে। পরে বলছি।
তার আগে বলুন, আপনি ক্যামন আছেন?  সব ভালো তো? আচ্ছা ব্যাস্ত নয়তো! এখন সবাই এত ব্যাস্ত, সামান্য বাথরুম টাও খুঁজে পায় না।
অার মুশকিল হল,
এটা বেগ নয় আবেগ। 😁
আপনি কিছু বলছেন না কিন্তু? টেইলর মেড, মাথা খাটাচ্ছেন, তাইতো?
ওকে।
আসলে
শুধু শুধু হাসলেই কি খুশী থাকা যায়? মানে তৃপ্তি কি পাওয়া যায়। তালে অন্য সেন্স গুলোর কি হবে? সেন্সিবল বলেও একটা কথা আছে।
খুব ভজঘট।
সেটার ব্যালেন্স পাওয়াটাও খুব কঠিন ও নয়। আবার সহজ ও নয়।
কঠিন নয় তখন, যখন, ভাবছি, যা হচ্ছে হচ্ছে, বাদ দাও। কি আর হবে!  আমি তো আমার টা করলাম, বাকি টা দেখা যাবে।
আর সহজ নয় টা হল, এত কিছু করেও, মন না পাওয়া।
তাতে মনের হয় বড্ড ব্যাথা জ্বর জ্বর ভাব। চোখে মুখে ফুটে ওঠে। যদিও সামলে সুমলে চললে, এও আহামরি ব্যাপার নয়।

এই ধরুন, অজুহাত ছাড়াই কারনে রেগে যাওয়া। দায়িত্বশীল হওয়া বা বিন্দাস ফুর্তি মানে আমার ইচ্ছের স্বাধীন হাওয়া। মেলে দিলেম হরেক ডানা। নেইকো মানা। বহুবিধ কেস জন্ডিসের মত।

আপনি কিন্তু কিছু বলছেন না।
সো
আমিই তালে বলি, শুনুন, এতো দেখচেন, বুজচেন, শুনচেন। কি বুজছেন? গুছিয়ে মুখ টা পুঁছে। যেন ওটাই সুখ।
সওব দেখে শুনে হয় ভয়, নয় কি? 😀 কি বলতে কি বলবো বা যা হচ্চে হতে দাও বেশ হচ্চে যেন।
 আসলে,
আপনি নিজেই নিজের মুখে সেলোটেপ লাগিয়েছেন, তার জন্য প্লিস কাউকে দায়ী করবেন না। দায় দায়িত্ব টা আমার আপনার শিক্ষক শিক্ষিকা বাবা মার। আমার আপনার পরিবেশের।
 আমি আপনি তো শুধু প্রোডাকশন, না আছে ভাবনা না চিন্তা,
থাকলেও এ ব্যাকটেরিয়া,
বেপরোয়া,
উদ্ধত, ব্যাক্তিগত,
ভয়ানক বুদ্ধি বা আত্মশুদ্ধি।
সেটা ওই মজে যাওয়া গঙ্গা বা গড্ডলিকা বৃথা অন্ধকারের সমুদ্র স্রোতের মত। না জোয়ার না ভাঁটা।
বা বিশুদ্ধ এ মন কে রাবিশে ভরে, হিংসা টিংসায় মরে, বক্ষে আমার তৃষ্ণা, জাতিগত অনুর্বরতা মজ্জাগত।
আমার তো অনেক বার মনে হয়েছে এটা লজ্জ্বা। আপনার?
তবু অনেকে সজ্জিত। কেউ কেউ লজ্জ্বিত। কেউ মর্মাহত। অনেকে আবার আপনার আমার মত।
যাই হোক,
দেখচি আসলে 😀😁 এ ভাবের বাঙালী কে! এ ব্যাস্ত উচ্ছিন্ন, অনুৎকৃষ্ট দ্রব্যের পুজোয় খুব, আর  ত্রস্ত, খাস্তা, মুচমুচে। যেন মাত্র দুপয়সায় এ বাঙালী কে, মিক্সার গ্রাইন্ডারে ফেলে, বড় বাজারে হেসে খেলে বেঁচে দেওয়া যায়। তাও চারৃনার দরে।

