বিশ্বাস ও কাশ্মীরঃ
আমি অনেক অনেক ভাল আছি। নিরাপদে, রসে বশে। আমি নিয়মিত পোস্ট করি। আমার পোস্টে দেখবেন, আমার সারাটা বছর আনন্দ, ফুর্তিতে কাটছে। বেড়াই। আমি ভাল গান শুনি, আমার মন খারাপ হয় না। আমি মোটামুটি শিখে গিয়েছি কোনটা পোস্ট করতে হয়। কি লাইক দিতে হয়। কোনটা এড়ানো আমার জন্যে ভালো। কাকে যেন দেখেও দেখবো না, অভিনয় টাও।
নিজেই অবাক হই, যখন দেখি, আমি যেন সব কিছুই কত সহজ ভাবে মেনে নিতে শিখে
গিয়েছি।
ভেবে নিয়েছি, এমন টাতো হতেই পারে। আমার রাগ হয় না। আমার বিরক্তি লাগতে নেই। আসলে আমি সারাক্ষণ যেন আনন্দেই রয়েছি, এমন একটা ব্যাপার।
আসলে কিন্তু হজম হয়ে যাচ্ছে সওব।
অতর্কিত আক্রমনে ৪০ টা সৈনিক প্রাণ হারালো। দারুন একটা বুউম শব্দ আর ধোঁয়া। তারপরি চারিদিকে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে মাংস দেহের টুকরো। গন্ধ টা ফিল করতে পারছো?
ন্যাশনাল এম্বলেম লাগানো ছেড়া পোষাক রাস্তার ধুলো খাচ্ছে।
শুনলাম রাজনাথ সিং আগামীকাল প্লেনে যাবেন দেখতে। সেখান থেকে ভাষণ দেবেন।
আমি তুমি হলে নিশ্চই আজই রওনা দিতাম। দিতাম না বল? নিজের ঘরের এতো লোকের মৃত্যু।
মনে হয় যেন, রাজনৈতিক মন গুলো এগুলো দেখে দেখে এত অভ্যস্ত, যে রিয়্যাক্ট গুলো ও পুরনো মনে হয়।
আর এ মৃত্যু নতুন কোন ব্যাপার নয়। এখানে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ঘটেই চলে। তারই মধ্যে কত শিশুর নিরীহ চোখ, আস্তে আস্তে সময়ের সাথে বদলাতে শুরু করে।
হাজার হাজার মানুষের দ্বারা নির্বাচিত একজন বিধায়ক এ বাংলায় খুন হয়ে গেল। সাড়া পড়ে গেল সারা বাংলায়। কতকন্ঠের উচ্চ দাবী তে আকাশে বাতাসে, শাস্তি চাই, বদলা চাই। অতীতের কথা বাদ ই থাক। ওখানেও তাই। কিচ্ছু বদলায় না।
আর এখানে তো ৪০ টা জওয়ান। আমি শুধু বিশ্বাস করি না, এ আমার দৃঢ় প্রত্যয়। বাংলা যদি কাশ্মীর হত। আর সেখানে যদি এখানের তৃণমূল, বামফ্রন্ট,কংগ্রেস, বিজেপি থাকলে, অবশ্যই এ বিষম মুশকিল আসান হত। এটাও একটা নিজের রাজ্যের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অসম লেবেল।
সংগে সংগে আরেক ভাবনা আসে, মানে এর পিঠোপিঠি। পশ্চিমবংগে এখুনো প্রচুর মানুষ বাস করেন, যাদের আত্মীয় পরিজন বাংলাদেশে থাকেন। বাপ দাদার বাংলাদেশ নিয়ে একটা দূর্বলতা থাকাটাও কী খুব অস্বাভাবিক? ভাইস ভার্সাই তো। তাই কাশ্মীর আর পাকিস্তানের মানুষ কে, এই সুদূর পূব থেকেও মিল পাওয়া টা কী খুব দুষ্কর অসম্ভব একটা ব্যাপার। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলে দেখেছি, অনেকে হই হই টাও করে ফেলে। এখানে
শেখ মুজিব কেও তো জানি, অনেকে ভালবাসে।
তাই নিচের অসত্য নয় তবু ভূল ভাবনাটা ভেবেই ফেলি। তাই হয়তো কাশ্মীর রাজ্যের কোন প্রশাসক কেই আমি সহজ মনে মেনে নিতে পারিনি। বলা কওয়াতে ই একটা ভীন্দেশি গন্ধ। পড়াশোনার জায়গা গুলো তে তো জেনে শুনে ভারতীয়তার বিরুদ্ধে কালচার। দেশের সর্বত্র পড়াশোনার সিলেবাস কবে এক হবে? আর কত দিন? আসলে কি একটা কাঁটা যে আজো সবার গলায় বিধে, আর কেনোই বা ডাক্তার রা শুষ্রুষা করছেন না, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।
ঈশ্বর ও সারা ভারতবাসী সহ সামান্য আমিও
জওয়ানদের আত্মীয় পরিজন দের জানাচ্ছি গভীরতম সমবেদনা।
আমি অনেক অনেক ভাল আছি। নিরাপদে, রসে বশে। আমি নিয়মিত পোস্ট করি। আমার পোস্টে দেখবেন, আমার সারাটা বছর আনন্দ, ফুর্তিতে কাটছে। বেড়াই। আমি ভাল গান শুনি, আমার মন খারাপ হয় না। আমি মোটামুটি শিখে গিয়েছি কোনটা পোস্ট করতে হয়। কি লাইক দিতে হয়। কোনটা এড়ানো আমার জন্যে ভালো। কাকে যেন দেখেও দেখবো না, অভিনয় টাও।
নিজেই অবাক হই, যখন দেখি, আমি যেন সব কিছুই কত সহজ ভাবে মেনে নিতে শিখে
গিয়েছি।
ভেবে নিয়েছি, এমন টাতো হতেই পারে। আমার রাগ হয় না। আমার বিরক্তি লাগতে নেই। আসলে আমি সারাক্ষণ যেন আনন্দেই রয়েছি, এমন একটা ব্যাপার।
আসলে কিন্তু হজম হয়ে যাচ্ছে সওব।
অতর্কিত আক্রমনে ৪০ টা সৈনিক প্রাণ হারালো। দারুন একটা বুউম শব্দ আর ধোঁয়া। তারপরি চারিদিকে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে মাংস দেহের টুকরো। গন্ধ টা ফিল করতে পারছো?
