- সময়ের তালে তালে - প্রসঙ্গান্তরে
বেড়াতে যারা ভালোবাসেন তাদের ভালোবাসা টাকে আমি ভালোবাসি। কেন ভালোবাসি সেটা পরে বলছি।
বেশির ভাগ ভ্রমণ পিপাসু কে দেখেছি ধার্মীক স্থান-ই আগে বেছে নেন। কেন বেছে নেন? দূর্বলতা নাকি পাপ স্খালন আবার হতে তো পারে স্বাভাবিক ভাবেই মন টানে। এ যেন মেরেছো কলসির কানা তাবলে কি প্রেম দেবো না।
বেড়ু বেড়ুর র্যাশনে কামাখ্যা, পুরি, মায়াপুর, তারাপিঠ সবই এদের একদম বাঁধা ধরা।
তা যেটা বলতে চাইছি, এবারে দোলে এলাকায় একদম থাকতে চাইনি। অফবিট ট্যুর টাই বেশি পছন্দ করি। তবু হয় কোথায়? এইতো, এবারেই জনঅরন্যের বাইরে যেতে গিয়ে, শুধু মাত্র তাবুর আকাল আর দু একজনের দোনোমনায় শেষতক পিছিয়ে এলাম। যে দোনোমনা, সে যাবার একদিন আগে আমতা আমতা করে বললো, 'জানো ইস্কনের মন্দিরে না, জানো, খুউব ঘটা করে দোল উৎসব হয়। (আমিও শুনে মনে মননে, আহা, রাধে) আমি না কথা দিয়েছি আর মন টাও কেন জানি বড্ড টানছে।'
(বুঝতে পারছিলাম, এর আবেগ এখন চৈতন্যময়, বাঁধ ভাঙা আনন্দে উত্তাল হবার প্রাক মুহুর্ত প্রায় যাই যাই অবস্থা, ) 'বললো জুলাই আগস্ট নাগাদ চলো না।' কি বলবো বলতে গিয়ে বলে বসলাম, আমার বার্ধ্যক্যে তুমি ই কিন্তু থাকছো, আমায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাবে কেমন। আর খুউব মিলেংগে তিন ওর চুটিয়ে ধার্মিক স্থান বেড়ায়েংগে ক্যামন! আরেক জনের ত বেরোবার দিন রাতে ব্যাবসার মাল ঢুকবে, ছেড়ে যেতে পারছে না। একজনের পকেট খয়ের খাঁ। শেষে আরেক জন বললো 'দুত্তেরিকা।' আর শেষে জানলাম তাঁবুও ভ্যানিশ। তাই এভাবেই আমাদের অফবিট ঘরে বসেই ফটোফিনিশ হয়ে গেল।
তা যাক গে যাক।
ঐতিহাসিক স্থান, সমুদ্র, পাহাড়, জংগল, বরফ, মরুভুমি আর ধার্মিক স্থানের মধ্যেও অনেক রকম ফের আছে। সত্যই অনেক। রস, রঙ, মাধুর্য, প্রেম সে এক বেড়ানোর ১০০ রকম মহাভারত কথা। কেউ হাঁটতে ভালোবাসে তো কেউ নানা রকম খাবারের খোঁজ ন্যায়। কাউকে আবার স্রেফ পাহাড়ের এক কোনে আরাম কেদারায় বসিয়ে এক পেয়ালা চা, কফি, বা উইস্কি দিয়ে দাও। কেউ কেউ তো সারাটা দিন জংলার ভেতরে চুপ্টি করে মশার কামড় খাচ্ছে। জীব জন্তুর ছবি তোলার অপেক্ষায়। লিস্টি আর বাড়ালাম না। যাই হোক। আর নির্জন, নিরালা, দিকবিদিক জনমানবশূন্য প্রান্তর যা অতি মনোরম স্বাস্থ্যকর। 'আরন্যকের' মতন কিছু টা হয়তো। তবু হপ্তাখানেকই যেখানে থাকলে আগামী বেশ কয়েক মাস জনঅরন্যই ভালো লাগবে। ত্যামন টাই বা মন্দ কি? তবু যে জংগল পাহাড় বা এই স্বাভাবিক প্রকৃতির আয়তন যে কমে আসছে তা চিন্তার বিষয়। মনে পড়ে কোথায় যেন পড়ে ছিলাম, আজ মংগলবার, পাড়ার জংগল সাফ করার দিন। ত্যমনটাই তো। জঙ্গল পাহাড় কেটে সমাজ গড়ে উঠবে যা অবশ্যম্ভাবী। কিস্যু করার নেই। লোকসংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরো বেশী আয় করার প্রতিযোগিতা।
ও হ্যাঁ যা বলার, তা হল বাংলায় ভ্রমনের উপকারিতা বলে একটা লেখা আছে না! ওটাই কিন্তু ভ্রমনের আসল। বাকি পরে জানাবো। ভালো লাগবে কথা দিলাম। ওই যে গান আছে, আমি কথা দিলাম, তুমিই আমি. . . . .
