ব্যালান্সড জীবন
জীবন টা কখনো ভীষণ সুন্দর। যেন পদ্ম পাতায় মুক্ত। কখনো বড় কষ্টের। সজনে আঠার মত। প্রচুর তাপ উত্তাপ না পেলে ছাড়তে চায় না। কখনো কখনো এই এত ভালো ভালো ব্যাপার পরপর ঘটতে থাকে। হৃদয় শঙ্কিত হয় এই বুঝি কি হয় কি হয়। আবার দুঃখ জিনিস টার তো এ ব্যাপারে জুড়ি মেলা ভার। একবার গ্রহণ লেগে গেল তো পূর্ণিমার আশায় কবি সুকান্ত। লেড়ো বিস্কুট ও কাঁচের বয়ামে ফিক করে হাসে।
প্রত্যেকের জীবনে ভালো মন্দ খারাপ সুগন্ধ রয়েছে। থাকতেই হবে। সৌভাগ্য তাদের যারা ভালোত্ত সুগন্ধ কে সযত্নে লালন করে পরিমিত লবণের ন্যায়। আর লবণ কে এরা কখনোই বন্ধুর দরজা দেয় নি। অতিথি হিসেবেই লালিত পালিত।
মানব জীবনে লবণ আর কিছুই না। ক্ষমতা, সম্পদ, প্রতিপত্তি শত সহস্র থাকলেও তার পরিমিত যথানুচার ব্যাবহার। আর হ্যাঁ এর সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত হবে যথোপযুক্ত শিক্ষা, আচার। আপনিও জানেন আমাদেরই আসে পাশে ছড়িয়ে রয়েছে এমনই কত শিল্পী। যাদের দেখে মনে খুশি জাগে। মনে হয় কত ব্যালান্সড জীবন। হয়তো বা সত্যি সে জীবন ব্যালান্সড।
তবু কি সে জীবন পীড়িত নয়। হতেই পারে তারা নিঃসন্তান। তবু আছে তারা তাদের মত। হতেই পারে সেন পরিবারের একমাত্র সন্তান বিকলাঙ্গ, তবু তো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হতে কি পারে না, পরিবারের একমাত্র আদুরে কন্যা পালিয়ে বিয়ে করেছে। আর এখন সে বাবা মায়ের কাছে মৃত। হতে অনেক কিছুই পারে। যে নিঃসন্তান সে হয়ে আজও হাসতে পারে। যে বিকলাঙ্গ সেও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। আবার আদুরে কন্যা তার প্রিয় বাবা মাকে হয়তো একদিন ফিরেও পেতে পারে।
কি আশ্চর্য দেখুন ব্যাক্তি জীবন কষ্ট দুঃখ আনন্দ থেকে কোথায় না এ মনের ঘোরা ফেরা। এমন তা কোথাও দেখি না। মানব জীবন ছাড়া এ বৈচিত্র অনুভব করা যায় না।