চিন্তার বোঝা
আমি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত। নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তিত। বন্ধু, পরিবেশখাদ্য, সমাজ, রাজনীতি সব নিয়েই চিন্তিত। পারিবারিক চিন্তা তো আর ফলাও
করে লেখা যায় না। সামাজিক চিন্তা টা লেখা যায়। গনতন্ত্রের প্রয়োগ তাতে
কিছুটা বজায় থাকে। কিছু আগে ডেঙ্গু ছিল, এখন বর্ষার জলে থইথই।
পরে আসবে খরচ, আর পুজোর বাজারে এক্সট্রা আয়ের বিড়ম্বনা
তারপর তো গঙ্গার জলে প্রতিমা সংক্রান্ত ভাসান পর্ব। গেল গেল রব উঠবে।
মা ত, হাসি মুখে, বারে বারে ফিরে আসবে। তারপর পুজোতে বাজির শব্দ জব্দ খেলা।
এভাবেই চলবে, চলতে হয় আরকি।
আচ্ছা আমার দেহের বিভিন্ন স্থানে রোজ যদি ছুঁচ ফোটানো হত? না এটা কে
মোটেই রেইকি বলা যায় না। শান্তির দেশ বৈচিত্রের দেশ ভারতবর্ষ আমার।
সেখানে এটাই দেশের কোন না কোন খানে রোজ ঘটে চলে চলেছে কোথাও
না কোথাও। জানা বা অজানা।
আর এখন তো কাশ্মীর ব্যাপার নিয়ে চিন্তা টা
লাগাম ছাড়া হয়ে উঠছে। কেন? দেশ তো অনেক দিন হল স্বাধীন হয়েছে। দেশে কি,
বিভীষণ দের চিহ্নিত করার উপায় বিকল হয়েছে? শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান দিয়ে
আজও কাশ্মীর কে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা গেল না কেন? আর কত সময় লাগবে?
বাধা বিপত্তির
কারণ শূন্য করতে উর্বর মস্তিস্কের ভয়ানক ভাবে অভাব। সৈন্যবল দিয়ে আর কতদিন
। ইঁদুর কল নেই?
সেখানের ছোট ছোট শিল্প উদ্যোগ কে দেশের সংগে কানেক্ট করা যায় না ?
শিক্ষার পদ্ধতি গত কাঠামোয় গলদ নেই তো?
কি আশ্চর্য আপনিও জানেন।
দেশের অতি সাধারণ মানুষ কাশ্মীর বেড়াতে যেতে ভালবাসে।
কিন্তু যেতে পারে না।
আতঙ্কের জন্য মোটেই নয়, খরচের ভয়ে। হায় দেশ!
সাধারণ মানুষের দেশ ঘোরার স্বাদ কোন দিনই
মিটবে না।
মনে হয় যেন কাশ্মীর একটা বিশাল পরিমান আয়
হেলায় হারাচ্ছে। বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারি বা বেসরকারি তথ্য বা
সহযোগিতাও যথেষ্ট নয়। চেষ্টায় যে ত্রুটি, তা দেখতে পাওয়া যায়, সারানো হয়ে ওঠে না।
সরকার গ্যারান্টি দিতে পারে না মিনিমাম থাকা খাওয়া
যাওয়াটা ঠিক কত টাকায় হয়ে যাবে? কারণ দেশের রাজকীয় স্থান গুলো তে রাজকীয় আবাস,
গেস্ট হাউসের-ই রমরমা।
এবং প্রতি পরিকল্পনায় তার জন্য বিপুল ব্যায় সরকারি নিয়মে পাশও হয়ে যায়।
আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনই দেখা হয় না
যে এর জন্যে সামাজিক ব্যাল্যান্স টা থেকে কি ভাবে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
খেলাধুলায় জানিনা কাশ্মীর কতটা এগিয়ে মনে হয় যেন দেশের বাকী অংশের
ভাল খাদ্য, জিনিস, সস্তার পুষ্টি দায়ক ব্যাপার গুলো থেকে আজও তারা বঞ্চিত।
কিন্তু কেন? এত কেন? সত্যি ভাব্বার মত? খালি শান্তির বার্তা আর
পাশে আছি পাশে আছি খেলা খেলতে খেলতে বেলা যে গড়িয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment