ঢিল দিলে যা হয়, বর্তমান কে মনের রসে জারিত করে।
করোনার সংক্রমন টা, মন কে যেন আক্রমন সংক্রামিত না করে? কারণ টা এ মন কে পরে বলছি।
'সংক্রামিত রোগীর জন্য নহে।' কোথায় লেখা থাকে? তাই বলছিলাম আরকি, PANDEMIC এর মধ্যেই প্যানিক লুকিয়ে আছে। সেটাই ভয়ের।
অলক্ষে হাসছে কে? হু?
-- সারা পৃথিবীতে মানুষের কত রকমের রোগ এখুনো পর্যন্ত দেখা গিয়েছে?
-- এর মধ্যে সংক্রামিত রোগের সংখ্যা কত?
-- কোন রোগে সব চে বেশি মানুষ মারা গিয়েছে? যায়?
-- তাও নিয়ন্ত্রণে আসে নি?
কোন তথ্য ই পরিষ্কার নয়। পরিচ্ছন্ন নয়।
পোলিও টিকেও নিতে হয়
তাহলে Pandemic কোনটা? Panic নাকি, PAN-DEM-IC.
কখুনো কখুনো মনে হচ্ছে, IQ, EQ সব ICU তে চলে গ্যাছে।
যাই হোক,
তথ্য পরিসংখ্যান বলছে,
১. এ দেশেই সাড়ে ছয় লক্ষের উপর গ্রাম। স্বাস্থ্য কর্মী?
২. পৃথিবীতে ৯৫% মানুশ কোনো কোনো ভাবে অসুস্থ।
৩. খবরের সাপ্লাই লোকাল ন্যাশ্নাল বাদ দিলে দাঁড়ায় নিয়ন্ত্রক মূলত আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া এরা। (খাদ্য, জিনিশের, মেশিনের তালিকা মাথায় আসছে ত?)
৪. রকমারি অসুখে প্রায় বা মাত্র দশ হাজার অসুখ শুধুই জিন গঠিত।
৫. ২০১৬ তে সাড়ে পাঁচ কোটি মৃতের মধ্যে আড়াই এর বেশি হৃদজনিত কারণে মৃত। এত হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েও সহজ লভ্য হয়ে ওঠেনি।
ওই যে প্রথমেই বললাম, সংক্রমন যেন মনে সংক্রামিত না হয়।
৬. আমেরিকা স্বাস্থ্যের জন্য দুই ট্রিলিয়ন বরাদ্দ করেছে। আমাদের দেশ? তাও... চেষ্টা চলছে।
৭. সারা দেশের লোকাল SSI প্রায় বন্ধ। কারখানায় তালা পড়ছে।
৮. পৃথিবীতে ২৫ লক্ষ্যের মত চাকরি হারাবে।
যাই হোক,
এমতাবস্থায়, তাই ভেবে দেখার অনুরোধ করি, ট্রান্সপোর্টেও নানা রকমফের দেখা দিতে চলেছে, অতএব,
আমদানি রপ্তানির সাপ্লাই চেনের নতুন চুক্তি গুলো কারা নিয়ন্ত্রণ করবে?
যাই হোক বড্ড ভারী হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ এটাই যে,
এ দেশের নাতিশীতোষ্ণ উষ্ণতা একটা ফ্যাক্টর।
বিচিত্র দেশ, বিবিধের দেশ।
তারপর, দিনে মশা, রাতে মাছি। তবু বেঁচে আছি, এটাই অবশেষ।
দোকানে মুড়ি নাই বা পাওয়া গেল, পেটে ভিজে গামছা বেঁধে, গানের রেওয়াজ কি আমি দেখিনি?
আর খুঁজে দেখলে সব মানুষেই যেমন দোষ পাওয়া যায়, তেমনি রোগ ও পাওয়া যাবে।
আর এত শত শত কোটি ছোট বড় রোগ ভোগ নিয়েই তো দেশের হাড়ি তে রান্না টা ঠিক ই হচ্ছে।
কত লোকে প্রান্তে প্রান্তে পাঠিয়েও দিচ্ছে।
তাই, মনে হচ্ছে যেন, এদ্দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদেরও নেহাত কম নয় নি।
মাসের পর মাস, বছরের আঁচড়, সে নানা রফা।
নতুন বৃষ্টি জলে, ভিজে কাক হয়ে তাঁর সাথে দেখা।
আইসক্রিম থেকে আলু কাবলি,
ফুচকা থেকে আলুচোখা।
খাবারে মাছি, ময়লা হাতে মাখা,
তাও ত চেটে পুটে খাই।
উলুস কত্তে কত্তে বিকশিত দন্তে
বগল বাজাই।
যাই হোক,
উন্নত দেশের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা আমাদের নেই জানি। কিন্তু সহ্য করার এক নিদারুন ফ্যাক্টর, ক্ষমা করার অদ্ভুত শক্তি যে ভাবে দিনে দিনে দেশে জারিত হয়েছে। সেটা যদি এখন কাজে না লাগে, তাহলে বৃথা হয়ে যাবে এই ফালতু অহেতুক মড়া কান্না।
দেখতে পারছি, বুঝতে পারছি, দেশের বেশির ভাগ লোক এটা কে এনজয়ই করছে। কেনই বা করবে না।ঘরে থাকার মজাই আলাদা। বোঝাই যাচ্ছে।
নিদারুন কষ্টের মধ্যে কিন্তু গ্রামের সংখ্যা, কারখানা, SSI, সাপ্লাই এগুলোই শুধু যাচ্ছে না।
আন্তরজাল থেকে পাওয়া কিছু ছবি।