West bengal Important Links

আনন্দবাজার পত্রিকা http://www.anandabazar.com/ *********এই সময় http://eisamay.indiatimes.com/ *********বর্তমানhttp://www.bartamanpatrika.com/ ********* সংবাদ প্রতিদিনhttp://www.sangbadpratidin.in/ ********* আজকালhttp://www.aajkaal.net/ ********* এবেলাhttp://www.ebela.in/
********* কর্ম সংস্থানhttp://www.karmosangsthan.com/ ********* কর্মক্ষেত্রhttp://www.ekarmakshetra.com/ ********* ফ্রেশারসওয়ার্ল্ডhttp://www.freshersworld.com/ *********টোয়েটি নাইনটিনhttp://www.twenty19.com/ ********* ভ্রমণhttp://www.bhraman.com/ ********* উইকিপিডিয়াতে বাংলাhttp://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_language

Friday, August 14, 2020

স্বাধীনতা দিবস

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেই ৭৪ বছর আগের মাহেন্দ্রক্ষণ ফিরে এলো, সেই মহাসন্ধিক্ষণ।  শৌর্য বীর্যের প্রতীক তারা, যারা আমায় মুক্ত মাটি দিয়েছে। শত হাজার মা বোন মানব পৌরুষের হাত ধরে এ দেশ পরাধীনতার কলংক থেকে মুক্তি পেয়েছে।


এ সেই মুক্তির দেশ। যেখানে

কবি প্রার্থণা কবিতায় লিখেছেন, 


    চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,

    জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর

   .....

    ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥


কত ত্যাগ, তিতিক্ষা, রক্ত, মুক্ত মাটির গন্ধ নিয়ে সেই শুক্রবার, ১৩৫৪ এর ৩০ শে শ্রাবণ। তাই আজ বড় খুশীর দিন। আরেকবার শপথ নেবার দিন।


দেশ তথা দেশের মানুষ কে ভালো রাখা, সকল কে সুরক্ষিত রাখার দিন। তার সঙ্গে মানুষকে বিশেষ ভাবে আগে অর্থনৈতিক, সামাজিক সচেতন করার দিন।

তাই চাই সঠিক স্বাধীন তথ্য।

সাথে করোনার পথ্য। আমরা মন্দির মসজিদ, গুরুদ্বোয়ারা, চার্চ দেখেছি। সেখানের পরিচ্ছন্নতা সমাজেও ছড়িয়ে পড়া দরকার। ওখানে মানুষ তাড়াহুড়ো করে না। চেঁচিয়ে কথা বলে না। মনে হয় যেন আগাপাশতলা পরিচ্ছন্নতাই পুজোর সমান। দোয়ার সমান। আমেন। 


সাথে এ দেশ বিবিধের দেশ। বৃহত্তম গনতন্ত্রের দেশ। কত রাজ্য, বিচিত্র চরিত্রে প্রত্যেকে একে অপরের অনন্য। তারই মর্যাদা এ স্বাধীনতায় প্রকৃত বন্দেমাতরম।


সাথে এ বছর কাজের ক্ষেত্রে যে চুড়ান্ত অপ্রতুলতা তা আর লোকানোর বিষয় নয়। কে কোথায় কি ভাবে স্বাধীনতায় বেঁচে থাকার গল্প লিখছে, কি চূড়ান্ত ভাবে লড়াই করে চলেছে, সেগুলোও মনে রাখার দিন।  গত ৬/৭ মাস ধরে তিল তিল করে যা ঘটে গেল, সেখানে দু ফোঁটা চোখের জল ফেলার দিন বললেও অত্যুক্তি হবে না।

আর মানুষের অবদান তা খাদ্য বস্ত্র রক্ত দান হোক দিকবিদিক বিপদের মধ্যেও প্রাণসংশয় করে পৌঁছে যারা গেল, তাদেরো ভুলিনি, ভুলছি না, ভুলতে আমি পারবো না। এবছর টাই তো ভুলবো না।

ভোলা উচিত না ডাক্তার, নার্স, সহস্র বেসরকারি সংগঠন তথা নেতা নেত্রী দের দিনরাত্রি এক করে  পাশে থাকার দিন গুলো। সেই ঝড় জল, ফিরে আসা শ্রমিক দের লড়াই আরো কত যে কি কি আছে।


