বাংলায় ভিডিও ও ফটোগ্রাফি
এখন ফটো শুট হয়।
অনুষ্ঠানে ফটো ভিডিও নানা ধরনের প্যাকেজ সিস্টেম।
অর্থাৎ কাস্টমারের যেমন টা পছন্দ, আর কি। তেমন ভাবেই।
একটা বিয়ের প্রোগ্রামে পুরোটা কভার করতে ৪০০০ ৫০০০ টাকা থেকে লক্ষ টাকা হতে পারে (ফোটো ভিডিও সমেত)
সবচেয়ে সস্তারঃ এই সাইজের এত পিস ফটো হবে, (সঙ্গে এ্যালবাম) এই এই বিষয় গুলো থাকবেই আর ভিডিও তেও সেম (১ ঘণ্টা বা বড় জোর দুই ঘণ্টা), ব্যাস, কত নেবেন?
দেড় হাজার থেকে লক্ষ্য টাকাও পৌছতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না? অবশ্যই হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে ফটোগ্রাফার আর স্থান কাল পাত্রের উপর।
মোটা মুটি সস্তারঃ ১০০ পিস বাছাই দৃশের ফটো সঙ্গে এক টেকসই অ্যালবাম আর ঘণ্টা দেড়েকের ভিডিও। কত ভাই?আবার নেহাত সস্তার, দেখছি, যে পিস হিসেবে মানে, একপিস ফটো ২০ থেকে ৩০ টাকায় তুলুন, পঞ্চাশ টা তুলে ওয়াশ করে ডেলিভারি। বাহঃ কি
অবস্থা ভাবুন তো!
এগুলো ছাড়া ক্যানবেরা এ্যালবাম, কারিশমা আলবাম, স্ক্রোল বাইন্ডিং এ্যালবাম, ডিজিটাল এ্যালবাম কত যে এ্যালবাম হতে পারে।
ভিডিওর ব্যাপার টা হোলো, নর্মাল, নাম একটু গান মিউসিক দিয়ে শুরু, এর পর স্পেশাল এফেক্ট সঙ্গে আলাদা করে সিনেমা ধরণের স্ক্রিপ্ট দিয়ে মিক্সিং ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন তো আরও অনেক স্পেশাল সুবিধা হোচ্ছে, একদম লাইভ স্ক্রিনিঙ, প্রোগ্রাম স্থানেই টিভি তে দেখো। আমি ছাড়াও হাতে গোনা কেউ কেউ দিনের দিন ডিজিটাল-ছবিও উপহার দিচ্ছে। ফলে পরিচিতের বন্ধু বান্ধব অনলাইনে সেই ছবি দেখে নেবার সুযোগ পাচ্ছে।
আবার, জায়গা বিশেষে, ফটোগ্রাফার ট্যাঁফোঁ পর্যন্ত করতে পারে না। আগে থেকেই নির্দেশ থাকে, ফ্ল্যাশ বা আলো ছাড়া তুলতে হবে। ক্লিক এর শব্দ টাও একদম না করলেই নয়। আপনি হয়ত ভাবতে বসে গেলেন, আলো ছাড়া? হ্যাঁ বন্ধু! ক্যামেরার ফ্ল্যাশ আলো ছাড়া একদম নরমাল
আলো তেই ফটোর আসল গল্প।
আর সেরম ফটোগ্রাফার হলে, তেনার ফটোয়, কিছু এডিট করতে হয়না। জাস্ট ডিরেক্ট প্রিন্ট। আর ফটোও তোলে গুনে গুনে। তার মূল্যও দিতে হয় বইকি।
ফিরে আসল কথায়ঃ
১. একজন ফটোগ্রাফার/ভিডিওগ্রাফার অবশ্যই লিখিয়ে নেবেন এই
এই সার্ভিস আপনি দেবেন পরিবর্তে এই মূল্য পাবেন। আর অ্যাডভানস নেবার সময় বাকি টাকা পাবার ব্যাপারে পাকা কথা অবশ্যই বলে নিন। লিখিয়েও নিন। এব্যাপারে আমার যে কি অভিজ্ঞটা হয়েছে। টাকা পেতে হয়রানির একশেষ! আর কথা দিয়ে কথার খেলাপ করলে, গুডউইল যাবে গাড্ডায়।
২. আর কাসটোমারের উচিত নিজে কি চাইছেন তা ওদের পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া। এবং নিশ্চিত হওয়া, যা চাইছেন, ফটোগ্রাফার বুঝেছেন তো? মৌখিক হোক সঙ্গে লিখিত, দুপক্ষেই অত্যন্ত পরিষ্কার হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আসলে, এমন ঘটনা মানুষের জীবনে বার বার হয় কি?হলে ভালোই হতো।
আর না বললে ভাল হত, তবু আমি-ত মনে করি, এবং দেখেছি যে ফোটোগ্রাফ সম্বন্ধে অনেকেরই সীমিত নলেজ, যদিও এটা
সব প্রফেশন এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবু তারা ভাবেন
যে একটা দামী ক্যামেরা বা মেশিন রয়েছে আর কি চাই। ক্লিক করে যাও ব্যাস! ওআশ কর। একজন
ফটোগ্রাফার একটা ফর্মে ফটো তোলে, আর তার পর সেটা সম্পূর্ণ করে একটা গল্পের মতো সাজিয়ে বা ফুটিয়ে
তোলে। সেখানে, কালার, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, মিক্সিং, মনের ভাব, মুল্যবান মুহূর্ত আরও অনেক জড়িয়ে থাকে। যাই হোক
আর ফটোগ্রাফার কে নিজের মতো কাজ করতে অবশ্যই দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে উপদেশ সর্বদা গ্রহণীয়।
সব শেষেঃ আমি লিখছি কেন? আসলে লেখাটা প্রাকটিসে থাকা দরকার। কেন দরকার সে অন্য কোনও দিন হবে খুনি।
কাজে চাপে আমি ন্যুব্জ। তবু ফাঁকি মেরে, এটাই আমার অবসর যাপন বলতে পারেন।
No comments:
Post a Comment