ওরা কারা, যারা এখনো রিসার্চ করে বই লেখে? যদি ভারতবর্ষ বা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে প্রতি বছরের খন্ড বেরতো? লেখা থাকতো, সাধারণ মানুষের পাওয়া না পাওয়ার কথা।
লেখক কাগজ পড়তো সেই রোজ নিয়ম করে । কাটিং রাখতো। ভাবতো। এটা ওটা সেটা থেকে নিতো নোট। বা লাইব্রেরি দৌঁড়তো। বা বসতো বেশ আয়েশ করে। তারাশংকর নাই বা হোল। তারপর লিখতো নিজের মত, মাত্র, চার পাতা করে।
কি আর এমন লিখতো। শিক্ষাই হত বেশি। সেই ত গুরু।
তবু লিখত হয়তো সেই জীবন যন্ত্রণার কথা। বা ভালোবাসার কথা। বা থাকতো তথ্যসমৃদ্ধ্য চিত্তমনোরঞ্জন। নাই বা থাকলো হাটুরের জীবন। মন মানেই তো কতো ভাবনার অবসর।
বা সেদিনের মত যদি বাধ্য হত প্রশ্ন উঠতে?
অথচ এটা সত্যি যে, ডিজিটাল যুগের অগ্রগতির সাথে এগুলোও যেন বড্ড দূরে চলে যাচ্ছে। যেন ওই তারারাও কত আলোকবর্ষ দূরে। নিষ্ঠা আর ভালো সলিড অধ্যায় গুলোও যেন যাচ্ছে ক্রমে সরে সরে।
সেই কোথায় গেল, নীরদচন্দ্র, কোথায় গুহ?কোথায় উমাপ্রসাদ? মুল্ক তুমি কোথায়? যে রাজ করে ছিলে? আর সেই সাংবাদিক ভাদুড়ী? আহা। ও মুন্সী তুমি বা কোথায়? আরো কত কী যে আঁকা থাকে মনে, মর্মের পাতায়।
আর এই যে, এ ডিজিটাল যুগের বয়স কত হল?
আমরা এর কত টা কাজে লাগিয়েছি?
এ যুগ কলঙ্কিনী ডিজিটালের, এ যুগ যেন ডিজিটাল কল্লোলের। মিসালের নয়, বিশালের আধিপত্যই মূল্য দিচ্ছে যেন!
লোকে বলে, এ যুগ আজ টেক ইট ইজি উর্বষীর।
তবু বাতি দিতেই হয় অন্ধকার হলে।
বিশ্বাস যে, এ যুগেই যেন আমার অপেক্ষার অবসান। আমি গৌরব অনুভব করি তাদের দেখে, যারা অবক্ষয়ের ইতিহাস থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রেরণা যোগায়। আমার ভালো লাগে সেই চিরপরিচিত মানুষের ছবি দেখতে। যার রক্ত মাংসে গড়া শরীরী অবস্থান আজো ত্যামনি আছে।
ভাবতে অবাক লাগে ডিজিটাল এই যুগের চাকরি, ব্যাবসা, গান, আনন্দ, খাদ্য সব ই যেন এর সাথে ওতপ্রতঃ ভাবে জড়িত। আর এই খানেই আমরা বড্ড পিছিয়ে। আমরা পিছিয়ে ভাষা নিয়ে। ধর্মের যদি ভালো কিছু থেকে থাকে তাকেও প্রমোট করতে যেন চুড়ান্ত ব্যার্থ তা নিয়ে।
পারি হয়তো ভালো জিফ ফাইল গড়তে। যাতে না না উৎসবের কারণে বন্ধু কে পাঠাবো। বা পারি ভালো আরো ভালো ফন্টের জন্ম দিতে। আমরা পারি কর্মসংস্থান, কর্মক্ষেত্র, employment exchange ছেড়ে ডিজিটাল সহজ মাধ্যম। বা আমরা চেষ্টা করলেই কাজের নানা মাধ্যম ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি। আমরা চাইলেই বাজার, কৃষি, ভ্রমণ নিয়ে প্রতি জায়গা তেই স্বপ্নের দুয়ার খুলতে পারি।
বা প্রতি অঞ্চলেই প্রতিযোগিতার সুস্থ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারি।
পারি তো অনেক কিছুই। সব ই ভাবনা থেকে যায়। এভাবেই কত শত স্বপ্নের কথা যে সরকারি অফিসে ফাইল বন্দী। বছরের পর বছর আসে, ভাবে, লেখে, বলে কিন্তু বিধান সভা বা লোকসভায় আর পৌঁছায় না।
বায়রে আমাদের পাড়ার কুকুরের সংে ও পাড়ার কুকুরের বড্ড চ্যাচামেচি চলছে। বাধ্য হয়ে কানে বালিশ চাপা দিই। তবু
আমি ভূলি না। ভূলতে পারি না যে আমার দেশ সেকুলার। আমার দেশ গনতান্ত্রিক। আমার দেশ সমাজ তান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী।
ভাবাটা আসলে বাজে অধ্যায় যে সব ছাত্র ছাত্রীর (আমরা প্রত্যেকেই)
তাদের জন্যই আমার কন্যার এক বিস্ময়কর ছবি। স্মৃতি, বলতে পারেন, আমার ভালো লেগেছে বা বেশ করেছি, পোস্ট করেছি, সেই অপর্ণা সেনের মত আরকি।
ও পাশে আম গাছে বসে, এক না দ্যাখা কোকিলের টানা চিৎকারে বাকি পাখি গুলোও চেচিয়ে উঠছে। যেন এ, না মানুষের ভোরে তিব্র গুঞ্জন ভোর সমাজের সভায় দাবী রাখছে।
লেখক কাগজ পড়তো সেই রোজ নিয়ম করে । কাটিং রাখতো। ভাবতো। এটা ওটা সেটা থেকে নিতো নোট। বা লাইব্রেরি দৌঁড়তো। বা বসতো বেশ আয়েশ করে। তারাশংকর নাই বা হোল। তারপর লিখতো নিজের মত, মাত্র, চার পাতা করে।
কি আর এমন লিখতো। শিক্ষাই হত বেশি। সেই ত গুরু।
তবু লিখত হয়তো সেই জীবন যন্ত্রণার কথা। বা ভালোবাসার কথা। বা থাকতো তথ্যসমৃদ্ধ্য চিত্তমনোরঞ্জন। নাই বা থাকলো হাটুরের জীবন। মন মানেই তো কতো ভাবনার অবসর।
বা সেদিনের মত যদি বাধ্য হত প্রশ্ন উঠতে?
