হরির দরজা:
প্রাচীন ক্ষেত্র নিয়ে আমার একটু দুর্বলতা আছে। হরিদ্বার তো সাধু সন্ন্যাসীদের আখড়া। শুনেছি, অনেক গহীন গোপন জ্ঞানের হদিশ এদের থেকে পাওয়া যায়।
এখানেই শীলজিতের পরিচয় পেলাম। মানে শিলাজিৎ। সামান্য একটু জলে মিশিয়ে খাবার অভিজ্ঞতাও হল। গহীন জঙ্গলে পাহাড়ের গায়ে পিচের মত লেগে থাকে। ইংরেজিতে বলে মাউন্টেন টার। জলে মিশলে গলে যায়। টানলে লম্বা হয়ে যায় কালো শক্ত মাখা ময়দার মত। ঠুকলে আবার ভেঙেও যায়। শোনা যায় মুঘল আমলে এর খুব ব্যবহার ছিল। সেক্স বৃদ্ধি ছাড়াও অনেক শারীরিক কাজে এর ব্যাবহার অতি প্রাচীন।
আরেক টা জিনিস দেখলাম, কস্তুরী। হরিণের নাভির অংশ। কাপড়ের বস্তার তলায় রেখে দাও। বহুদিন মিষ্টি গন্ধ থেকে যাবে। হাতের ওপর তালুতে সামান্য ঘষে দিয়ে ছিল। সে গন্ধ দুদিন ছিল।
বাঙালী আছে অনেক অনেক। আর আছে হিন্দুস্তানি, পাঞ্জাবি, তামিল, মাড়োয়ারি নানা জাতি। আলুর পরোটা, লুচি, মিষ্টি, পেড়া, ভুজিয়া খুব চলে। এখানে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বরফ গলা গঙ্গার জল, যার তীব্র স্রোত। চেন ঝোলানোই আছে, ধরে ডুব দাও। সাত জন্মের পাপ মুক্তি।
এখানে নিরামিষ দাদা বৌদির খাবার হোটেলি দশটার ওপরে। নিরামিষ মাসির হোটেলও আছে। যা হোক, নিরামিষ মানিক মুখার্জির (1939) দাদা বৌদির হোটেলে, 70 টাকা মিল সিস্টেম। দেরাদুন রাইস, ডাল, বেগুনি, পঞ্চারত্ন কারী, সুক্ত, আলুপোস্ট, এচোড়, পাঁপড়, চাটনি, রসগোল্লা সবই পাবেন। তবে মাঝের কিছু আইটেম মালিক নিজে নিয়ে আসবে, আপনার না বলা সত্ত্বেও, পাকোড়া আইসক্রিম, স্পেশাল কারী। বললেই টুপ করে দিয়ে, হিসাবে আলাদা জুড়ে দেবে।
হোটেল আছে প্রচুর। আর ধর্মশালাও ভালো। গ্রূপে থাকলে খরচ কম। এখন শীত ৬-৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরা ফেরা করছে। রাতে ইতি উতি মোটা কাঠের আগুনে দুস্থ আগুন পোহাচ্ছে। গাঁজাও চলছে বটে। এখানে মানুষের খাবার অভাব আজো হয় না। হর-কি-পউড়ির কাছে বিকিকিনি তীব্র। গঙ্গা জলের পাত্র, প্রদীপ ফুল মায় গরিব দুস্থ দের খাওয়ানোর জন্যও মার্কেটিং চলছে। আমাকে দিয়ে পুন্য করানোর জন্য অনেকে ছাতা ধারী ব্রাহ্মন অনুরোধ করেছে। জলে পাঁচ ছয় ডুব দিলাম। নামতে পা বেশ কনকন করে উঠেছিল। পরে একটু সয়ে যায়।
সন্ধে বেলায় গঙ্গা তীরে সন্ধ্যারতি দেখলাম। রীনা বললো, বেনারসের টা এর চেয়ে ভালো। অনুরাধা পাড়োয়ালের গান 'অম জয় গাঙ্গে' আজো বাজছে।