যাই হোক এ খাঁটালে লাল আছে। আছে ভুতো। যার বাবার ছিল সিপিএমে অঘাধ বিশ্বাস। খুব খাটতো। কথা কম বলতো। বেশি কাজ করতো। পার্টি মিটিং এ উপস্থিত ও থাকতো। আগুয়ানে।
কাশ্মিরের মতই, কিন্তু অনেক আগেই ভাগ হয়ে গয়েছে।
 এখন দিন পাল্টেছে। ভাবনা সেম। বাট অক্ষত সেই টালির বাড়ি আজ তিনতলা হয়েছে। ছেলে পুলেও জোয়ান বুদ্ধি শিক্ষিত। তা সেই ওই খাঁটাল থেকেই। যা পুরনো থেকে আরো পুরনো হয়েছিল। তবু নতুন টা হল, এই আতপুরে, আগুয়ানেই। শুরু হল। ভুতাদের ওখানেই প্রথম সোলার গ্যাস, উৎপাদন সফল ভাবে হয়েছে।
Be Positive Dear. 😊😀😁

Friday, August 9, 2019

'তুমি-আমি'

বেশ, তালে তুমিও এটা জানো।
আমিও ত জানি, কিন্তু কম, খুবই অল্প, চোখেও দেখা যাবে না এমন।
বাহঃ, তুমি জানতে!
আমিও জানতাম, কম বেশী, সঠিক বেঠিক, এদিক ওদিক কিন্তু খুব অল্প। চোখেও দেখা যাবে না এমন।
কি আশ্চর্য! এটাও জানো।
তালে আমিও জানলাম না হয়। কিভাবে হয়? কত টা হয়! ক্যামন করে হয়! কিন্তু খুবই অল্প। চোখেও দেখা যাবে না এমন।
আসলে তুমি অসাধারণ, তুমি কত জানো?
তবুত কিছুটা আমিও জানি।  ভালোবাসা কি? খিদে কি? আনন্দ কি? দুঃক্ষ কি? কিন্তু খুবই অল্প। চোখেও দেখা যাবে না এমন।
এবার, বুঝতে পারছি তুমি অনেক জানো।
আমিও জানি, মনের কথা। ব্যাথার কথা। টুকরো টুকরো অভিমানের কথা। কিন্তু খুবই অল্প। চোখেও দেখা যায় না এমন।
*****************************
যেটা জানা ছিল না।
বেশ, তালে তুমিও ওটা জানো না।
আমিও জানি না।
আমি কি? কেন? কোথায়? কিভাবে? কিসের জন্যে?
কাদের জন্যে? কত টা? কত ভাবে? কত রকমে? বা কতক্ষনের জন্যে?
জানা হল না।
হল না।
সেই তুমি আর আমি।
এক হতে পারো না?

ছবিটা জৈনদের ১৬ টা সবচে মূল্যবাণ স্বপ্নের প্রতীক। প্রত্যেক টা ছবির আলাদা গল্প। অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা। তবু আশ্চর্য লাগে যে বৌদ্ধ, জৈন, হিন্দু বাকি সব ধর্মই সবাই পরষ্পরের কত কাছের, তবু সেই তুমি আমি। সেই ওরা আমরা, প্রাণ ভোমরা। হোমরা চোমরা। এক চামড়া এক রক্ত। সেই ভূমি। সেই খিদে। সেই কান্না। সেই হাসি। তবু তাতে কত বৈচিত্র্য। যেন, একটা পাত্র। সপ্ত সুরে খাদ্যে বিবিধে, খুঁজে দেখছি আপন চরিত্র।
কোন টা তুমি আর কোন টা আমি।

Wednesday, August 7, 2019


শ শ শ,তালে,
আলে বালে মালে, হে
হেই,
চুওপ, চুপ করে বসে থাক,
চুওপ ভাই চুপ, কথা কম
নেই দম, সো
চুপ চুপ চুপ, এ ভায়,
চুপ,এ ভাই,
হাতে হাতে তালি, ও বন্মালি,
কেন জন্মালি? উ
La la lala la la.......
এটা, কথা, কথা কম, কাজ বেশির সময়,
কাজ বেশি, বড্ড বেশি বেশি
এটাও হয়,
ব্লিং ব্লং, ক্লিং ক্লং,
ব্লিং ব্লং, ক্লিং ক্লং,
ছটফটে হংকং
I can feel it, do YOU?
its really মা মাসি 😊😀😁
belive রিয়্যালি, believe it is, beli me.
Ommf  fu fu fu...
শুধু কথা কথা, ব্যাথা ব্যাথা বাড়িয়ে,।
কেন এভাবে হারিয়ে,
কামো কামো, এটা কাজে কাজে
সাজে ভাজে, ফাক ম্যান জাস্ট ফাক ইট।
সাক ইট। হজম হজম হজমিগুলি।
অসামান্য কেন হলি?
শ শ শ, আলে বালে তালে,
ও বনমালি।
ফ্রিকি ফ্রিকু লাইক্লি, হাইলি,
এমনি তেই কেন দিলি?
নো নো। কামো, প্লি টেক ইট ইসিলি
বিলি কাম্মো, 
চুপ চুপ চুপ
চুপ চুপ চুপ।
হেইলি, ডেইলি ফেইলি
কেন কাছে এইলি,
নট মেয়েলি বাট হাইলী,
সো চুপ চুপ এক্সুপ
চলছে চলবে চলবি...
হে হে হে...

