কোকিল তোর এ্যপিল থাক
পলাশ ফুলে, বসন্ত রাঙা,
খালবিল পাতা জঙ্গল থাক
পাহাড় নদী বাঁচিয়ে জানা।।
😊
হয়েছি কি, করোনার কথা ভাবতে ভাবতে
আনমনে বেশ গুনগুন করছি।
🎶
''বলতে পারো, কত'টা রাত আরো।
শেষ কবে যেন বলেছিলে,
ঘড়িতে তখন বারো।
ওই যে সকাল। দুপুর গড়ালো।
এলো বিকাল। সন্ধ্যা ফুরালো।
বলতে পারো?
বরং প্রার্থনা কর,
আপনা মাঝে শক্তি ধরো।''
বেশ গম্ভীর ভাবে মনের রসে জ্বাল দিচ্ছি।
হঠাৎ, এক আপদের সাথে দেখা।
পুরোটা বলছি, সত্যি। এতটুক ভয়ের ব্যাপার ই নেই।
তা যেই না লোক টা বললো, 'বারে। এতো বন্ধুবৎসল ভাইরাস। স্থান দেব না? সে তো ভালোবাসতেই এয়েচে। মনন নাই বা হল, শরীরে তো এলো।'
মনে মনে বললাম, পিপিলিকার পাখা গজালো।
ও বলেই চললো।
'ভালোবাসবো না কেন? মেরেছে কলসি ড্যাস ড্যাস। দিবে আর নিবে, ড্যাশ ড্যাশ । অতিথি দৈব ভবঃ।' ব্যাস ব্যাস।
এত টাই ঠিক ছিল। তার পরপরই দিল সে, হ্যাচ করে এইয়া বড় হ্যাচ্চো।
বললাম, এ এ তুমি কি কচ্চো! এ আমার কি কল্লে? আমার তো যাবার সময়ই হয় নি! উতলা হয়ে, ঘেমে নেয়ে যখন সম্বিত ফিরলো।
ওমা, ওরে, এ যে দেখি খোলা ছাদে, ভদ্দুপুরে গামছা পরে অামি তৈলাক্ত। তাও লজ্জ্বা পাইনি।
খেয়াল করতে দেখি উপরে এক ভক্ত। বলা ভুল। শক্ত নিমের ডালে, দুলছে এক কাঠবিড়ালি। আমার দিকে আড় চেয়ে, কেন জানি হাসি হাসি মনে হল। এমন হাসি এরাও হাসে। বিশ্বাস করিনি, জানো। তারপর, এমন কিটির মিটির কল্লো, যে রাগে রিরির চে কান টাই কটকট করে উঠলো। বললাম তবেরে। তারপর থেকে নাওয়া খাওয়া ভুলে, সেই যে কাঠবিড়ালি ধত্তে উঠেছি।