করোনা,
নমস্কার নেবেন। ক্যামন আছেন?
তবে, কোথা থেকে কি কান্ড, বলুন। বেশ চলছিল।
টপ করে উড়ে এসে জুড়ে বসলেন।
১ মাস ৩ হপ্তাহ ৩ দিন হয়ে গেল, আপনি অতিথি রূপে এদেশে ঠাঁই নিয়েছেন। মাঝে কত শত হাজার বার যে আপনি এ দেশ ও দেশ করে, হোলি, দোল,পার্টি, বিয়ে, সেমিনার, মিটিং মায় এনগেজমেন্ট টাও চুটিয়ে সেরে নিলেন।
কাউকে জানতে দিলেন না। এ ভারি অন্যায়।
এখন, মাঝেই মাঝেই এ রাজ্য ও রাজ্য থেকে উঁকি মারবেন, আর আমরা চমকে দমকে উঠবো। এটাই তো? এটাই চেয়ে ছিলেন তো?
তবে মনে রাখবেন,
জ্যান্ত মানুষের অফুরন্ত শেষ পর্যন্ত সাহসে, ভালবেসে, আর টিকে থাকার অপার উৎসাহের কপালে, জিতে যাওয়ার টিপ দিতেই হবে।
মনে রাখছি বেঁচে যাওয়া আর সুরক্ষিত থাকা টা এক ব্যাপার নয়। কোটি কোটির দেশে কিন্তু কোটি রাই দেশ। আবার একটা মানুষ ও দেশ। মহাদেশ। নিজের নিরাপত্তা তাকেও ঘাড়ে নিয়ে বয়ে বেড়াতে হয়। যাই হোক।
জানি তো ভাইরাসের মৃত্যু নেই। ভাইরাস আসবে যাবে। যেমন আপনি। তাও মানুষ রয়েই যাবে।
আপনি, রবীন্দ্রনাথের শেষ দেহ নিয়ে মিছিল দেখেছেন? মহাত্মা গান্ধীর? আরো কত শত শত বিজ্ঞানী, বিপ্লবী, দার্শনিক, খেলোয়াড়, কাছের ভালবাসার বন্ধুর শেষ যাত্রায় পথে হেঁটে, আমাদের যদি মনে না হয়ে থাকে, যে, দিয়ে যাওয়ার সময় টা আমাদের ও পেরোয় নি, তাহলে তো ঠিক দিকেই এগিয়ে চলেছি।
উৎপাদন বন্ধ। কালো ধোঁয়া কমলো। নদী গাছ পাহাড় গুলো একটু রিলিফ ও তো পেলো। পৃথিবীর তাপমাত্রা তেও প্রভাব আসবে, আশা করা যায়। যায় না? এতেও ভালো থাকা টা বেড়ে যায় না?
টাকা টাকা করে যাদের বুকে পাঁজরে ব্যাথা, নিশ্চিন্তের ব্যাংক ব্যালেন্সের কথা ভেবে, যাদের গালে খই, তাদের কথাও ভেবে দেখার মত। শুধু তাদের মত করে না ভাবলেও হয়।
এই তো আজ থেকে আন্ত রাজ্য উড়ান ও বন্ধ হল।
যাই হোক, এ মুহূর্তে কাশ্মীর, পাকিস্তান, CAA, NPR, NRC, ধর্ষণ, অর্থনীতি, ধর্ম ইত্যাদি নানা জরূরী ইস্যু একটু ব্যাকস্টেজে আছে। সময় আস্লেই পুনরায় প্রস্ফুটিত হবে।
আবার এটাও যে, ৫০-৬০ দিন ধরে মিডিয়া, কাগজ, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যাবতীয় দিনের পর দিন, কত শত শত মিডিয়া, জরূরী লেখা, সতর্কতা, রিপোর্ট যেন জল হয়ে ভেসে গেল।
বুঝতে পারছি, সমীক্ষাও বলছে, যতক্ষণ না মানব সমাজ আপনাকে (প্রেমিক/প্রেমিকা) প্রতিষেধক দিচ্ছে, আপনি অতৃপ্ত আত্মার মত আমাদের ভয় দেখাবেন।
যেন নিষ্কৃতি নাই।। অবনিও বেমক্কা খিল তুলিয়াছেন।
কি জ্বালা। যাই হোক, দায়িত্ববান নাগরিক দেরই যখন চুড়ান্ত দায়িত্ব নিতে হবে। মানে হাম লোগ হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।
তাও কিন্তু কেউ জলদি গরম চাইছেন, আলু পিয়াজ, হোম, প্রার্থনা, লাঠির বাড়ি, দোকান বাজারে ভীড়, সে শ্যামনগর হোক বা মানিকতলা, রাস্তায় বেরোলেই ওষুধের বন্দোবস্ত। বলো কার জন্য?
ভালো কথার এক কথা,
এরই মাঝে বাসন, খোল করতাল বাজিয়ে করোনা উৎসব পালন করেছি। এতে পরম উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আমরা দেখতে পারছি, ডাক্তার, বদ্যি, নেতা নেত্রী সবাই কিরকম খুশী।
প্রমাণ হল, 'তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দিও শক্তি।'
তাই যুক্তির খুশী কে ধরে রাখতে, এখন সামাণ্য অর্থেরও প্রয়োজন। মানবিকতারও প্রয়োজন। ডাক্তার দের সম্পূর্ণ সুরক্ষার কিট প্রয়োজন। ওষুধের জন্য কাচা মাল প্রয়োজন। চাওয়ার যেন শেষ নেই।
সব শেষে, নিজের সুরক্ষা এখন যখন নিজেকেই নেওয়া প্রয়োজন। এটাও আপনি বিলক্ষণ বোঝাতে পেরেছেন যখন। তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নমস্কার নেবেন। ক্যামন আছেন?