তুমি, আমি, দেশ, আমার আতপুর, আমার শশ্মানক্ষেত্রঃ

মুশকিল আসান,
ধরে নি না, এটা দেশ না,
ছিল শ্মশান।
কিছু ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
ফল পাকতে শুরু করেছে।
পাখিও গাইছে গান।
বা,
কুছ না কহো, কুছ ভি না কহো,
ক্যায়া কেহ্না হ্যা, ক্যা শুন্না হ্যায়,
মুঝকো পতা হ্যায়। তুমকো পতা হ্যায়।
"1942 A Love Story."
বা এ বাংলায় ধরুন '৪২' এর মন্বন্তর।

তাই বলছিলাম যে,
শীব ঠাকুরে রো আপনা দেশ আছে। ওটা স্বর্গ। ক্ষরা বন্যা হয় না। সুন্দর ফুল ফোটে। কি সুবাস। মিষ্টি মিষ্টি ফল হয়। মনরম বাতাস।
ওখানে চিরবসন্ত বিরাজ করে।
কিসের উপর বসে যেন, হাতে চক্র পদ্ম গদায়িত, নারায়ন ঠাকুর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্য পছন্দ করেন। আমাদের দেশেও হয়। তবে এসব সঙ্গীতানুষ্ঠান সবার জন্য নয় বলে, আমারো দুচ্ছাই বলতে ইচ্ছে হয়।
যাই হোক, উ দেশের মাতা রানী কদিন পরেই ইঁহা পাড়ি দেবেন। আমরা ভি তক্কে তক্কে আছে। এবারো মা দুগ্গা আমাদের দূর্ভোগ দূর দূর করে ভাগিয়ে দেবেন। অতি আনন্দে বলবো ভারত মাতা কি! গেল বারে দশমী তে, পাঞ্জাবে অনুষ্ঠানে অনেক মানুষ ট্রেনে কাটা টাটা পড়েছিল। ভূলে গেছি।
যাই হোক,
দেশের সভায় মুহুর্মুহ বিল পাশ হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন, দেশের নড়বড়ে কাঠামো টাকে শক্ত করার প্রক্রিয়ায় আমরা বড্ড দেরি করে ফেলেছি। ওটা টাইট দিলেই, লোকের কাজ, কম্ম, ক্ষুদা, অকাল মৃত্যুর অবসান ঘটবে। অন্তত এসব জরুরী কাজে এবার ভালো ভাবে মনঃনিবেশ করতে পারবো।

শুধু কি এটাই সত্যি? এর বায়রে কিছু নেই?

