ভারতবর্ষের সত্যি ভাল সময় আসতে চলেছে।
১৮২০ শতক থেকে এখন ২০২০ বছর পরে, পাক্কা ২০০ বছর, কম কথা? ১৮২০ তেই ত বিদ্যাসাগর এর জন্মসাল তাইনা। তখন থেকেই যদি ধরি, মুষ্টি মেয় কিছু দারুন মানুষ পেয়েছি যারা আমাদের পথ দেখিয়েছে, এরপর রবীন্দ্রনাথ ১৮৬১ , ওই দশকেই গান্ধীজী, বিবেকানন্দ, আরও বেশ কিছু মহীরুহ, ব্যাস তার পর? ফাঁকা , তা কিন্তু নয় বিবেকানন্দ টানলেন, নেতাজিও এসে গেলেন। তারপর দেশের ডাক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, চলল জোরদার লড়াই। এই ১৯০০ থেকে ১৯৫০ এর মধ্যে বিপ্লব আর তারপর ইংরেজ দেশ ছাড়ল, কিন্তু আমাদের প্রায় নিঃস্ব করেই দিয়েছিল আরকি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমাদের আচ্ছা মত কাজে লাগিয়েছিল।
এইবার আমাদের সময়, কিন্তু ততক্ষনে অনেকটাই ওলট পালট হয়ে গ্যাছে। দেশ টা খানিকটা ছোটো হয়ে গেল, এই যা। নিজ দেশ গোছানোর পালা শুরু হল। কে দায়িত্ব নেবে? প্রতিযোগিতা কম? প্রতিযোগীর সংখ্যাও। কিছু হাতে গোনা ওজনদার মানুষ এলেন দেশের হাল ধরলেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিযোগীটা টা বেড়েছে, আরও বাড়বে।
মাঝখানে কিন্তু অনেক
অনেক টা শিক্ষার ঢেউ দেশে আছড়ে পড়েছে। মাধ্যম টা অবশ্যই দূরদর্শন, ইন্টারনেট, মোবাইল, উন্নত শিক্ষার মাদ্ধম। ভাল ভাবে বাঁচবার স্বাদ ও পেয়েছি। যদিও বহু মানুষের ঘরে আজো আলো জ্বলে না, পাখা চলে না।
তবু ১৯৪৭ থেকে ২০১৫ এর প্রোগ্রেস রিপোর্ট বানালে, ভারত উপরেই থাকবে, টা নিয়ে সন্দেহ নেই। কত্ত পুরনো আমাদের দেশ।
এর আগে ত কোন দিনি নিজের মত করে দেশ কে গোছানোর সুযোগই পাইনি।
যে যেমন চেয়েছে, তার নিজের মত ভাল মন্দ করেছে।
মোটমাট স্বাধীন হলাম, আর নিজেদের দেশের হাল নিজেরা ধরলাম। ব্যাস।
নিন্দুকেরা খারাপ তে ছাড়বে না। অনেক গোল ও পাকাবে। এর মাঝেই অনেক দলের অনেক অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছেন, ইতিহাস তার সাক্ষী থাকবেন। সেই নেতার অঞ্চলের মানুষ তার সাক্ষী। যাই হোক প্রসঙ্গ এটাই যে, ভাল সময়ের সাক্ষী রয়েছি।
ভুলব না যে, দেশটার গঠন, নদী সমুদ্র পর্বত জমি বেশ ধনী এবং প্রাচুর্যের সামান্যই আমার সু ব্যাবহার করি।
২০৫০ সাল? জল, বাতাস, খাদ্য, বাঁচবার পদ্ধতিও আরও উন্নত হবে। দেশে প্রচুর বায়রের মানুষ আসবে, আমরাও হিল্লি দিল্লি এপার অপার বেড়াব। আর কোন পরিধি থাকবে না। হয়ে যাবে অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর কথায় "বন্ধুভরা বসুন্ধরা।"
No comments:
Post a Comment