আবার এটাও ঠিক যে এতোটা সিরিয়াস ভাবে কখনোই ভেবে দেখার সুযোগ হত না, যদি না লক ডাউন হত। যে তীব্রতর ভাবে ছুটে হাঁপিয়ে গাড়ি, মানুষ চলছিল, সেখানে রাশ টানা গ্যাছে। উল্কার গতিতে সবকিছুকে পেতে চাওয়ার তাড়নায়, লক্ষে পৌছানোর আগেই যে সহজ প্রাকিতিক সম্পদ কে কত তাড়াতাড়ি যে ধ্বংস করার খেলায় মেতে উঠেছি, সেগুলোও ভাবিয়ে তুলেছে।

সাথে সাথে

খনিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ, জল, বাতাস রক্ষার উদ্দেশ্যে সোলার প্যানেল গড়া অতীব মহৎ উদ্দেশ্য, তারই সাথে এতগুলো কয়লাখনি একযোগে কয়লা তুলবে তাও অভাবনীয়। 


তার সাথে ভেবে দেখা জরূরী এন আর সি, এন পি আরের মত সংবেদনশীল বিষয়আশয়। বৃহৎ ও বিশাল জনসংখ্যার দেশে সামান্য ভূলের কারণে অনেক বড় প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। কেউ যেন  কোথাও তার বাপ ঠাকুরদার কথা মনে করে এমন কোনো স্বাধীনতা দিবসের দিনে চোখের জল না ফেলে। 


শুনেছি 'জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।' ধর্ম বলতে এর চেয়ে আর কি.. তবে

এবার সময় এসেছে অর্থনীতি, কাজের ক্ষেত্রেও কেও সামান্য বুঝে নেবার,  কিসে আমার ভালো, জগতের ভালো তা আরো পরিষ্কার হোক, পরিচ্ছন্ন হোক, সেটাই আমাদের মিলবার শর্ত হোক। ব্যক্তি স্বাধীনতার সাথে সামাজিক স্বাধীনতার অর্থ খোঁজা আজ বেশি অর্থবোধক।


সেই কবে আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হয়েছি, তথাপি, অপুষ্টি আর ৫০ শতাংশ মানুষের কপালে দু বেলার আহার নিয়ে প্রশ্ন, স্বাধীনতার কপালে ভাঁজ ফেলতে যথেষ্ট। খাবার যদিওবা জোটে, তাও সন্মানের কিনা সেটাও ভেবে দেখার দিন। তাই বন্টন ব্যবস্থায় আমাদের সাফল্য পেতে প্রশাষনিক চেন আরো মজবুত ও স্বচ্ছ হওয়া দরকার। আসলে প্রত্যেকের সামান্য কিছু অবদানেই দেশ এগিয়ে যাবে।


আবার অনেক রোগ, দূর্ভোগ, বন্যা, ক্ষরা, ঝড়ের মধ্যেও আমি বেঁচে আছি।  কেমন আছি? এতে কষ্ট পায় যারা, তাদের কি পাশে আছি? স্বাধীনতার স্বাদ নইলে যে পানসে, যদি না ভাবি কত টা আছি? যে আজো কষ্ট পায়, সে কি আমার কথা মনে রেখেছে? এ স্বাধীনতা তাদের কেই বিনীত চিত্তে উৎসর্গ।

তারই সাথে আজকে দেশের সৈনিক, চাষি ভাই, সকল প্রশাষনিক কর্তা ও রাজনৈতিক নেতা নেত্রী সহ সকল স্বরনীয় ও বরণীয় কাজের মানুষ কে আমার নতমস্তকে প্রণাম। 


আমরা জনসংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর নিয়ন্ত্রণও আশু প্রয়োজন। ১৯১৯ সালের পর আমেরিকা নিজের দেশের জনসংখ্যা  নিয়ে ভেবে ছিল। আমাদেরও পুনরায় তা বিবেচনার দিন। 


এটাও ভেবে দেখার দিন ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় ডিজিটাল শিক্ষায় কেউ যেন বিভাজনের শিকার না হয়। আর মানুষ ভালো পরিবেশ পেলে, অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়। আমাদের ভেবে দেখা কর্তব্য আমাদের দেশ সত্যি আজো সে অর্থে যোগাযোগের মাধ্যম, তথা ডাক্তারের অত্যাধুনিক যন্ত্র উৎপাদনে পরাধীন। এই যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মুহুর্মুহু ব্যাবহার, ডেটার আদান প্রদানে নির্ভরশীলতা তা থেকেও মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। 

