মনের মত পাগল পেলাম না।
"The lamentable condition of India at present is due to England's culpable neglect of, and gross apathy to, the affairs of that Empire. England has hitherto failed, grievously failed - in the discharge of her sacred duties to India."
Acharya Prafulla Chandra Ray.
আমাকে দুটো কথা কড়াঘাত করে, একটা 'lamentable condition' আরেক টা 'Sacred duties.'
তাই হয়তো, এসব ভাবা।
পঞ্চম শ্রেনী থেকে দ্বাদশশ্রেণী। অতি সাধারণ ভারতীয় মানে ৮০% ছাত্রছাত্রীর মনে বিষয়, অধ্যায়, ভূগোল, বিজ্ঞান কতটা রেখাপাত করে, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ, আশংকা আজও রয়েই গেছে।
আচার, ব্যবহার, কথা বলায় বা আচরণেই তার বহিঃপ্রকাশ।
এক্ষেত্রে যে, শিক্ষক শিক্ষিকা শুধুই একটা অনিষ্টকর বস্তুবাদের দিকে ধাবিত, সেটা কারো কাছে ভাবনার বিষয় নাই বা হতে পারে।
কিন্তু, শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকেই তার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই চলে আমৃত্যুকাল। কিন্তু মাঝের সময় টায় পরিস্থিতি, রাজনীতি, কর্মসংস্থান বা জীবন ধারণের অদ্ধ্যায় টায় মনে হয়, যেন কি প্রতিকূল অর্বাচীন বিমূর্ত বিমুখ পরিস্থিতির জাঁতাকলে, যেন প্রাণ যায় যায়।
সেখানে না আছে লেবেলের হাত পা ছোঁড়া না কোন সুনিশ্চিৎ প্রস্তুতির ভাবনা। হাতের কাজ শেখা টাও যেন ছোটলোক ছোটলোক ফিল। ভাবা যায়?
আর অভিভাবকের, এটা করিস না, ওটা করিস না তো আছেই। যেটা তাকে ভেতরে ভেতরে আড়ষ্ট করে তোলে, সেই বা কে কাকে বোঝাবে?
তাই শিক্ষা বিষয় টাই যেন, ঘোরতর কঠিন তম অদ্ধ্যায়। আলোচনা করি না, ভাবতে চাই না। ভাবাতেও চাই না। উল্টোপাল্টা অহেতুক পালিয়ে বাঁচলেই যেন বাপের নাম টাইপ। ভাবা যায়?
অথচ এমনো সময় গ্যাছে, পড়াশোনা না হলেও, পরিবেশের খাতিরে, ছেলেমেয়ে অবাক বিস্ময় হয়ে গ্যাছে। আর এখন দ্যাখো
এ শিক্ষা র্রীদ্ধ ত হতে তো শেখায় ই না। এ শিক্ষা আগুন হতেও শেখায় না। এ শিক্ষা প্রশ্ন করতেও শেখায় না।
এ শিক্ষা আজ হাস্যকর এক পরিস্থিতির শিকার, সেটাও কেউ দেখায় না।
এ শিক্ষা নিয়ে কেউ কথা বলতে উঠলে, তার কথা চট জলদি ফুরিয়ে যায়। ইচ্ছে টার মৃত্যুটাই যে অবশ্যম্ভাবী, এমন টাই বাতাসে ভাসে।
বাদ দিন।
কিন্তু জগৎ টা যে ধিরে ধিরে অটোমেশনের যুগে এগোচ্ছে। কিন্তু এটা আজ নয়, ১০০ বছর আগে, প্রফুল্য চন্দ্র যা লিখচেন,
" more than forty years ago, while a student of Edinburgh I almost dreamt, a dream that, God willing, a time would come when modern India would also be in a position to contribute her quota to the world's stock of scientific knowledge, and it has been my good fortune to see my materialise."
অথচ, প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা কি ভয়ানক পিছিয়ে। কত সামাণ্য বুদ্ধিতে বিদেশ কত যে বিদেশী মুদ্রা ঘরে তোলে। হায়, তবু আমরা ক্লাসে এসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি না।
পরিবেশের ক্লাসে ঘরের আশে পাশের অবস্থা নিয়ে ছাত্র ছাত্রী রা যে প্রোজেক্ট জমা দেবে। সে ক্লাস দেখলে হয়ত পরিবেশবীদ রাও আমাদের মত খলখলিয়ে না হেসে, আরো উন্নতি করার পরামর্শ দেবে।
তবু আমরা এসব ক্লাসে বলতে ভালোবাসি না। বাস্লেও কাকে বোঝাচ্চি ভেবে চুপ রই। ডাক্তারি, শিক্ষকতা, ইঞ্জিনিয়ারিং জীবিকার কতশত বিভাজন ঘটে গ্যাছে তার কত টুকু খোঁজ রাখি? রাখার দরকার আছে কি? কি হবে রেখে, ভাসা ভাসা কিছু শব্দ আঁকড়ে, কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে শুধু দায়িত্বের ভান করা দাবী রেখে? হাস্যকর লাগে আরো, চোখেও লাগে নিজের, আমি এসব ভাবচি দেখে?
