ময়দান বড় হয়ে উঠছে। আপনি আছেন তো?
দাঁড়ান, 'ভাষা' আর 'এন আর সি' র ধাক্কা সামলে উঠি। লাফড়ার যেন শেষ নেই।
বাঁচতে চাস তো পর্যুদস্ত হয়ে দায়িত্ব নিয়েই বেঁচে থাকে এ নগর, গ্রাম। পিটিয়ে পাট পাট হয়ে যায় কত বিচ্ছিন্ন লড়াই সংগ্রাম।
এ গল্প ছিল, আছে এবং থাকবে, কোনো টা তোমার, কোনো টা ওর, ভারি ব্যাক্তিগত, ক্ষত আহত বা কোনো টা শুধুই আমারি।
অাসছে ২১শে আদমশুমারী।
তারো দামামা বেজে গেল।
ঢাক সেতো বাজছিল আমেরিকায়, ভাবা যায়।
হাসতে হাসতে, তাও হিন্দি তে আমাদের প্রধাণমন্ত্রী গোল দিয়ে এলো। ম্যাগসায়সায় পাওয়া যায় না। তো? উনি, ভেবেছেন, তারচেয়েও বড় কিছু নিয়ে আসা যায়। আসলে এভাবেও ফিরে আসা যায়।
এতে কারো বা মহাশ্বেতা, নেতাজী, বাপুজী, স্বামীজীর কথা পড়ে যায়? তাই সময় নতুন ইতিহাস গড়ে। চোখ ফেরায় কা সাধ্যি।
ভোটের আগে, ক্যাম্পেনিং এ, বাংলাদেশ থেকে ওরা কারা ফিরদৌস এনেছিল যেন? এখন লাগছে, বাংলা আগে ভেবেছিল। কিন্তু সুদূর গ্যাঁড়াকল টা বোঝা হয় নি। স্বাধীনতার পর থেকেই এই বাংলার সেই এক অবস্থা। ভাবে ভালোই, দেখায় ও ভালো। শেষ পর্যন্ত ঝুলি তে সেই আধুলি থেকে যায়।
কেউ বলেন, কি যে বোকার মত কথা, নোবেল টোবেল গুলো তালে কী?
কেউ বলেন, আমাকে একটা চাকরি বা দুবেলা দিতে পারেন কী? এও এক জ্বালা।
যা হোক,
এবার, আমার তো ভয় হচ্ছে, ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে। বেফাস কিছু আমাদের দেশের সম্পর্কে ছড়িয়ে না দ্যায়। বা শ্রী ওবামা কে বাংলায় এনে না আবার ফ্যালে? বলা তো যায় না। কত কিছুই তো হয়।
আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে বড় বড় গিটার নিয়ে পিটারের মতো বাজাবে, আমি হাততালি দিয়ে জয়ধ্বনি বিলোবো।
ফ্ল্যাশব্যাক
দপ করে জ্বলে, এবার গোটা ট্রাম মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলছে। আমি ৫০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে। সেদিন কাঁধে একটা ব্যাগ, বুক পকেটে কলম, হাতে নোট প্যাড।
চোখ বুজলেই আজো লাইভ চলছে।
সামান্যতম ভাড়া বৃদ্ধিও সে মাগ্যি বাজারে, মূল্যের বিচারে সরকারের বিরুদ্ধে আস্ফালন, আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই না।
বিজেপি তখন আসে নি, বাংলায় একটা সভ্য সভ্য কালচার ছিল। এখন যেন, একেবারে যাতা। তখন মরতো না। চাকরি চাই চাকরি চাই বলে, লাইন ছিল না।
যারা হাসছেন, তারা এসব বুঝবেন না।
আদা পিয়াজ কন্ট্রোল হলে, আজো কিছু বলার হল না। সে প্রশ্নও করবেন না।
আর এখন দেখো, ভালচারে ভরে গ্যাছে। চিল শকুনের মত আকছার, কোন মতে একটা পদ জুটে গেলেই হল। দেশের কাজ করছি রে ভাই, দেশের কাজ করছি। দল যেমন নির্দেশ দেবে, চোখ বুজে সেইটাই পালন করছি। দল হল, ন্যায় অন্যায়ের উর্ধ্বে। প্রশ্ন নেই, ভালো মন্দ নেই, সাধারণ মানুষের সুবিধে অসুবিধে সেসব এতসব কিছুই দলের তুচ্ছ সুতরাং আমার কাছেও নগণ্য। আমি তো আর দলের উর্ধ্বে নই।
হয়তো আমি টা তুমি ও বা যে কেউ, দেশের কোনো একজন। তখুনো এই 'আমি' টা ছিল, বাংলার মত। আজো আছে। শুধু মুখ, মুখের কথা, সুখ আর সুখের জ্বালা। এড়ানো যায়, পালানো যায় না।