এনক্রিপ্টেড ব্যাপারটাই তো সিক্রেট কিছু যা আজো ক্লিয়ার নয়। 


আমি দেখেছি টেলিভিশানে কত শত চ্যানেল। সব চেয়ে বেশি ধার্মিক আর মনোরঞ্জনের চ্যানেল। শত শত। সব বেসরকারি। আর একটা চ্যানেল চালাতে কোটি কোটি টাকার খরচ। এ নিয়েও ভাবনার অবকাশ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মাথা তুলে দাঁড়াতে এগুলোও বাধা নয়তো। হতেও পারে। জানি না।

ভাবনার অবকাশ আছে মিডিয়া নিয়ে, খবর নিয়ে কোনটা চলছে, কেন চলছে, কে চালাচ্ছে, সামগ্রিক ভাবে দেশের মানুষের উপকার হচ্ছে নাকি অন্য কিছু। ভাবতেই হবে, যেগুলো সামান্য কিছু লিখে দেওয়া গেল দেশের জন্য এগুলো জরূরী কিনা? 

 আসলে উদ্দেশ্যগত দিক ধনাত্মক হলে, মিডিয়া কেও মুক্তির স্বাদ দিতে হবে।


আশা করি ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন। 

সাথে

সকল শুভানুধ্যায়ী কে স্বাধীনতার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রনাম। 🇮🇳

Thursday, May 7, 2020

ওই এলো ঝড়। উড়ে যায় গাছের চাদর। সুন্দর মিষ্টি ঠান্ডা হাওয়া। আহা। বৈশাখ মাস না ভোগ বিলাস না পরবাস। নেই রবীন্দ্রনাথ বা কালীদাস। নেই রুটি চাঁদ, নোনতা জল আছে। জীবন কে পাহারা দিচ্ছে ক্ষিদে। জীবিকা কে সরকার।
কোন টা দরকার।  দরকারি লক ডাউনে ভিখিরির দেখা নাই। ছন্দহীন কাজ, ক'টা টাকার দেখা কই? হলে পরে, ঘরে ঘরে কালিদাস সারাটা মাস জুড়ে কুঁড়ে ঘরে জুত হয়ে মেঘদূত পড়তই।
।মন টা আজ মোটেই ভালো নেই, তাই শেয়ার করলাম।

এতো ঘন্টা, প্রদীপ, পুষ্প বৃষ্টি। এরপর প্রসাদ তো থাকবেই।
সঙ্গে সান্তনা। রবী ঠাকুর বুদ্ধ বেঁচে থাকলে, দিকে দিকে কি দরিদ্র ভোজন হতে পারতো না? বা তার আগে ব্রম্ভ প্রার্থনা।

ভাইজাগে করুন মৃত্যু। বেসাহারা লোকের বাড়ি ফেরা বা ফিরছে না। যারা সরকারি কাজ করে না, তাদের কাজ করারও অধিকার আসছে না। মাইনে ত দুরাশা।

এদিকে ডিজিটালি সারকাসম চলছে। হাস্যস্পদ দুচাল্লাইনে লোক হাসানোর হরিবোল খেলা। বা ভুলে থাকার অবহেলা। এছাড়া কি বা করার আছে? 

যেন কিছুই হয় নি। কিছুই হারানোর ছিল না। লাইফ টাই স্ক্রোলিং বুলিং কপি পেস্ট ওঠা নামা করতে করতে কখন যে সত্যি মনের ভাব প্রকাশে ব্যর্থ হয়ে গেছি, ধরতে পারবেন না।

শুনেছি সত্যি টা সহজে কেউ বলে না। প্রকাশ করে না। কি দিয়ে মাসের পর মাস চলছে। ভাত রুটির কথা আজ থাক। বলতে হবে না, আপনার চাল ডালের কথা।  গ্যাসের কথা। সমস্যার কথা। ওগুলো মোটেই কাজের জিনিশ না। 

তাচ্চে আসুন না ভাবি, 
জীবনে কোনো দিন এত ভীড়, হাসি মুখ মন গম্ভীর, মদ বা র‍্যাশনের দোকানে দেখেছি? নিষ্প্রাণ চোখে কানে হেডফোন, জোয়ার ভাঁটা হীন বাবা মা ভাই বোন। দাদা কাকা জ্যাঠা সবাই লাইনে। কেউ মদের দোকানে। কেউ র‍্যাশন দোকানে। এখানে সেখানে যেখানে চূড়ান্ত নাটক নিত্য দিনের সঙ্গী। মন বলবেই পালিয়ে টা যাবি কোনখানে?