ন্যাশনাল এম্বলেম লাগানো ছেড়া পোষাক রাস্তার ধুলো খাচ্ছে।
শুনলাম রাজনাথ সিং আগামীকাল প্লেনে যাবেন দেখতে। সেখান থেকে ভাষণ দেবেন।
আমি তুমি হলে নিশ্চই আজই রওনা দিতাম। দিতাম না বল? নিজের ঘরের এতো লোকের মৃত্যু।
মনে হয় যেন, রাজনৈতিক মন গুলো এগুলো দেখে দেখে এত অভ্যস্ত, যে রিয়্যাক্ট গুলো ও পুরনো মনে হয়।
আর এ মৃত্যু নতুন কোন ব্যাপার নয়। এখানে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ঘটেই চলে। তারই মধ্যে কত শিশুর নিরীহ চোখ, আস্তে আস্তে সময়ের সাথে বদলাতে শুরু করে।
হাজার হাজার মানুষের দ্বারা নির্বাচিত একজন বিধায়ক এ বাংলায় খুন হয়ে গেল। সাড়া পড়ে গেল সারা বাংলায়। কতকন্ঠের উচ্চ দাবী তে আকাশে বাতাসে, শাস্তি চাই, বদলা চাই। অতীতের কথা বাদ ই থাক। ওখানেও তাই। কিচ্ছু বদলায় না।
আর এখানে তো ৪০ টা জওয়ান। আমি শুধু বিশ্বাস করি না, এ আমার দৃঢ় প্রত্যয়। বাংলা যদি কাশ্মীর হত। আর সেখানে যদি এখানের তৃণমূল, বামফ্রন্ট,কংগ্রেস, বিজেপি থাকলে, অবশ্যই এ বিষম মুশকিল আসান হত। এটাও একটা নিজের রাজ্যের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অসম লেবেল।
সংগে সংগে আরেক ভাবনা আসে, মানে এর পিঠোপিঠি। পশ্চিমবংগে এখুনো প্রচুর মানুষ বাস করেন, যাদের আত্মীয় পরিজন বাংলাদেশে থাকেন। বাপ দাদার বাংলাদেশ নিয়ে একটা দূর্বলতা থাকাটাও কী খুব অস্বাভাবিক? ভাইস ভার্সাই তো। তাই কাশ্মীর আর পাকিস্তানের মানুষ কে, এই সুদূর পূব থেকেও মিল পাওয়া টা কী খুব দুষ্কর অসম্ভব একটা ব্যাপার। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলে দেখেছি, অনেকে হই হই টাও করে ফেলে। এখানে
শেখ মুজিব কেও তো জানি, অনেকে ভালবাসে।
তাই নিচের অসত্য নয় তবু ভূল ভাবনাটা ভেবেই ফেলি। তাই হয়তো কাশ্মীর রাজ্যের কোন প্রশাসক কেই আমি সহজ মনে মেনে নিতে পারিনি। বলা কওয়াতে ই একটা ভীন্দেশি গন্ধ। পড়াশোনার জায়গা গুলো তে তো জেনে শুনে ভারতীয়তার বিরুদ্ধে কালচার। দেশের সর্বত্র পড়াশোনার সিলেবাস কবে এক হবে? আর কত দিন? আসলে কি একটা কাঁটা যে আজো সবার গলায় বিধে, আর কেনোই বা ডাক্তার রা শুষ্রুষা করছেন না, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।
ঈশ্বর ও সারা ভারতবাসী সহ সামান্য আমিও
জওয়ানদের আত্মীয় পরিজন দের জানাচ্ছি গভীরতম সমবেদনা।
No comments:
Post a Comment