শীতের খবরঃ
খুব শীতের সকাল হলে, ঝিম মেরে বসে থাকি। ভালোই লাগে। বায়রে ভোরের শিশির গায়ে মেখে ফুটে যাওয়া ফুলের শরীর হাসে।
জড়তা মনশরীর জুড়ে বসে থাকে। দিন রাতের কুঁড়েমীর মধ্যে সেরা।
পাখি টাখি দের ডাকে জড়তা থাকে না। ওরা এ সময় বড্ড উত্তেজিত।
হেলে দুলে মন্দ না! কারো চাই গরম চা। ঈষদুষ্ণ জল। মধু? বা বাইটোকাফ।
রাস্তায় যেতে ভয় হয়। যদি কেউ কুঁকড়ে বসে থাকে। এরপর অপেক্ষা।
শরীর আশীর্বাদ ধন্য হলে অপেক্ষা করতে হয় না। গামছা তোয়ালেও যেন, হাজির হুজুর। এসময় গরম জল সাপ্লাই হলে মন্দ হয় না। হরিদাস পাল, রেডিও চালিয়ে দেয়। উনি এবার ইন্ডাকশন কিনেছেন। তেল কয়লার যা দাম।
এরপর পছন্দের একখান কাগজ চাই বইকি। খরচে না কুলোলে পাড়ার মোড়ে। পাতা না ছুঁলে উলটোলে মনে ঠিক যুত আসে না। ডিজিটাল যুগ অবশ্য। তাতে কি!
তা যে টা আসল কথা বলে কথা। সে কথায় আসুন না, ঝাঁপিয়ে পড়ি।
পেয়ালায় তখন ডালহৌসীর গ্রীন টি। খান কয়েক ক্রিম ক্র্যাকার। কাছেই বাগান থেকে ময়ুরের ডাক ভেসে আসে।
না না মজার উচিৎ তা বেশ কথার পর,
আগে মহান লোকেদের কাছে সলজ্জ্ব প্রশ্ন থাকতো, আপনি কোন কাগজ টা সবার আগে পড়েন? কার সম্পাদকীয় লেখা আপনার সবার আগে পড়তে ইচ্ছে করে?
মহান মানুষেরা ভারী রসিক। টেবিলে রাখা গোটা দশেক কাগজের মধ্যের, সবচে অপ্রাকৃত কাগজ খানার কলম দেখিয়ে বলতেন, লিখেছে বটে! সাংবাদিক কেই, তোমার কি মনে হয়?
সবশেষে, মহান মানুষ, একটা পশমের শাল সাংবাদিক কে তুলে দিয়ে বলেন, তোমাদের সম্পাদক সাহেব কে দিও বুঝলে! বলে হাসেন।
তা এসব এখন ইতিহাস।
কে জানে, এখন সাংবাদিক ও মহান নেতাদের মাঝে দুরত্ব বেড়েছে না কমেছে?
সাংবাদিক, মহান মানুষের প্রশংসা করেন, না মহান মানুষ, সাংবাদিকের খুলে প্রশংসা করেন?
বা,
সম্পাদকের প্রাণ ঢালা লেখা, মহান মানুষ দের কে বা কারা পড়েন, সেটাও আজকাল জরুরী কিনা?
মানে, এটা ডিজিটাল ডিজিজ কিনা সেটাও।
তবে, নতুন বছর মানেই তো নতুন কিছু। তা সে যে রূপেই আসুন না কেন?
মেলা খবরের কাগজের মায়া। কখন ঠোঙা হয়ে যায়। কথা হোক, কিছু নতুন নতুন। কলেজে যেমন নবীনবরণ, যদি কেউ বলে, এসো আমরা নাগরিক, পরষ্পরের গলায় মালা দিয়ে নাগরিক নবীকরণ করে, সময় টাকে আরো উৎসব মুখর করে তুলি। সেটাও ভারী আনন্দের।
শতশত জন্মদিনের সাথে গান্ধীজয়ন্তীও যখন সাড়ম্বরে পালন হচ্ছে। সঙ্গে পিঠে পুলির জন্মদিন। ফুলের মেলা সাথে নতুন বইয়ের জন্মদিন। তারপর ধরো, পিকনিক, ককটেল, মকটেল, ফ্লোটেল, পার্টি, ডান্স ডিজে ভাঁজে ভাঁজে তার নিচে উপর আরো কত কি!
