আমি যেখানে অনেক দিন ধরে বাস করি, সেখানে মতই গড়ে উঠি। এতে আর নতুনত্ব কোথায়! কিন্তু পাঞ্জাব বিহার বা বাংলাদেশ থেকে আসার পরও সেই পুরনো ভাল অভ্যেস কে যখন লালন করি, সেটাই ফকিরি, লা ইলাহি।
যাই হোক,
দেখলাম, ইটালির গন্ড গ্রাম থেকে উঠে আসা হয়ে ওঠা আজকের আমেরিকান নাগরিক, যেযুবক, ফুটপাতে বসে শুকনো নেশায় হারাতে বসেছে। বা খুঁজে পেতে চাইছে শিশু বয়সে হারিয়ে যাওয়া মা কে। ফ্রান্সিস ডি কপোলা তাকেই গড ফাদারের কোনো এক চরিত্রের জন্য নির্বাচন করলেন। আর নির্মাণ হল, ওটাই সব।
পরে তো দেখলাম, জানলাম, শুনলাম, সেই ই নাকি আল পাচিনো। অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা দের মধ্যে একজন। পরে বুঝলাম, এর ত সত্যি কথা বলতে বুক কেঁপে ওঠে না। এই কি সেই শ্রেষ্ঠতর, যাকে এ দেশে খুঁজে পাওয়া ভার। তবে ব্র্যান্ডোর কথা থাক। সেটা অন্য সে এক লেবেল।
দেশ টা আরেকটু আধুনিক হলে, আপনার সেই আলোচনায় অংশীদার হব, কথা দিলাম।
যাই হোক,
জানি জানি ভাবছি। আর না জানা টা যে পিছু নিচ্ছে। তাকেও ত জানতে চেষ্টা করতে হয় তাই ই ত সকলে করছি। তখন জানি না বা জানি টা কিন্তু একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে। তাই জানি বলাটা ঠিক মনে হচ্ছে না।
যাই হোক, ধরবো ধরবো ভাবছি বা দেখবো দেখবো করছি, হোক তবে এটাই, কিন্তু জানা টাই যে, সেই নাগালে আসছে না।
যাই হোক,
এ মুহূর্তে একটা সিনেমাও দেখতে চাইছি। যা হবে এদেশীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর। কিন্তু হতে হবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। নাহঃ সেই লেবেলের টাও হল নাকো, বা পাচ্ছি না বা পেলাম না।
যাই হোক,
এবারে আমি নারী পুরুষের শরীরের কোনখানে সর্বোচ্চ শক্তি লুকিয়ে থাকে, সেটাও খুঁজে পেতে চাইছি? না না, মানসিক নয়, খাঁটি শারিরিক!
আসলে যেখানে সার্বিক সর্বোচ্চ আনন্দ, সেখানেই শক্তি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে, এ নিয়ে নির্বাক হওয়াটা যে এ দেশেই এখুনো সম্ভব। এটাও স্বস্তি দিচ্ছে না।
যাই হোক,
আমাদের কাছে দিন রাত্রির ব্যাবধান ঘুঁচে গিয়েছে। বা আমরাই সেই পরম মনুষ্য জাতি। যাকে সম্পদ বলতেও কুন্ঠিত নই। কারণ দেশের জাতির প্রতি পরম মনুষ্য লেবেল বিশ্বাস।
তবু এ জাতি কিন্তু সাপের মত সময় নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে না। বা ব্যাঙের মত ডাকে না। ময়ুরের মত দিনক্ষণ দেখেও নাচে না।
তবু রাত বিরেতেও পালটে গেছি। ডিজিটাল পাগলু ধাঁচের সেই নাঁচ বা নাচি, ক্ষনস্থায়ী কিন্তু, থামলে পরেও বাঁচি,
আর ইচ্ছে হলেই কিন্তু কিন্তু কিছু কিছু টিছু করে, অনেক জিনিশ টাই করে টরে ফেলে দিয়ে বেরিয়েও যাই। আর শিশুরা কেন, আমাদের মধ্যেও যেন, কেউ কেউ স্বপ্নেও হেসে ফেলি। ভাবা যায়! আর এ ভাবেই কিন্তু কিছু মনুষ্য জাতির মড়া কান্নাও রুখে দেওয়াও যে যায়, সেটা কেন ভেবে দেখি না।
যাই হোক,
দেখতে দেখতে কতক টা পথ পেরিয়ে এসেছি। চলা টা বাকি না দেখে, বা কটা কাঁটা ফুটেছিল সেটা না ভেবেও যখন বেঁচে আছি, তখন বুঝতে হবে, দেওয়াটা ফুরিয়ে আসেনি। বা এটাই যদি দায় বলে ভাবি, সেটা অন্যায়, সুখের খোঁজে এত ছুটে সুখ এত বছরেও যখন ধরা দ্যায় নি, তখন, ইচ্ছে মন কে প্রশয় দিয়ে চলাটাতেই দায়বদ্ধ হতে ক্ষতি কোথায়? বুঝি বা বুঝি না,
যাই হোক।
No comments:
Post a Comment