এ বলে আমায় দেখ। ও বলে দেখে শেখ। শেখার দেখার আর কিছুই নেই ভাই। 
 পুরোটাই ছোট ছোট গল্প। গল্প দিয়ে মালা। আর সেটাই পরে চৈতন্য।

Tuesday, April 28, 2020

--- গ্রহেই যখন আগ্রহ, বিগ্রহ তবে কিসে? ---

১. কলমচি যখন বাবুর্চি, মিলেমিশে মনের খোলা ছাতে,
দু'হাত পেতে রান্না করে, হাসি কান্না মেখে পেট ভরে। ওরে মন। তাই না হয় হোত।
আলতো হাওয়ায় মুর্চ্ছিত। হাসছো তো। আচ্ছা, তুমি বলেই কি হাসছো না? বলো না লজিক ম্যাজিক করে,
এ গ্রহে আগ্রহ যাদের, তারা কি পূজিত হতে পারতো না?
বিন্দু হতে সিন্ধু তো, ইন্দ্রীয়াতীত হয়ত না।
দেয়ালা করে দিচ্ছ ক্ষত, নাকি লিখে রাখছো সান্তনা!
২. এত যত্রতত্র শীব, আসি আসি করে,
শব্দ গুলো কে মাঠে ছেড়ে দেয়।  কি করে অহরাত্র বাজায় বাঁশি। বল না?
কখুনো বা হাতের মুঠোয় ফোন টোন বা জলের মতই গল্প।
পালক নরম মন গলে টলে, সময় যে বড়ই অল্প।
আলাপে, গোলাপে, সন্ধে নেমেছিল। আতর গন্ধে রাত বেরাত কবে থেমেছিল?
সন্তান আসে, ফুটতেই ছিল সময়ের আঁচে। কিছু মন্দিরে কিছু দরগায়। শুনেছি শীব এভাবেও বাঁচে।

আর বিজ্ঞান দিয়ে যদি একটা আস্ত সুর্য গড়ে তোলা যেত? নিদেন পক্ষে একটা গ্রহ। তাহলে হয়তো বা ক্ষমা, বিচার, প্রার্থনা চাওয়া যেত।
মায়াবনের সিদ্ধার্থ বলেছেন, হবে সব হবে। তিষ্ঠ।


Saturday, April 4, 2020


আরেকবার প্রমাণিত হোক, জাগতিক ও পার্থিব লাভক্ষতির উর্ধ্বে ভারতবর্ষ আদি অকৃত্রিম চিরন্তন সনাতন।
এখন বৈজ্ঞানিক পথ্য বা অন্যান্য কিছু বিবেচ্য নয়, আমাদের তো এই পথ চলাতেই আনন্দ হয়।
দেশপ্রধান বলেছেন, তবে আগামীকাল অভূক্ত থেকেই দীপ জ্বাললে ভাল হত। এমন পালন হলেই খুব ভাল হয়।
কারণ আর কিছুই না
শীতলা পুজো, বাসন্তী পুজো,  রামনবমী ইত্যাদি পালন না করার জন্য বিশাল বৃহৎ অংশ মর্মাহত। তাই বিশ্বাস, ধার্মিক বিশ্বাস হিসেবে, এটা অবশ্যই রামবাণ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।
আর যাদের ভেন্টিলেটর লাগবে, তাদের বলুন গে যান, ভেন্টিলেশনেই ছিলাম ও আছি। উদ্ধার হবার প্রসেসিং এ আছি। শুধু ন্যাচারোপ্যাথি প্রক্রিয়া টা আরেক টু চলা দরকার।
এ মাসে ইসরোর স্যাটেলাইট পাঠানোর কথা ছিল না? নতুন বছরের বাংলা ক্যালেন্ডার ও তো দরকার? কোথায় পাই বলুন তো?
এ বারের পঞ্জিকায় কি ছাপা আছে, ২০২১ সেও শিক্ষা ব্যবস্থায় চাপ পড়বে। বা কারা যেন নতুন করে আন্দোলনে নামবেন। চৈত্র সেল?
"এ বার মা আসছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায় চেপে। দশমীর দিন তিনি ফিরেও যাচ্ছেন ঘোড়ায় চেপে। অর্থাৎ এই বছরে দেবীর আগমন ও গমন ঘোটকে। পণ্ডিতরা বলছেন, ঘোড়ায় আগমন ও গমন মোটেই শুভ নয়। ঘোড়া ছটফটে প্রাণী। সে যখন যায়, সব কিছু ছত্রভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দেবীর ঘোটকে আগমন ও গমনে প্রমাদ গুনছেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এতে ফসল নষ্ট হওয়ার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা ও খরা হতে পারে। দেখা দিতে পারে মহামারী ও রাজনৈতিক অস্থিরতা।"যাই হোক,ভারতীয় চিনা প্রোডাক্ট ইন্সটলেশন হাব গুলোর সুরক্ষার দায়িত্বই বা কে নেবে? কার চাকরি থাকবে? কার কত টাকা শেয়ারে ডুবলো? কত ডুবলো? কোত্থেকে এত মূলধন জোগান হবে? লাইফেরই যা হাল, টাকা তো মায়া হয়ে যাবে। ডি এ, বোনাস আকাশে কুসুমিত হবে। আর ভাবা যাচ্ছে না?চাল ডাল দিয়ে কোটি কোটি দুস্থ কে সাহায্যদান দেখে যদি অর্ডিন্যান্স পাস হয়, কোটি কোটি ক্রোরপতি নেতা দের যদি ব্যাক্তিগত সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হয়? বা ভরসা না রাখতে পেরে যদি মিলিটারি শাষন শুরু হয়? বাপরে, থাক বাবা। তাচ্চে সুদূর অতীতেই বন্যা ও অপুষ্টি জনিত মৃত্যু v/s এই অতিমারির একটা টেবিল তৈরি করি।না কিস্যু হচ্ছে না।কিন্তু আজকে যে আবার কাশ্মীরে হামলা। দুদিন আগেই মাওবাদী ১৭ মিলিটারি মৃত্যু। কাবুলে আরেক।আমি কোন পথে যে চলি 🎶🎶একটি সুখের কথা, এ বছর মা দূর্গা যাবেন গজে।।