কিন্তু বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, শিক্ষকতার নামে এই যে একটা দালালী বা কাঙালীপণা আগে ছিল না। সত্যি বলছি। কিছু ছিল, যেটা প্রকাশ্যে আস্তে দেওয়া হত না। এখন, সত্যি এযে কি বিষমরূপ! তা নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।
ভীরুতা, কাপুরুষতা, অতি চালাকি বা গুছিয়ে নেওয়া - এসব শিক্ষাই আজ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীর কপালে জোটে।
নয়তো বা চুড়ান্ত একটা অবক্ষয়। নইলে কেন মনে হবে, যে হঠাৎ কুকুর/বাচ্চা কে কোলে নিয়ে বিস্কুট খাওয়ালেই মনুষ্যত্বের পরিচয় দেওয়া হল? হঠাৎ মনে হল, ১০ টাকা ফুটপাতে গুঁজে দিলাম। কিন্তু এভাবে ত চলতে পারে না। জানি না সেইন্ট জোসেফ, ডন বস্কো বা সেই হেবি স্কুল কি শেখায়? জানি না সেই শিক্ষক শিক্ষিকার সঙ্গে আমজনতার স্কুলের তফাত কোথায়?
ডিসিপ্লিন নাকি ছাত্র ছাত্রীর অবস্থা, নাহঃ।
এসব আমার ধর্তব্যেরই মধ্যে আনতে চাই না।
আম জনতার শিক্ষক শিক্ষিকা কে সেই প্রতিকূলতা তেই ঠিক করে নিতে হবে তার কর্ত্তব্য।
কিন্তু হায়।
সেই দুষ্ট, সুবিধাভোগী, নামদার শিক্ষক শিক্ষিকা। যাদের অভিযোজন কি ভয়ানক সংক্রামক নীতিভ্রষ্ট। ওরা গোনে আজও তাকে ক'টা ক্লাস নিতে হবে!
"The lamentable condition of India at present is due to England's culpable neglect of, and gross apathy to, the affairs of that Empire. England has hitherto failed, grievously failed - in the discharge of her sacred duties to India."
Acharya Prafulla Chandra Ray.
আমাকে দুটো কথা কড়াঘাত করে, একটা 'lamentable condition' আরেক টা 'Sacred duties.'
তাই হয়তো, এসব ভাবা।
পঞ্চম শ্রেনী থেকে দ্বাদশশ্রেণী। অতি সাধারণ ভারতীয় মানে ৮০% ছাত্রছাত্রীর মনে বিষয়, অধ্যায়, ভূগোল, বিজ্ঞান কতটা রেখাপাত করে, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ, আশংকা আজও রয়েই গেছে।
আচার, ব্যবহার, কথা বলায় বা আচরণেই তার বহিঃপ্রকাশ।
এক্ষেত্রে যে, শিক্ষক শিক্ষিকা শুধুই একটা অনিষ্টকর বস্তুবাদের দিকে ধাবিত, সেটা কারো কাছে ভাবনার বিষয় নাই বা হতে পারে।
কিন্তু, শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকেই তার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই চলে আমৃত্যুকাল। কিন্তু মাঝের সময় টায় পরিস্থিতি, রাজনীতি, কর্মসংস্থান বা জীবন ধারণের অদ্ধ্যায় টায় মনে হয়, যেন কি প্রতিকূল অর্বাচীন বিমূর্ত বিমুখ পরিস্থিতির জাঁতাকলে, যেন প্রাণ যায় যায়।
সেখানে না আছে লেবেলের হাত পা ছোঁড়া না কোন সুনিশ্চিৎ প্রস্তুতির ভাবনা। হাতের কাজ শেখা টাও যেন ছোটলোক ছোটলোক ফিল। ভাবা যায়?
আর অভিভাবকের, এটা করিস না, ওটা করিস না তো আছেই। যেটা তাকে ভেতরে ভেতরে আড়ষ্ট করে তোলে, সেই বা কে কাকে বোঝাবে?
তাই শিক্ষা বিষয় টাই যেন, ঘোরতর কঠিন তম অদ্ধ্যায়। আলোচনা করি না, ভাবতে চাই না। ভাবাতেও চাই না। উল্টোপাল্টা অহেতুক পালিয়ে বাঁচলেই যেন বাপের নাম টাইপ। ভাবা যায়?
