রাস্তাগলি খানাখন্দ পেরিয়ে, জুই ফুলের সুবাসে মন যখন আনচান করে। উপোরে তাকিয়ে দেখি , সজনে ফুলে গাছ ভরে আছে। অতৃপ্তি কিছুতেই কমে না। এদের মুসুরির ডালে বেটে মুচমুচে করে ভেজে দিতে যারা পারে, তারা যে কি নিষ্ঠুর! যাই হোক এলোপাথাড়ি নানা কাজ অকাজের ভাবনা শেষে, ক্লান্ত হওয়া টা যেন, পরাজয় স্বীকার করে নেবার মত।
তবু ফুরোতেই হয়।
তারপর সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত ঘনায়। আকাশ বাতাস বুঝি ঘুম ঘুম নিঃঝুম।
তারপরই হঠাৎ যেন দুরন্ত
শিশুর মত আকাশ বেজে ওঠে। দপ করে জ্বলে ওঠে প্রদীপ আবার।
এ যেন,
গরজে দমকে হেরিছে কাহাকে?
টনক তবু না নড়িছে!
ফাঁদ পাতা এ বিশ্ব ভুবনে,
পুষ্প কেন ফুটিছে?
তিতিরের ন্যায় ধুম্র বাদল,
তুলিয়া নিয়া ছিড়িয়া শিকল,
বারি হয়ে কেন ঝরিছে?
বারে বারে সেই প্রত্যাঘাতে,
পারি যেন লেখা,প্রকৃতির ক্ষাতে
হাতে নেই কো আর, ভালো মন্দ,
এটাই আত্মপ্রকাশ নাকী বলাকার ছন্দ?
বলতে পারো?
শীত শেষে, গরম যখন দাপট দেখাতে শুরু করবে বলে ঠিক করেছে। ঠিক তখনি, কড়কড় কড়াৎ। মোচকায় তবু ভাঙে না। পালটায় তবু পটে না। দিন যায়, তবু থামে না।
তবু যেন ক্ষনিকের হলেও আশা ভরসা জাগিয়েই দিতে চায়। এ যে কী আশ্চর্যকথা, কি ভয়ংকর। এই বৃষ্টি তেও আমি রাজনীতির গন্ধ পাই।
কল্পনা করছি, এ আঁধারে বাংলার অবয়বে, তুলতুলে কোন এক জলের ফোঁটা ধান ক্ষেতে রোপন করা নতুন কচি ডগা পাতায় চু্ঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে। পাশে ব্যাঙে দের গ্যাঙর গ্যাং চিল চিৎকার টা গ্যাছে যেন কোথায় ফুরিয়ে। গতকাল এদের শোনা গেছিল, অতটা তবজ্জু দিই নি। আজ মশাই নিজেই হতবাক।
এগুলো যখন লিখছি বায়রে, আকাশের ঝল্মলানি সহ তিব্র বৃষ্টি পাতে,
No comments:
Post a Comment