তবে, কোথা থেকে কি কান্ড, বলুন। বেশ চলছিল।
টপ করে উড়ে এসে জুড়ে বসলেন।
১ মাস ৩ হপ্তাহ ৩ দিন হয়ে গেল, আপনি অতিথি রূপে এদেশে ঠাঁই নিয়েছেন। মাঝে কত শত হাজার বার যে আপনি এ দেশ ও দেশ করে, হোলি, দোল,পার্টি, বিয়ে, সেমিনার, মিটিং মায় এনগেজমেন্ট টাও চুটিয়ে সেরে নিলেন।
কাউকে জানতে দিলেন না। এ ভারি অন্যায়।
এখন, মাঝেই মাঝেই এ রাজ্য ও রাজ্য থেকে উঁকি মারবেন, আর আমরা চমকে দমকে উঠবো। এটাই তো? এটাই চেয়ে ছিলেন তো?
তবে মনে রাখবেন,
জ্যান্ত মানুষের অফুরন্ত শেষ পর্যন্ত সাহসে, ভালবেসে, আর টিকে থাকার অপার উৎসাহের কপালে, জিতে যাওয়ার টিপ দিতেই হবে।
মনে রাখছি বেঁচে যাওয়া আর সুরক্ষিত থাকা টা এক ব্যাপার নয়। কোটি কোটির দেশে কিন্তু কোটি রাই দেশ। আবার একটা মানুষ ও দেশ। মহাদেশ। নিজের নিরাপত্তা তাকেও ঘাড়ে নিয়ে বয়ে বেড়াতে হয়। যাই হোক।
জানি তো ভাইরাসের মৃত্যু নেই। ভাইরাস আসবে যাবে। যেমন আপনি। তাও মানুষ রয়েই যাবে।
আপনি, রবীন্দ্রনাথের শেষ দেহ নিয়ে মিছিল দেখেছেন? মহাত্মা গান্ধীর? আরো কত শত শত বিজ্ঞানী, বিপ্লবী, দার্শনিক, খেলোয়াড়, কাছের ভালবাসার বন্ধুর শেষ যাত্রায় পথে হেঁটে, আমাদের যদি মনে না হয়ে থাকে, যে, দিয়ে যাওয়ার সময় টা আমাদের ও পেরোয় নি, তাহলে তো ঠিক দিকেই এগিয়ে চলেছি।
উৎপাদন বন্ধ। কালো ধোঁয়া কমলো। নদী গাছ পাহাড় গুলো একটু রিলিফ ও তো পেলো। পৃথিবীর তাপমাত্রা তেও প্রভাব আসবে, আশা করা যায়। যায় না? এতেও ভালো থাকা টা বেড়ে যায় না?
টাকা টাকা করে যাদের বুকে পাঁজরে ব্যাথা, নিশ্চিন্তের ব্যাংক ব্যালেন্সের কথা ভেবে, যাদের গালে খই, তাদের কথাও ভেবে দেখার মত। শুধু তাদের মত করে না ভাবলেও হয়।
এই তো আজ থেকে আন্ত রাজ্য উড়ান ও বন্ধ হল।
যাই হোক, এ মুহূর্তে কাশ্মীর, পাকিস্তান, CAA, NPR, NRC, ধর্ষণ, অর্থনীতি, ধর্ম ইত্যাদি নানা জরূরী ইস্যু একটু ব্যাকস্টেজে আছে। সময় আস্লেই পুনরায় প্রস্ফুটিত হবে।
আবার এটাও যে, ৫০-৬০ দিন ধরে মিডিয়া, কাগজ, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যাবতীয় দিনের পর দিন, কত শত শত মিডিয়া, জরূরী লেখা, সতর্কতা, রিপোর্ট যেন জল হয়ে ভেসে গেল।
বুঝতে পারছি, সমীক্ষাও বলছে, যতক্ষণ না মানব সমাজ আপনাকে (প্রেমিক/প্রেমিকা) প্রতিষেধক দিচ্ছে, আপনি অতৃপ্ত আত্মার মত আমাদের ভয় দেখাবেন।
যেন নিষ্কৃতি নাই।। অবনিও বেমক্কা খিল তুলিয়াছেন।
কি জ্বালা। যাই হোক, দায়িত্ববান নাগরিক দেরই যখন চুড়ান্ত দায়িত্ব নিতে হবে। মানে হাম লোগ হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।
তাও কিন্তু কেউ জলদি গরম চাইছেন, আলু পিয়াজ, হোম, প্রার্থনা, লাঠির বাড়ি, দোকান বাজারে ভীড়, সে শ্যামনগর হোক বা মানিকতলা, রাস্তায় বেরোলেই ওষুধের বন্দোবস্ত। বলো কার জন্য?
ভালো কথার এক কথা,
এরই মাঝে বাসন, খোল করতাল বাজিয়ে করোনা উৎসব পালন করেছি। এতে পরম উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আমরা দেখতে পারছি, ডাক্তার, বদ্যি, নেতা নেত্রী সবাই কিরকম খুশী।
প্রমাণ হল, 'তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দিও শক্তি।'
তাই যুক্তির খুশী কে ধরে রাখতে, এখন সামাণ্য অর্থেরও প্রয়োজন। মানবিকতারও প্রয়োজন। ডাক্তার দের সম্পূর্ণ সুরক্ষার কিট প্রয়োজন। ওষুধের জন্য কাচা মাল প্রয়োজন। চাওয়ার যেন শেষ নেই।
সব শেষে, নিজের সুরক্ষা এখন যখন নিজেকেই নেওয়া প্রয়োজন। এটাও আপনি বিলক্ষণ বোঝাতে পেরেছেন যখন। তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।