Wednesday, April 1, 2020


কোকিল তোর এ্যপিল থাক
পলাশ ফুলে, বসন্ত রাঙা,
খালবিল পাতা জঙ্গল থাক
পাহাড় নদী বাঁচিয়ে জানা।।
😊
হয়েছি কি, করোনার কথা ভাবতে ভাবতে 
আনমনে বেশ গুনগুন করছি।
 🎶
''বলতে পারো, কত'টা রাত আরো।
শেষ কবে যেন বলেছিলে,
ঘড়িতে তখন বারো। 
ওই যে সকাল। দুপুর গড়ালো।
এলো বিকাল। সন্ধ্যা ফুরালো।
বলতে পারো?
বরং প্রার্থনা কর,
আপনা মাঝে শক্তি ধরো।''

বেশ গম্ভীর ভাবে মনের রসে জ্বাল দিচ্ছি।
হঠাৎ, এক আপদের সাথে দেখা। 
পুরোটা বলছি, সত্যি। এতটুক ভয়ের ব্যাপার ই নেই।
তা যেই না লোক টা বললো, 'বারে। এতো বন্ধুবৎসল ভাইরাস। স্থান দেব না? সে তো ভালোবাসতেই এয়েচে। মনন নাই বা হল, শরীরে তো এলো।' 
মনে মনে বললাম, পিপিলিকার পাখা গজালো।
ও বলেই চললো।
'ভালোবাসবো না কেন? মেরেছে কলসি ড্যাস ড্যাস। দিবে আর নিবে, ড্যাশ ড্যাশ । অতিথি দৈব ভবঃ।'  ব্যাস ব্যাস।
এত টাই ঠিক ছিল। তার পরপরই দিল সে, হ্যাচ করে এইয়া বড় হ্যাচ্চো। 
বললাম, এ এ তুমি কি কচ্চো! এ আমার কি কল্লে? আমার তো যাবার সময়ই হয় নি! উতলা হয়ে, ঘেমে নেয়ে যখন সম্বিত ফিরলো।
ওমা, ওরে, এ যে দেখি খোলা ছাদে, ভদ্দুপুরে গামছা পরে অামি তৈলাক্ত। তাও লজ্জ্বা পাইনি। 
খেয়াল করতে দেখি উপরে এক ভক্ত। বলা ভুল। শক্ত নিমের ডালে, দুলছে এক কাঠবিড়ালি। আমার দিকে আড় চেয়ে, কেন জানি হাসি হাসি মনে হল। এমন হাসি এরাও হাসে। বিশ্বাস করিনি, জানো। তারপর, এমন কিটির মিটির কল্লো, যে রাগে রিরির চে কান টাই কটকট  করে উঠলো। বললাম তবেরে। তারপর থেকে নাওয়া খাওয়া ভুলে, সেই যে কাঠবিড়ালি ধত্তে উঠেছি।