দাঁড়ান, 'ভাষা' আর 'এন আর সি' র ধাক্কা সামলে উঠি। লাফড়ার যেন শেষ নেই।
বাঁচতে চাস তো পর্যুদস্ত হয়ে দায়িত্ব নিয়েই বেঁচে থাকে এ নগর, গ্রাম। পিটিয়ে পাট পাট হয়ে যায় কত বিচ্ছিন্ন লড়াই সংগ্রাম।
এ গল্প ছিল, আছে এবং থাকবে, কোনো টা তোমার, কোনো টা ওর, ভারি ব্যাক্তিগত, ক্ষত আহত বা কোনো টা শুধুই আমারি।
অাসছে ২১শে আদমশুমারী।
তারো দামামা বেজে গেল।
ঢাক সেতো বাজছিল আমেরিকায়, ভাবা যায়।
হাসতে হাসতে, তাও হিন্দি তে আমাদের প্রধাণমন্ত্রী গোল দিয়ে এলো। ম্যাগসায়সায় পাওয়া যায় না। তো? উনি, ভেবেছেন, তারচেয়েও বড় কিছু নিয়ে আসা যায়। আসলে এভাবেও ফিরে আসা যায়।
এতে কারো বা মহাশ্বেতা, নেতাজী, বাপুজী, স্বামীজীর কথা পড়ে যায়? তাই সময় নতুন ইতিহাস গড়ে। চোখ ফেরায় কা সাধ্যি।
ভোটের আগে, ক্যাম্পেনিং এ, বাংলাদেশ থেকে ওরা কারা ফিরদৌস এনেছিল যেন? এখন লাগছে, বাংলা আগে ভেবেছিল। কিন্তু সুদূর গ্যাঁড়াকল টা বোঝা হয় নি। স্বাধীনতার পর থেকেই এই বাংলার সেই এক অবস্থা। ভাবে ভালোই, দেখায় ও ভালো। শেষ পর্যন্ত ঝুলি তে সেই আধুলি থেকে যায়।
কেউ বলেন, কি যে বোকার মত কথা, নোবেল টোবেল গুলো তালে কী?
কেউ বলেন, আমাকে একটা চাকরি বা দুবেলা দিতে পারেন কী? এও এক জ্বালা।
যা হোক,
এবার, আমার তো ভয় হচ্ছে, ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে। বেফাস কিছু আমাদের দেশের সম্পর্কে ছড়িয়ে না দ্যায়। বা শ্রী ওবামা কে বাংলায় এনে না আবার ফ্যালে? বলা তো যায় না। কত কিছুই তো হয়।
আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে বড় বড় গিটার নিয়ে পিটারের মতো বাজাবে, আমি হাততালি দিয়ে জয়ধ্বনি বিলোবো।
ফ্ল্যাশব্যাক
দপ করে জ্বলে, এবার গোটা ট্রাম মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলছে। আমি ৫০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে। সেদিন কাঁধে একটা ব্যাগ, বুক পকেটে কলম, হাতে নোট প্যাড।
চোখ বুজলেই আজো লাইভ চলছে।
সামান্যতম ভাড়া বৃদ্ধিও সে মাগ্যি বাজারে, মূল্যের বিচারে সরকারের বিরুদ্ধে আস্ফালন, আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই না।
বিজেপি তখন আসে নি, বাংলায় একটা সভ্য সভ্য কালচার ছিল। এখন যেন, একেবারে যাতা। তখন মরতো না। চাকরি চাই চাকরি চাই বলে, লাইন ছিল না।
যারা হাসছেন, তারা এসব বুঝবেন না।
আদা পিয়াজ কন্ট্রোল হলে, আজো কিছু বলার হল না। সে প্রশ্নও করবেন না।
আর এখন দেখো, ভালচারে ভরে গ্যাছে। চিল শকুনের মত আকছার, কোন মতে একটা পদ জুটে গেলেই হল। দেশের কাজ করছি রে ভাই, দেশের কাজ করছি। দল যেমন নির্দেশ দেবে, চোখ বুজে সেইটাই পালন করছি। দল হল, ন্যায় অন্যায়ের উর্ধ্বে। প্রশ্ন নেই, ভালো মন্দ নেই, সাধারণ মানুষের সুবিধে অসুবিধে সেসব এতসব কিছুই দলের তুচ্ছ সুতরাং আমার কাছেও নগণ্য। আমি তো আর দলের উর্ধ্বে নই।
হয়তো আমি টা তুমি ও বা যে কেউ, দেশের কোনো একজন। তখুনো এই 'আমি' টা ছিল, বাংলার মত। আজো আছে। শুধু মুখ, মুখের কথা, সুখ আর সুখের জ্বালা। এড়ানো যায়, পালানো যায় না।
No comments:
Post a Comment