অথচ এমনো সময় গ্যাছে, পড়াশোনা না হলেও, পরিবেশের খাতিরে, ছেলেমেয়ে অবাক বিস্ময় হয়ে গ্যাছে। আর এখন দ্যাখো
এ শিক্ষা র্রীদ্ধ ত হতে তো শেখায় ই না। এ শিক্ষা আগুন হতেও শেখায় না। এ শিক্ষা প্রশ্ন করতেও শেখায় না।
এ শিক্ষা আজ হাস্যকর এক পরিস্থিতির শিকার, সেটাও কেউ দেখায় না।
এ শিক্ষা নিয়ে কেউ কথা বলতে উঠলে, তার কথা চট জলদি ফুরিয়ে যায়। ইচ্ছে টার মৃত্যুটাই যে অবশ্যম্ভাবী, এমন টাই বাতাসে ভাসে।
বাদ দিন।
কিন্তু জগৎ টা যে ধিরে ধিরে অটোমেশনের যুগে এগোচ্ছে। কিন্তু এটা আজ নয়, ১০০ বছর আগে, প্রফুল্য চন্দ্র যা লিখচেন,
" more than forty years ago, while a student of Edinburgh I almost dreamt, a dream that, God willing, a time would come when modern India would also be in a position to contribute her quota to the world's stock of scientific knowledge, and it has been my good fortune to see my materialise."
অথচ, প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা কি ভয়ানক পিছিয়ে। কত সামাণ্য বুদ্ধিতে বিদেশ কত যে বিদেশী মুদ্রা ঘরে তোলে। হায়, তবু আমরা ক্লাসে এসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি না।
পরিবেশের ক্লাসে ঘরের আশে পাশের অবস্থা নিয়ে ছাত্র ছাত্রী রা যে প্রোজেক্ট জমা দেবে। সে ক্লাস দেখলে হয়ত পরিবেশবীদ রাও আমাদের মত খলখলিয়ে না হেসে, আরো উন্নতি করার পরামর্শ দেবে।
তবু আমরা এসব ক্লাসে বলতে ভালোবাসি না। বাস্লেও কাকে বোঝাচ্চি ভেবে চুপ রই। ডাক্তারি, শিক্ষকতা, ইঞ্জিনিয়ারিং জীবিকার কতশত বিভাজন ঘটে গ্যাছে তার কত টুকু খোঁজ রাখি? রাখার দরকার আছে কি? কি হবে রেখে, ভাসা ভাসা কিছু শব্দ আঁকড়ে, কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে শুধু দায়িত্বের ভান করা দাবী রেখে? হাস্যকর লাগে আরো, চোখেও লাগে নিজের, আমি এসব ভাবচি দেখে?
কিন্তু বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, শিক্ষকতার নামে এই যে একটা দালালী বা কাঙালীপণা আগে ছিল না। সত্যি বলছি। কিছু ছিল, যেটা প্রকাশ্যে আস্তে দেওয়া হত না। এখন, সত্যি এযে কি বিষমরূপ! তা নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।
ভীরুতা, কাপুরুষতা, অতি চালাকি বা গুছিয়ে নেওয়া - এসব শিক্ষাই আজ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীর কপালে জোটে।
নয়তো বা চুড়ান্ত একটা অবক্ষয়। নইলে কেন মনে হবে, যে হঠাৎ কুকুর/বাচ্চা কে কোলে নিয়ে বিস্কুট খাওয়ালেই মনুষ্যত্বের পরিচয় দেওয়া হল? হঠাৎ মনে হল, ১০ টাকা ফুটপাতে গুঁজে দিলাম। কিন্তু এভাবে ত চলতে পারে না। জানি না সেইন্ট জোসেফ, ডন বস্কো বা সেই হেবি স্কুল কি শেখায়? জানি না সেই শিক্ষক শিক্ষিকার সঙ্গে আমজনতার স্কুলের তফাত কোথায়?
ডিসিপ্লিন নাকি ছাত্র ছাত্রীর অবস্থা, নাহঃ।
এসব আমার ধর্তব্যেরই মধ্যে আনতে চাই না।
আম জনতার শিক্ষক শিক্ষিকা কে সেই প্রতিকূলতা তেই ঠিক করে নিতে হবে তার কর্ত্তব্য।
কিন্তু হায়।
সেই দুষ্ট, সুবিধাভোগী, নামদার শিক্ষক শিক্ষিকা। যাদের অভিযোজন কি ভয়ানক সংক্রামক নীতিভ্রষ্ট। ওরা গোনে আজও তাকে ক'টা ক্লাস নিতে হবে!