Saturday, March 28, 2020

এই সেই রোববার। চকচকে দিন তার।
ছুটি ছুটি হয়েও ছোটা বারন।  করোনাক্রান্ত ঘোর জ্বর তার কারন।
যে প্রেমে পাগল, প্রেমের কথা বলে শুনেই বাঁচে। 
ছুটির দিনে প্রেম তাকে বেশি করে পায়।
আপনি খেতে পাগল। সেও
তাই। যে দেহ তত্ত্বে, ইহ লোকে, নাম গানে বা কারণবারিতে, সবেতে এক জিনিশ। 
যে ঝগড়া করতে পাগল, সে ঝগড়া না করে,  থাকবে কি করে?
এখন রব উঠেছে করোনা পাগলের। কয়েক মিনিট পরেই, করোনার কথা না বলে থাকাও যাচ্ছে না।
যাই হোক এখন, 
শুধুই পাখ পাখালির ডাক, গরুর হাম্বা রব আর মাঝে সাঝে সাইকেলে দু চাকার শব্দ। কারখানার সাইরেনের শব্দ নেই।  খোলা চোখে দেখে, মনেই হয় না বায়রে এসব ফাঁকি। কত প্রহর যে বাকি। 

মাছ, মাংসের দোকান খুলে গ্যাছে। ভীড় নেই বললেই চলে। ইতি উতি ভ্যানে সবজি। কচুরি পরোটা ও আছে। আছে ডিম সেদ্ধ।  মুড়ি চিনির জল ও আছে।
আজ দুপুরে শুক্ত খেতে ইচ্ছে করছে।
 ৮৫ নম্বর বাস চলে গেল। পেট্রোল পাম্প খোলা। কাগজওলার ব্যাস্ততা সবচে বেশী। ওষুধের দোকান এখুনো খোলে নি। 
বিদ্যুৎ ভোল্টেজ আপ ডাউন করছে। 
দুষ্টু কিছু ঘু ঘু ছাদের কাছে চিল্লামিল্লি করছে। ওই যে পাড়া গাঁয়ের টিয়া টায় টায় কত্তে কত্তে বেরিয়ে গেল। 

আমাকেও ত কিছু একটা করতে হবে। 
তাই দিন গুনছি। কেউ আশায় বুক বাঁধছি।
কত ফ্যামিলি একসঙ্গে সময় কাটায় নি, খেতে বসে নি, গান শোনে নি, গল্প করে নি। আজ সেটাই করছি। 
কেউ বা চা খাচ্ছে, কেউ দুধ কেউ বা চিন্তা গুলো ধোঁয়ায় রিং বানিয়ে উড়িয়েও দিচ্ছে।
পোড়া কপালের কথা থাক। কেউ আবাল বালখিল্যপনায় খিড়কি থেকে দুয়ার দৌড়ে, ব্যাম সারছে। তার সাথে সাথে এটাও থাক।
যে, 
দেশ টা'কে খাওয়াবে কে?
'ওরা কাজ করে' টা হয়ে গ্যাছে আজ, ওরা মাইলের পর মাইল হাঁটছে। দেশে ফসল তোলার লোক নেই।
সাউথের হারবেস্ট ফেস্টিভ্যালে,  আলু পটল উচ্ছে বেগুন।
আগুন রোদে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। 
কারণ, দেশ হাঁটছে। পিঠে তার, সামান্য শুকনো চিড়ে। আধ বোতল গরম জল আর এক টুকরো শক্ত গুড়। সংক্রমন যে কোথায়, বোঝা দায়। 

ধার্মিক, মনোরঞ্জন নরম জল মনের প্রিয় দেশের মানসিক বুস্টিং প্রয়োজন। ভুলে থাকা প্রয়োজন। তাই দু বেলা রামায়ন আসছে। 
আমরা এন্টারটেইনমেন্ট চেয়েছিলাম। তাই পাচ্ছি। এখন উত্তর পূর্ব পশ্চিমের কোটি কোটি ভারতবাসী দু বেলা রামায়ন দেখবে।
আসলে যেটা দেখার ছিল, সেটাই। 
 দিন সকলের নিরাপদে সুস্থ ভালো কাটুক। 

Blog Archive

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে

নিজের ডিভাইস কে ভাইরাস মুক্ত করতে
ক্যাসপারস্কাই