কেন লিখছি জানি, কার জন্য লিখছি জানি। শুধু কে পড়বে সেটা জানি না, যেটা বোঝাতে চাইছি, বোঝাতে পারলাম কিনা সেটাও জানি না। তীব্র ইচ্ছে করলো তাই:
সরকারি/ বেসরকারি/ ব্যাবসা।
মোটামুটি ভাবে কাজের জায়গা টা এই তিনটে।
সবাই যেখানে নিজেকে বা নিজের পরিবার, বন্ধু, সে, ক্রাশ ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে সরকারের নেতা, নেত্রী কে কি ভুল বললো, কোথায় গোলমাল এসব নিয়েও বিন্দাস আছে। বেড়ানো, খাওয়া, অভাব, আনন্দ, অভিযোগ নানা ফন্দি ফিকির। কারণ, অকারণ। আমি তুমিও কম বেশী সামিল।
সব্বাই হয়তো নয় তবু, কম ব্যাস্ত যারা, তাদের কথা ভাবতে বসেছি। হয়তো নিজেকেই কাটা ছেড়া করছি। বাতাসে বেকারত্বের গন্ধ মম করছে। ভালোই পাচ্ছি জানো? সাক্ষাতে, ফোনে, নানা মিডিয়ায় জানচিও অনেক। তারই জন্য এ লেখা। আর এ বেকারত্ব টাকে আমি নাম দিয়েছি self made unemployment. আসে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যুবক/যুবতী দের তো দেখছি, ভাবছি আমিও তো তাদের মতই একজন ছিলাম। হয়তো আছি।
এই করব ওই করব, এটা শিখছি, ওটা শিখছি, আসলে কি ভাবে যেন ভেসে বেড়াচ্ছি। জানিই না কোথায় যেতে হবে। সহজ সরল গতে বাঁধা একটা প্রক্রিয়া। যে কোন একটা স্থায়ী কাজ (ব্যাস আমায় কে পায়?)পেয়ে পয়সা জমানো, বেড়ানো, এট্টু ফূর্তি, বিয়ে, সংসার:এসবের মধ্যেই valuable কিছু স্মৃতি স্মৃতি খেলা চলবে, তারপর ফুড়ুৎ করে প্রাণ বায়ু বেরিয়ে গেল।
নানা পাটেকরের মত বলতে হয়, কেন এসে ছিলাম জানা নেই, কি করছি জানা নেই, অভিভাবকহীন মনের ঘোড়া নিজের মনে ছুটে চলেছে।
খারাপ লাগছে বলতে তবু, মনে হয় দেশের ৭৫% যুবক/যুবতী জানেই না, কোনটা তার পক্ষে উপযুক্ত। মানে, জানেই না, কোন কাজ আসলে তার প্রকৃতই ভালো লাগে। কোন কাজ টা নিয়ে পড়ে থাকলে সত্যি জীবন স্বার্থক। সত্যিই জানা নেই। কাজের জায়গাটায় শুধুই ধোঁয়া। বুকে হাত দিয়ে বলার মত ধক বা গাটস কজনের আছে, যে বলবে, আমি এটাই করে ছাড়বো আমৃত্যু।
স্নাতক, এইচ এস পাস, অনেকে আবার মাস্টার ডিগ্রি, তারপর কি হবে। টিচার হব, দোকানে ঢুকব বা কিছু একটা জুটিয়ে ফেলবো। এইতো চলছে। মানে নিজেই নিজের আগামী দিনের রাস্তা টাকে ছোট করে ফেলার সহজ মূল্যবোধ। না না রুষ্ট হোয়ো না। এখানে কারোর দোষ দেখছি না। আমি বলতে চাইছি, যুবক/যুবতী নিজের সম্বন্ধে পরিষ্কার নয়, যেমন টা আমি, আসলে ভালো টা কিসে লাগবে বা লাগে, জানিই না, তাই নয় কি? কোনটা সে ক্লান্তিহীন ভাবে করতে পারে। তবু আরো সেটাই করতে চায়। কি ধরণের কাজে তার নেশা আছে?
হাজার হাজার কাজের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু নিজের প্রকৃত পছন্দ টাই তো ভুলে মেরে দিয়েছি/দিয়েছে। ছোট কাজ, বড় কাজ কাজের জাত নিয়ে ভাবতে বসেছি। সবজি বিক্রেতার ছেলে উচ্চ পদে কাজ করছে বলে, উচ্চ পদের ছেলে কি আবার সবজি বিক্রি করলে ছোট হয়ে যায়। হয়তো স্নাতক হয়েও ওর বাগান তৈরি, সবজি প্রতি ওপর স্নেহ।
দুঃখ হচ্ছে বড্ড, ওপরে কি করছে সেই ভাবনাতেই কালাতিপাত। নিজের প্রিয় রং, খাদ্য, ফুল, প্রিয় অভ্যেস নিয়ে কজন ভাবে বা জানে? কি করলে নিজেকে সেরা ভালোবাসা হবে, কিরম কথা বললে নিজেকে সম্মান দেওয়া হবে, সেটাই বিচার্য।
মিডিয়কার দের এই না জানাই তুমুল সমস্যা। কিন্তু এটা কেন? এটা কি আজো বোঝা গেল না?