পক্সো তর্জমা করে পাশ। মানে নাগরিক বেগতিক কিছু কল্লেই ধরে ভরে দাও। নো কন্সাল্টেশন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে নাকি আমাদের প্রধানমন্ত্রী, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থা করার আর্জী জানিয়েছিল। আসলে কে সেই জন, একজন, যে সত্যের অপলাপ করছেন? সেটা কে? হারিয়ে গেল।
মানে তালাক তালাক তালাক। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন না। কোলে শিশু। আবার ধরুন বাঘ বাড়ছে। বা প্রধাণমন্ত্রীর জঙ্গল প্রকৃতি নিয়ে নতুন ভিডিও আসছে।
বা এর মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ঘনঘন কাশ্মীর ভ্রমণ। হুম। কুছ তো হ্যায়। এন্ড ইয়েস।
কাশ্মীর আবার বিভাজিত। পিয়োরলি  প্রশাষনিক দিক থেকে সুবিধের কারণে ত বটেই।
আসলে ভূল ছিল যেন অনেক কিছুই। সে ভূলের প্রায়শ্চিত্তের অবসান ঘটানোই চলছে যেন। ডাঃ আম্বেডকর বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, আরে রোক্কে ভাই। রোক্কে। ইত্না জল্দবাজি?
ওপাশ থেকে ঠিক কেউ বলবে, ওয়ান নেশন ওয়ান ল, ঠিক হ্যায়।
আম্বেডকর বল্লেন, ওটাও তো প্রিন্সলি স্টেট। ওরা তো ভারতের অন্তর্ভুক্তি চায় নি। শুধু হেল্প চেয়েছিল। তাইতো ৩৭০।
ওরা বল্লো, তালে এতদিন ধরে যে খাওয়ালাম, পরালাম, সুরক্ষা দিলাম উলটে আমাকেই কামড়াতে আসো বারবার, এটা যে অনেক দিন ধরেই সহ্য করে আসছি বটে।
তারপর মিকচার ধর্ম কালচার টারো তো সব্বনাশ
করে দিয়ে এক পাক্ষিক করার চেষ্টা, সেটা কেন মেনে নেব বলতে পারেন?
যাই হোক, ডাঃ অমবেডকর চারিদিকে শূন্য তা দেখে বিলীন হয়ে গেলেন। শুধু শুনতে পেলেন, গান্ধীজী কে, 'হে রাম।'
(গান্ধীজী  'হে রাম' বলেছিলেন কিনা, সে নিয়ে কোয়েশ্চেন করবেন না। মহান মানুষ দের দৃঢ় তা নিয়ে প্রশ্ন তুল্লে ভাবতে হয়, নোয়াখালীর দাংগায় রোগা ভোগা চেহারার এক মানুষ সুদূর গুজ্রাট থেকে এখানে ছুটে এসেছিলেন। আর কদিন পরেই এন আর সি হলে, কে কে ছূটে আসে সেটাও দেখার )
যাই হোক,
আমার পশ্মিনা ধাগার পাতলা চাদর আলমারি তে তুলে রাখা আছে। কাশ্মীর ও আছে। সেটা সিমপ্লি দু টুকরো হল। লাদাখ আলাদা হয়ে গেল। এবার দুটি কেন্দ্রশাষিত অঞ্চল দিল্লির কাছে দাবি দাওয়া করবে। সরকারি পদ গুলো দুটো করে হয়ে যাবে। দেশের কিনারের ইনফো ভালো পাওয়া যাবে। বেড়ানো তে ফুর্তি, ব্যাবসায় মজা। চীন কি ছেড়ে দেবে। হয়ত গল্প হবে অরুনাচলে। সাম্নেই ১৫ই আগস্ট। সবই কল্পনাশ্রিত।
এবার আসি একটু হতচ্ছাড়া লোকালি।
ধরুন,
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মাথার পরি টাকে সরিয়ে বসানো হল ভারত মাতা, সঙ্গে জাতীয় পতাকা। সিংহাসন থেকে রানী শুদ্ধু হটিয়ে, শ্বেত পাথরের থালার উপর শ্বেত পাথরের অশোক চক্র।

আমাদের আতপুরের শ্মশানঘাট। এখুনো মোট কটা মড়া পুড়েছে? জানা নেই। শ্মশানঘাট তৈরি হবার পর নিশ্চই উদ্বোধন হয়েছিল। কে করেছিল? প্রথম মড়া পুড়বার আগে কি পুজো হয়েছিল? নিশ্চই তা শ্মশানকালীর পুজো। তাই হবে। যা আজো হয়ে আসছে।
আবার এর উলটোও কি হয় না। ধরুন মড়া পোড়ানো বা গোর দেওয়া হত যেখানে। সেখানেই কোথাও মন্দির বা মসজিদ গড়ে উঠেছে। বা শিকারের বদ্ধ স্থল হিসেবে যার নাম ডাক ছিল। হঠাৎ অজানা কোন কারণে শিকারী ভ্যানিশ হয়ে গেল। লোকাল মানুষেরা হাপ ছেড়ে বাঁচলো, নাঁচলো। সেখানে পবিত্র স্থল হয়ে উঠলো। লোকে ভক্তি ভরে সেখানে তার কামনা বাসনা মায় মানত টাও করতে শুরু করে দিল। হতেই পারে। কত কিছুই তো হয়। এটাও না হয় হতেই পারে।