আর
ছবি টা অনেক আগের, আর কিছু হাতের কাছে পেলাম না তায় ডাউনলোডেও মন সায় দিলোনা ভাই।
বেড়াতে যারা ভালোবাসেন তাদের ভালোবাসা টাকে আমি ভালোবাসি। কেন ভালোবাসি সেটা পরে বলছি।
বেশির ভাগ ভ্রমণ পিপাসু কে দেখেছি ধার্মীক স্থান-ই আগে বেছে নেন। কেন বেছে নেন? দূর্বলতা নাকি পাপ স্খালন আবার হতে তো পারে স্বাভাবিক ভাবেই মন টানে। এ যেন মেরেছো কলসির কানা তাবলে কি প্রেম দেবো না।
বেড়ু বেড়ুর র্যাশনে কামাখ্যা, পুরি, মায়াপুর, তারাপিঠ সবই এদের একদম বাঁধা ধরা।
তা যেটা বলতে চাইছি, এবারে দোলে এলাকায় একদম থাকতে চাইনি। অফবিট ট্যুর টাই বেশি পছন্দ করি। তবু হয় কোথায়? এইতো, এবারেই জনঅরন্যের বাইরে যেতে গিয়ে, শুধু মাত্র তাবুর আকাল আর দু একজনের দোনোমনায় শেষতক পিছিয়ে এলাম। যে দোনোমনা, সে যাবার একদিন আগে আমতা আমতা করে বললো, 'জানো ইস্কনের মন্দিরে না, জানো, খুউব ঘটা করে দোল উৎসব হয়। (আমিও শুনে মনে মননে, আহা, রাধে) আমি না কথা দিয়েছি আর মন টাও কেন জানি বড্ড টানছে।'
(বুঝতে পারছিলাম, এর আবেগ এখন চৈতন্যময়, বাঁধ ভাঙা আনন্দে উত্তাল হবার প্রাক মুহুর্ত প্রায় যাই যাই অবস্থা, ) 'বললো জুলাই আগস্ট নাগাদ চলো না।' কি বলবো বলতে গিয়ে বলে বসলাম, আমার বার্ধ্যক্যে তুমি ই কিন্তু থাকছো, আমায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাবে কেমন। আর খুউব মিলেংগে তিন ওর চুটিয়ে ধার্মিক স্থান বেড়ায়েংগে ক্যামন! আরেক জনের ত বেরোবার দিন রাতে ব্যাবসার মাল ঢুকবে, ছেড়ে যেতে পারছে না। একজনের পকেট খয়ের খাঁ। শেষে আরেক জন বললো 'দুত্তেরিকা।' আর শেষে জানলাম তাঁবুও ভ্যানিশ। তাই এভাবেই আমাদের অফবিট ঘরে বসেই ফটোফিনিশ হয়ে গেল।
তা যাক গে যাক।
ঐতিহাসিক স্থান, সমুদ্র, পাহাড়, জংগল, বরফ, মরুভুমি আর ধার্মিক স্থানের মধ্যেও অনেক রকম ফের আছে। সত্যই অনেক। রস, রঙ, মাধুর্য, প্রেম সে এক বেড়ানোর ১০০ রকম মহাভারত কথা। কেউ হাঁটতে ভালোবাসে তো কেউ নানা রকম খাবারের খোঁজ ন্যায়। কাউকে আবার স্রেফ পাহাড়ের এক কোনে আরাম কেদারায় বসিয়ে এক পেয়ালা চা, কফি, বা উইস্কি দিয়ে দাও। কেউ কেউ তো সারাটা দিন জংলার ভেতরে চুপ্টি করে মশার কামড় খাচ্ছে। জীব জন্তুর ছবি তোলার অপেক্ষায়। লিস্টি আর বাড়ালাম না। যাই হোক। আর নির্জন, নিরালা, দিকবিদিক জনমানবশূন্য প্রান্তর যা অতি মনোরম স্বাস্থ্যকর। 'আরন্যকের' মতন কিছু টা হয়তো। তবু হপ্তাখানেকই যেখানে থাকলে আগামী বেশ কয়েক মাস জনঅরন্যই ভালো লাগবে। ত্যামন টাই বা মন্দ কি? তবু যে জংগল পাহাড় বা এই স্বাভাবিক প্রকৃতির আয়তন যে কমে আসছে তা চিন্তার বিষয়। মনে পড়ে কোথায় যেন পড়ে ছিলাম, আজ মংগলবার, পাড়ার জংগল সাফ করার দিন। ত্যমনটাই তো। জঙ্গল পাহাড় কেটে সমাজ গড়ে উঠবে যা অবশ্যম্ভাবী। কিস্যু করার নেই। লোকসংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরো বেশী আয় করার প্রতিযোগিতা।
ও হ্যাঁ যা বলার, তা হল বাংলায় ভ্রমনের উপকারিতা বলে একটা লেখা আছে না! ওটাই কিন্তু ভ্রমনের আসল। বাকি পরে জানাবো। ভালো লাগবে কথা দিলাম। ওই যে গান আছে, আমি কথা দিলাম, তুমিই আমি. . . . .
আর
ছবি টা অনেক আগের, আর কিছু হাতের কাছে পেলাম না তায় ডাউনলোডেও মন সায় দিলোনা ভাই।