- এইতো আতপুরেই - (সব চরিত্র কাল্পনিক - ৫)
গংগা নদীর এপাশ টায় খালি ধু ধু করছে মাঠ। ইতস্তত জংগল ঝোপঝাড়। কেউ কোত্থাও নেই, কারোজন্য অপেক্ষা নেই, সবি আগামীদিনের সূর্যদয়ের অপেক্ষারত। তবু রাত্রি শেষে কুয়াশাছন্ন আবহে পরিবেশ কিছুটা নিষ্প্রভ। শীতল হাওয়ার চাদরে লেপ্টে থাকা এ পরিবেশ, আজ যেন বড় কাতর ঘুমাছন্ন। নদী তে স্রোত নেই, আকাশ নিশ্চুপ, গাছের পাতা রাও যেন speak to not.
তবু যেন মানব সভ্যতার চাকা নিঃশব্দে ঘুরতেই থাকে। আহাতপুরের আদিবাসি মহল্লায় কয়েক জন এসময় বেরিয়ে পড়ে। শোনা কথা যে এরা নাকি এলিওট সাহেবের খপ্পর থেকে বাঁচতে এখানে আস্তানা গেড়েছে। দুর্নাম অনেক। বন্ধু সেজে নাকি রাতের অন্ধকারে রুমাল পেঁচিয়ে গলা পিশে মাটিতে পুতে দ্যায়। কই এখানে তাতো দেখছি না। তবে হ্যা গেল বার, শ্যাম নগরের কাছেই দুটো খালি নৌকা সংে ছাব্বিশ টা লাশ ভেসে উঠতে দেখা গেছে। আর লোকে তো কত কথাই বলে, তা বলে কি বেচে থাকাটা কি আটকে থাকে। খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। বুনো শুয়োর যদি শিকেয় ছেড়ে তো ক্ষতি কি? সেই সুদুর পশ্চিম থেকে কত পথ হেটে, এই পাড়ে এসে ঠেকেছে।
যাই বলো, খাসা জাগা বটে, পুরো নিশ্ছদ্র দ্বিপের মত। ওপারে ফরাসী দের ফউজ ঘাটি গেড়েছে। মাঝে মাঝেই তাদের বিশাল বহরের নৌকা এদিক পানে ছিটকে আসে। ওরা লুকিয়ে পড়ে। আর এতো সেই গংা নয়, তখন কার গংা, অপার দেখতে হলে মাঝ বরাবর গেলে তবে না। হুগলী নদী কেন যে নাম হল কে জানে? তবে অনেক সোভাগ্য করলে নদীর কাছে বাসস্থান পাওয়া যায়। আমরা কি সৌভাগ্যবান? নৈহাটি, ভাটপাড়া, আতপুর, শ্যামনগর, ইচ্ছাপুর পেরিয়ে এ জল বংোপ্সাগরে মিশেছে। হতে পারে আমরা সৌভাগ্যবান। নদী মোটেও নয়। এই যে নদী যায় সাগরে.. . কিশোরের গলায় মনে পড়ে.. . .
কাছেই পিদিমের আলোয় ছোট্ট খোকা বসে। সামনে ছোট্ট মতন জলচৌকি। অপর পারে, ভবানী চরণ। আলোটা থেকে থেকেই দুলে উঠছে। ছোট্ট খোকার বিশালকায় ছায়া ঘরের দেওয়ালে। ভবানী চরণ সন্ধ্যা হলে পর বড়জোর সাড়ে সাত টা, তারপরেই নিজ ঘরে বিশ্রাম নিতে চলে যান। আজ মন টা একটু মরমিয়া। ভোর হলে পর যাদব একেও নিয়ে চলে যাবে।
আমি কাকে নিয়ে থাকবো, একটু ভেবে দেখতে পারতো না!