Friday, August 2, 2019

ভোরেই নদীতে সাড়া পড়ে যায়। ছিপ নৌকা ক'খান জলে ঢলে পড়ে। ধীবরের জ্বালে জ্যান্ত  চিংড়ি, গুলে বেলে এটা ওটা। গৌরাঙ্গ দা আজো গুলে বেলে নিয়েই হাজির। ইলিশের কথা সুধোলেই বলে, শীতলা পুজো টা না গেলে, মাছ আসবেনি গো। গেল সোমবার ৯০০ টাকায় ইলিশ কিনে চন্দননগরে ১২০০য় বেচে এসছে। সবাই তক্কে তক্কে আছে।

আজ শুক্কুরবার। হপ্তার দিন। বেলায় ভোঁ পড়লেই আজকের মত ফারুকের ছুটি। ভুদুয়ার জন্য জামা কেনা। লাইটারের পাথর টাও পাল্টাতে হবে। আফগানি মহাজন এখুনো ৬০০ টাকা পায়। বুলেট নিয়ে গেটের ওই দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। ওকে ৩০০ দেব। উমেদ বলেছে, এমাসে ১২০০ না দিলে, অন্য কোথাও জাগা দেখে নিতে।
এসব ভাবনায় উঠে বেরোতে নিচু চালে মাথায় ঠুকে গেল। সামনেই টাইম কল। আঁজলা জলে কপালে থোপাতে আরাম মেলে। নিমের দাঁতন বেশ ভালো। চুপ করে গরুর মত চিবিয়ে যাও। গরুর কথা মনে হতে, গোস্তের কথা মনে আসে। কতদিন হয়ে গেল। মাংস আর মুখে রোচে না।
নিমের ডাল নরম হয়ে আসে। মাড়ির আনাচে কানাচে রগড়ালে, বেশ তৃপ্তি লাগে।
ছবিরানি আমায় রোজ দূর থেকে দেখে। আমি দেখলে, ঘোমটায় মুখ নিচু করে ন্যায়। ওর লোকটা অনেক রাত করে ফেরে। গেল শ্রাবণে ওর ছেলেটা শীবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে, আর ফিরে এলো না।
এবার ফারুক ঈদের ছুটিতে দেশে যাবে।
বকলেস ক্লাসলেস ছাইপাশ ডিসকাসঃ  শুনেছি গোলবাড়িতে গেলে, গব্য ঘিয়ের লুচি সহ গব্য কষা মেলে। গেলা তুষ্টি সাঙ্গ হলে, আরামে চোখ বুজে আসা ফ্রি।
তা-র-প-র    লম্বা গেলাসের তরল মিকচার, পাক প্রনালী তে। ও হরি,  এযে 'দর্শনে' র পোকা তে কামড়ায়। উদাস হয়ে বসে, এ কি করলাম, কেন এরম হল?  এর চে কি ভালো হত না? 😁 এইসব আরকি।
      শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়। হরিদাস পালের চায়ের দোকানে বসে। দূরে নেতাজী আকাশপানে অাঙুল চালিয়ে কি নির্দেশ করেন? অাঙুলের নির্দেশিত পথে চেয়ে ঘোর আসে। অজান্তেই পকেট থেকে একটা দিব্য গুলি মুখে এন্ট্রি ন্যায়।
      ঝটকা লাগে। যেন পুনর্জন্ম। মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে গরুর চোখ ই সবচে কোমল, শান্ত। ষাঁড়ের ও তাই। তবে বড্ড আনপ্রেডিক্টেবল। শীব ঠাকুরের বাহন কিনা। তাই পয়েন্ট পাবে না। হরিণ ও তাই। আর  মানুষের চোখ এখন পার্লারে না গেলে গোল্লা।
যাই হোক,
 দিব্য চোখে ভাবি 'ল্যাজেগোবরে।'
এটা ঠিক কী, কিভাবে, কেন? গরুর লেজ না ষাঁড়ের কিছু? এর সাথে মানহানির কোন সম্পর্ক আছে কী? মানে গরিবের লজ্জ্বা টাইপ কিছু? পান থেকে চুন আর ল্যাজের সঙ্গে গোবর। মানে গরু, চুন, গোচনা, আলোচনা। দূর দূর।

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই