ভাবনা টা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না
কিছুক্ষনের জন্য, যদি মরে যেতাম। অনেকেই অন্যায় ভাবে মরছে। না হয় মরে গেলাম বিশেষ কিছু ক্ষতি তো দেখতে পাচ্ছি না। আসলে খুবই লজ্জা করছে। নিজের জন্য, যখন ভাবনা গুলো কুরে কুরে খাচ্ছে। হয়তো আমাকে দিয়েই শুরু করতে হবে। charity begins at home. তবু, দেশেই তো বাস করি, জঙ্গল হলে অন্য কথা। আসলে বছর শেষ হয়ে আসছে, কি পেলাম কি দিলামের ভাবনা টা. . .
দেশ, কাল, সময়
মনে পড়ছে, কেজরিওয়াল, মুখ্যমন্ত্রী, ওনার উপস্থিতিতেই আত্মহত্যা সংঘঠিত হল। মনে পড়ছে, দিল্লি তে, সাউথের কৃষক রা আত্মাহুতি দিচ্ছে। সন্দেহ হচ্ছে, এটাই সেই কালো শতাব্দী নয় তো?
ডিজিটাল যুগ। একে আমি রীতিমত ভয় পাচ্ছি। কত কম খরচে জিও, ফোর জি। শিশুরা সহজেই ইউটিউব খুলে কার্টুন দেখছে। আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার অজান্তে আর কি কি দেখে ফেলছে, আর ঘটিয়ে ফেলছে। তার দায় সরকারের নয়। অশিক্ষার কারণে অপব্যাবহার ধোপেই টিকবে না। হাজার একটা application. আপনার পছন্দ, অপছন্দ, কল লিস্ট, ঠিকানা, গলার স্বর, আপনার অনুমতি ছাড়াই ছবি ইত্যাদি যে misuse হচ্ছে না, এটা কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে। হলেও বা কি। আপনি আমি কি করতে পারি, তার কোন সহজ উপায় আছে কি? আর যারা dark web এ ডুবে আছে, তাদের কথা তো বাদ ই দিলাম। মনে পড়ে দুমাস আগেই জার্মানী থেকে পুলিশ এসে সল্টলেক থেকে দুটো young ছোকরা কে ধরে নিয়ে গেল।
নতুন উঠেছে, লাভ জিহাদ। কি ভয়ঙ্কর! ধর্ম প্রতিষ্ঠার নামে এসব কি হচ্ছে স্যার! প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বিলক্ষণ জানেন, হয়তো বলবেন , খবর নিয়ে দেখছি। কিন্তু লাভ জিহাদের পক্ষে কটা যুক্তি গ্রাহ্য কারণ আছে? যার জন্য পরিষদ এ মহান বিপ্লবের সূচনা করলেন? এটাও তো এক প্রকার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিপ্লব, তাই নয় কি? যেদিকে তাকাচ্ছি, সেদিকেই খালি ধর্ম ধর্মে খেয়া খেয়ি। আগেও তো ছিল। বাট ইতনা বড় চড় কে তো উড়ছিল না। আমি অত্যন্ত লজ্জিত, কারণ, কল্যাণ সিংহ (যিনি বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ এ জড়িত) কে আপনারা রাজ্যপাল বানিয়েছেন। আপনাদের পার্টি চিফ, তার আশীর্বাদ নিচ্ছেন। এসবের মানে কি। গতকাল ও একটা ভিডিও দেখলাম, প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আসারাম বাপুর সঙ্গে ভজন গাইছে। হয়তো পুরোনো, কিন্তু এসব কান্ডকারখানা মোটেও সুখকর নয়।
আমার কেন জানি না, এরম ফিল আসছে যে, দেশের প্রত্যেক রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মত মুখ্যমন্ত্রী আপনারা প্রতিষ্টিত করতে চান। হাল চাল দেখে এটাও মনে হচ্ছে যে, plenipotentiary মানে বার্চস্য মানে দেশ হবে সম্পূর্ন হিন্দু মালিকানাধীন, এমন টাই যেন উদ্দেশ্য। তারমানে ধর্ম লড়াই চলবেই। কিন্তু মানুষ মৃত্যুতেই আমার যত আপত্তি। অথচ, এড়ানোর উপায় নিয়ে ভাবছি। বাবরী মসজিদ ধূলিসাৎ আপনাদের বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু কত শত সাধারণ মানুষ এই রাজনীতি আর ধর্মীয় কারণে মরে যায়, আমার মনে পড়ছে ইন্দিরা গান্ধী কে নৃশংস হত্যার কারণে কত শত সাধারণ মারা গিয়েছিল। আমার মনে পড়ছে, তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে চড় মারার জন্য, ছেলেটির পরিণতি কি হয়েছিল। তবু ভারতবর্ষ আমার সংযমী দেশ। দুঃখ প্রকাশ করে। জনসাধারণের টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ এর ব্যাবস্থা করে। ডিজিটাল হয়ে একটা সুবিধা হয়েছে, দশদিকের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাতে একটা পসিটিভ বার্তা নিশ্চই পাই, নেতাদের অধিকাংশই সত্যি মানুষের জন্য কাজ করেন। কিন্ত অজান্তে নেহাতই ভুল ভ্রান্তি তা, তার জন্য সাধারণ কে বড় বড় গুনাগার দিতে হয়।
কোথাও জেনে ছিলাম, স্বদেশে পূজ্যতে রাজা. . . আর এখানে ঠগ বাছতে গাঁ যে উজাড় হয়ে গেল। যাদের দেওয়া হয়েছে, বৈঠা বইতে, তারা জল না কেটে আমার আপনার মাথাতেই সেই বৈঠা ভাঙতে উদ্দত। এখানে মন্ত্রী মশাই খুল্লম খুল্লা বলছেন, খাও ভাই ভাগ করে খাও। দিল খুলে টাকার হের ফের, তবু আমি ভালই আছি। নির্লজ্জের মত ঢাক পেটাচ্ছে। উৎসবে উৎসবে দেশ কাল সময়ে এই যে ফুল মার্ক্স পাবার চেষ্টা, তা হয়তো অদৃষ্টের পরীক্ষক সঠিক সময়ে সঠিক মূল্যায়ন করবে।
No comments:
Post a Comment