এত মেলা, আনন্দের মাঝে, দেশে যদি গোটা শয়েক সাংবাদিক সম্মেলন জয়ন্তী হত। আহা, প্রকৃত সংবাদপ্রেমীরা হয়ত বা বড়ই খুশি হত।
যতকিঞ্চিৎঃ নতুন বছরে, চেকে কেউ লিখলো,
01.02.20
কয়েক ঘন্টা পরে, সেটা 01.02.2019 হয়ে গেল।
হতেই পারে।
ছবি টা গুগল থেকে নেওয়া।
খুব শীতের সকাল হলে, ঝিম মেরে বসে থাকি। ভালোই লাগে। বায়রে ভোরের শিশির গায়ে মেখে ফুটে যাওয়া ফুলের শরীর হাসে।
জড়তা মনশরীর জুড়ে বসে থাকে। দিন রাতের কুঁড়েমীর মধ্যে সেরা।
পাখি টাখি দের ডাকে জড়তা থাকে না। ওরা এ সময় বড্ড উত্তেজিত।
হেলে দুলে মন্দ না! কারো চাই গরম চা। ঈষদুষ্ণ জল। মধু? বা বাইটোকাফ।
রাস্তায় যেতে ভয় হয়। যদি কেউ কুঁকড়ে বসে থাকে। এরপর অপেক্ষা।
শরীর আশীর্বাদ ধন্য হলে অপেক্ষা করতে হয় না। গামছা তোয়ালেও যেন, হাজির হুজুর। এসময় গরম জল সাপ্লাই হলে মন্দ হয় না। হরিদাস পাল, রেডিও চালিয়ে দেয়। উনি এবার ইন্ডাকশন কিনেছেন। তেল কয়লার যা দাম।
এরপর পছন্দের একখান কাগজ চাই বইকি। খরচে না কুলোলে পাড়ার মোড়ে। পাতা না ছুঁলে উলটোলে মনে ঠিক যুত আসে না। ডিজিটাল যুগ অবশ্য। তাতে কি!
তা যে টা আসল কথা বলে কথা। সে কথায় আসুন না, ঝাঁপিয়ে পড়ি।
পেয়ালায় তখন ডালহৌসীর গ্রীন টি। খান কয়েক ক্রিম ক্র্যাকার। কাছেই বাগান থেকে ময়ুরের ডাক ভেসে আসে।
না না মজার উচিৎ তা বেশ কথার পর,
আগে মহান লোকেদের কাছে সলজ্জ্ব প্রশ্ন থাকতো, আপনি কোন কাগজ টা সবার আগে পড়েন? কার সম্পাদকীয় লেখা আপনার সবার আগে পড়তে ইচ্ছে করে?
মহান মানুষেরা ভারী রসিক। টেবিলে রাখা গোটা দশেক কাগজের মধ্যের, সবচে অপ্রাকৃত কাগজ খানার কলম দেখিয়ে বলতেন, লিখেছে বটে! সাংবাদিক কেই, তোমার কি মনে হয়?
সবশেষে, মহান মানুষ, একটা পশমের শাল সাংবাদিক কে তুলে দিয়ে বলেন, তোমাদের সম্পাদক সাহেব কে দিও বুঝলে! বলে হাসেন।
তা এসব এখন ইতিহাস।
কে জানে, এখন সাংবাদিক ও মহান নেতাদের মাঝে দুরত্ব বেড়েছে না কমেছে?
সাংবাদিক, মহান মানুষের প্রশংসা করেন, না মহান মানুষ, সাংবাদিকের খুলে প্রশংসা করেন?
বা,
সম্পাদকের প্রাণ ঢালা লেখা, মহান মানুষ দের কে বা কারা পড়েন, সেটাও আজকাল জরুরী কিনা?
মানে, এটা ডিজিটাল ডিজিজ কিনা সেটাও।
তবে, নতুন বছর মানেই তো নতুন কিছু। তা সে যে রূপেই আসুন না কেন?
মেলা খবরের কাগজের মায়া। কখন ঠোঙা হয়ে যায়। কথা হোক, কিছু নতুন নতুন। কলেজে যেমন নবীনবরণ, যদি কেউ বলে, এসো আমরা নাগরিক, পরষ্পরের গলায় মালা দিয়ে নাগরিক নবীকরণ করে, সময় টাকে আরো উৎসব মুখর করে তুলি। সেটাও ভারী আনন্দের।
শতশত জন্মদিনের সাথে গান্ধীজয়ন্তীও যখন সাড়ম্বরে পালন হচ্ছে। সঙ্গে পিঠে পুলির জন্মদিন। ফুলের মেলা সাথে নতুন বইয়ের জন্মদিন। তারপর ধরো, পিকনিক, ককটেল, মকটেল, ফ্লোটেল, পার্টি, ডান্স ডিজে ভাঁজে ভাঁজে তার নিচে উপর আরো কত কি!
এত মেলা, আনন্দের মাঝে, দেশে যদি গোটা শয়েক সাংবাদিক সম্মেলন জয়ন্তী হত। আহা, প্রকৃত সংবাদপ্রেমীরা হয়ত বা বড়ই খুশি হত।
যতকিঞ্চিৎঃ নতুন বছরে, চেকে কেউ লিখলো,
01.02.20
কয়েক ঘন্টা পরে, সেটা 01.02.2019 হয়ে গেল।
হতেই পারে।
ছবি টা গুগল থেকে নেওয়া।
No comments:
Post a Comment