অথচ এটা সত্যি যে, ডিজিটাল যুগের অগ্রগতির সাথে এগুলোও যেন বড্ড দূরে চলে যাচ্ছে। যেন ওই তারারাও কত আলোকবর্ষ দূরে। নিষ্ঠা আর ভালো সলিড অধ্যায় গুলোও যেন যাচ্ছে ক্রমে সরে সরে।
সেই কোথায় গেল, নীরদচন্দ্র, কোথায় গুহ?কোথায় উমাপ্রসাদ? মুল্ক তুমি কোথায়? যে রাজ করে ছিলে? আর সেই সাংবাদিক ভাদুড়ী? আহা। ও মুন্সী তুমি বা কোথায়? আরো কত কী যে আঁকা থাকে মনে, মর্মের পাতায়।
আর এই যে, এ ডিজিটাল যুগের বয়স কত হল?
আমরা এর কত টা কাজে লাগিয়েছি?
এ যুগ কলঙ্কিনী ডিজিটালের, এ যুগ যেন ডিজিটাল কল্লোলের। মিসালের নয়, বিশালের আধিপত্যই মূল্য দিচ্ছে যেন!
লোকে বলে, এ যুগ আজ টেক ইট ইজি উর্বষীর।
তবু বাতি দিতেই হয় অন্ধকার হলে।
বিশ্বাস যে, এ যুগেই যেন আমার অপেক্ষার অবসান। আমি গৌরব অনুভব করি তাদের দেখে, যারা অবক্ষয়ের ইতিহাস থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রেরণা যোগায়। আমার ভালো লাগে সেই চিরপরিচিত মানুষের ছবি দেখতে। যার রক্ত মাংসে গড়া শরীরী অবস্থান আজো ত্যামনি আছে।
ভাবতে অবাক লাগে ডিজিটাল এই যুগের চাকরি, ব্যাবসা, গান, আনন্দ, খাদ্য সব ই যেন এর সাথে ওতপ্রতঃ ভাবে জড়িত। আর এই খানেই আমরা বড্ড পিছিয়ে। আমরা পিছিয়ে ভাষা নিয়ে। ধর্মের যদি ভালো কিছু থেকে থাকে তাকেও প্রমোট করতে যেন চুড়ান্ত ব্যার্থ তা নিয়ে।
পারি হয়তো ভালো জিফ ফাইল গড়তে। যাতে না না উৎসবের কারণে বন্ধু কে পাঠাবো। বা পারি ভালো আরো ভালো ফন্টের জন্ম দিতে। আমরা পারি কর্মসংস্থান, কর্মক্ষেত্র, employment exchange ছেড়ে ডিজিটাল সহজ মাধ্যম। বা আমরা চেষ্টা করলেই কাজের নানা মাধ্যম ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি। আমরা চাইলেই বাজার, কৃষি, ভ্রমণ নিয়ে প্রতি জায়গা তেই স্বপ্নের দুয়ার খুলতে পারি।
বা প্রতি অঞ্চলেই প্রতিযোগিতার সুস্থ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারি।
পারি তো অনেক কিছুই। সব ই ভাবনা থেকে যায়। এভাবেই কত শত স্বপ্নের কথা যে সরকারি অফিসে ফাইল বন্দী। বছরের পর বছর আসে, ভাবে, লেখে, বলে কিন্তু বিধান সভা বা লোকসভায় আর পৌঁছায় না।
বায়রে আমাদের পাড়ার কুকুরের সংে ও পাড়ার কুকুরের বড্ড চ্যাচামেচি চলছে। বাধ্য হয়ে কানে বালিশ চাপা দিই। তবু
আমি ভূলি না। ভূলতে পারি না যে আমার দেশ সেকুলার। আমার দেশ গনতান্ত্রিক। আমার দেশ সমাজ তান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী।
ভাবাটা আসলে বাজে অধ্যায় যে সব ছাত্র ছাত্রীর (আমরা প্রত্যেকেই)
তাদের জন্যই আমার কন্যার এক বিস্ময়কর ছবি। স্মৃতি, বলতে পারেন, আমার ভালো লেগেছে বা বেশ করেছি, পোস্ট করেছি, সেই অপর্ণা সেনের মত আরকি।
ও পাশে আম গাছে বসে, এক না দ্যাখা কোকিলের টানা চিৎকারে বাকি পাখি গুলোও চেচিয়ে উঠছে। যেন এ, না মানুষের ভোরে তিব্র গুঞ্জন ভোর সমাজের সভায় দাবী রাখছে।