#হরিদ্বার
প্রাচীন ক্ষেত্র নিয়ে আমার একটু দুর্বলতা আছে। হরিদ্বার তো সাধু সন্ন্যাসীদের আখড়া। শুনেছি, অনেক গহীন গোপন জ্ঞানের হদিশ এদের থেকে পাওয়া যায়।
এখানেই শীলজিতের পরিচয় পেলাম। মানে শিলাজিৎ। সামান্য একটু জলে মিশিয়ে খাবার অভিজ্ঞতাও হল। গহীন জঙ্গলে পাহাড়ের গায়ে পিচের মত লেগে থাকে। ইংরেজিতে বলে মাউন্টেন টার। জলে মিশলে গলে যায়। টানলে লম্বা হয়ে যায় কালো শক্ত মাখা ময়দার মত। ঠুকলে আবার ভেঙেও যায়। শোনা যায় মুঘল আমলে এর খুব ব্যবহার ছিল। সেক্স বৃদ্ধি ছাড়াও অনেক শারীরিক কাজে এর ব্যাবহার অতি প্রাচীন।
আরেক টা জিনিস দেখলাম, কস্তুরী। হরিণের নাভির অংশ। কাপড়ের বস্তার তলায় রেখে দাও। বহুদিন মিষ্টি গন্ধ থেকে যাবে। হাতের ওপর তালুতে সামান্য ঘষে দিয়ে ছিল। সে গন্ধ দুদিন ছিল।
বাঙালী আছে অনেক অনেক। আর আছে হিন্দুস্তানি, পাঞ্জাবি, তামিল, মাড়োয়ারি নানা জাতি। আলুর পরোটা, লুচি, মিষ্টি, পেড়া, ভুজিয়া খুব চলে। এখানে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বরফ গলা গঙ্গার জল, যার তীব্র স্রোত। চেন ঝোলানোই আছে, ধরে ডুব দাও। সাত জন্মের পাপ মুক্তি।
এখানে নিরামিষ দাদা বৌদির খাবার হোটেলি দশটার ওপরে। নিরামিষ মাসির হোটেলও আছে। যা হোক, নিরামিষ মানিক মুখার্জির (1939) দাদা বৌদির হোটেলে, 70 টাকা মিল সিস্টেম। দেরাদুন রাইস, ডাল, বেগুনি, পঞ্চারত্ন কারী, সুক্ত, আলুপোস্ট, এচোড়, পাঁপড়, চাটনি, রসগোল্লা সবই পাবেন। তবে মাঝের কিছু আইটেম মালিক নিজে নিয়ে আসবে, আপনার না বলা সত্ত্বেও, পাকোড়া আইসক্রিম, স্পেশাল কারী। বললেই টুপ করে দিয়ে, হিসাবে আলাদা জুড়ে দেবে।
হোটেল আছে প্রচুর। আর ধর্মশালাও ভালো। গ্রূপে থাকলে খরচ কম। এখন শীত ৬-৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরা ফেরা করছে। রাতে ইতি উতি মোটা কাঠের আগুনে দুস্থ আগুন পোহাচ্ছে। গাঁজাও চলছে বটে। এখানে মানুষের খাবার অভাব আজো হয় না। হর-কি-পউড়ির কাছে বিকিকিনি তীব্র। গঙ্গা জলের পাত্র, প্রদীপ ফুল মায় গরিব দুস্থ দের খাওয়ানোর জন্যও মার্কেটিং চলছে। আমাকে দিয়ে পুন্য করানোর জন্য অনেকে ছাতা ধারী ব্রাহ্মন অনুরোধ করেছে। জলে পাঁচ ছয় ডুব দিলাম। নামতে পা বেশ কনকন করে উঠেছিল। পরে একটু সয়ে যায়।
সন্ধে বেলায় গঙ্গা তীরে সন্ধ্যারতি দেখলাম। রীনা বললো, বেনারসের টা এর চেয়ে ভালো। অনুরাধা পাড়োয়ালের গান 'অম জয় গাঙ্গে' আজো বাজছে।