ভালো পড়াশোনা, দেখাশুন না ছাই।
এই কাঁঠালপাড়ায় তুইও তো মানুষ হলি, বলি এতে কি তোর খুউব ক্ষতি হয়ে গেল? যাক গে যাক, তুই বাপ, তোর কথাই থাক। ভবানীচরন এসবই আন্তাব্ড়ি ভাবতে ভাবতে ঘুমে ঢলে পড়লেন। পাঠশালার রামনাথ পন্ডিতের সংগে ভবানীর খুবই সখ্যতা, সেই বললেন, যেতে দাও হে, যেতে দাও। তবে দেখো যেন ত্রুটি না হয়, ভবানী! তোমার এই তিন নাতিই কিন্তু কেউ কারো চে কম যায় না বুঝলে! নিয়নের আলো গুলো সিড়ি লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই অদুরে গংার মলয় বাতাস, আলো ছাপিয়ে, জানালার খড়খড়ি বেয়ে শরীরে শিহরন জাগাচ্ছে।
আজকাল নদী তে দু চাট্টে বজরা ব্রিটিশ পতাকা গায়ে প্রায়শই টহল দিচ্ছে। ইলিয়ট সাহেব নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বটে, কিন্তু কা কব কান্তা।
খুব বেশি দূরে না, এই ২০০ বছর আগের ঘটনা।
আসলে যখন রাস্তায় ল্যাম্পের আলো গুলো টুপটাপ জ্বলে ওঠে। আগে বালব ছিলো তারো আগে ছিল নিয়নের বাতি। শীতের সন্ধ্যায় সে আলো কিছুটা গিয়ে ফুরিয়ে যেত। এখন রাস্তায় এলিডির আলো। আগের থেকে বেশ ভালো। শুনেচি এতে বিদ্যুৎ এর সাশ্রয়। তাই হয়তো কল্পনার আশ্রয়, এতেও যে খরচ কম, আনন্দ বেশী।
. .
#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #জয়দেবঘোষেরবাগান #রাজবাড়ীরমাঠ #shyamnagar
#কালীবাড়ী
#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #নৈহাটি #ভাটপাড়া #shyamnagar
#কালীবাড়ী
গংগা নদীর এপাশ টায় খালি ধু ধু করছে মাঠ। ইতস্তত জংগল ঝোপঝাড়। কেউ কোত্থাও নেই, কারোজন্য অপেক্ষা নেই, সবি আগামীদিনের সূর্যদয়ের অপেক্ষারত। তবু রাত্রি শেষে কুয়াশাছন্ন আবহে পরিবেশ কিছুটা নিষ্প্রভ। শীতল হাওয়ার চাদরে লেপ্টে থাকা এ পরিবেশ, আজ যেন বড় কাতর ঘুমাছন্ন। নদী তে স্রোত নেই, আকাশ নিশ্চুপ, গাছের পাতা রাও যেন speak to not.
তবু যেন মানব সভ্যতার চাকা নিঃশব্দে ঘুরতেই থাকে। আহাতপুরের আদিবাসি মহল্লায় কয়েক জন এসময় বেরিয়ে পড়ে। শোনা কথা যে এরা নাকি এলিওট সাহেবের খপ্পর থেকে বাঁচতে এখানে আস্তানা গেড়েছে। দুর্নাম অনেক। বন্ধু সেজে নাকি রাতের অন্ধকারে রুমাল পেঁচিয়ে গলা পিশে মাটিতে পুতে দ্যায়। কই এখানে তাতো দেখছি না। তবে হ্যা গেল বার, শ্যাম নগরের কাছেই দুটো খালি নৌকা সংে ছাব্বিশ টা লাশ ভেসে উঠতে দেখা গেছে। আর লোকে তো কত কথাই বলে, তা বলে কি বেচে থাকাটা কি আটকে থাকে। খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। বুনো শুয়োর যদি শিকেয় ছেড়ে তো ক্ষতি কি? সেই সুদুর পশ্চিম থেকে কত পথ হেটে, এই পাড়ে এসে ঠেকেছে।
যাই বলো, খাসা জাগা বটে, পুরো নিশ্ছদ্র দ্বিপের মত। ওপারে ফরাসী দের ফউজ ঘাটি গেড়েছে। মাঝে মাঝেই তাদের বিশাল বহরের নৌকা এদিক পানে ছিটকে আসে। ওরা লুকিয়ে পড়ে। আর এতো সেই গংা নয়, তখন কার গংা, অপার দেখতে হলে মাঝ বরাবর গেলে তবে না। হুগলী নদী কেন যে নাম হল কে জানে? তবে অনেক সোভাগ্য করলে নদীর কাছে বাসস্থান পাওয়া যায়। আমরা কি সৌভাগ্যবান? নৈহাটি, ভাটপাড়া, আতপুর, শ্যামনগর, ইচ্ছাপুর পেরিয়ে এ জল বংোপ্সাগরে মিশেছে। হতে পারে আমরা সৌভাগ্যবান। নদী মোটেও নয়। এই যে নদী যায় সাগরে.. . কিশোরের গলায় মনে পড়ে.. . .