বেকার দের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যের সঠিক অভাব।দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সেরকম পরিকাঠামো থাকলেও উপযুক্ত পর্যাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা/অভিভাবক সম নেতার অভাব অনুভব করছি। যারা এই যুবক/যুবতী দের সঠিক দিশা দেখাবে। এবং বিস্বাস করতে বাধ্য করাবে, যে প্রত্যেকের মধ্যেই পটেনশিয়াল আছে।
#বেকার #youth #india #westbengal
সরকারি/ বেসরকারি/ ব্যাবসা।
মোটামুটি ভাবে কাজের জায়গা টা এই তিনটে।
সবাই যেখানে নিজেকে বা নিজের পরিবার, বন্ধু, সে, ক্রাশ ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে সরকারের নেতা, নেত্রী কে কি ভুল বললো, কোথায় গোলমাল এসব নিয়েও বিন্দাস আছে। বেড়ানো, খাওয়া, অভাব, আনন্দ, অভিযোগ নানা ফন্দি ফিকির। কারণ, অকারণ। আমি তুমিও কম বেশী সামিল।
সব্বাই হয়তো নয় তবু, কম ব্যাস্ত যারা, তাদের কথা ভাবতে বসেছি। হয়তো নিজেকেই কাটা ছেড়া করছি। বাতাসে বেকারত্বের গন্ধ মম করছে। ভালোই পাচ্ছি জানো? সাক্ষাতে, ফোনে, নানা মিডিয়ায় জানচিও অনেক। তারই জন্য এ লেখা। আর এ বেকারত্ব টাকে আমি নাম দিয়েছি self made unemployment. আসে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যুবক/যুবতী দের তো দেখছি, ভাবছি আমিও তো তাদের মতই একজন ছিলাম। হয়তো আছি।
এই করব ওই করব, এটা শিখছি, ওটা শিখছি, আসলে কি ভাবে যেন ভেসে বেড়াচ্ছি। জানিই না কোথায় যেতে হবে। সহজ সরল গতে বাঁধা একটা প্রক্রিয়া। যে কোন একটা স্থায়ী কাজ (ব্যাস আমায় কে পায়?)পেয়ে পয়সা জমানো, বেড়ানো, এট্টু ফূর্তি, বিয়ে, সংসার:এসবের মধ্যেই valuable কিছু স্মৃতি স্মৃতি খেলা চলবে, তারপর ফুড়ুৎ করে প্রাণ বায়ু বেরিয়ে গেল।
নানা পাটেকরের মত বলতে হয়, কেন এসে ছিলাম জানা নেই, কি করছি জানা নেই, অভিভাবকহীন মনের ঘোড়া নিজের মনে ছুটে চলেছে।
খারাপ লাগছে বলতে তবু, মনে হয় দেশের ৭৫% যুবক/যুবতী জানেই না, কোনটা তার পক্ষে উপযুক্ত। মানে, জানেই না, কোন কাজ আসলে তার প্রকৃতই ভালো লাগে। কোন কাজ টা নিয়ে পড়ে থাকলে সত্যি জীবন স্বার্থক। সত্যিই জানা নেই। কাজের জায়গাটায় শুধুই ধোঁয়া। বুকে হাত দিয়ে বলার মত ধক বা গাটস কজনের আছে, যে বলবে, আমি এটাই করে ছাড়বো আমৃত্যু।
স্নাতক, এইচ এস পাস, অনেকে আবার মাস্টার ডিগ্রি, তারপর কি হবে। টিচার হব, দোকানে ঢুকব বা কিছু একটা জুটিয়ে ফেলবো। এইতো চলছে। মানে নিজেই নিজের আগামী দিনের রাস্তা টাকে ছোট করে ফেলার সহজ মূল্যবোধ। না না রুষ্ট হোয়ো না। এখানে কারোর দোষ দেখছি না। আমি বলতে চাইছি, যুবক/যুবতী নিজের সম্বন্ধে পরিষ্কার নয়, যেমন টা আমি, আসলে ভালো টা কিসে লাগবে বা লাগে, জানিই না, তাই নয় কি? কোনটা সে ক্লান্তিহীন ভাবে করতে পারে। তবু আরো সেটাই করতে চায়। কি ধরণের কাজে তার নেশা আছে?
হাজার হাজার কাজের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু নিজের প্রকৃত পছন্দ টাই তো ভুলে মেরে দিয়েছি/দিয়েছে। ছোট কাজ, বড় কাজ কাজের জাত নিয়ে ভাবতে বসেছি। সবজি বিক্রেতার ছেলে উচ্চ পদে কাজ করছে বলে, উচ্চ পদের ছেলে কি আবার সবজি বিক্রি করলে ছোট হয়ে যায়। হয়তো স্নাতক হয়েও ওর বাগান তৈরি, সবজি প্রতি ওপর স্নেহ।
দুঃখ হচ্ছে বড্ড, ওপরে কি করছে সেই ভাবনাতেই কালাতিপাত। নিজের প্রিয় রং, খাদ্য, ফুল, প্রিয় অভ্যেস নিয়ে কজন ভাবে বা জানে? কি করলে নিজেকে সেরা ভালোবাসা হবে, কিরম কথা বললে নিজেকে সম্মান দেওয়া হবে, সেটাই বিচার্য।
মিডিয়কার দের এই না জানাই তুমুল সমস্যা। কিন্তু এটা কেন? এটা কি আজো বোঝা গেল না?
বেকার দের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যের সঠিক অভাব।দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সেরকম পরিকাঠামো থাকলেও উপযুক্ত পর্যাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা/অভিভাবক সম নেতার অভাব অনুভব করছি। যারা এই যুবক/যুবতী দের সঠিক দিশা দেখাবে। এবং বিস্বাস করতে বাধ্য করাবে, যে প্রত্যেকের মধ্যেই পটেনশিয়াল আছে।
#বেকার #youth #india #westbengal