খাদ্য বিভ্রাট ও দেবী বর্গভিমা:
বর্গভীমা, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
সামান্য সূত্রে সেই সুদূর শ্যামনগর থেকে এখানে আসা। নিরামিষের নিয়মিত দৌরাত্বে জিভ বিদ্রোহী হয়ে উঠে ছিল। এবার আর নয়, নিদেন পক্ষে মাছের ঝোল ভাত এবার চাই-ই চাই। পাশেই হোটেলে বলে রেখে , চললাম, মন্দির দর্শনে। ওমা, কি পরিছন্ন রে বাবা। আর নেতাজী সুভাষ, প্রেমানন্দজী মহারাজ এদের পদধূলী এখানে পড়েছে। দেখলাম নানা জনে বসে পড়েছে, ভোগ খাওয়ানো হবে। দেবী বর্গভীমার দর্শন আগেই সেরে নিয়েছি। তা আমরাই বা বাদ যাই কেন। পড়লাম বসে। এইবার নুন, লেবু, পোস্ত দিয়ে আলু ভাজা, ঘ্যাট, কপি চিংড়ী হ্যা আপনি ঠিক ই পড়ছেন। চিংড়ি, এরপর এলো গোটা গোটা বড় কাটা পোনা, তারপর ইলিশ বাপরে। আমার তো আক্কেল গুড়ুম। যা ভেবেছি। একজন বয়স্ক কালো চোপকান পরা কাছে এসে বিনীত ভাবে জিগালো: আপনারা?বরপক্ষ না কন্যাপক্ষ? নয়ন বরপক্ষ বলতে যাবে, পুরোটা বলার আগেই, আমি বলে ফেললাম, কলকাতা থেকে? বেড়াতে, উদ্দেশ্য নেহাতই ভোগ করা, মানে মানে, বুঝতেই তো পারছেন, এমন ভোগের উদ্দেশ্য নিয়ে, বসি. . .উনি কিছু একটা ভেবে, নানা ঠিক আছে ঠিক আছে। এরপর আর কি, খাবো কি? পেটে খিল ধরে আসছিলো। এ তুমি কি করলে মা? যা হোক পায়েস, চাটনী, মিস্টি খেয়ে তৃপ্তি নিয়ে উঠে এলাম। মনে মনে বর কনেকে আশীর্ব্বাদ দিতে ভুলিনি।
এখানে জনশ্রুতি আছে, যে, মায়ের দুয়ারে অতৃপ্ত মনে গেলে, তিনি তাকে তৃপ্তি দেন। এখন কথা হল, আমাদের সামান্য মৎস প্রীতি মা বর্গভিমাই কি পূর্ন করে দিলো?
বর্গভীমা, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
সামান্য সূত্রে সেই সুদূর শ্যামনগর থেকে এখানে আসা। নিরামিষের নিয়মিত দৌরাত্বে জিভ বিদ্রোহী হয়ে উঠে ছিল। এবার আর নয়, নিদেন পক্ষে মাছের ঝোল ভাত এবার চাই-ই চাই। পাশেই হোটেলে বলে রেখে , চললাম, মন্দির দর্শনে। ওমা, কি পরিছন্ন রে বাবা। আর নেতাজী সুভাষ, প্রেমানন্দজী মহারাজ এদের পদধূলী এখানে পড়েছে। দেখলাম নানা জনে বসে পড়েছে, ভোগ খাওয়ানো হবে। দেবী বর্গভীমার দর্শন আগেই সেরে নিয়েছি। তা আমরাই বা বাদ যাই কেন। পড়লাম বসে। এইবার নুন, লেবু, পোস্ত দিয়ে আলু ভাজা, ঘ্যাট, কপি চিংড়ী হ্যা আপনি ঠিক ই পড়ছেন। চিংড়ি, এরপর এলো গোটা গোটা বড় কাটা পোনা, তারপর ইলিশ বাপরে। আমার তো আক্কেল গুড়ুম। যা ভেবেছি। একজন বয়স্ক কালো চোপকান পরা কাছে এসে বিনীত ভাবে জিগালো: আপনারা?বরপক্ষ না কন্যাপক্ষ? নয়ন বরপক্ষ বলতে যাবে, পুরোটা বলার আগেই, আমি বলে ফেললাম, কলকাতা থেকে? বেড়াতে, উদ্দেশ্য নেহাতই ভোগ করা, মানে মানে, বুঝতেই তো পারছেন, এমন ভোগের উদ্দেশ্য নিয়ে, বসি. . .উনি কিছু একটা ভেবে, নানা ঠিক আছে ঠিক আছে। এরপর আর কি, খাবো কি? পেটে খিল ধরে আসছিলো। এ তুমি কি করলে মা? যা হোক পায়েস, চাটনী, মিস্টি খেয়ে তৃপ্তি নিয়ে উঠে এলাম। মনে মনে বর কনেকে আশীর্ব্বাদ দিতে ভুলিনি।
এখানে জনশ্রুতি আছে, যে, মায়ের দুয়ারে অতৃপ্ত মনে গেলে, তিনি তাকে তৃপ্তি দেন। এখন কথা হল, আমাদের সামান্য মৎস প্রীতি মা বর্গভিমাই কি পূর্ন করে দিলো?