কাছেই পিদিমের আলোয় ছোট্ট খোকা বসে। সামনে ছোট্ট মতন জলচৌকি। অপর পারে, ভবানী চরণ। আলোটা থেকে থেকেই দুলে উঠছে। ছোট্ট খোকার বিশালকায় ছায়া ঘরের দেওয়ালে। ভবানী চরণ সন্ধ্যা হলে পর বড়জোর সাড়ে সাত টা, তারপরেই নিজ ঘরে বিশ্রাম নিতে চলে যান। আজ মন টা একটু মরমিয়া। ভোর হলে পর যাদব একেও নিয়ে চলে যাবে।
আমি কাকে নিয়ে থাকবো, একটু ভেবে দেখতে পারতো না!
ভালো পড়াশোনা, দেখাশুন না ছাই।
এই কাঁঠালপাড়ায় তুইও তো মানুষ হলি, বলি এতে কি তোর খুউব ক্ষতি হয়ে গেল? যাক গে যাক, তুই বাপ, তোর কথাই থাক। ভবানীচরন এসবই আন্তাব্ড়ি ভাবতে ভাবতে ঘুমে ঢলে পড়লেন। পাঠশালার রামনাথ পন্ডিতের সংগে ভবানীর খুবই সখ্যতা, সেই বললেন, যেতে দাও হে, যেতে দাও। তবে দেখো যেন ত্রুটি না হয়, ভবানী! তোমার এই তিন নাতিই কিন্তু কেউ কারো চে কম যায় না বুঝলে! নিয়নের আলো গুলো সিড়ি লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই অদুরে গংার মলয় বাতাস, আলো ছাপিয়ে, জানালার খড়খড়ি বেয়ে শরীরে শিহরন জাগাচ্ছে।
আজকাল নদী তে দু চাট্টে বজরা ব্রিটিশ পতাকা গায়ে প্রায়শই টহল দিচ্ছে। ইলিয়ট সাহেব নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বটে, কিন্তু কা কব কান্তা।
খুব বেশি দূরে না, এই ২০০ বছর আগের ঘটনা।
আসলে যখন রাস্তায় ল্যাম্পের আলো গুলো টুপটাপ জ্বলে ওঠে। আগে বালব ছিলো তারো আগে ছিল নিয়নের বাতি। শীতের সন্ধ্যায় সে আলো কিছুটা গিয়ে ফুরিয়ে যেত। এখন রাস্তায় এলিডির আলো। আগের থেকে বেশ ভালো। শুনেচি এতে বিদ্যুৎ এর সাশ্রয়। তাই হয়তো কল্পনার আশ্রয়, এতেও যে খরচ কম, আনন্দ বেশী।
. .
#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #জয়দেবঘোষেরবাগান #রাজবাড়ীরমাঠ #shyamnagar
#কালীবাড়ী
#Athpur ##আতপুর
#শ্যামনগর #নৈহাটি #ভাটপাড়া #shyamnagar
#কালীবাড়ী
No comments:
Post a Comment